জুন ১৫, ২০২৩

আন্তর্জাতিক

সেন্টমার্টিন নিতে চায় আমেরিকা বলেছেন, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সেন্টমার্টিন নিতে চায় আমেরিকা বলেছেন, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আমেরিকা যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার নেই বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। মেনন বলেন, ‘আমাদের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ভিসানীতি সংশোধন করেছে। আসলে তারা আমাদের সেন্টমার্টিন নিয়ে যেতে চায়। রাজি না হওয়ায় তারা সরকার হটানোর চক্রান্ত করছে। ‘আমাদের নির্বাচন আমাদের সংবিধানের নিয়মেই হবে। এখানে কারও হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই।’ মে মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশিদের সে দেশের ভিসা পাওয়া বা বাতিলের শর্তাদি নিয়ে একগুচ্ছ নীতিমালা প্রকাশ করেছে। এটি গণমাধ্যমকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে সরাসরি অবগত করেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কী রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন বলে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

বরিস জনসন স্বেচ্ছায় পদ ত্যাগ না করলে বরখাস্ত হতেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বরিস জনসন স্বেচ্ছায় পদ ত্যাগ না করলে বরখাস্ত হতেন। করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। সে সময় করোনা মোকাবিলায় চলছিল লকডাউন। কিন্তু লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করেছিলেন। আর এই পার্টি নিয়ে তিনি ইচ্ছা করেই পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন বলে জানিয়েছে সংসদীয় তদন্ত কমিটি। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরব্যাপী তদন্তের পর কমিটি জানিয়েছে, বরিস জনসন যদি গত সপ্তাহে পদত্যাগ না করতেন, তাহলে সংসদকে পুনরায় অবমাননার দায়ে ৯০ দিনের জন্য এমপি পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হতো। সংসদীয় কমিটি বলছে, ‘আমরা উপসংহারে পৌঁছেছি যে ইচ্ছা করেই পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে গুরুতর অবমাননা করেছেন বরিস জনসন। এটি আরও গুরুতর, কারণ সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। কোনো প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন—এমন কোনো নজির নেই।’ এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের এমপি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বরিস জনসন। তার পদত্যাগের ঘোষণার আগে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান জনসন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ওই প্রতিবেদনটি অসত্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট। এক বিবৃতিতে জনসন বলেছিলেন, ‘কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এমন একটি প্রমাণও হাজির করতে পারেনি যাতে প্রমাণ হয় ‌‌আমি জেনেশুনে বা বেপরোয়াভাবে লকডাউন বিধি ভঙ্গ করেছি।’ পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্ট থেকে সরে যাওয়া খুবই দুঃখজনক; অন্তত এই মুহূর্তে। তবে আমি আতঙ্কিত, আমাকে অগণতান্ত্রিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জোর করে বহিষ্কার করা হতে পারে।’ এই ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নিয়ে কয়েক মাসের তদন্তে বেরিয়ে আসে, বরিস জনসন ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে করোনা মহামারি চলাকালে ডাউনিং স্ট্রিটে মদের পার্টি করেছিলেন। ওই সময়ে যুক্তরাজ্যের বাকি বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ এবং জনসনের বিরুদ্ধে বার বার মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠতে থাকায় তার সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকসহ আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন জনসনও। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

আন্তর্জাতিক

মানবতাকে আঘাত করার কাজে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সরঞ্জাম ব্যবহার না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মানবতাকে আঘাত করার কাজে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সরঞ্জাম ব্যবহার না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪আইআর) সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামগুলিকে মানবতাকে আঘাত করে বা ক্ষুণ্ন করে এমন কাজে ব্যবহার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সরঞ্জামগুলিকে যেন আমাদের মানবতাকে আঘাত বা ক্ষুন্ন করে এমন কাজে নিয়োজিত করা না হয়।’ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যাতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি না করে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার ওপর প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, ৪আইআর আমাদের সমাজের মধ্যে আরও বিভাজন তৈরি করবে না। এই উদ্দেশ্যে আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশের তরুণদের ৪আইআর ও ভবিষ্যৎ কাজের জন্য তৈরি করতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা শুধু ৪আইআর-কে শুধু অনুসরণ করবে না, বরং প্রকৃতপক্ষে এর নেতৃত্ব দেবে।’ দেশের শিক্ষার্থীরা রোবোটিক্সে যে ধরনের উদ্ভাবনী কাজ করছে, তা দেখে তিনি উৎসাহ বোধ করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে যে উদ্ভাবন মেলার আয়োজন করে আসছি, সেখানেও তাদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ দেখেছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই ডব্লিউইএফ-এর সাথে অংশীদারিত্বে একটি স্বাধীন ৪আইআর কেন্দ্রকে স্বাগত জানাবে। সরকার ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে ৪আইআর-এর জন্য যথাযথ আইন, নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ন্যানোটেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়ে পৃথক জাতীয় কর্ম-কৌশল তৈরি করেছি।’ তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি এবং অন্যান্য বিষয়ে বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট স্থাপন করছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য ভবিষ্যতের রাজনৈতিক নেতাদের বিকাশের জন্য আমরা স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিও চালু করেছি। তাই বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘের কাজে আগ্রহী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, এই গ্লোবাল কমপ্যাক্টে ডিজিটাল ও সীমান্ত প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও উৎপাদনশীল ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে।’ তিনি সাইবার-আক্রমণ, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্মিলিতভাবে সাইবার-আক্রমণ, বিভ্রান্তমূলক তথ্য ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে।’ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি ব্লেন্ডেড শিক্ষার অপার সম্ভাবনার বিষয়ে সরকারের চোখ খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা মহামারির সময়ে দেশব্যাপী ডিজিটাল কাঠামোর সম্পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করেছি। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনলাইনে চালু করেছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ কমবেশি নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে গিয়েছে।’ তিনি বলেন, সরকার সারাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে দৈনিক লেকচার সেশন সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে সংসদ টিভি চ্যানেলকে একটি শিক্ষা চ্যানেলে পরিণত করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ার ক্ষতি আংশিকভাবে পুষিয়ে দিতে পারে।’ শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সরকার সব পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে আপলোড করে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এটি শিক্ষার বিষয়বস্তু এবং মডেল ক্লাস লেকচার আপলোড করার জন্য ‘মুক্তপথ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের অনলাইন শিক্ষার পদ্ধতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের অভিযোজন করার ব্যবস্থা করেছি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যথাযথ পরিবর্তন আনার জন্য শিক্ষক ও প্রশাসকদের পরামর্শ দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যে, এই উদ্যোগগুলি অনেকাংশে শিখন ক্ষতি কমাতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গঠনমূলক চিন্তভাবনা ও সৃজনশীলতার ওপর জোর দিতে সরকার এখন দেশের স্কুল পাঠ্যক্রমকে নতুন করে সাজিয়েছে। তিনি বলেন,‘আমরা তাদের মুখস্থবিদ্যা রপ্ত করার পরিবর্তে নিজেরাই যেন চিন্তা করতে এবং কাজ করতে পারে সে বিষয়ে উৎসাহিত করছি। আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সামাজিক এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা দিয়ে গড়ে তোলার আশা করি, যাতে তাদেরকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে পারি।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকার প্রি-স্কুলিংয়ের পাশাপাশি স্নাতকোত্তর গবেষণা ও উন্নয়নকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিটে বাংলাদেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার মানসম্পন্ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং রূপান্তরমূলক শিক্ষা অর্জনের জন্য সেই দূরদর্শী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবে।’

আন্তর্জাতিক

আগামী আগস্টে বাংলাদেশ ব্রিকস’র সদস্য হতে যাচ্ছে – পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী আগস্টে বাংলাদেশ ব্রিকস’র সদস্য হতে যাচ্ছে – পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন। বাংলাদেশ আগামী আগস্টে ব্রিকসের সদস্য হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। বুধবার জেনেভার প্যালেইস ডি ন্যাশন্স সফররত সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সাইরিল রামাপোসা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকের পর ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, তারা (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) যে ব্রিকস ব্যাংকটা করেছে সম্প্রতি আমাদের তাতে গেস্ট হিসেবে দাওয়াত দিয়েছিল। আগামীতে তারা ব্রিকসে আমাদের সদস্য করবে, অগাস্ট মাসে ওদের সম্মেলন হবে। প্রধানমন্ত্রী ইনশাল্লাহ সেখানে যাবেন। ’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিকসে এখন ৫টি সদস্য। আগামীতে তারা আরও ৮টি দেশকে সদস্য করবে। তার মধ্যে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, ইউনাইটেড আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়াকে তারা দাওয়াত দিয়েছে। ব্রিকসে যোগদানের সুবিধার কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, এটা আমাদের অর্থায়নের আরেকটি ক্ষেত্র হবে। আমাদের তো টাকা পয়সা দরকার। সেদিক থেকে এটা ভালো হবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে একই স্থানে মাল্টার প্রেসিডেন্ট জর্জ ভেলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মাল্টাকে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ ও তৈরি পোশাক আমদানির অনুরোধ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট এবং মাল্টার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উভয়কে বাংলাদেশে তাদের মিশন খোলার অনুরোধ করেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট এবং  আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক

ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : টেকসই উন্নয়নে শেখ হাসিনার পাঁচ প্রস্তাব

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : টেকসই উন্নয়নে শেখ হাসিনার পাঁচ প্রস্তাব বিশ্ব শান্তিপূর্ণ , টেকসই উন্নয়নের জন্য সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত্তি তৈরী করতে হবে –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচারকে একমাত্র ভিত্তি আখ্যায়িত করে এই শান্তি-উন্নয়ন-ন্যায় বিচারের জন্য বিশ্ব নেতাদের কাছে পাঁচটি প্রস্তাবণা তুলে ধরেছেন তিনি। ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট : সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার’ বিশ্ব শান্তি, ন্যায় বিচার নিয়ে বিশ্ব মোড়লদের এই বড় আসরটি গতকাল বুধবার বসেছে সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভাতে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সব আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের সরকার জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক অংশীজনদের সঙ্গে আরো আলোচনার মাধ্যমে এ বৈশ্বিক জোটে যোগ দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি প্রস্তাবনা হচ্ছে- এই জোটকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরাম হওয়ার পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা এডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে গড়ে তোলা, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল দ্বার অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকা; জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি রক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালানো, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলওর নিজস্ব অংশীজনদের ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করা এবং তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই জোটকে মনোযোগী হতে হবে। আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী একটি নতুন সামাজিক চুক্তি সম্পাদন করা প্রয়োজন। এই সামাজিক চুক্তির মূল লক্ষ্য হতে পারে টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশের সংবিধানে জাতির পিতা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রকাঠামোর মূলনীতি হিসেবে বিবেচনা করে স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের পথ-নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা লাভের কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং একদিনে বেশ কয়েকটি আইএলও সনদে অনুস্বাক্ষর করে। বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমরা দুঃখী-মেহনতি মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য কৃষি ও অকৃষি খাতে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনীতির সবস্তরে শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। আমার সরকার ইতোমধ্যে কৃষি-শ্রম ও ব্যবসাবান্ধব হিসেবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সফলতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সক্ষমতা অর্জন করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সমাজ নির্মাণের পথে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে সরকার। কোভিড-১৯ অতিমারির সময় আমরা রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন পরিশোধে ৫৮৮ মিলিয়ন ডলার, দরিদ্র পরিবারসমূহে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার এবং ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রায় ১৫৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় আমরা এক কোটি নি¤œ আয়ের পরিবারের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করছি। সদ্য ঘোষিত বাজেটের ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, আমরা এমডিজির সব লক্ষ্য পূরণ করেছি। এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আমাদের চূড়ান্ত উত্তরণ ঘটবে। এপ্রেক্ষিতে আমরা শ্রম খাত সম্পর্কিত ২০২১-২০২৬ সাল মেয়াদি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছি। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ আইএলওর দশটি মৌলিক সনদের মধ্যে আটটি অনুস্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিষয়ক নতুন দুটি মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষরের বিষয়টিও আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। পরিতাপের বিষয়, শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার কয়েকটি উন্নত দেশ এখন পর্যন্ত নিজেরা অধিকাংশ আইএলও মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেনি। যেমন একটি বড় শিল্পোন্নত দেশ মাত্র ২টি মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে। শিশু শ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে বাংলাদেশ স¤প্রতি আইএলও সনদ ১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ আটটি সেক্টরকে আমরা ‘শিশু শ্রম মুক্ত’ হিসেবে ঘোষণা করেছি। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশু শ্রমিককে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে। একটি সুস্থ ও নিরাপদ আগামী প্রজন্মের স্বার্থে আমি দেশকে শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চাই। এসময় শ্রম আইন, শ্রম বিধিমালা, শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল ও শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা, ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা’ ‘শিল্প পুলিশ’ ইউনিট গঠন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক’ ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট’ স্থাপনের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনে এসব পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে আরো উৎসাহিত করবেন বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন শিল্প খাতে সমন্বিত দরকষাকষির মাধ্যমে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্যেনীতি কাঠামো তৈরির বিষয়টি আমাদের বিবেচনাধীন রয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন অনলাইন করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের হার ২০১৩ সালের ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯০ শতাংশ হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প খাতে ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা গত নয় বছরে নয় গুণ বেড়েছে। শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তাদের ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ইপিজেড এবং নন-ইপিজেড এলাকার জন্য দুটি পৃথক টোল-ফ্রি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা দানে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক শিল্প শ্রমিকদের তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে। বক্তৃতায় নারীদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম শিল্প এলাকায় কর্মজীবী নারী শ্রমিকের জন্য স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা, ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি সহিংসতা বা হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা শূন্য-সহিষ্ণুতা, স¤প্রতি নারীদের অবৈতনিক গৃহস্থালি কর্মকাণ্ডকে জাতীয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশনার বিষষ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রমিক ও তাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘কেন্দ্রীয় তহবিল’ গঠন করা হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ২০২২ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ‘অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি ইন্স্যুরেন্স স্কিম’ চালু করা হয়েছে। প্রতি বছর ২০ লাখ তরুণ-তরুণী আমাদের শ্রমবাজারে নতুনভাবে প্রবেশ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এক কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা দেশজুড়ে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। সেইসঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৩৯টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আওতায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৫২ হাজার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দুই লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও আইটি খাতের বিপুল সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, বাজেটে ৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ও ইনোভেশন সেন্টারের মাধ্যমে ৮০ হাজার তরুণ-তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। দেশের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারকে নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদের অর্থনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে

Scroll to Top