এপ্রিল ১২, ২০২৩

আন্তর্জাতিক

আল আকসা মসজিদে অমুসলিম দের প্রবেশ নিষেধ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আল আকসা মসজিদে অমুসলিম দের প্রবেশ নিষেধ। নতুন করে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ গেছে দুই ফিলিস্তিনির। এ অবস্থায় আল-আকসা মসজিদে অমুসলিম ও পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েল। দ্য গার্ডিয়ান ও আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। মঙ্গলবার নাবলুসে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে কয়েকজন অস্ত্রধারী নিহত হয়েছেন। তেল আবিবের দাবি, ইসরাইলি সেনাদের চৌকি লক্ষ্য করে কয়েক যুবক প্রথমে গুলি চালায়। পরে ইসরাইলি সেনারাও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই অস্ত্রধারীরা নিহত হন। গত সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদের ভেতর ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েলের পুলিশ। এর জেরে নতুন করে সহিংসতা বাড়ে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা, লেবানন এবং সিরিয়া থেকে রকেট ছোড়া হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা এর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর জেরে সাময়িক সময়ের জন্য আল-আকসায় অমুসলিমদের যাতায়াত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নেতানিয়াহু। এরপরই তিনি জানান, রমজান মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত আল-আকসা প্রাঙ্গনে আর কোনো অমুসলিমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যদিও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ফিলিস্তিন। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন নেতানিয়াহুর উগ্রপন্থী পুলিশমন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির। এক বিবৃতিতে এ উগ্রপন্থী বলেছেন, ‘যখন সন্ত্রাসীরা আমাদের আঘাত করে, তখন আমাদের আরও শক্তি নিয়ে আঘাত করা উচিত, তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা নয়।’ গত এক বছর ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ অনেক বেড়েছে। আর এবার রমজান মাস আসার পর উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পবিত্র রমজানে পাসওভার উপলক্ষে ইহুদিরা আল-আকসায় প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে।

জাতীয়

ইংল্যান্ডে বেতন বাড়ানোর দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের চারদিনের ধর্মঘট।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইংল্যান্ডে বেতন বাড়ানোর দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের চারদিনের ধর্মঘট।মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) থেকে ইংল্যান্ডে জুনিয়র ডাক্তাররা বেতন বাড়ানোর দাবিতে চারদিনের ধর্মঘট পালন করছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবায় ধর্মঘটের বিপুল প্রভাব পড়েছে। সরকারি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ইতিহাসে এরকম ধর্মঘট আগে কখনো হয়নি। হাজার হাজার চিকিৎসক হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে বাইরে চলে আসেন। ইংল্যান্ডে এনএইচএসের ডিরেক্টর স্টিফেন পাওইস বলেছেন, ‘এই ধর্মঘটের অভূতপূর্ব প্রভাব পড়েছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এর ফল রোগীরা ভোগ করবেন। সারা দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরেও তা পড়বে।’ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) থেকে ইংল্যান্ডে জুনিয়র ডাক্তাররা বেতন বাড়ানোর দাবিতে চারদিনের ধর্মঘট পালন করছেন। এনএইচএসের ইতিহাসে এভাবে হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছেড়ে ডাক্তারদের চলে আসার ফলে পুরো পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর আগেও যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকদের ধর্মঘট খুবই বিরল ঘটনা ছিল। তখন চিকিৎসক কম থাকার কারণে অনেক সময় রোগীদের ভুগতে হতো। কিন্তু এবার জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। কারণ, মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে জুনিয়র ডাক্তার কথাটাও কিছুটা ভুল ধারণা তৈরি করে। ব্রিটেনে মোট চিকিৎসকের অর্ধেকই জুনিয়র ডাক্তারদের শ্রেণিতে পড়েন। কয়েক দশক ধরে কাজ করছেন, এমন চিকিৎসকদেরও জুনিয়র ডাক্তার বলা হয়। আসলে যে চিকিৎসকরা ফ্রন্টলাইন কর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাদের জুনিয়র ডাক্তার বলা হয়। ইংল্যান্ডে এখন ৭০ লাখ রোগী চিকিৎসা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। সেই সময় এই ধর্মঘটের ভয়ংকর প্রভাব তাদের উপরে পড়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের ইউনিয়ন ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়িয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ৩৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি চান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বেতন সংক্রান্ত ভালো অফার দিলে তারা এই ধর্মঘটের পথে যেতেন না। বার্কলে জানিয়েছেন, ইউনিয়নের এই দাবি অযৌক্তিক। মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটির পর এই ধর্মঘটকে ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল প্রভাব পড়েছে। ব্রিটেনে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সরকারি কর্মীরা গত কয়েক মাসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। গত শীতে নার্সরা ধর্মঘট করেন। অ্যাম্বুলেন্স কর্মী, শিক্ষক, বাসচালক, ডাক কর্মীরা গত ফেব্রুয়ারিতে ধর্মঘট করেছেন। তাদের দাবিও এক। মুদ্রাস্ফীতির জন্য তাদের বেতন বাড়াতে হবে।

জাতীয়

ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১২ এপ্রিল) পৃথক শোক বার্তায় তারা প্রয়াতের আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। ৮২ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সেই নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু পরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন।

জাতীয়

তিন দফা দাবি নিয়ে গণভবনে সোহেল তাজ। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিলেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- তিন দফা দাবি নিয়ে গণভবনে সোহেল তাজ। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিলেন। তিন দফা দাবি আদায়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে গণভবনে পদযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্নে) অবস্থান নেন তিনি। সেখান থেক গণভবনের উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি। সোহেল তাজ যে তিন দাবি জানালেন- (১) ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। (২) ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যা দিবস’কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। (৩) জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল সামরিক ও বেসামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-অবদান ও জীবনীসহ  মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর আগে গণভবনের সামনে গিয়ে সোহেল তাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনার কাছে দাবি করছি, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে সঠিকভাবে জানতে পারে। এই গৌরবের শক্তিকে তারা নিজেদের প্রাণশক্তি হিসেবে গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। নতুন প্রজন্ম হচ্ছে আমাদের চালিকাশক্তি। এটি শুধু আমার দাবি নয়, আপনিসহ মুক্তিযুদ্ধের সব গণমানুষের প্রাণের দাবি। এই বিষয়ে আপনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন, অনেকেই হয়তো বলবেন, এখন ইতিহাস নিয়ে কথা বলে লাভ কী। আমি বলতে চাই, আমাদের মতো গৌরবের ইতিহাস পৃথিবীর খুব কম দেশেরই আছে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তাহলেই তারা পতাকা হাতে সামনে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হবে। মনে রাখতে হবে, সঠিক ইতিহাস না জানলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা যাবে না।

Scroll to Top