এপ্রিল ৯, ২০২৩

জাতীয়

দেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন আর নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ বেশি। এর আগে গত বছর মাঝামাঝি প্রকাশিত শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ। শুমারি-পরবর্তী যাচাইয়ে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) আরো ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন বেড়েছে। গতকাল রবিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিকল্পনাপ্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও বিবিএস মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের যন্ত্র আছে, জ্ঞান আছে, জনবল আছে। সরকারি কর্মকর্তা আছে। তাহলে কেন জনসংখ্যার তথ্য জানার জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে? জনশুমারির পেছনে কেন দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে? এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্কের মতো দেশগুলো কীভাবে জনসংখ্যার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে, তা পর্যালোচনা করতে বিবিএসকে নির্দেশ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেওয়ার কথাও বলেন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, নেদারল্যান্ডসে এক বছরের মধ্যে জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ করা হয়। ইউরোপের দেশগুলোতেও তা-ই হচ্ছে। আমাদের দেশেও এক বছরের মধ্যে জনশুমারির তথ্য প্রকাশ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দেন তিনি। ঘটা করে জনশুমারি করার ধারা থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখ্য, প্রতি ১০ বছর পর পর দেশে জনশুমারি করে আসছে বিবিএস। ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান আইনে ‘আদমশুমারি’র পরিবর্তে ‘জনশুমারি’ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ২০২১ সালে জনশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারি ও ট্যাব কেনা নিয়ে জটিলতায় এক বছর পর ষষ্ঠ জনশুমারি হয় ২০২২ সালে। ওই বছর ১৫ থেকে ২১ জুন দেশ জুড়ে জনশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়। এক মাসের ব্যবধানে শুমারির প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। তখন বলা হয়, দেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ। বিবিএসের শুমারিতে কতসংখ্যক মানুষ বাদ পড়েছে, তা জানতে আলাদাভাবে জরিপ করে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বিআইডিএস জানায়, বিবিএসের শুমারিতে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ৪৭ লাখ মানুষ বাদ পড়েছে। তাদের যোগ করলে দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৬ কোটি ৯৮ লাখে। এবার সেই সংখ্যাই প্রকাশ করা হলো। প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন জানান, সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস ঢাকা বিভাগে, ৪ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৭ ভাগ। সবচেয়ে কম মানুষ বাস করে বরিশাল বিভাগে ৯৩ লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর সাড়ে পাঁচ শতাংশ। মুসলমানের সংখ্যা ১৫ কোটি ৪৫ লাখ বা ৯১ ভাগ। অন্য ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ বা ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কত সংখ্যক প্রবাসী বসবাস করেন, এবারের জনশুমারিতে তা প্রকাশ করার কথা থাকলেও সে তথ্য দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন জানান, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত আছে। ঐ সময়ের মধ্যে বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসীদের তথ্য দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কতসংখ্যক প্রবাসী বসবাস করছেন, তা জানতে সবার আগ্রহ আছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তথ্যটি প্রকাশ করা যেত। এটা তেমন কঠিন ছিল না। চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে হিজড়া ১২ হাজার ৬২৯ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ পল্লিতে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি ১ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৭৫ জন। অর্থাত্ দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ১০ শতাংশ তরুণ। সবচেয়ে কম হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৮ বছর বয়সি মানুষ। জনসংখ্যার হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। শহরের বসবাস করে ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর গ্রামে ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ মানুষ বসবাস করে। গ্রামে বসবাস করে ১১ কোটি ৬১ লাখ মানুষ। আর শহরে ৫ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ।

জাতীয়

কলাগাছের আঁশের সুতা দিয়ে দেশে প্রথম শাড়ি তৈরি হয়েছে বান্দরবানে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কলাবতীর উদ্যোক্তা। কলাগাছের আঁশের সুতা দিয়ে দেশে প্রথম শাড়ি তৈরি হয়েছে বান্দরবানে। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় মণিপুরী বস্ত্র বুননশিল্পী রাধাবতী দেবী এ শাড়ি তৈরিতে সফল হয়েছেন। বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তীবরীজির পরিকল্পনা ও উদ্যোগের ফসল এই শাড়ি। স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলাগাছের আঁশের সুতায় শাড়ি তৈরির স্বপ্ন দেখেন জেলা প্রশাসক। আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসা হয় মণিপুরী বস্ত্র বুননশিল্পী রাধাবতী দেবীকে। শাড়ি তৈরির স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। বস্ত্র বুননশিল্পী রাধাবতী দেবী কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি করতে সক্ষম হওয়ায় তার নামের সঙ্গে মিলিয়ে এ শাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলাবতী শাড়ি’। নাম দিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এই শাড়ি তৈরির উদ্যোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে অন্যতম উদ্দেশ্য এটি। জেলা প্রশাসনের ব্রান্ডিং বান্দরবান প্রকল্পের কাজের প্রতি পর্যটকরা যেমন আগ্রহী হয়ে উঠছেন, তেমনি হস্তশিল্পের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে পাহাড়ে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কলাগাছের তন্তু থেকে হস্তশিল্প পণ্য তৈরির জন্য পরীক্ষামূলক একটি প্রকল্প শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে অফিস আদালত বা সভা সেমিনারে ব্যবহারের জন্য ফোল্ডার, ঝুড়ি, শতরঞ্জি, কলমদানি, পাঁচ তারকা হোটেল কক্ষে পায়ে পরার জন্য জুতা ও বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয় কলাগাছের তন্তু দিয়ে। পরবর্তী সময়ে মৌলভীবাজার থেকে তাঁত যন্ত্র ও রাধাবতী নামে একজন বস্ত্র বুননশিল্পীকে বান্দরবানে নিয়ে আসা হয় এবং শুরু হয় শাড়ি তৈরির কাজ। দীর্ঘ পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে প্রথম তৈরি হয় কলাগাছের তন্তু থেকে দৃষ্টিনন্দন একটি শাড়ি।’ জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, আর তারই অনুপ্রেরণায় আমরা বান্দরবানে নারীদের স্বাবলম্বী করতে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কলাগাছের তন্তু দিয়ে নানা হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। সকলের প্রচেষ্টায় কলাগাছের তন্তু দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম তৈরি শাড়ি; এটি আমরা বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চাই। প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পাহাড়ে নারীদের উন্নয়নের পথ আরো সুগম করতে প্রতিটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এই প্রকল্পের কার্যক্রম চালু করার আশা রাখি। তিনি বলেন, আরো গবেষণা করলে আরও সূক্ষ্ম এবং ভালো মানের সুতা তৈরি করা যেতে পারে। আর সেটা সম্ভব হলে ভালো শাড়ি তৈরি করা যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে একটি শাড়ি তৈরি হয়েছে। আরো কয়েকটি শাড়ি তৈরির কাজ চলছে। শাড়িগুলো তৈরি হওয়ার পর বাজারজাত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি কীভাবে আরো উন্নত করা যায় সেই বিষয় পাট ও বন্ত্র মন্ত্রণালয়, তাঁত বোর্ড এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা বান্দরবানের নারীদের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবে।

জাতীয়

ধর্ষণে সহায়তা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি ধর্ষণে সহায়তা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক চট্টগ্রাম মহানগরীর ডাবলমুরিং এলাকায় নারী হয়ে আরেক নারীকে ধর্ষণে সহায়ত। নাবালিকা মেয়েকে শারীরিক আঘাতসহ বলপূর্বক ধর্ষনে সহায়তা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ নূরী পালক (২০)’কে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। ৮এপ্রিল সকাল ০৬:৩০ টার অভিযানে মহানগরীর হাতিরঝিল এলাকা হতেআসামী নুরী পালক (২০)’কে গ্রেফতার করে। ধর্ষিতা ভিকটিম ১৫বছর কিশোরী নোয়াখালীর একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর-২০সালে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসামী নূরী পালক ভিকটিমের খালাতো বোন স্মৃতির বান্ধবী ছিল। ২৭সেপ্টেম্বর ভিকটিম তার খালাতো বোনের সাথে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। পথিমধ্যে তাদের সাথে নূরীর দেখা হয়। নূরী তাদেরকে জানায় ৫দিন পূর্বে তার বিয়ে হয়েছে এবং তার স্বামীর সাথে দেখা করার জন্য তাদেরকে তার বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করে। নূরীর অনুরোধে ভিকটিম এবং তার বোন নূরীর বাসায় যেতে রাজী হলে ডবলমুরিং এলাকার একটি আবাসিক ভবনের ৪র্থ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতি ভাবে ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামী নুরী এর সহযোগতিায় চান মিয়া ও অন্যান্য আসামীরা জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে ডাবলমুরিং থানায় একটি মামলা করে।মামলা দায়েরের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য নারী ও শিশু ট্রাইবুন্যাল আদালত,চট্টগ্রাম। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪জন আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া কার্যক্রম শেষে আসামী নুরী পালক’কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। গোপন সংবাদে জানতে পারে আসামী নুরী পালক ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যে একটি আভিযানিক দল আটক করে। আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষন মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জাতীয়

দীর্ঘ ২০বছর পলাতক ট্রিপল মার্ডার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আটক

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি দীর্ঘ ২০বছর পলাতক ট্রিপল মার্ডার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আটক দীর্ঘ ২০বছর পলাতক ট্রিপল মার্ডার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি আবুল কালাম চৌধুরীকে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক। ৭এপ্রিল শুক্রবার অভিযানে চাঁদগাঁও থানাধীন এলাকা হতে আসামী আবুল কালাম চৌধুরী(৭০)কে আটক কর। র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,গত ২৬মে সকালে হাটহাজারী থানাধীন চারিয়া কাজীপাড়া এলাকায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জের ধরে কতিপয় দুস্কৃতিকারী গুলি বর্ষন ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আবুল কাশেম, আবুল বশর ও বাদশা নামক ০৩ ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনার দিন সকাল ১১টার দিকে নিহত ভিকটিম আবুল কাশেমকে চায়ের দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় পেয়ে ধৃত আসামি আবুল কালাম চৌধুরী কয়েকজনকে সাথে নিয়ে কাশেমকে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং তার সহযোগী অন্যান্য আসামিরা আবুল কাশেম এর উপর এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করে। এ সময় কাশেমের অপর ২ ভাই আবুল বশর ও বাদশা কে সামনে পেয়ে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কোপায় এবং গুলি বর্ষন করে। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল কাশেম, আবুল বশর ও বাদশা নামক ০৩ ভাই মৃত্যুবরণ করেন। উল্লেখ্য, ঘটনার সময় আসামিগন ৫টি বন্দুক,২টি কিরিচ,৩টি এলজি ও ১টি চাকু নিয়ে নিহতদের উপর হামলা চালায়। নিহতদের ভাই বাদী হয়ে ২০জনকে আসামী করে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা করে।মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইবুন্যাল মামলা নং ৪৫/০৪। মামলা দায়েরের পর আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। আসামি কালাম চেয়ারম্যান সকলের অস্ত্র গুলো জমা নেয় এবং আগ্নেয়াস্ত্রগুলো কলাপাতা দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে এবং কিরিচ গুলো খালের পানিতে ফেলে দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০জনের নামে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া কার্যক্রম শেষে আসামী আবুল কালাম চৌধুরীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০,০০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। এরইধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে জানতে পারে যে,আসামি আবুল কালাম চৌধুরী গ্রেফতার এড়াতে চাঁদগাঁও থানাধীন একটি ভাড়া বাড়িতে আত্মগোপনে আছে। উক্ত তথ্যে আভিযানিক দল আসামিকে আটক করে। আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Scroll to Top