এপ্রিল ৭, ২০২৩

জাতীয়

গনতন্ত্র বিপন্নকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ।.

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গনতন্ত্র বিপন্নকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ।. গনতন্ত্র বিপন্নকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে এমন যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিশেষ অধিবেশনে’ ভাষণদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। দলমত নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আসুন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং যেকোনো উগ্রবাদ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড হতে দূরে থেকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে শামিল হই।’ রাষ্ট্রপতি হিসেবে জাতীয় সংসদে দেয়া তার শেষ ভাষণে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বিপন্নকারী যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিবেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। জাতীয় সংসদকে গণতন্ত্র চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সরকারি ও বিরোধী উভয়পক্ষের সংসদ সদস্যদেরকে হিংসা-বিদ্বেষ, ব্যক্তিগত এবং দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে গঠনমূলক, কার্যকর ও সক্রিয় অংশগ্রহণের তাগিদ দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদও উপস্থিত ছিলেন। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং বর্তমান রাষ্ট্র্রপতি আবদুল হামিদের সহধর্মিনী রাশিদা খানম অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেন। সংসদে দেয়া ১৬ পৃষ্ঠার বক্তব্যে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, পৃথিবীর মানচিত্রে একটি আত্মমর্যাদাশীল, দেশপ্রেমিক জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয়কে আমাদের ঐকান্তিকতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা দিয়ে সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি মনে করেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের চিন্তা, কর্মপদ্ধতি ও কৌশল ভিন্ন হতে পারে কিন্তু হিংসা-বিভেদ নয়, স্বার্থের সংঘাত নয় – আমাদের মধ্যে সুগভীর ঐক্য থাকবে জাতীয় স্বার্থ ও দেশপ্রেমের প্রশ্নে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়া বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন।” আবদুল হামিদ বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি কখনো দেশ, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না, বরং তা রাজনৈতিক পরিবেশকে তমসাচ্ছন্ন করে তোলে। সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে সকলের সহায়তার অতি গুরুত্ব আরোপ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি সকলকেই রাজনীতি থেকে হিংসা-হানাহানি অবসানের মাধ্যমে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার আহ্বান জানান। প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মহান সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাসকে আরো সমৃদ্ধ ও বেগবান করবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। দীর্ঘ ৫০ বছরের সংসদীয় কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৩ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় সংসদের ইতিহাস নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই বিশেষ অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সংসদ সদস্যগণ তাঁদের বক্তব্যে সংসদের ইতিহাসের পাশাপাশি সংসদ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর রীতিনীতি, কর্মকৌশল এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেও দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তুলে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বিগত দেড় দশকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল যোগ্যতা অর্জন করেছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও যোগ্য নেতৃত্বে বিগত দেড় দশকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই দেশের গণতন্ত্র আজ নিরাপদ ও সুরক্ষিত”। তিনি সংসদকে জানান, বর্তমানে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধি ব্যতীত অন্য কোনো গোষ্ঠী বা অসাংবিধানিক শক্তির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের সুযোগ নেই। সূত্র : বাসস

জাতীয়

প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার আসামি আটক র‍্যাব-৭

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার আসামি আটক র‍্যাব-৭ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানা এলাকায় প্রতিবন্ধী শ্যালিকাকে ধর্ষণ মামলার আসামি নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫)’কে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। ৫এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় গোপন সংবাদে একটি আভিযানে আসামী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫),কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী ভিকটিম(২২) নোয়াখালী জেলার হাতিয়া এলাকায় তার মায়ের সাথে বসবাস করত। গত ৩ মার্চ দুপুরে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে ঘরে একা রেখে পানি আনতে বাইরে গেলে সেই সুযোগে ঘরে একা পেয়ে দরজা বন্ধ করে আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের মা দরজা বন্ধ পেয়ে ধাক্কা দিলে আসামী নয়ন দরজা খুলে পালিয়ে যায়। ভিকটিমের মা ঘরে গিয়ে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় কান্নাকাটি করতে দেখে। জিজ্ঞাসাবাদ ইশারা ইঙ্গিতে ভিকটিম জানায় আসামী তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলার ধারাবাহিকতায় আসামী নয়ন চন্দ্র দাস বেগমগঞ্জ থানাধীন রেল স্টেশন এলাকায় অবস্থানকালে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী। আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জাতীয়

ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। ডা. জাফরুল্লাহ গুরুতর অসুস্থগুরুতর অসুস্থ হয়ে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ অবস্থায় সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তার পরিবার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমানু‌ষের বন্ধু ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। তার সুস্থতা কামনায় দোয়ার আহ্বান কর‌ছি। তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ব্রি. জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফীর (অব:) অধীনে চিকিৎসাধীন। আমাদের বিজ্ঞ চিকিৎসকসহ দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকবৃন্দ তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। এই মুহূর্তে সকলের দোয়া খুবই দরকার। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জুমার নামাজে দেশবাসীর নিকট আমরা দোয়া প্রার্থনা করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীতের মতো এবারও আমাদের দোয়া কবুল করবেন। আমরা গণস্বাস্থ্য পরিবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করছি, আমিন। উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। গত কয়েকদিন থেকে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। ডা. জাফরুল্লাহ গুরুতর অসুস্থ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ অবস্থায় সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তার পরিবার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমানু‌ষের বন্ধু ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। তার সুস্থতা কামনায় দোয়ার আহ্বান কর‌ছি। তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ব্রি. জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফীর (অব:) অধীনে চিকিৎসাধীন। আমাদের বিজ্ঞ চিকিৎসকসহ দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকবৃন্দ তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। এই মুহূর্তে সকলের দোয়া খুবই দরকার। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জুমার নামাজে দেশবাসীর নিকট আমরা দোয়া প্রার্থনা করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীতের মতো এবারও আমাদের দোয়া কবুল করবেন। আমরা গণস্বাস্থ্য পরিবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করছি, আমিন। উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। গত কয়েকদিন থেকে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। ডা. জাফরুল্লাহ গুরুতর অসুস্থ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ অবস্থায় সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তার পরিবার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমানু‌ষের বন্ধু ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ। তার সুস্থতা কামনায় দোয়ার আহ্বান কর‌ছি। তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ব্রি. জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফীর (অব:) অধীনে চিকিৎসাধীন। আমাদের বিজ্ঞ চিকিৎসকসহ দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকবৃন্দ তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। এই মুহূর্তে সকলের দোয়া খুবই দরকার। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জুমার নামাজে দেশবাসীর নিকট আমরা দোয়া প্রার্থনা করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীতের মতো এবারও আমাদের দোয়া কবুল করবেন। আমরা গণস্বাস্থ্য পরিবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করছি, আমিন। উল্লেখ্য, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। গত কয়েকদিন থেকে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত।

জাতীয়

অবৈধভাবে পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপায় ৩জনের মৃত্যু

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি অবৈধভাবে পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপায় ৩জনের মৃত্যু চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় বেআইনী অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় এবং রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে বহুল সমালোচিত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।সড়ক করার নামে বেআইনী অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড় কাটার সময় পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে তিনজনের লোমহর্ষকনমৃত্যু হয়েছে।আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৭এপ্রিল) বিকেল পৌঁনে ছয়টার দিকে আকবর শাহ থানার বেলতলী ঘোনা এলাকার এ ঘটনা ঘটে।নিহতদের মধ্যে খোকা (৪৫) নামে এক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।বাকী আহত ও নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে-আজকে ইফতারের পূর্বমুহূর্তে আনুমানিক বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আকবর শাহ মাজারস্থ বেলতলী ঘোনা নামক এলাকায়য় শ্রমিকরা পাহাড়ের মাঠি কাটার সময় পাহাড় ধসে বেশ কয়েকজন মাটি চাপা পড়ে।তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনজন মারা যায়। এদিকে পাহাড় ধসের খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে যান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা এনামুল হক। তিনি বলেন, পাহাড়ের মাঠি ধসে হতাহতের খবর পেয়ে ‘আমরা উদ্ধারে কাজ করছি।হতাহতের সংখ্যা এখনও জানানো যাচ্ছে না।এখনো কয়েকজন আটকে পড়ে আছে। একজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্যঃ এর আগে গত ১১ফেব্রুয়ারি একই জায়গায় রাস্তা করার জন্য অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে পাহাড় কাটা হচ্ছে এমন অভিযোগে পাহাড় কাটার দায়ে মো.শাহজাহান (৪০) নামে একজনকে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া ও ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটরও জব্দ করা হয়। অভিযানে অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আহমেদ ও আকবরশাহ থানার সাব ইন্সপেক্টর আলাউদ্দিন।

জাতীয়

ইফতার মুখে নেওয়ার সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইফতার মুখে নেওয়ার সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী। শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা হীরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ইফতার মহফিলে ইফতার মুখে নেয়ার পরই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এর আগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর খেলাফত মজলিসের এই ইফতার মহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন তিনি। , শুক্রবার শহরের আজাদ হলে ইফতারের সময় মুখে খাবার তোলেন খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের আমীর মাওলানা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী। এসময় তিনি আকস্মিক স্ট্রোক করেন। পরে তাকে দ্রুত শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠের ইসলাম হার্ট সেন্টারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মহানগর খেলাফত মজলিসের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হাসান জানান, আমাদের আমীর ইন্তেকাল করেছেন। ইফতারের সময় খাবারে মুখে নেওয়ার পর তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তাকে ইসলাম হার্ট সেন্টারে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জাতীয়

৫০ বছর পূর্ণ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৫০ বছর পূর্ণ ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি :- গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট, ১৯৩৫-এর অধীনে ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ২৫০ জন সদস্যের সমন্বয়ে ‘বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি’ গঠিত হয় এবং এর প্রথম অধিবেশন শুরু হয় কলকাতায় ১৯৩৭ সালের ৭ এপ্রিল। বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির স্পিকার ছিলেন খান বাহাদুর এম আজিজুল হক এবং ডেপুটি স্পিকার ছিলেন এম আশরাফ আলী। বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে এবং ১৯৪৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। নুরুল আমিন স্পিকার ও তোফাজ্জল আলী অ্যাডভোকেট ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি: ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৪৬ সালে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে পূর্ববঙ্গ থেকে এবং আসাম লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সিলেট জেলা থেকে নির্বাচিত মোট ১৭১ জন সদস্যের সমন্বয়ে এই ‘ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি’ গঠিত হয়। ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির প্রথম অধিবেশন ঢাকার জগন্নাথ হলে ১৯৪৮ সালের ২৯ মার্চ শুরু হয়। ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন যথাক্রমে আব্দুল করিম এবং নাজমুল হক। ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালের ৩ মার্চ। মোট আসন সংখ্যা ৩০৯। ঢাকার রমনাস্থ অ্যাসেম্বলি হাউজে ৫ আগস্ট ১৯৫৫ প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। আব্দুল হাকিম স্পিকার এবং সাহেদ আলি ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে ইস্ট পাকিস্তান লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশন ৯ জুন ১৯৬২ শুরু হয়। আব্দুল হামিদ চৌধুরী স্পিকার নির্বাচিত হন। গমির উদ্দিন প্রধান ডেপুটি স্পিকার (সিনিয়র) এবং মো. মশিহুল আজম খান ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু যেভাবে: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে, ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রক্তক্ষয়ী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর এবং ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ১৬৯ জন সদস্য এবং পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের ৩০০ জন সদস্য অর্থাৎ মোট ৪৬৯ জন সদস্যের সমন্বয়ে প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ অনুযায়ী গঠিত গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল ঢাকার তেজগাঁওস্থ সংসদ ভবনে শুরু হয়। গণপরিষদের প্রথম স্পিকার নির্বাচিত হন শাহ আব্দুল হামিদ এবং ডেপুটি স্পিকার হন মুহম্মদুল্লাহ। স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদ মৃত্যুবরণ করায় ডেপুটি স্পিকার মুহম্মদুল্লাহ পরবর্তীকালে স্পিকার এবং মো. বায়তুল্লাহ ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ৭ মার্চ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল মোট ১৫টি। অর্থাৎ প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৫ জন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ঢাকা তেজগাঁওস্থ জাতীয় সংসদ ভবনে ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল। প্রথম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন মুহম্মদুল্লাহ এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন বায়তুল্লাহ। পরবর্তীকালে মুহম্মদুল্লাহ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আবদুল মালেক উকিল স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের ২য় জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২য় জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ১৫টি থেকে ৩০টি-তে উন্নীত করা হয়। এতে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩০ জনে। ২ এপ্রিল ১৯৭৯ সালে ২য় জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। ২য় জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন মির্জা গোলাম হাফিজ এবং ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার সুলতান আহম্মেদ চৌধুরী। ২য় জাতীয় সংসদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ আসন থেকে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত প্রথম মহিলা সদস্য ছিলেন সৈয়েদা রাজিয়া ফয়েজ। ৭ মে ১৯৮৬ সালে ৩য় জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংরক্ষিত ৩০টি মহিলা আসনসহ সংসদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৩০ জন। প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ১০ জুলাই ১৯৮৬ সালে। স্পিকার নির্বাচিত হন সামসুল হুদা চৌধুরী এবং এম কোরবান আলী ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ৪র্থ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালে। ২৫ এপ্রিল ১৯৮৮ সালে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৩০ জন। সংরক্ষিত ৩০টি মহিলা আসনসংক্রান্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ৪র্থ জাতীয় সংসদে কোনো সংরক্ষিত মহিলা আসন ছিল না। ৪র্থ জাতীয় সংসদে সামসুল হুদা চৌধুরী স্পিকার এবং রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে ৫ম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ৫ এপ্রিল ১৯৯১ সালে সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। ৫ম জাতীয় সংসদে মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৩০ জন। কারণ মহিলাদের জন্য ৩০টি সংরক্ষিত আসন সংক্রান্ত আইন প্রণীত হওয়ায় ৫ম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে পুনরায় ৩০ জন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ম জাতীয় সংসদের প্রথম স্পিকার নির্বাচিত হন আব্দুর রহমান বিশ্বাস এবং ডেপুটি স্পিকার হন শেখ রাজ্জাক আলী। পরে আব্দুর রহমান বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় শেখ রাজ্জাক আলী স্পিকার ও হুমায়ুন খান পন্নী ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ১৯ মার্চ ১৯৯৬। ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩৩০টি। শেখ রাজ্জাক আলী ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং এল কে সিদ্দীকি ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ৭ম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১২ জুন ১৯৯৬ সালে। ৭ম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১২ জুন ১৯৯৬ সালে। ৭ম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ১৪ জুলাই ১৯৯৬ সালে। মোট সদস্যসংখ্যা ছিল ৩৩০ জন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্পিকার এবং আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করায় পরবর্তীকালে আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট স্পিকার এবং অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ৮ম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর। ৮ম জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশন শুরু হয় ২৮ অক্টোবর। এই সংসদের মোট সদস্য ছিলেন ৩০০ জন। কারণ সংরক্ষিত ৩০টি মহিলা আসনসংক্রান্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সংসদে কোনো সংরক্ষিত মহিলা আসন ছিল না। ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকার ৮ম জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং আখতার হামিদ সিদ্দিকী ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ৮ম সংসদ সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী বিল, ২০০৪ পাশ করে। এই আইন দ্বারা সংরক্ষিত মহিলা আসনসংখ্যা ৩০টি থেকে ৪৫টি-তে উন্নীত করা হয়। এতে সংসদেও মোট সদস্যসংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪৫ জন। এই আইন প্রবর্তনকালে ৮ম সংসদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এবং ৮ম সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের ১ম বৈঠকের তারিখ থেকে শুরু করে ১০ বছর কাল অতিবাহিত হওয়ায় অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত ৪৫টি আসন কেবল মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। সরাসরি নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি: সংগৃহীত ৯ম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। ৯ম জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশন শুরু হয় ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। নবম সংসদে

জাতীয়

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু। আগামী ২১শে জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বেশ কিছু দিন ধরে মেয়র ও কাউন্সিলার পদে নির্বাচনী তত্পরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিভিন্ন দলের নেতারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।সারা শহর জুড়ে ব্যানার পোস্টারে চেয়ে গিয়েছে। মানুষের মুখে মুখে একই আলোচনা সমালোচনা আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। মাঠে কাজ করে চলছেন। বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও নির্বাচনী দৌড়ে রয়েছেন। বিভিন্ন ভাবে নিজের দলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে ও যোগাযোগ রাখছেন। দলীয় আর্শীবাদ পাওয়ার জন্য জোর তদবির শুরু করেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তৎপরতা ও নির্বচনী মহড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে । বিশেষ করে শাসকদল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে প্রায় ৭ ডজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল পেতে তিন জনের নাম আলোচিত হচ্ছে। এছাড়াও মাঠে আছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। বসে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। পাড়া-মহল্লায় সমানতালে চলছে তাদের তৎপরতা ও মহড়া । আসন্ন নির্বাচন হবে সিসিকের ৫ম নির্বাচন। সিসিক নির্বাচনে শাসকদলেল নৌকার মাঝি হতে আওয়ামী লীগের প্রায় ৬/৭জন নেতা সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে রাখছেন। সিলেট নগরীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে এ সকল নেতাদের প্রার্থিতার ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড সাটানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব রয়েছেন এ সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা নিজেদের তুলে ধরছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে সিলেটকে স্মার্টসিটি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করছেন। জুমার দিনে মসজিদে মসজিদে গিয়ে মুসল্লীদের কাছে দোয়া চাইছেন। ছুটে যাচ্ছেন আশীর্বাদ নিতে মন্দির ও গীর্জায়। নৌকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাবেক ও প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পুত্র ডা.আরমান আহমদ শিপলু, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ টি এম এ হাসান জেবুল ও যুগ্ম সম্পাদক সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী। সবাই কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত কর্মী। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। ৪ দশকের বেশি রাজনীতি করে যাচ্ছেন।সিলেটের মাটি ও মানুষের পাশে থেকে তাদের পথচলা। মানুষের সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থাকেন। দলের দূর্দিনে রাজপথে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন।ঝড়-ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে দলের সাথে রয়েছেন।বিরোধী দলের অনেক নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করে দলের সাথে কাজ করেছেন। বিএনপি জামায়াত, শিবিরের হাতে অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২০ সালের ১৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাবেক কামরান ইন্তেকাল করেন। জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুর বছর খানেক পর সিসিকের মেয়র পদে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশ কয়েকজনকে মাঠে নামতে দেখা যায়। সিলেট নগরীতে যখন এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সরব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন এরই মধ্যে গত ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেটে এসে নিজে প্রার্থীতা ঘোষণা দেন।দলীয় প্রধানের আর্শীবাদ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। হাই কমান্ডের সাথে তাঁর জোর লবী রয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ শুরু করেছেন।যাকে নমিনেশন দেওয়া হবে তাঁর পক্ষে তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। অবশ্য এখনো দলীয় নীতি নির্ধারনী ফোরাম সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে কারও নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি। তবে, নৌকা পেতে প্রত্যাশীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ দলীয় হাইকমান্ডের সাথে তদ্বির করে যাচ্ছেন শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলেছেন দলের গ্রীন সিগনাল পেয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছেন।সিলেট কে গ্রীন সিটি,স্মার্ট সিটি, ও তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চান। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে যাকে দিয়ে হারানো মেয়র পদ পুনরুদ্ধার করা যায় এমন একজন শক্তিশালী প্রার্থী দেবে আওয়ামী লীগ। সিলেট নগরীতে দেয়া সরকারের বিপুল পরিমাণের উন্নয়ন বরাদ্দের বিষয়টিও ভোটারদের মাঝে তুলে ধরা হবে। এদিকে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এই হিসেবে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। তবে, কর্মী-সমর্থকদের চাপে শেষ পর্যন্ত আরিফ মেয়র পদে প্রার্থী হবেন বলেও নগরীতে গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু মেয়র আরিফুল হকের কোন বিকল্প নাই বলে অনেকে মনে করছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল পেতে প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর নানা শোনা যায়। তার ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড-ব্যানারও সাটানো হয়। এরপর ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুলের নামেও সাইনবোর্ড-ব্যানার সাটানো হয়েছে। জাপা নেত্রী শিউলী আক্তারও মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই কে পাবেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার। এরা কিন্তু সবাই নতুন মুখ নির্বাচনী মাঠে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।দলের সিলেট মহানগর কমিটির সেক্রেটারী মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র হিসেবে আরও প্রার্থী মাঠে নামবেন বলে শোনা যাচ্ছে। আগে কেবল সিলেট নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে ভোটের লড়াই চললেও এবার সীমানা বর্ধিত হওয়ায় পরিধি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ওয়ার্ড সংখ্যা এখন ৪২টি। নতুন-পুরাতন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা আগেভাগে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলছে। তফসিল ঘোষণার ফলে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ১৮৭৮ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে সিলেট পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার টানা ১২৪ বছর পরে ২০০২ সালের ২৮ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সিসিক প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৯ বছর পর ২০২১ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা বর্ধিত করা হয়। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের মোট আয়তন ৫৯ দশমিক ৫০ বর্গ কিলোমিটার। নতুন করে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড বেড়েছে। নতুন ও পুরাতনসহ সিটি কর্পোরেশন মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৪২টি। পুরনো ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডসহ বর্তমানে মোট সংরক্ষিত ওয়ার্ড হচ্ছে ১৪টি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন ৪র্থবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষপ্রতীক) প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯২ হাজার ৫৯৩ ভোট এবং বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের,( নৌকা প্রতীকে) পেয়েছিলেন ৮৬ হাজার ৩৯৭ ভোট।

জাতীয়

বিপুল ভেজাল মসলাসহ কারবারি আটক-র‍্যাব-৭

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি বিপুল ভেজাল মসলাসহ কারবারি আটক-র‍্যাব-৭ র‌্যাব-০৭,চট্টগ্রামের অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলা জব্দসহ একজন ভেজাল মসলা ব্যবসায়ী আটক। চাউল ভাঙ্গা,কুড়া ও রাসায়নিক রঙ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল মসলা বাজারজাত করার অপরাধে অভিযুক্ত। ০৫এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টায় ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন এলাকায় অভিযানে আসামী মোঃ সাঈদ হোসেন (৩৫),কে আটক করে। র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,‘বিসমিল্লাহ মিল’ নামক একটি মশলার মিলের ভিতর ভেজাল মশলা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামীকে আটক করে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদসহ উক্ত মশলা মিল ঘরের ভিতর তল্লাশী করে ৩২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভেজাল রং, চাউল ভাংগা ও কুড়া মিশ্রিত ১৫০০ কেজি হলুদ-মরিচের গুড়া জব্দসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ অসৎ উপায় অবলম্বন করে হলুদ, মরিচের গুঁড়ার সাথে, রং, চাউল ভাংগা, কুড়া এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন করে ভেজাল মশলা তৈরী করে পরবর্তীতে এই সব ভেজাল মশলা ফেনী জেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জাতীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহকারী (আরসা) মূলহোতাসহ আটক-৩

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহকারী (আরসা) মূলহোতাসহ আটক-৩ কক্সবাজারের চকরিয়া থানাধীন বড় বেওলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীদের নিকট অস্ত্র সরবরাহকারী মূলহোতাসহ তিনজন অস্ত্র ব্যবসায়ী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার ৬এপ্রিল গোপন সংবাদে চকরিয়া থানাধীন বড় বেওলা ইলিশিয়া লাল ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা হতে ১। মোক্তার আহমদ (৫২), ২। আব্দুর রহিম (৪০), ৩। মোঃ এনামুল হক (৩৮) আটক করে। র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে,কক্সবাজার এলাকায় বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের উৎস উৎঘাটনের লক্ষ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় জানতে পারে যে,কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ী কক্সবাজার মহেশখালী হতে সিএনজি অটোরিকশা যোগে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে অস্ত্র সরবরাহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। উক্ত সংবাদে ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি আভিযানে আজ ৬এপ্রিল সকাল ৮টায় বিএম অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশনের সামনে অস্থায়ী চেকপোষ্টে তল্লাশীর একপর্যায়ে কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ীকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে চালকসহ ৩ জনকে আটক করে। এ সময় তাদের অস্ত্র সরবরাহে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটি তল্লাশীতে বিশেষ ভাবে রক্ষিত অবস্থা হতে তিনটি একনলা বন্দুক,একটি দু’নলা বন্দুকসহ ০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র বিক্রয়ের নগদ ১,০৫,৭০০/- (এক লক্ষ পাঁচ হাজার সাতশত) টাকা,ব্ল্যাংক চেক ,এটিএম কার্ড, এনআইডি কার্ড ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার মহেশখালী ও চকরিয়া থানা এলাকায় গোপনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারীদের নিকট নিয়মিত অস্ত্র বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Scroll to Top