এপ্রিল ৬, ২০২৩

জাতীয়

বঙ্গবাজারের ক্ষতি গ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গবাজারের ক্ষতি গ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ঈদের আগে এমন একটা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যে কষ্ট-কান্না, তা সহ্য করা যায় না। এরইমধ্যে আমি বলে দিয়েছি, তাদের যতটুকু পারি সাহায্য করব এবং কার কেমন ক্ষতি হয়েছে, এটা দেখব। বুধবার (৫ এপ্রিল) গণভবনে পদ্মা সেতুর সরকারি ঋণের দুই কিস্তি পরিশোধের চেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার চেক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘বঙ্গবাজার মার্কেটে একবার ১৯৯৫ সালে আগুন লাগে। এরপর আবার ২০১৮ সালে আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। পরে হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেন।’ তিনি বলেন, ‘সে সময় যদি এটা স্থগিত না করা হতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম। তাহলে আজ এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো না।’ বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে হামলাকারীদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বলব দেশের কিছু লোকের আচরণ আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে। যখনই আগুন লেগেছে, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে চলে গেছে আগুন নেভাতে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার বাহিনী, ভলান্টিয়ার প্রত্যেকে সকাল থেকে কাজ করেছে। কথা নেই বার্তা নেই, দুপুরের পর একদল লোক লাঠি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো শুরু করে।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পদ্মা সেতুর সরকারি ঋণের দুই কিস্তি পরিশোধ পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থবিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী গৃহীত ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর সরকারি ঋণ পরিশোধের প্রথম চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যসহ সরকারের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর ‘দুবাই এয়ারপোট।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর ‘দুবাই এয়ারপোট। আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনে ২০২২ সালে সবচেয়ে ব্যস্ত ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর মধ্য দিয়ে টানা ৯ বছরের মতো বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের অবস্থান ধরে রেখেছে আমিরাতের এই বিমানবন্দর। এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের (এসিআই) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর (২০২২) দুবাই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন ৬ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ জন যাত্রী। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের সংখ্যা ও যাতায়াত বাড়তে থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে ৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দুবাই বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন। দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী পল গ্রিফিথস বলেন, পুনরায় বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করায় তারা বেশ রোমাঞ্চিত। তিনি জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতেও এ অবস্থান ধরে রাখা। গত বছরের বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত ১০ বিমানবন্দরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের হিথরো আন্তজাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর দিয়ে ২০২২ সালে ৫ কোটি ৮২ লাখ মানুষ যাতায়াত করেছে। এছাড়া তৃতীয় স্থানে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম (৫ কোটি ২৪ লাখ মানুষ), চতুর্থ স্থানে ফ্রান্সের প্যারিস বিমানবন্দর (৫ কোটি ১৭ লাখ মানুষ), পঞ্চম স্থানে জার্মানির ফ্রাঙ্কফ্রুট (৪ কোটি ৪৭ লাখ), ষষ্ঠ স্থানে স্পেনের মাদ্রিদ (৩ কোটি ৬২ লাখ), অষ্টম স্থানে কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (৩ কোটি ৫৭ লাখ) নবম স্থানে সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (৩ কোটি ১৯ লাখ) ও দশম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দর (৩ কোটি ১ লাখ) রয়েছে। সূত্র: খালিজ টাইমস

জাতীয়

ইউএনওদের ক্ষমতা খর্ব করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইউএনওদের ক্ষমতা খর্ব করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত। উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত ঘোষণা করেছেন চেম্বার আদালত। বুধবার (৫ এপ্রিল) চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন, উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারার এমন বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় ৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বারজজ আদালত। এর আগে গত ২৯ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইনের ধারাটি বাতিল করে রায় দেন। উপজেলা পরিষদ আইনের এ ধারাটি বাতিল করে রায় দেয়ার কারণে ইউএনওরা উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানান আইনজীবীরা। উপজেলা পরিষদে কর্তৃত্ব থাকছে না ইউএনওদের এছাড়া উপজেলা পরিষদের কোনো কার্যক্রমও উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে হবে না বলে জানান আইনজীবীরা। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় স্থগিত ঘোষণা করলেন চেম্বার বিচারপতি। এর আগে ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর ধারা ১৩ (ক) ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। পাশাপাশি, উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, এ মর্মে আরও একটি রুল জারি করা হয়। ওই বছরের ১৫ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে ইউএনওদের ক্ষমতা দেয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান ওই রিট দায়ের করেন।  

জাতীয়

দুবাইয়ে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের তাকরিম।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দুবাইয়ে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের তাকরিম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৬ তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে প্রথম স্থান অধিকারী হিসেবে সালেহ আহমেদ তাকরিমের নাম ঘোষণা করা হয়। সে মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা এর কিতাব বিভাগের ছাত্র। প্রতিযোগিতার মূল পর্বে নিয়ম অনুযায়ী, তিলাওয়াতের সময় একাধারে পাঁচটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেন হাফেজ তাকরিম। কোনো প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে ভুল হয়নি তার। মিষ্টি মধুর কন্ঠে তার তিলাওয়াত শুনে বিচারকেরা মুগ্ধ হয়ে পড়েন। বিশ্বজয়ী হাফেজ তকরিমের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আবদুর রহমান একটি মাদরাসার শিক্ষক। মা গৃহিণী। গত ১২ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর একদল বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলী এই প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিমের নাম ঘোষণা করেন। একই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দেশের নাম উজ্জ্বল করেন বাংলাদেশি আলেম শায়খ শোয়াইব মোহাম্মদ আল আজহারী। এর আগে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও গত মার্চে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম প্রথম, মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন। ২০২০ সালে পবিত্র রমজান মাসে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হোন তিনি। দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে ইতুপিয়ান নাগরিক আব্বাস হাদী ওমর (দ্বিতীয় স্থান) ও সৌদি আরবের নাগরিক সালেহ আল-বারকানি খালেদ সুলাইমান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।

Scroll to Top