মার্চ ২৬, ২০২৩

জাতীয়

রাউজানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি রাউজানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মানের লক্ষে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ডাবুয়া হিলফুল ফুজুল একতা সংঘের উদ‍্যোগে রাত্রিকালিন শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২মার্চ বুধবার রাতে জগন্নাথ হাট বাজার সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ২নং ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুর রহমান চৌধুরী। ২নং ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিটু শীলের সভাপতিত্বে ও সংগঠক সৌরাভুল ইসলাম নিজামের সঞ্চালনায় এবং আওয়ামীলীগ সদস্য মোহাম্মদ আলীর পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ২নং ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রাউজান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদ হোসেন, রাউজান উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ এরশাদ, ডাবুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান সিকদার, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামান নকিব, আব্দুল নবী। এছাড়াও এসময় উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন ডাবুয়া হিলফুল ফুজুল একতা সংঘের সদস্য মোহাম্মদ বাবলু, জাহেদ, জয়, রানা, রাফিন,রহিম,রাসেল,ফয়সাল, ইমন,সৌরভ,মুবিন,নয়ন মোহাম্মদ আজাদ, সৈয়দ আরজু, মোহাম্মদ মাহফুজ, মোহাম্মদ আরমান, মোহাম্মদ মিনহাজ, মোহাম্মদ আকিব, সানি প্রমুখ। খেলায় চ্যাম্পিয়নশীপ গৌরব অর্জন করেন হাটহাজারী STS Club এবং রানার্স আপ হন-রাউজান AKM সৃতি সংসদ

জাতীয়

মহান স্বাধীনতা দিবসে হাটহাজারী প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মহান স্বাধীনতা দিবসে হাটহাজারী প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন হাটহাজারী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন হাটহাজারী প্রেসক্লাব। রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবে সভাপতি, দৈনিক হাটহাজারী নিউজ এর সম্পাদক এবং ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি মোঃ আতাউর রহমান মিয়া, সহসভাপতি শ্যামল নাথ, সাধারণ সম্পাদক বাবলু দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলী, একরামুল হক, অরুণ বৈষ্ণব সদস্য।হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিন উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, মাহমুদ আল আজাদ, নকিব হোসাইন চৌধুরী, আবু শাহেদ, সোয়েব,আবীদ,সাইফ,, নোমান, এরশাদ ও সোলায়মান প্রমুখ। অরুণ বৈষ্ণব হাটহাজারী চট্টগ্রাম তারিখ:-২৬/০৩/২৩ মোবাইল নং:-01816705567

জাতীয়

রাউজানে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি রাউজানে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল মহান ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাউজান সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় পৌরসভার ব‍্যবস্থাপনায় হেফজখানার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬মার্চ রবিবার বিকেলে পৌরসভার হল রুমে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্বে করেন পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহেদুল আলম, তৈয়ব চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা দিপলু দে দিপু, উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক ছাবের হোসেন, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, পূর্ব রাউজান শমসের নগর তৈয়‍্যবিয়া তাহেরীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এহসান কাদের, শাহনগর সাপলঙ্গা মিঠাপুকুর পাড় হেফজখানা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, নূর আকাইদ সাজ্জাদ, মোহাম্মদ নকীব সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আরফানুল ইসলাম আবির, মোহাম্মদ মিজান প্রমুখ। দোয়া মাহফিল শেষে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার পরিবেশন করা হয়।

জাতীয়

সম্মিলিত প্রয়াসে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, প্রিতি‌নি‌ধি সম্মিলিত প্রয়াসে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ধ শতাব্দী অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখন পর্যন্ত একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হয়নি। এ স্বীকৃতি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র’ দেশব্যাপী গণহত্যা বিষয়ক জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে গণহত্যার প্রমাণক ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৩৪টি জেলায় সাড়ে চার হাজার বধ্যভূমিসহ ১৭ হাজার ২৮৬টি গণহত্যা, গণকবর চিহ্নিত হয়েছে। এতে ধারণা করা যায় যে,একাত্তরের গণহত্যার প্রকৃত সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এর মাধ্যমে গণহত্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক বিতর্কের অবসান ঘটবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগসহ সবার সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াসে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে। জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এসব কথা বলেন। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা সাবেক সচিব মুসা সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। আলোচকরা উল্লেখ করেন, ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্তে যে বিষয়গুলোর উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে একাত্তরের বর্বরতা অবশ্যই গণহত্যার স্বীকৃতির দাবী রাখে। বাংলাদেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই, যেখানে গণহত্যার চিহ্ন নেই। পাকিস্তানী নেতাদের লেখাতেই প্রমাণিত যে তারা তিন মিলিয়ন বাঙালিকে হত্যা করবে। প্রবাসী বাঙালি, সংগঠন, মানবতাবাদী, বিশ্বসংগঠনগুলোর আরো জোরদার কর্মসূচি নিতে হবে। বক্তারা বলেন, আমরা ৫৩ বছর ধরে স্বীকৃতির দাবি করে আসছি। প্রয়োজনে আরো ৫৩ বছর এই দাবি করেই যাব। গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি এখন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের। এই দাবীতে ভেদাভেদ ভুলে দল-মত নির্বিশেষে সবার ঐক্যমত প্রয়োজন। আরোচকরা উল্লেখ করেন, রাজাকার, আলবদর, আশ শামস এখনো বাংলাদেশে সক্রিয়। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বসনিয়া, রুয়ান্ডা, মিয়ানমারসহ বেশ কয়েকটি দেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ কয়েকটি পরাশক্তি দেশের পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান করার কারণে একাত্তরের (তখন) গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেনি। তবে আমরা আশা করছি, দ্রুতই একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে যেসব বই ও প্রকাশনা বের হয়েছে সেগুলোকে বাংলা একাডেমির মাধ্যমে ইংরেজিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বসনিয়া, আর্মেনিয়া, রুয়ান্ডা, মিয়ানমারসহ বেশ কয়েকটি দেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদালতে এসব গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বক্তারা অনুরূপভাবে একাত্তরের গণহত্যার দ্রুত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানান।

জাতীয়

১১মামলার আসামি নানা অপরাধে আটক-৩

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি ১১মামলার আসামি নানা অপরাধে আটক-৩ সিএমপি বন্দর থানা কর্তৃক বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা আসামীসহ ছিনতাইকৃত মোবাইল সেট ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ২টি ছুরি উদ্ধারসহ ঘটনার মূল হোতা ৩জন আটক।আটক আসামি নয়ন বন্দর থানার তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী,তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় জনতার সহায়তায় অভিযুক্ত ১।মোঃ নয়ন (২৮),২। অনিক দাশ রাহুল (২০)’কে মাইজপাড়া আলী পুকুর পাড় সংলগ্ন করিম ভিলার নিচতলা হতে আটক করে। ১ ও ২ নং অভিযুক্তদ্বয়ের তথ্য ও শনাক্ত মতে উপস্থিতিতে মোঃ সাহেদ হোসেন সানি(৩০)কে আটক কর। সিএমপি সূত্রে জানা যায়,বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাকিলা সোলতানার সার্বিক নির্দেশনায়,অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শেখ শরীফ উজ জামানের তত্ত্বাবধানে,সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান ও বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সন্‌জয় কুমার সিন্‌হার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে এসআই/আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সংগীয় অফিসার এসআই/মোঃ ফয়সাল সরোয়ার বন্দর থানার মাইজপাড়া এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে ঘটনার সাথে জড়িত তদন্তেপ্রাপ্ত অভিযুক্ত আটক করে। অভিযুক্ত মোঃ নয়ন হতে ভিকটিম শহিদুলের এন্ড্রয়েড মোবাইল, ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ১টি স্টিলের ফোল্ডিং ধারালো টিপ ছুরি। অভিযুক্ত অনিক দাশ একই ছুরি জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপর সহযোগী মোঃ রিয়াজের সহযোগিতায় ঘটনার তারিখ ও সময়ে মামলার বাদিকে ছুরিকাঘাত করে ভয়ভীতি প্রদান করতঃ বাদি ও তার সংগীয় শহীদুলের হতে মোবাইল,মানিব্যাগ,টাকা ও অন্যান্য আলামত ছিনিয়ে নেয় বলে জানায়। ছিনতাইকৃত অপর একটি মোবাইল সেট,নগদ টাকা ও অন্যান্য আলামতের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, অপর মোবাইলটি ১৫০০টাকা ও ২বোতল বাংলা মদের বিনিময়ে তাহাদের সহযোগী অভিযুক্ত মোঃ সাহেদ হোসেন সানি নিকট বিক্রি করে।

জাতীয়

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আজ ঐতিহাসিক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস চট্রগ্রামের ইপিজেড থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হালিশহর বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যেগে উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে নানা ধারাবাহিক আয়োজনে। ঐতিহাসিক মহান দিবস উপলক্ষ্যে সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়। ২৬ মার্চ রোজ রোববার বঙ্গবন্ধু ঐক্যযুব ও ছাত্র সংগঠন ও চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের বন্ধু সাদমান আজম আসিফের পক্ষ থেকে মহান দিবসের সূচনা করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার এই সময়টি জাতি আবেগের সঙ্গে স্মরণ করে। বিনম্র শ্রদ্ধা,যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটির প্রথম প্রহরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে চট্রগ্রামের ইপিজেড থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বিভিন্ন সংগঠনের পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ঐক্যযুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রথম প্রহরের সঙ্গে সঙ্গে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান আত্মদানকারী সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন-চট্রগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের বন্ধু সাদমান আজম আসিফ। চট্রগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করেন ও সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরবর্তীতে সকল বীর শহীদদের আত্মার শান্তি মাগফেরাত কামনা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন,চট্রগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাদমান আজম আসিফ,ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের (এ,জি,এস) জুবায়েদ খলিল দিপু, মোঃ রনি,মোঃ আনোয়ার,মোঃ রাশেদ,মোঃ ইকবাল,মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন ,মোঃ হান্নান,বিপ্লব,ইমন,প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ গন্যমান্য অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

শতাধিক মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূলহোতা সহ আটক-৫

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি। শতাধিক মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূলহোতা সহ আটক-৫ চট্টগ্রাম সিএমপি কর্তৃক শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূলহোতা সহ ৫জন গ্রেফতার এবং ২৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার। ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় চোরচক্রের দুইজন মূলহোতা মিঠন ধর ও মোঃ বাবর প্রঃ বাবুলকে একটি চোরাই Hero Honda Splendor মোটরসাইকেল সহ আটক করা হয়। সিএমপি সূত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম শহর ও তার আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূলহোতাসহ তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ),মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান,পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ), নোবেল চাকমা, পিপিএম; সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন),অতনু চক্রবর্ত্তী ও অফিসার ইনচার্জ জনাব জাহিদুল কবির এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল হাওলাদার এর নেতৃত্বে এসআই/মোঃ মোমিনুল হাসান; এসআই/বাবলু কুমার পাল, ইনচার্জ, আসকারদীঘি পুলিশ ফাঁড়ি; এসআই/মোঃ মেহেদী হাসান; এসআই/মিজানুর রহমান চৌধুরী; এসআই/মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন; এসআই/খায়রুল বাসার সাজিদ; এএসআই/সাইফুল আলম; এএসআই/রণেশ বড়ুয়া; কং/২৫৬১ রুবেল মজুমদার থানা ও ফাঁড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠ রাস্তার উপর হতে আসামী মটরসাইকেল’সহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে মিঠন ধর ও বাবর প্রঃ বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তাদের অপরাপর সহযোগী মোঃ শাহেদ (২৬), মোঃ রিপন (৪০), মোঃ খোরশেদ আলম (২৯), মোঃ দিদার হোসেন (৩০), মোঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ তাহের (৩০)’এর সহায়তায় চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশ এলাকা থেকে চুরিকৃত মোটরসাইকেল চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ ও কক্সবাজার জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেচা-বিক্রি করে থাকে। আসামি মিঠন ধর ও মোঃ বাবর প্রঃ বাবুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের সহযোগী মোঃ শাহেদ ও মোঃ রিপনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে ২৩ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারপূর্বক ২৫/০৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ জব্দকরা হয়। তাদের অপর সহযোগী মোঃ দিদার হোসেন (৩০) ও মোঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ তাহের (৩০) ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি মিঠন ধরের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক আসামি মোঃ খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালী থানাধীন ব্রিজঘাট এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনায় ২৬/০৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ০০.০৫ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী একটি মামলা রুজু করা হয়। ধৃত আসামিরা মোটরসাইকেল চুরিচক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য যে, পর্যালোচনায় জানা যায় ধৃত ১নং আসামি মিঠন ধরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় ০৩ টি চুরির মামলা আছে। ধৃত ২নং আসামির বিরুদ্ধে সিএমপি’র কোতোয়ালী ও খুলশী থানায় ০২টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে। ধৃত ৫নং আসামির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় মোটরসাইকেল চুরির ০১টি মামলা আছে। উদ্ধারকৃত আলামতের বর্ণনাঃ ০১। ০১টি লাল রংয়ের HERO HONDA Splendor, ০২। ০১টি নীল রংয়ের পালসার (BAJAJ) মোটরসাইকেল, ০৩। ০১টি লাল কালো রংয়ের BAJAJ PULSAR, ০৪। ০১টি BAJAJ Platina, ০৫। ০১টি লাল BAJAJ Discover 100, ০৬। ০১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 100, ০৭। ০১টি কালো নীল রংয়ের HERO Glamour মোটরসাইকেল, ০৮। ০১টি কালো লাল রংয়ের HERO Ignitor, ০৯। ০১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 125, ১০। ০১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 110, ১১। ০১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ Discover 110, ১২। ০১টি লাল রংয়ের WALTON FUSION, ১৩। ০১টি কালো লাল HERO Passion Pro, ১৪। ০১টি কালো লাল রংয়ের HERO Glamour, ১৫। ০১টি কালো নীল TVS Metro, ১৬। ০১টি কালো সাদা লাল TVS Metro, ১৭। ০১টি BAJAJ Platina, ১৮। ০১টি কালো লাল রংয়ের RUNNER ROYAL FREEDOM, ১৯। ০১টি কালো লাল রংয়ের BAJAJ PULSAR, ২০। ০১টি কালো লাল রংয়ের HERO Glamour, ২১। ০১টি নীল রংয়ের SUZUKI Gixer মোটরসাইকেল, ২২। ০১টি কালো নীল রংয়ের HERO Glamour, ২৩। ০১টি কালো-লাল রংয়ের HERO Splendor I-Smart ২৪। ০১টি কালো লাল রংয়ের Honda Shine Sp মোটরসাইকেল।

জাতীয়

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধে সরকারপ্রধানের শ্রদ্ধা শেষে পরিদর্শন বইতে তিনি এই প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করেন। পরিদর্শন বইতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের। হানাদার পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাই আমার শ্রদ্ধা। বইতে শেখ হাসিনা আরও লেখেন, বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেসা এবং আমার তিন ভাই ভ্রাতৃবধূসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের। শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে লেখেন, আজকের এই দিনে আমি প্রত্যয় করি যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। ইনশাআল্লাহ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।‌ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। এর আগে, মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

জাতীয়

আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালির জীবনে নেমে আসে এক ভয়ংকর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় অন্ধকার রাত। অন্য দিনের মতো সেটি স্বাভাবিক ছিল না। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর যখন ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের বর্বরোচিত নিধনযজ্ঞ আর ধ্বংসের উন্মত্ত তাণ্ডব চালায়, সেদিন থেকে স্বাধীনতা কথা বাঙালির হয়ে যায়। অবশ্য ৭ মার্চের ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, তখন আর বাঙালির বুঝতে বাকি ছিল না লড়াই করতেই হবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতেই হবে। বঙ্গবন্ধুর ‘আমি যদি হুকুক দিবার নাও পারি’র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। কালরাত্রির বাঙালি নিধনযজ্ঞ চলাকালেই মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। আর সেই থেকেই ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি আমাদের হয়ে গেল। আজ সেই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার পথচলা। আজকের দিনটি তাই বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরব ও অহংকারের। সবকিছু ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার দিন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেসব বাঙালি তাদের প্রাণ আত্মাহুতি দিয়েছেন, যেসব মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার দিন। একটি কথা স্মরণ রাখতে হবে, স্বাধীনতার সরাসরি ঘোষণা আসে ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর। ওই রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিলখানা, রাজারবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পর রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনাই ছিল গণহত্যা শুরুর পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের। সে অনুযায়ী, ওই রাতে কর্নেল জহিরের নেতৃত্বে একটি কমান্ডো প্লাটুন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ক্যাপ্টেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে সেনারা ভবনের চারদিকে অবস্থান নেয়। মেজর বিলাল দোতলার বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যায়। তারা বঙ্গবন্ধুকে ট্যাংক-কামানসহ কড়া পাহারায় শেরেবাংলা নগরের সামরিক সদর দফতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে নেওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর অফিসার্স মেসে। টিক্কা খানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকেই পরদিন নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে। বঙ্গবন্ধুর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাটি চট্টগ্রামে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজের সেটেও ধরা পড়ে। শুনতে পান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার প্রধান মেজর সিদ্দিক সালিকও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবরটি পাকিস্তান সরকার ও ইস্টার্ন জোনের সামরিক কর্মকর্তাদের জানান। ওয়্যারলেস বার্তাটি চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহুর আহম্মেদ চৌধুরী পেয়ে রাতেই তা সাইক্লোস্টাইল করে বিলির ব্যবস্থা করেন। পরদিন এ বার্তাটিই কালুরঘাট বেতার থেকে সর্বপ্রথম পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান। তারপর বারবার ঘোষণাটি পড়ে শোনান অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার এ ঘোষণাটি পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন চট্টগ্রামের বেতারকর্মী বেলাল মোহাম্মদ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও অধ্যাপক আবুল কাশেম সন্দ্বীপ। মেজর জিয়া প্রথমে নিজেকে সুপ্রিম কমান্ডার ঘোষণা করেন ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন। ঢাকাসহ সারা দেশেই শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। সমগ্র জাতি দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান বুকে ধারণ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিপাগল বাঙালির অকুতোভয় লড়াই আর রক্তের বন্যায় ভেসে যায় পাকিস্তানের দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত বাহিনীর সব কৌশল। ৯ মাসের সংগ্রামে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। আজ সব স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ দেশের সব স্মৃতির মিনার। দিনটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’ প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকদের দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দলিল-এর ৪ খণ্ড, তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট (১৯৪৮-১৯৭১)-এর ১৪ খণ্ডের মধ্যে ১১ খণ্ড সহ তার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন প্রকাশ করেছি। আমার বিশ্বাস বইগুলো পড়লে নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতার দৃপ্ত পদচারণা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ করতে পারবেন।’

জাতীয়

মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :– মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে সই করেন রাষ্ট্রপতি। জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা এ সময় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

Scroll to Top