মার্চ ২৫, ২০২৩

জাতীয়

আজ ২৫ মার্চের কালরাতকে স্মরণীয় রাখতে দেশব্যাপী এক মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ২৫ মার্চের কালরাতকে স্মরণীয় রাখতে দেশব্যাপী এক মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। শনিবার (২৫ মার্চ) দেশের মানুষ রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট সব আলো নিভিয়ে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করবেন। এছাড়া যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে আজ জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের আয়োজনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কর্মসূচি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী দিয়েছেন। সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের এই রাতে পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার শিকার হয় বাংলাদেশের মানুষ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরিচালনা করে ‘অপারেশন সার্চলাইট’। আর তাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যার শিকার হয় লাখো মানুষ।

জাতীয়

অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল। সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন উদ্বোধন। মাঠের বাইরে প্রায়ই সমর্থক ও জনগণের কল্যাণে নিজেকে মেলে ধরেন বিশ্ব ক্রিকেটে কিংবদন্তি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবার দেশের ক্রিকেটারের এই পোস্টারবয় প্রতিষ্ঠা করলেন নিজের নামে ক্যানসার ফাউন্ডেশন ‘সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন’। শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে উদ্বোধন করা হয় এই ফাউন্ডেশনের। অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, মাহে রমজানের প্রথম দিন, আবার জুমার দিন, আজ আমার জন্মদিন। আরও একটি কারণে আজকের দিনটি আমার কাছে বিশেষ, সেটি হলো- ‘সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন’ চালু হলো আজ থেকে। ক্যানসার অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা, এটা আপনারা জানেন। তাই এটি এগিয়ে নিতে আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি অনুরোধ করব, আপনারা সবাই পাশে থাকবেন। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাঈম ইসলাম, নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং সারোয়ার ইমরানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আগামীকাল রাত ১০টা ৩০মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন এবং সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। বাঙালীর স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট। এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সে আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়। অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট। মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।’ পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’ ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে। ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’ পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। সূত্র : বাসস।

আন্তর্জাতিক

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে মানহানির মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। খবর এনডিটিভির। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলায় ২ বছরের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। একই সঙ্গে আপিল করার জন্য তাকে ৩০ দিনের জামিন দিয়েছে আদালত। গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত রাহুলের বিরুদ্ধে এই রায় দেন। এই রায়ের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাতিল করা হলো রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ। এমন বাস্তবতায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) নরেন্দ্র মোদী সরকারে বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে অন্য বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছে কংগ্রেস। সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়ায়, আইন অনুযায়ী অন্তত আগামী ৬ বছর কোনো নির্বাচনে লড়তে পারবেন না রাহুল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল। তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের এক বিধায়ক। সুরাটের আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছিল চার বছর ধরে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গুজরাটের সুরাতে গিয়ে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যের নেতারা। রাহুলের আগমন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন গুজরাট রাজ্যের কংগ্রেস নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। কারও কারও হাতে রাহুলকে ‘শের–ই–হিন্দুস্তান’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

জাতীয়

দীর্ঘ ১০বছর আগের লোমর্ষক হত্যাকারী আটক

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি। দীর্ঘ ১০বছর আগের লোমর্ষক হত্যাকারী আটক দীর্ঘ ১০বছর আগের লোমর্ষক হত্যা ঘটনার আসামী নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহ আটক করে। অদ্য ২৫মার্চ ভোরে কসবা থানাধীন চকচন্দ্রপুর এলাকা হতে আসামী মোঃ রতন (বর্তমান বয়স ৪২)আটক করে। র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,২০০৭ইং ৭ফেব্রুয়ারি সকালে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামী ৩) রতন (২৫) ৪) ফারুক (২৪), ভিকটিম মোঃ তোয়াজ্জেম (৪০)’কে দুই হাত ধরে রাখে এবং আসামী ১) মোঃ বাবুল (২৬) ভিকটিমকে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কোপ দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু বরণ করে। বাবুলের এই কাজে আসামী ২) আব্দুর সাহেদ (৬৩) ৫) মোঃ সুলতান (৩০), ৬) আঃ কাদির আসামীগন সাহায্য করে। ভিক্টিমের ছেলে আরিফ হাসান (২২) বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে শেষে ৬আসামীর নামে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারে বিজ্ঞ দায়রা আদালত ৭বছর পর ১৬এপ্রিল-১৪ইং আসামী বাবুল এর মৃত্যুদন্ডসহ বাকি আসামীদেরকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। আসামীরা উচ্চ আদালতে মামলা করলেও বিজ্ঞ হাইকোর্ট ১৬জুন১৯ইং নিম্ন আদালতের রায় পুনঃবহাল রাখে। বর্তমানে আসামীদের মামলাটি আপিল বিভাগে রায়ের জন্য অপেক্ষায়মান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়,র‌্যাবের চৌকস আভিযানে গোপন সংবাদে প্রধান আসামী কে আটক করে। আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দে কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।নানা অপরাধীর মুখোশ উন্মোচন,অবৈধ কর্মকান্ড দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব।

Scroll to Top