শবে বরাত গুরুত্ব ও ফজিলত
বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি শবে বরাত গুরুত্ব ও ফজিলত শবে বরাত গুরুত্ব,গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ফজিলত এ রাতের ইবাদতের সপক্ষে ও মত পার্থক্যও রয়েছে ভিন্ন মতামত। সার সংক্ষেপে এদেশে শবেবরাতের নামে প্রচলিত ইসলামী পর্বের বাস্তব চিত্র। শবে বরাত বা মধ্য-শা’বান লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাত। শব ফারসি শব্দ অর্থ রাত বরাত আরবী শব্দ যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির।এদেশে শবেবরাত সৌভাগ্য রজনী’ হিসাবেই পালিত হয়। মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়। অনেকে ফজিলতের রাত হিসেবে সুনির্দিষ্ট আমল ও,নামাজ পড়েন।অনেকের বিশ্বাস ও ধারণা এ রাতে বান্দার গোনাহ মাফ,আয়ু ও রূযী বৃদ্ধি,সারা বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়। এ রাতে মৃতের রূহ সাক্ষাতের জন্য পৃথিবীতে নেমে আসেন। বান্দার রূযী,বিয়ে-শাদী,জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি লিপিবদ্ধ হয় বলে প্রচারিত আছে।যারা কখনো ছালাতে অভ্যস্ত নয়, তারাও এ রাতে নামাজ পড়ে ও ইবাদত পালন করেন। অনেকে অনেকে এ রাতকে নফল ইবাদতের জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে প্রতিদিনের মতো ব্যক্তিগত ইবাদাত নফল ইবাদাত করেন,এ রাতে নির্দিষ্ট কোনো ইবাদাত নেই বলে মনে করেন। ফেরেশতারা আজ শেষ রাতে নিকটতম আকাশে নেমে আসেন বান্দাদের কল্যানে নিয়োজিত করেন। তোমাদের মধ্যে কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে,আমি তাকে ক্ষমা করবো।কিংবা কেউ কি হেদায়েত হতে চায়, আমি তাকে হেদায়েত করেন। পাঁচ রাতে দো‘আ কবুল হয়।রজব মাসের প্রথম রাতে, মধ্য শা‘বানে,জুম‘আর রাত, ঈদুল ফিতর এবং কুরবানীর রাতের দো‘আ’। শবে বরাত এর ইবাদতের সপক্ষ মত পার্থক্যও রয়েছে সংক্ষেপে এই হ’ল এদেশে শবেবরাতের নামে প্রচলিত ইসলামী পর্বের বাস্তব চিত্র।কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে নিজ নিজ আমল সমূহ পরিশুদ্ধ করে নেওয়ার তাওফীক দান করুন-আমীন! (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য-হাফাবা প্রকাশিত ‘শবেবরাত’ বই)।