বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি। প্রায় ৫কোটি টাকার মাদক অস্র কার্তুজসহ আটক। পাচারকালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১,৬০,০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি রিভলবার ও ৪০ রাউন্ড কার্তুজসহ কার্গো ট্রাকের চালক ও হেলপার গ্রেফতার।মাদকের অনুমান মূল্য- ৪,৮০,০০,০০০/- (চার কোটি আশি লক্ষ) টাকা। ২৩ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় অফিসার ইনচার্জ তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ কার্গো গাড়ী ও গাড়ীর চালক ফরিদ মিয়া ও গাড়ীর হেলপার নুর হোসেন সবুজের দেহ তল্লাশী করেন। ঢাকাগামী (আর বি কার্গো, রেজি: নং-ঢাকা-মেট্রো-ট-১৩- ০২৯৪) খালি কার্গো গাড়ীতে তল্লাশী অভিযানে ড্রাইভারের সিটের পেছনে মূল বডির প্রান্তভাগে চিকন খালি অংশে বিশেষ কায়দায় কাভার ভ্যানের মূল বডির সাথে সংযুক্ত কাঠ দিয়ে তৈরী লম্বা বক্সে ইট আকৃতির ১৬টি পোটলার প্রত্যেকটিতে ইয়াবা ভর্তি ৫০নীল রংয়ের এয়ারটাইট পলি প্যাকেট পাওয়া যায়, যার প্রত্যেকটিতে ২০০ পিস করে সর্বমোট (১৬ × ৫০ x ২০০)=১,৬০,০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,ওজন ১৫,২০০ (পনের হাজার দুইশত) গ্রাম রক্ষিত ছিল। জব্দকৃত ইয়াবার অনুমান মূল্য- ৪,৮০,০০,০০০/-(চার কোটি আশি লক্ষ) টাকা। পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা,বদ্বীপ পরিকল্পনাসহ রাষ্ট্রের অব্যাহত অগ্রযাত্রার অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে টেকসহ নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য অহর্নিশভাবে দিবারাত্র কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিকদের জানমাল,আইনী প্রতিকার,অপরাধ দমন ও নিবারনসহ বহুমাত্রিক কাজে নানাবিধ উপায়ে আইনের আলোকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম মহোদয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুনিপুন নির্দেশনায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। গত এক সপ্তাহ ধরে একটি সংঘবদ্ধ মাদক ও অস্ত্র পাচারকারী চক্র কক্সবাজার হতে একটি বড় ইয়াবা/অস্ত্র চালান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে কার্গোযোগে ঢাকা প্রেরণ করবে মর্মে গোপন সংবাদ পাওয়া যায়। বিষয়টি পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম মহোদয়কে অবহিত করলে তিনি সফল ও কার্যকর অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনার প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে গত এক সপ্তাহ ধরে লোহাগাড়া থানা পুলিশের পক্ষ হতে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কে বিশেষ নজরদারী জোরদার করা হয়। কিন্তু কাঙ্খিত গাড়ীটি একাধিকবার ইয়াবা ও অস্ত্রসহ কক্সবাজার হতে রওয়ানা করেছে মর্মে সংবাদ পাওয়া গেলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটাতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশেষে গোপন সংবাদ পাওয়া যায় যে কক্সবাজার শহরের লিংক রোড এলাকা হতে ইয়াবা/অস্ত্র ভর্তি কার্গোটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ লোহাগাড়া থানা মুহাম্মদ আতিকুর রহমান সঙ্গীয় এসআই মাহফুজুর রহমান ও ফোর্সসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মুখে চেক পোস্ট স্থাপন করত: কাঙ্খিত কার্গোটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। তথ্যের ধারাবাহিকতায় ঘটনাক্রমে অস্ত্র মাদক গুলিসহ আসামিদের আটক করা হয়। ধৃত কার্গোর চালক ফরিদ মিয়ার দেহ তল্লাশী করে পরিহিত প্যান্টের নিচে ডান কোমরে গোজানো অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরী কাঠের বাটযুক্ত রিভলবার এবং ধৃত হেলপার নুর হোসেন সবুজের দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত টাউজারের বাম পকেটে ৪০ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি প্লাষ্টিকের ছোট কালো বক্স পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীদ্বয় তাদের ১। মোঃ ফরিদ মিয়া(২৫), পিতা-মোঃ নুরু উদ্দিন, মাতা-ফরিদা খাতুন, সাং-গালাগাও, গাবরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে, ডাকঘর- চরপাড়া-২২৫২, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহ, ২। মোঃ নুর হোসেন সবুজ(২৭), পিতা-মৃত মোঃ সামশুল হক, মাতা-বিবি ফাতেমা, সাং-রবিউল হোসেন মিস্ত্রি বাড়ী, সোনাপাহাড়, ডাকঘর-জোয়ারগঞ্জ, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। ধৃত আসামীদ্বয় সংঘবদ্ধ মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যানার টানিয়ে পর্দার আড়ালে তারা এ ধরণের যানবাহনযোগে অতীতেও দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে মর্মে একাধিক উৎস হতে তথ্য পাওয়া যায়। এমনি করে প্রশাসনের চোঁখে ফাঁকি দিয়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার নাম দিয়ে বর্ণিত চক্রটি ইয়াবা ও অস্ত্র বহনকালে লোহাগাড়া থানা পুলিশের হাতেনাতে ধরা পড়েছে। তারা কক্সবাজার লিংক রোড এলাকা হতে তাদের জব্দকৃত অস্ত্রগুলি তারা তাদের মাদক ও অস্ত্র চক্রের কক্সবাজারের সহযোগীদের কাছ থেকে গ্রহণ করত: ঢাকা মহানগরে তাদের অপর সহযোগী চক্রের নিকট পৌছে দেয়ার জন্য বর্ণিত কার্গোযোগে নিয়ে যাচ্ছিল মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। এ সংক্রান্তে লোহাগাড়া থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে ২টি পৃথক মামলারুজু করা হয়েছে।