জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

জাতীয়

গৃহহীন ও অসহায় সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গৃহহীন ও অসহায় সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র, নিঃস্ব ও সহায় সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকার প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন বা ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য বাড়ি নির্মাণে ৩৬টি ব্যাংক মোট ১১৩ দশমিক ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার। দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ায় এগিয়ে আসার জন্য সমাজের উচ্চ শ্রেণির প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু সরকারই নয়, বরং আমরা সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ তিনি আরো বলেন, জমি ও ঘর পাওয়ার পর অনেক গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। এদের অধিকাংশকেই এরইমধ্যে জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। এখন অল্প কয়েকজন বাকি আছে। তাদের জন্যও বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে যারা ঘর পেয়েছেন-তাদের মুখের হাসি ও মনের সন্তুষ্টি থেকে বড় আর কোনো প্রাপ্তি হতে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, অনেকেই যারা আশ্রয়ন প্রকল্পে দুই ডেসিমেল জমি পেয়েছেন- তারা সেখানে শাকসজবি চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, কুটির শিল্প ও দোকান গড়ে তুলেছেন। তারা এভাবে ভালোভাবে বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পেয়েছেন। এই জমি ও ঘর পাওয়ার ফলে তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন (উন্নতি) হচ্ছে।’ অনুদানের অর্থ দেওয়ায় বিএবি ও ব্যাংকারদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘আপনাদেরকে আমার বলার প্রয়োজন হয় না। আপনারা যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটকালে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এগিয়ে আসেন।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, দেশ এখন সব প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো আমরা বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে নেই। আমরা আমাদের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছি।’ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চলনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

আন্তর্জাতিক

ইরানের সাবেক উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর আকবরীর ফাঁসি কার্যকর

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইরানের সাবেক উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর আকবরীর ফাঁসি কার্যকর ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দেশটির সাবেক উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তার নাম আলিরেজা আকবরি। ইরানের পাশাপাশি তার ব্রিটেনের নাগরিকত্ব রয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। আজ শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, গত বুধবার আকবরির পরিবারকে ‘শেষবারের মতো’ তার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যেতে বলা হয়। আকবরির স্ত্রী বলেছেন, আকবরিকে নির্জন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে কবে ও কখন তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার বিস্তারিত জানানো হয়নি। আকবরিকে ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। এর আগে গত বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ইরানি-ব্রিটিশ নাগরিক আকবরিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলেছিল, ইরানের কিছু অতি সংবেদনশীল কেন্দ্রে আকবরির প্রবেশাধিকার ছিল। তিনি ইরানে ব্রিটিশদের পক্ষে কাজ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুপ্তচর ছিলেন। আকবরি সব জেনেশুনেই শত্রুপক্ষকে তথ্য দিয়েছিলেন। এদিকে, যুক্তরাজ্য ইরানের আদালতের ওই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি তার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ইরানকে অবশ্যই ব্রিটিশ-ইরানি নাগরিক আকবরির ফাঁসি কার্যকর করা বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এটি বর্বর শাসনব্যবস্থার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ, যা মানবজীবনের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করা। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিল, আমাদের অগ্রাধিকার হলো অবিলম্বে তার মুক্তি নিশ্চিত করা। আমরা আমাদের পররাষ্ট্র দূতকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার আহ্বান ইরানের কাছে পুনর্ব্যক্ত করেছি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আলিরেজা আকবরি ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি আলি শামখানির ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী শামখানি ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তখন আকবরি তার ডেপুটি ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়ও শামখানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন আকবরি।

Scroll to Top