জানুয়ারি ১৫, ২০২৩

আন্তর্জাতিক

গনতন্ত্র রক্ষা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গিকার –ডোনাল্ড লু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গনতন্ত্র রক্ষা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গিকার –ডোনাল্ড লু। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) নিয়ে আমাদের ভালো আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। রোববার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড লু। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, জিএসপি সুবিধা চালু হলে প্রথমে বাংলাদেশ এ সুবিধা পাবে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আমাদের কেন্দ্রবিন্দু। এটা নিয়ে আমরা পরামর্শ দিই। তিনি ঢাকা সফর প্রসঙ্গে বাংলায় বলেন, মনোমুগ্ধকর অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশে বন্ধুত্ব শক্তিশালী করতে এসেছি। ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, আমরা ভালো সাজেশন পেলে অবশ্যই সেটা নেবো। আমরাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ বুলেটে নয়, ব্যালেটে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ) সম্পর্ক অনেক উন্নতি হয়েছে। আগামী এপ্রিলে আমাকে ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জাতীয়

নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত ৭২ জন নিহত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত ৭২ জন নিহত। নেপালের পোখারায় ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। নেপালের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সংযোগ ছিল প্লেনটির। এরপর এটি বিধ্বস্ত হয়। পররোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝে এটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বার্তাউলা। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ বলছে, প্লেনটি ১৫ বছরের পুরোনো ছিল। বিমানটি নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিলো। এতে মোট ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু সদস্য ছিলেন। প্লেনটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি ১৫ বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ভারতের, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, দুজন দক্ষিণ কোরিয়ার, একজন অস্ট্রেলিয়ার, একজন ফ্রান্সের ও একজন আর্জেন্টিনার নাগরিক। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএন।

জাতীয়

আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বে বিশ্ব ইজতেমা শেষ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বে বিশ্ব ইজতেমা শেষ। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে শুরু হয় তিনদিনব্যাপী ইজতেমার আখেরি মোনাজাত। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে মোনাজাত করেন কাকরাইল মসজিদের সূরা সদস্য মাওলানা ক্কারী মোহাম্মদ জোবায়ের। মোনাজাতে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ তীর। এসময় টঙ্গীর তুরাগ তীরসহ আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় অবস্থান নিয়ে লাখ লাখ মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন। মোবাইল ফোনে ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও কোটি মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। মোনাজাতে দেশবাসী ও বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুরসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিসসহ সবকিছু ছিল বন্ধ। সকালে বাদ ফজর ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন কাকরাইলের সুরা সদস্য ক্কারী মোহাম্মদ জোবায়ের। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আবদুর রহমান, পরে তা বাংলায় অনুবাদ করেন আবদুল মতিন। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি।

জাতীয়

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ১২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ১২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেসরকারি খাতে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ১২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের (তাপবিদ্যুৎ) বিদ্যুৎ প্রকল্পে আয়োজিত এক এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সুইচ অন করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ঘটান বিদ্যুৎ উৎপাদন গ্রিডের সাথে সংযুক্ত কমিটির প্রধান ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির বাংলাদেশের প্রধান প্রকৌশলী (পিজিসিবি) মোর্শেদ আলম খান। তবে বিদ্যুৎ মূল উৎপাদনে যেতে কমিশনিং শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে। এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ মূল উৎপাদনে গিয়ে সরকারকে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক দীপংকর মজুমদার বলেন, কয়লাভিত্তিক সুপার ক্রিটিক্যাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ৪০০ কেভি গ্যাস ইনসুলেটেড সুইচইয়ার্ডকে এনারজাইজ করেছে এবং বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) থেকে ব্যাক-ফিড পাওয়ার গ্রহণ করেছে। এতে করে দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে ১২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে ৯৪ শতাংশেরও বেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্ল্যান্টের প্রধান নির্মাণ কার্যক্রম ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে কয়লাভিত্তিকে হলেও এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। এই প্রকল্প বাংলাদেশের এবং এস আলম গ্রুপের জন্য একটি বিশাল অর্জন ও মাইলফলক। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় বিদ্যুৎ কেনাবেচা সংক্রান্ত চুক্তিও স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে বলা হয়- ২৫ বছর ধরে পিডিবি এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে। এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেড কোম্পানিটি বাংলাদেশের বড় শিল্পগ্রুপ এস আলম গ্রুপের (৭০% শেয়ারহোল্ডিং) এবং চীনের সেপকো থ্রি (৩০% শেয়ারহোল্ডিং)-এর একটি যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ ২০২৩ সালের ৩১ মে। প্রকল্প ব্যয় ২.৫০৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ঋণের পরিমাণ ১.৭৮২ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ইকুইটির পরিমাণ ৭২৪.৬৭৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার, প্রকল্প থেকে প্রত্যক্ষভাবে অর্জিত সুবিধাসমূহের মধ্যে বিনিয়োগকৃত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমান সর্বমোট ২০১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ঋণের পরিমাণ ১৭৮২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ইকুইটির পরিমাণ ২৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার, মানুষের কর্মস্থান নির্মাণ পর্যায়ে গড় ৫০০০ জন, উৎপাদন পর্যায়ে গড় ১২০০ জন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, পিজিসিবি মোর্শেদ আলম খান, প্রধান ফাইনান্সিয়াল অফিসার ইবাদত হোসেন, ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান, ডিপিডিই ফাইজুর রহমান, ডিজিএম (মেকানিক্যাল) মো. আশরাফুল হক, ডিপিডিবি আতিকুল হক, প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারুক আহমেদ, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দীন, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

জাতীয়

হাওড় অঞ্চলে আর কোন রাস্তা হবে না – পরিকল্পনা মন্ত্রী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- হাওড় অঞ্চলে আর কোন রাস্তা হবে না – পরিকল্পনা মন্ত্রী। হাওড় ও উপকূলে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের ফলে বন্যা ও জলাবদ্ধতার সমস্যা আরও বাড়ছে। এখন থেকে উন্নয়ন প্রকল্প করার ক্ষেত্রে নদী-জলাশয় ও হাওড়ের পরিবেশ ও প্রকৃতিকে মাথায় রাখতে হবে। এতে দেশের উন্নয়ন টেকসই হবে ও জনগণের ভোগান্তি হবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শনিবার সকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের (বেন) আয়োজনে বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। হাওড়ে এখন থেকে আর কোনো রাস্তা নির্মাণ করা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখানকার ভূমিরূপ ও প্রতিবেশব্যবস্থাকে মাথায় রেখে সরকার একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে। আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। সরকার পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাসী, যা পরিবেশ রক্ষা করে করা হবে।

Scroll to Top