জানুয়ারি ১৪, ২০২৩

জাতীয়

বনে গাছ কাটার সময় দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১

বিলেতের আয়না ডেক্স :- অরুণ বৈষ্ণব, হাটহাজারী চট্টগ্রাম। বনে গাছ কাটার সময় দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১ হাটহাজারী রেঞ্জাধীন শোভনছড়ি বন বিটের সংরক্ষিত বনের তারাবুনিয়া নামক এলাকায় ২০০৩-২০০৪ আর্থিক সনে সৃজিত সেগুন বাগানে গাছ কাটার সময় বন্দুকসহ নির্মল চাকমা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে বনবিভাগ। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) মধ্য রাত ২টার সময় তাকে আটক করা হয়। হাটহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নির্দেশনায় রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো:মোস্তফা আল হোসাইন ও শোভনছড়ি বিট কর্মকর্তা মো: শামছুল আলম সরকার এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় স্টাফসহ বন বিটের সংরক্ষিত বনের তারাবুনিয়া নামক এলাকায় ২০০৩-২০০৪ আর্থিক সনে সৃজিত সেগুন বাগানে গাছ কাটার শব্দ শুনিতে পায় এবং শব্দের উৎসের দিকে অগ্রসর হলে গাদা বন্দুক(হাতে তৈরি)নিয়ে ১ জন আসামী পাহাড়া দিতে দেখা যায় এবং ২ জন আসামী সদ্য কর্তিত গাছ সেকশন দিতে দেখা গেলে টহল দল তাদের ধৃত করার উদ্দ্যেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বন্দুকসহ নির্মল চাকমা নামে ১ জন আসামী ধৃত করা হয়। ২ নং ৩ নং আসামী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল হতে ১০ টি সেগুন গাছের মোথা,সদ্য কর্তিত ৬ টুকরা= ৯.৩৫ ঘনফুট সেগুন গোলকাঠ,১ টি ছে করাত জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত মালামাল বিট অফিস হেফাজতে মামলার আলামত হিসেবে রেখে দেওয়া হয়। পি,ও,আর বন মামলা দায়ের পূর্বক আসামী সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

জাতীয়

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাঁই

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাঁই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) রাত ২টার দিকে ৭নং কুমিরা ইউনিয়ন এলাকার মছজিদ্দা মোল্লাপাড়া গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে অপরিকল্পিত কালভার্ট ও ভাঙ্গা রাস্তার কারণে পাঁচ মিনিটের জায়গায় ফায়ার সার্ভিস আসতে দীর্ঘ ৩০ মিনিট সময় লেগে যায়, ফলে তিনটি বসতঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে করে আনুমানিক প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে রওনা করলেও ভাঙ্গা রাস্তা এবং অপরিকল্পিত কালভার্টের কারণে একটু বিলম্বিত হতে হয়। আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসার সময় প্রথমে কালভার্টে গাড়ীর চাকা আটকে পড়ে, ঐখান থেকে কিছু সামনে আসলে রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী দুর্ঘটনার শিকার হয়, পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঐখান থেকে গাড়ীটি উদ্ধার করা হয়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বিলম্ব ঘটে। তাই স্থানীয়দেন দাবি যেন দ্রুত ভাঙ্গা রাস্তা এবং অপরিকল্পিত কালভার্ট সংস্কার করা হয়

আন্তর্জাতিক, জাতীয়

ঋণের শর্ত চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আইএমএফ উপব্যবস্থাপক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ঋণের শর্ত চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আইএমএফ উপব্যবস্থাপক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। সাড়ে চারশ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবের চূড়ান্ত আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ গতকাল শনিবার ঢাকায় এসেছেন। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ঢাকা অবস্থান করবেন। পাঁচ দিনের ঢাকা সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বক্তৃতাও দেবেন তিনি। এছাড়া পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলও দেখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। আইএমএফের ওয়েবসাইটে মনসিও সায়েহের আনুষ্ঠানিক ঢাকা সফর সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি সহনশীল রাখতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে আইএমএফ। এজন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ঢাকা সফর করছেন মনসিও সায়েহ। উল্লেখ্য, এ মাসের শেষ দিকে আইএমএফের বোর্ড সভায় ঋণ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। সরকার আশা করছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার মিলবে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর পর্যালোচনা করে কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে। আইএমএফ বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন ডলার, যা আঘাত করছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। আইএমএফের দিক থেকে সহায়তা দেওয়ার পদক্ষেপ এ কারণেই নেওয়া হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিই ছিল। বাণিজ্য ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচ, মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকুচিত হওয়ার কারণে সংকটের কাছাকাছি রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ পাচ্ছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে সায়েহ আইএমএফের সদর দপ্তরে প্রতিবেদন দেবেন। ঐ প্রতিবেদনটি আইএমএফের পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হবে। এর আগে আইএমএফের স্টাফ পর্যায়ে প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করে অর্থনীতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে গেছেন। এখন বাকি রয়েছে শুধু আনুষ্ঠানিকতা। কিছু শর্ত ইতিমধ্যে সরকার বাস্তবায়ন করেছে। জ্বালানির ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। সেই মুদ্রানীতিতেও নতুন কিছু ঘোষণা আসতে পারে।

জাতীয়

সিলেটে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ সিলেটে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের সহয়োগিতায় শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে সিলেট মহানগরের শীতার্ত, দরিদ্র মানুষের মধ্যে উপহার হিসেবে কম্বল বিতরন করা হয়। সিলেট মহানগরের আল মদিনা ইন্টারন্যশনাল স্কুলে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শতাধিক দরিদ্র সিলেটবাসী এই উপহার গ্রহন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে সর্বাত্বক সহযোগীতা প্রদান করেন। এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষে সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক উৎফল বড়ুয়া, যুগ্ম আহবায়ক দিলু বড়ুয়া, সালমা বেগম সুমি, শেলু বড়ুয়া, আবদুল মালেক, সেবু বড়ুয়া, রু‌কিয়া সুলতানা, আয়শা বেগম, সু‌দ্রিপ বাবু সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল এডভোকেট মঈন উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট সিলেট অঞ্চলে লিভার রোগ বিষয়ক নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নানা ধরনের কল্যাণমূখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। সাম্প্রতিক বন্যার সময় সিলেট সদর, ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিন সুরমা এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ট্রাস্টের উদ্যোগে ও সহযোগীতায় একাধিক হেলথ ক্যাম্প আয়োজন ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরন করা হয়। এছাড়াও সে সময় সিলেট সদরের বিভিন্ন জায়গায় বন্যাপিড়ীত মানুষের মধ্যে উপহার হিসেবে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীও বিতরন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ট্রাস্টের উদ্যোগে জাতীয় ইমাম সমিতির সিলেট মহানগর শাখা, সিলেট স্টেশন ক্লাব, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাট্রিজ, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাব, সিলেট প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যৌথভাবে নিয়মিতভাবে লিভার রোগ বিষয়ক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।

জাতীয়

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া সমাজ সেবায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেলেন রাউজান উপজেলা বৃহত্তর হোয়ারাপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ হিতৈষী, সংগঠক, সিলেট- চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের সন্মানিত উপদেষ্টা লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া। শুক্রবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত ঢাকা শিশু কল্যাণ পরিষদের ভিআইপি কনফারেন্স হলে “আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মাদার তেরেসার অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা ও মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড” প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারম্যান গোলাম কাদের। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, প্রধান আলোচক বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে কবি ও কথাসাহিত্যিক অর্ণব আশিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম এফসিএ, কবি ও কথাসাহিত্যিক গাজী মজিবুর রহমান মিন্টু, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. রাবেয়া হক, বিনা’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামসুল আলম মিঠু, শাহজালাল কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটির সদস্য হামিদুল আলম সখা, কোরবাণীগঞ্জ মডেল থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড. এনামুল হক, লেখক মোঃ নাসিরুজ্জামান নাসির, সমাজসেবক লায়ন খুশি মোহন বিশ্বাস, স্বাধীন হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল ইসলাম, মিরপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম জামাল উদ্দিন, সেন্টার অব এক্সিলেন্স এন্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজ’র সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার বড়ুয়া আনন্দ। স্বাগত ভাষন প্রদান করেন সমন্বয়ক অমর হাওলাদার। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের মধ্যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ভদন্ত সুমনবংশ মহাথের, ভদন্ত দেবশ্রী মহাথের, জাতীয় নারী ফুটবলার রেহেনা পারভিন প্রমূখ। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট জনদের মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

জাতীয়

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন মমতা ব্যানার্জি– অমর্ত্য

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন মমতা ব্যানার্জি– অমর্ত্য সেন। অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী ও দার্শনিক অমর্ত্য সেন বলেছেন, ২০২৪ সালে ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার নির্বাচন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য একক ঘোড় দৌড় হবে বলে মনে করলে সেটা ‘ভুল হবে।’ দেশটির আগামী নির্বাচনে কয়েকটি আঞ্চলিক দলের ভূমিকা ‘স্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি। শনিবার ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন অর্মত্য সেন। ৯০ বছর ব্য়সী এই দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের হতাশাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন কিনা তা এখনও প্রতিষ্ঠিত নয়। ‘আমি মনে করি কয়েকটি আঞ্চলিক দল স্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে ডিএমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল, তৃণমূলও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজবাদী পার্টিরও কিছুটা অবস্থান আছে, তবে সেই অবস্থান বাড়ানো যাবে কিনা আমি জানি না।’ অমর্ত্য সেন বলেন, বিজেপির জায়গা নিতে পারে এমন অন্য কোনও দল নেই, এ ধরনের চিন্তাভাবনাকে আমি ভুল বলে মনে করি। কারণ বিজেপি একটি দল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যার একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং ভারতের অন্যান্যদের চেয়ে হিন্দুদের দিকে বেশি ঝুঁকছে দলটি। ভারতের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীদল কংগ্রেসসহ জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং জনতা দলের (ইউনাইটেড) মতো দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা একটি নতুন জোট গড়ার ডাক দিয়েছেন। দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করবে বলে এসব দলের নেতারা জোর দিয়েছেন। অমর্ত্য সেন বলেন, ভারতের রূপকল্পকে যথেষ্ট পরিমাণে খর্ব করেছে বিজেপি। এই দলটি কেবল ‘হিন্দুদের ভারত’ এবং ‘হিন্দিভাষীদের ভারত’ হিসাবে ভারতের বোঝাপড়াকে প্রচণ্ডভাবে সংকুচিত করেছে। তারা এমনভাবে এটি করেছে যে, আজ ভারতে বিজেপির বিকল্প কোনও শক্তি না থাকলে সেটি দুঃখজনক হবে। ‘বিজেপি শক্তিশালী এবং ক্ষমতাশালী হয়ে উঠলেও দলটির দুর্বলতাও আছে। তাই আমি মনে করি অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যদি সত্যিই চেষ্টা করে, তাহলে তারাও বিতর্কে আসতে পারবে। আমি বিজেপি-বিরোধী দলগুলো একসঙ্গে খারিজ করে দিতে পারি না।’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য সেন বলেন, তার যোগ্যতা আছে। দেশটির এই অর্থনীতিবিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা যে তার নেই বিষয়টি তেমন নয়। এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে তার যোগ্যতা আছে। অন্যদিকে, মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে জনসাধারণের হতাশার শক্তিকে একটি সমন্বিত উপায়ে টানতে পারবেন; যাতে তার পক্ষে ভারতে বিভক্তির অবসান ঘটাতে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হয়, সেটিও এখনও প্রতিষ্ঠিত নয়। মমতা বন্দোপাধ্যায় তার রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে আঞ্চলিক বিভিন্ন দল যেমন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস), অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে (এএপি) নিয়ে ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে ফেডারেল ফ্রন্ট (এফএফ) গঠন করেছিলেন। ওই বছরের জানুয়ারিতে তৃণমূল প্রধানের আয়োজনে কলকাতায় জড়ো হওয়া দলগুলোর নেতাদের মাঝে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কলকাতায় বিরোধীদের ওই সমাবেশে জেডি(এস) নেতা ও কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (এএপি), তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন (ডিএমকে), অখিলেশ যাদব (এসপি), শারদ পাওয়ার (এনসিপি), জম্মু ও কাশ্মিরের ওমর আবদুল্লাহ, ফারুক আবদুল্লাহ এবং অরুণাচল প্রদেশের গেগং আপ্যাং উপস্থিত ছিলেন। প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ দেশটির বিরোধীদল কংগ্রেসের ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। দলটির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ‘নড়বড়ে’ হয়ে গেছে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তবে একই সঙ্গে এই দলটিই সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে মন্তব্য করেছেন অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে কংগ্রেস অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। আমি জানি না কেউ কংগ্রেসের ওপর কতটা নির্ভর করতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেস অবশ্যই একটি সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে, যা অন্য কোনও দল করতে পারছে না। কিন্তু দলটির ভেতরে বিভাজনও রয়েছে।’

জাতীয়

সামরিক শক্তি সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সামরিক শক্তি সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম। চলতি বছরের সামরিক শক্তি সূচকে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৪০তম অবস্থানে রয়েছে। সূচকে গত বছরের মতো এবারও শীর্ষ সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের (জিএফপি) এ সূচক প্রকাশ করেছে। জিএফপির পর্যালোচনায় ‘পাওয়ারস অন দ্য রাইজ’ তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জিএফপির ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় ‘পাওয়ারস অন দ্য রাইজ’ হিসেবে ৫৩টি দেশকে বেছে নেয়া হয়। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতার সর্বশেষ সহজলভ্য সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যাসহ বিভিন্ন ধরনের ৬০টির বেশি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে চলতি বছরের সূচক তৈরি করা হয়। ২০২৩ মিলিটারি স্ট্রেন্থ র‍্যাংকিং নামে প্রকাশিত এই সূচকে সামরিক শক্তিমত্তা বিচারে দেশগুলোর স্কোরও নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে বিশ্বের ৪০তম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সামরিক শক্তিসূচকে বাংলাদেশ স্কোর পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫৮৭১। গত ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতাকে এই সূচকের ভিত্তি হিসেবে ধরে নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএফপি।

আন্তর্জাতিক

স্বপ্নের দেশ ইউরোপের যেতে বছরে মৃত্যু অর্ধলাখ মানুষ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্বপ্নের দেশ ইউরোপের যেতে বছরে মৃত্যু অর্ধলাখ মানুষ। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গত ৯ বছরে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর। এই মৃতদের অধিকাংশই সাগরে ডুবে মারা যাওয়ায় অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি। গত বছর ২০২২ সালে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৭ জনের; আর চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ২৮ জন। নিখোঁজ ও মৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক অভিাবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) একটি প্রকল্প আছে। চলতি সপ্তাহে মিসিং মাইগ্র্যান্টস প্রোজেক্ট নামের সেই প্রকল্পের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইএমও। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসীর মধ্যে ২৫ হাজার ৩৮৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভৌগলিকভাবে এশিয়া ও ইউরোপকে বিচ্ছিন্ন করা ভূমধ্যসাগরে ডুবে। তাদের অনেকের মরদেহও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঠান্ডা, খাবার-পানি ও আশ্রয়ের অভাব, শারীরিক অসুস্থতা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয়েছে বাকিদের। এমনকি ইউরোপে প্রবেশের পরও অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ হাজার মানুষের। আইওএমের প্রতিবেদন বলছে, এক বছরের হিসেবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ২০১৬ সালে। ওই বছর ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৪ জনের। তার আগের বছর, ২০১৫ সালে মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৭১৪টি। এটি এক বছরের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা। প্রথমদিকে আফ্রিকা ও এশীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য একমাত্র রুট ছিল তুরস্ক। তুরস্কের ভূমধ্যসাগর উপকূল থেকে গ্রিস বা ইতালিতে উদ্দেশে রওনা হতেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। গত কয়েক বছর ধরে তুরস্ক রুটের পাশাপাশি লিবিয়া ও তিউনিশিয়া রুটও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দুই রুটে গত কয়েক মাসে নিহত হয়েছেন কয়েক শত অভিবাসনপ্রত্যাশী। শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে প্রবেশ করার প্রবণতা অনেক বেশি— এমন ১০টি দেশের তালিকা প্রস্তুত করেছে আইওএম। সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নামও আছে এ তালিকায়। এছাড়া বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের হিসেবে শীর্ষে থাকা দেশের নাম ভারত, তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ অবস্থান। পাকিস্তান অবস্থান করছে তৃতীয় স্থানে। আইওএমের হিসেব অনুযায়ী, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়র সংংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ৭৯ লাখ; আর প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা ৭৪ লাখ এবং প্রবাসী পাকিস্তানির সংখ্যা ৬৩ লাখ।

জাতীয়

বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকারের অত্যাচারে বিএনপির আন্দোলনে অংশগ্রহন বাড়ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের অত্যাচার যত বাড়ছে, বিএনপির আন্দোলনে মানুষের অংশগ্রহণ ততই বাড়ছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যৌথ সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমরা ১০ দফা আদায়ের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। আগামী ১৯শে জানুয়ারি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচী পালিত হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।

জাতীয়

সবাইকে নির্বাচনী প্রস্তুতির নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সবাইকে নির্বাচনী প্রস্তুতির নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাই কে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আগামী নির্বাচনে আমাদের জয়ী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা কে কি করছেন, সব খবর আমার কাছে আছে। তাই সব কিছু ভুলে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের জন্য কাজ করুন। এখন আর বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার মুলতবি বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। এরআগে গত ৭ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথসভা হয়। পরে তা মুলতবি করা হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ বৈঠকে জাতীয় ও উপদেষ্টা পরিষদের ২০জন নেতা বক্তব্য দেন। এর বাইরে ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বক্তব্য দেননি। তবে বৈঠকে কোনো নেতা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেননি। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে কাজ করবেন। কারণ সে সংসদে গিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলবেন। তিনি একজন সিনিয়র মানুষ। তাই তাকে যেভাবেই হোক জেতাতে হবে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবার আমলনামা আমার কাছে আছে। ফলে আমলনামা দেখে নৌকা মনোনয়ন দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা কাছে বিভিন্ন সংস্থার তথ্য রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে যারা ভালো কাজ করেছেন, যারা জনগণের কাছে যান, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেন, ভোট চান, জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখেন এবং জনগণ যাদের চায়, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক নেই, এলাকায় যান না, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দলীয় নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় এলাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে নতুন ষড়যন্ত্র করছে। তারা সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে। সরকার ফেলে দিতে চায়। তারা দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। ফলে আপনার নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় যান। তিনি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরার পরামর্শ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বিরোধী দল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সোচ্চার রয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের নেতাকর্মীরা অনেকটা পিছিয়ে। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের যে পরিবর্তন ঘটেছে। আমি জানি এটা অনেকেই নিতে পারে না। তাই সরকার বিরোধীরা নানা ধরনের কথা রটায়। কিন্তু মানুষের জীবন যাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া রাস্তাঘাটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি আমরা করেছি। এটাকেও অনেকেই স্বীকার করতে চায় না। করতে চাইবেও না। সেকারণে আমাদের নেতাকর্মীদের জনগণের দোড়গোড়ায় যেতে হবে। বৈঠকে দ্বাদশ নির্বাচনে কী কী উপায়ে শক্তি সঞ্চয় করা যায়, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া দলের যেখানে সাংগঠনিক জটিলতা রয়েছে, সেগুলো সমাধানেরও দিক নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন, আমরাও সেইভাবেই দেশকে সাজাতে চাই। আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা বিগত দিনে দিয়ে আসছে, সেগুলো এক এক করে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এগুলোও জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। আমি ভবিষ্যতে কোনো নেতার বলয় দেখতে চাই না। সবাইকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। কেউ যদি সংগঠনবিরোধী কাজ করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার কাছে অনেক এমপির তথ্য আছে, নৌকা মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর আর এলাকায় যান না। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের বিষয়ে আমি আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি। সেটি আগামী মনোয়নের ক্ষেত্রে দেখবো।

Scroll to Top