জানুয়ারি ১২, ২০২৩

জাতীয়

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমলনামা দেখে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমলনামা দেখে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে দলীয় সদস্যদেরকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য দলের সংসদ সদস্যদের এখন থেকেই মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে সরকারি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক হবে। নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এখন থেকেই ভালোভাবে কাজ করতে হবে। বিজয়ের জন্য সংসদ সদস্যদের সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় মানুষের কাছে যেতে হবে। জনগণের কাছে গিয়ে আমাদের এই তিন মেয়াদের সরকার যে সব উন্নয়ন কাজ করেছে সে উন্নয়নগুলো তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংসদ সদস্যদের সবার তথ্যই আমার কাছে আছে। নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার সময় এ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়া হবে। সার্ভে হচ্ছে, সার্ভে রিপোর্ট বিবেচনায় নিয়েই দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। জনগণ থেকে যারা বিচ্ছিন্ন, এলাকায় যায় না, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না, মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়ির গ্যারাজ থেকে গোপন নথি উদ্ধার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়ির গ্যারাজ থেকে গোপন নথি উদ্ধার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়ি থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি উদ্ধারের ঘটনায় একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড। নথিগুলো তদন্তের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য মেরিল্যান্ডের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট হুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার নেতৃত্বে কমিটি কাজ করবে। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৪ সালের নির্বাচনে এগিয়ে থাকার জন্য বাইডেনের ডেমোক্রেট দল এই নথিগুলো ব্যবহার করত। এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে বাইডেনের বিশেষ কৌঁসুলি রিচার্ড সোবার বলেছেন, ‘আইনজীবীরা সেখান থেকে ওবামা-বাইডেন প্রশাসনের অল্প কিছু গোপনীয় অতিরিক্ত নথি উদ্ধার করেছেন। প্রাপ্ত এসব নথির একটি বাদে বাকি সবগুলোই পাওয়া গেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উইলমিংটনের বাড়ির গ্যারেজ থেকে।’ এর আগে, প্রথম ধাপে তালাবদ্ধ একটি আলমারি থেকে প্রায় ১০টি গোপনীয় সরকারি নথি পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই পেন বাইডেন সেন্টারে পাওয়া গোপন নথির তদন্ত করছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঠিক আগে অফিস খালি করার সময় বাইডেনের ব্যক্তিগত অ্যাটর্নিরা নথিগুলো আবিষ্কার করেন। জো বাইডেনের বাড়ি থেকে দ্বিতীয় দফায় উদ্ধারকৃত নথিগুলো পাওয়া যায় বাড়ির তার গ্যারাজ থেকেরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাইডেনের ডেলাওয়ারের উইলমিংটনের বাড়ির গ্যারাজ থেকে নথিগুলো উদ্ধার করা হয়।

জাতীয়

বান্দরবনের পাহাড়ে প্রশিক্ষণে যাওয়া নতুন জঙ্গি সংগঠনের আরও ৫ সদস্য গ্রেফতার করছে র‌্যাব।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বান্দরবনের পাহাড়ে প্রশিক্ষণে যাওয়া নতুন জঙ্গি সংগঠনের আরও ৫ সদস্য গ্রেফতার করছে র‌্যাব। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি-রুমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার প্রশিক্ষণরত আরও ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি এলাকার নিজামুদ্দিন হিরন ইউসুফ (৩০), কুমিল্লার আহমেদ সাইহা (২৭), মো. বাইজিদ ইসলাম মুয়াজ (২১), সিলেটের মো. সাদিকুর রহমান সুমন ফারকুন (৩০) ও এক কিশোর (১৭)। তারা বান্দরবানের পাহাড়ের গহীনে সশস্ত্র দল ‘কেএনএফ’ বা ‘বম পার্টি’র আস্তানায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। বুধবার রাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-৭ এর অভিযানে বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত পাঁচজন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার বান্দরবানের র‌্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তত্ত্বাবধানে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বান্দরবানের গহিনে জঙ্গি আস্তানায় আসে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার কিশোর কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ আটজনের মধ্যে একজন। সাদিকুর সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়া চার তরুণের মধ্যে একজন। গ্রেপ্তার সবার নাম ‘হিজরতের উদ্দেশ্যে’ নিখোঁজ হওয়া ৫৫ জনের তালিকায় রয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সেখানে প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ প্রশিক্ষণ শেষ করে বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কাঠামো সম্পর্কে বলতে গিয়ে মঈন জানান, সংগঠনটির ছয়জন শুরা সদস্য রয়েছে। তার মধ্যে আব্দুলাহ মাইমুন দাওয়াতি শাখার প্রধান, মাসকুর রহমান সামরিক শাখার প্রধান, মারুফ আহমেদ সামরিক শাখার দ্বিতীয় প্রধান, মোশারফ হোসেন রাকিব অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান। এছাড়া সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা শামীম মাহফুজ প্রশিক্ষণের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক করতেন এবং ভোলার শায়েখ আলেম বিভাগের প্রধান হিসেবে আছেন। অপরদিকে ভাংচুংলিয়াম বম, লালজং মুই ও লালমুনঠিয়ালের তত্ত্বাবধানে কেএনএফ গহীন পাহাড়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তিনি আরও জানান, কেএনএফ তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে এসব জঙ্গিদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কেএনএফের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ে ৫০ এর বেশি জঙ্গি সদস্য সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে। গত ২০ অক্টোবর রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব এই জঙ্গি সংগঠনের সাতজন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কেএনএফের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার হয়। এই অভিযানের ফলে জঙ্গি ও বিচ্ছিতাবাদী দলের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দুর্গম পাহাড়ে পালিয়ে যায়। সেনাবাহিনীর দিন-রাতের রুটিন টহল ও র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযানের ফলে জঙ্গিরা আত্মগোপনে থেকে নিয়মিত স্থান পরিবর্তন করে। কমান্ডার মঈন বলেন, ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ৮ জন তরুণের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় নিখোঁজ সংক্রান্ত ব্যাপারে ২৫ আগস্ট নিখোঁজদের পরিবার কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর র‌্যাব নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। অভিযানে ৮ তরুণদের মধ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া নিলয়কে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে র‌্যাব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় এবং নিলয়কে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিলয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গত বছরের ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া রিফাতসহ ৭ জনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার’ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য দেন বলে তিনি জানান। মঈন আরও বলেন, এরপর র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন গত সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি অভিযানে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮ তরুণের মধ্যে ৩ জন ও নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার ৩১ জনকে আটক করে। আর এই জঙ্গি সংগঠনকে সহায়তা এবং সামরিক প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের ১৪ নেতা ও সদস্যকেও গ্রেপ্তার করে। তিনি জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা জানতে পারে, জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া সংগঠনটির আমির মো. আনিসুর রহমান মাহমুদ। উগ্রবাদী এই সংগঠনে ৬ জন শুরা সদস্য রয়েছেন। তারা দাওয়াতি, সামরিক, অর্থ, মিডিয়া ও উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছে। এদের মধ্যে শুরা সদস্য আবদুল্লাহ মাইমুন দাওয়াতি শাখার প্রধান, মাসকুর রহমান সামরিক শাখার প্রধান, মারুফ আহমেদ সামরিক শাখার ২য় প্রধান, মোশারফ হোসেন রাকিব অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান ও শামীম মাহফুজ প্রধান উপদেষ্টা, প্রশিক্ষণের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক এবং ভোলার শায়েখ আলেম বিভাগের প্রধান হিসেবে সংগঠনটিতে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের ৫৫ জন সদস্যকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দাবি করে মঈন বলেন, এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনটির প্রধান নাথান বম, সামরিক কমান্ডার কথিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ভাংচুং লিয়ান বম, মিডিয়া শাখার প্রধান লালজং মুই মাওয়াইয়া এবং লাল মুন ঠিয়াল চির চির ময়। এসব তথ্য পাওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি সংস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় র‌্যাব নব্য জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণরত ৫৫ জন জঙ্গি এবং তাঁদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-৭ এর অভিযানে বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত ৫৫ জন জঙ্গি সদস্যদের মধ্যে ৫ জনকে আটক করে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বেচ্ছায় নিরুদেশ হওয়া ৫৫ জনের মধ্যে ৩১ জন ও সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জাতীয়

ব্রয়লার মুরগি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয় — কৃষিমন্ত্রী  

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ব্রয়লার মুরগি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয় — কৃষিমন্ত্রী   ব্রয়লার মুরগির মাংস মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস, হাড় ও কম্পোজিটে অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারি ধাতুর উপস্থিতি থাকলেও তা সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রার অনেক নিচে রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন।কৃষি মন্ত্রী। বাংলাদেশে মাথাপিছু মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া নিরাপদ কিনা এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং সামাজিক গণমাধ্যমে অনেক প্রচার দেখা যায় যে, ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ফলে জনগণের মধ্যে অনেক সময় ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রয়লার মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়। ফলে ব্রয়লার শিল্পের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অধীনে গবেষণাটি করা হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রয়লার মুরগির মাংসে, হাড়ে, কম্পোজিটে (কলিজা, কিডনি ও গিজার্ডের সমন্বয়) এবং মুরগির খাদ্যে কী পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারি ধাতু আছে তা নির্ণয় করা। গবেষণার জন্য ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশালের ব্রয়লার খামার এবং বাজার থেকে ব্রয়লারের মাংস, হাড়, কম্পোজিট ও ব্রয়লার খাদ্যের নমুনা এবং ঢাকার তিনটি সুপারশপ থেকে ব্রয়লার মুরগির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত প্রায় ১ হাজার ২০০টি ব্রয়লার মুরগি এবং ৩০টি ব্রয়লার মুরগির খাদ্য থেকে ৩১৫টি নমুনা প্রস্তুত করে বহুল ব্যবহৃত ১০টি অ্যান্টিবায়োটিক এবং তিনটি ভারি ধাতুর অবশিষ্ট অংশের পরিমাণ পরীক্ষা করা হয়। মোট ১০টির মধ্যে ৭টি অ্যান্টিবায়োটিক (এনরোফ্লক্সাসিন, সিপরোফ্লক্সাসিন, নিওমাইসিন, টাইলোসিন, কলিস্টিন, অ্যামোক্সাসিলিন ও সালফাডায়াজিন) পরীক্ষণের জন্য নমুনাগুলো এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে ভারতের চেন্নাইয়ে এসজিএস ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। অবশিষ্ট তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং তিনটি ভারি ধাতু পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আধুনিক ল্যাবে পাঠানো হয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, গবেষণায় পাওয়া ফলের ভিত্তিতে দেখা গেছে— ব্রয়লার মুরগির মাংসে, হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি ভারি ধাতুর (আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে, যা স্বাভাবিক এবং তা সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রার অনেক নিচে।’ মন্ত্রী বলেন, নমুনায় বাজারের তুলনায় সুপারশপ থেকে সংগ্রহ করা মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারি ধাতুর উপস্থিতি অনেক কম। এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, সুপারশপে যেসব পোলট্রি মুরগি ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর ড্রেসিং মানসম্পন্ন এবং পৃথকভাবে বাছাই করা হয়। কিন্তু বাজারে একটি পাত্রে অসংখ্য মুরগি ড্রেসিং করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব নাহিদ রশীদ ও কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার উপস্থিত ছিলেন

জাতীয়

সংসদ উপনেতা হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সংসদ উপনেতা হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী জাতীয় সংসদে উপনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সংসদ ভবনে সংসদীয় দলের সভায় সংসদের উপনেতা হিসেবে বেগম মতিয়া চৌধুরীর নাম উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে সমর্থন করেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংসদ উপনেতার পদে আসীন ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। গত বছর ১২সেপ্টেম্বর বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ মারা যান। এরপর থেকেই সংসদ উপনেতার পদটি ফাঁকা হয়। মতিয়া চৌধুরী পাঁচবারের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের সরকারে তিনি তিনবার কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য নন। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে আছেন মতিয়া চৌধুরী।

জাতীয়

বিদ্যুৎতের দাম প্রতি ইউনিটে বাড়ানো হয়েছে ১৯ পয়সা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিদ্যুৎতের দাম প্রতি ইউনিটে বাড়ানো হয়েছে ১৯ পয়সা। দেশে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম ইউনিটপ্রতি ১৯ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এক নির্বাহী আদেশে এ দাম বাড়ানো হয়। ১ জানুয়ারি থেকে নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে। একইসঙ্গে এখন থেকে প্রতি মাসে বিদ্যুতের খুচরা দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হবে। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। গণশুনানি শেষে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি ইউনিটপ্রতি এক টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে। গণশুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল ও চারজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এতে আগ্রহী পক্ষগুলো নিজ নিজ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। বর্তমানে বিদ্যুতের খুচরা দাম ইউনিটপ্রতি ৭ টাকা ২ পয়সা। এক টাকা ২১ পয়সা বাড়িয়ে তা আট টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিটি। গত বছরের নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণার পরই খুচরায় দাম বাড়াতে আবেদন করে বিতরণ সংস্থাগুলো। সেসব আবেদন কারিগরি কমিটিতে মূল্যায়ন শেষে তা গণশুনানিতে আসে। ভর্তুকি কমাতে গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। সেসময় পাইকারিতে দাম ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহক বা খুচরা পর্যায়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন নামেই বাহাদুর কাজে দূর দূর –

বাংলাদেশ ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন নামেই বাহাদুর কাজে দূর দূর – –—————————-চৌধুরী হাফিজ আহমদ——– ১৯৬০ থেকে ২০২৩ কি অর্জিত হয়েছে এর খতিয়ান দেখলে অর্জনে শূন্য কিন্তু নামের দিকে দেখলে দেখা যাবে সবাই হয়েছেন নিজে নিজেই অনন্য , জন্ম থেকেই দলাদলির শিকার , এর পরে ও দাড়িয়ে আছে তাই বা কম কিসে ? এই রকম সংঘটনে দল উপদল থাকবেই এত বিশাল ইন্ডাস্ট্রি তাহাকে ধরে রাখা একার পক্ষে সম্ভব নয় , আছে যে এখনো তাই শুকরিয়া আদায় করা উচিত , এই রকম কথাবার্তা হর্তা কর্তা সদস্যদের মুখে মুখে – আমি যখন জিগ্যেস করলাম মানলাম তা থাকবেই তা হলে কি নিয়ে সামনে এগুবে কি আছে সামনে তাহাদের কর্মসূচী , রেস্টুরেন্ট ব্যবসা মার খেয়েই যাচ্ছে , করমি সংকট কমছেনা , কর্মীদের ব্যাপারে নেই কোন সুস্ট নীতিমালা ! নাই পেনশন স্কিম – নাই সুজুগ সুবিদা – এমন কি অনেকের কাছে স্টাফ লায়াবেলিটি ইনস্যুরেন্স পর্যন্ত নাই , ঘনটার হিসাব খাতায় কিন্তু বাসতবে বেতন চলে সপ্তাহে , মালিকদের ব্যাপারে একদম বেপরওয়া , মালিক রা যেমন চাইবে তেমন না করলে সাথে সাথে চাকুরির দফা রফা – অন্যাকে ঢেকে রাখতেই হবে , তা নিয়ে ও বাংলাদেশ ক্যাটারিং এ্যাসোসিয়েশনের মাথা ব্যাথা কম ,তা হলে এই এসোসিয়েশনের কাজ টা কি ? এই পর্যন্ত রেস্তরেণ্ট ব্যবসার উন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জাতি জানতে চায় , বছরে একটি এওয়ার্ড শো তাও একমাত্র লন্ডন শহরে করেই কি সংঘটনের দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণ করতে চান । তা ছারা লন্ডন থেকে দূরে স্কটল্যান্ড ওয়েলস আয়ারল্যান্ড এর রেস্টরেন্ট গুলার প্রতি তাহাদের ভুমিকাগুলা কি থাকে , এই সব নানা প্রশ্নে এই সংঘটনের ব্যাপারে স্বভাবতই আকর্ষণ কমতে থাকে , তাহাদের ব্যর্থতা ও দেউলিয়াপনার জন্য ই জন্ম নিয়েছে ডজন খানেক সংঘটন তাহারা ও শুধু এওয়ার্ড দিয়েই পার্টি করে কিন্তু ভিতরে ভিতরে চলে তাকার খেলা , এই সব অগোছালো অবস্তায় আসছে নির্বাচন , এই নির্বাচন কে ঘিরে যে ২ টি প্যানেল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন তাহাদের কাছে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা – ও স্টাফ সংকটের কি সমাধান রয়েছে তাও জানতে চান অনেকে , মুলত রেস্টরেন্ট গুলা ভুগছে বিশাল ইমেজ সংকটে , যাহারা খেতে যায় তাহারা পেতে চায় কারির স্বাদ ও গন্ধ , এখন এই স্বাদ পেতে হলে যে সব ট্রেইনিং এর প্রয়োজন তা একদম নাই , বাংলাদেশ ক্যাটারিং এর নাই কোন নিজস্ব স্তাপনা যেখানে ট্রেইনিং নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে আরও নাই তাহাদের জনবল , ১৯৬০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত যাহারা রেস্টরেন্ট ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য ভুমিকা নিতে পারেন নাই সামনে কি ই বা করতে পারেন তাই সবার মুখে মুখে ।

জাতীয়

মেট্রোরেল স্টেশনে সন্তান প্রসব করেছেন সোনিয়া নামের একজন মহিলা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মেট্রোরেল স্টেশনে সন্তান প্রসব করেছেন সোনিয়া নামের একজন মহিলা।মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনের ফার্স্ট এইড সেন্টারে ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন সোনিয়া রানী রায় নামে এক প্রসূতি। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টায় শিশুটির জন্ম হয়। জানা গেছে, চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় হঠাৎ মেট্রোরেলেই প্রসব বেদনা ওঠে ওই নারীর। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আগারগাঁও স্টেশনের ফার্স্ট এইড সেন্টারে রোভার স্কাউট ও মেট্রোরেলের প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীর তত্ত্বাবধানে ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি। সোনিয়া রানী দাসের স্বামী সুকান্ত সাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় নিয়মিতই ডাক্তারের কাছে চেকআপ করাতে হতো। হাসপাতলে ভর্তি করানোর জন্য এদিন বাসা থেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে মেট্রোরেলেই তার প্রসব বেদনা ওঠে। এতে মেট্রোরেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ এবং রোভার স্কাউটের নারী সদস্যদের সহযোগিতায় সেখানেই বাচ্চা প্রসব করানো হয়। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ মেট্রোরেল স্টেশনে তাৎক্ষণিকভাবে সবাই দেবদূতের মতো সহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে সুকান্ত সাহা আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করতে পারব না। সবাই তাৎক্ষণিকভাবে প্রচণ্ড রকম সহযোগিতা করেছেন। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষই আমাকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সবার প্রতি আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।’ গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। এরপর থেকে মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করছে।

জাতীয়

গনভবন থেকে ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে জি২০ জোটের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ৬ টি প্রস্তাব।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গনভবন থেকে ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে জি২০ জোটের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ৬ টি প্রস্তাব। বাংলাদেশ ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর একটি দেশ। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’—এই ধারণার আওতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য জি২০-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানাই। সামনে প্রধানমন্ত্রীর টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য জি২০ জোটকে ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ভয়েস অব দ্য সাউথ সামিট ২০২৩’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে (ইন্যাগুরাল লিডারস সেশন) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ প্রস্তাব দেন তিনি। টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত. মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত. একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রয়োজন, যা এসডিজির সমান্তরালে সামগ্রিকভাবে বৈষম্যকে মোকাবিলা করবে। তৃতীয়ত. স্বল্পোন্নত দেশ, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ অর্থায়নের প্রয়োজন, তাদের উত্তরণের সময় এটি পূরণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, “চতুর্থত. নারীসহ সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ‘ডিজিটাল ডিভাইস’ সেতুবন্ধন রচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনিয়োগ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা নিন। যার জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সমর্থন অত্যাবশ্যক। পঞ্চমত. সব মানুষেরই ভালোভাবে জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। বৈশ্বিক সম্প্রদায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের বিষয়টি যেন ভুলে না যায়। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতিকে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপট) বিবেচনায় নিয়ে একটি ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।’ এই সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এই সম্মেলন বিশ্বজুড়ে তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এক অনন্য সুযোগ করে দেবে। বাংলাদেশ ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর একটি দেশ। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত’—এই ধারণার আওতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য জি২০-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানাই। আসুন, আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং একটি উন্নত বিশ্বের জন্য একসঙ্গে কাজ করি।” তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ভুলবেন না। বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাউথ-সাউথ ও ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করুন। এখানে অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত, থিঙ্কট্যাঙ্ক এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি এবং নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী মন্দা, খাদ্য, জ্বালানি ও সারের সংকট জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে যুক্ত করে মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিশ্বস্তরে সাহসী, দৃঢ় এবং সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। মাত্র এক দশকে মাথাপিছু আয় তিন গুণ হয়েছে। বাংলাদেশ এলডিসি স্তর থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য সব শর্ত পূরণ করেছে। এটি সন্তোষজনক যে বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম সেরা কোভিড প্রতিরোধী দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার সেরা পারফরমার হিসেবে স্থান পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে উন্নত ভৌত অবকাঠামো দিয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আকাঙ্ক্ষা রাখি। খুব শিগগির আমরা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ শেষ করব, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।”

জাতীয়

১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে জনতার কাতারে আসার আহবান জানিয়েছেন – গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে জনতার কাতারে আসার আহবান জানিয়েছেন – গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে মাফ চেয়ে জনতার কাতারে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বলেছেন, সরকার ফ্যাসিবাদের যত উপকরণ আছে সব জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ১০ দফা দাবি আদায় করে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। শেয়ার মার্কেট, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎখাত সকল দেশের সকল খাতে ব্যাপক হাতে চুরি হয়েছে। পদ্মাসেতু সহ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগনের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশ আজ বির্পস্ত। আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র চায়না। তারা শুধু ক্ষমতা চায়। বিএনপি জনগনকে নিয়ে মাঠে থাকবে, আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন হতে পারে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন না। আওয়ামীলীগের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না বিএনপি। বুধবার দুপুরে সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে অবস্থান কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন, ফ্যাসিস্ট, দুর্ণীতিবাজ, গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সহ ১০ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১১টায় সিলেট রেজিষ্ট্রারী মাঠে শুরু হওয়া এই গণ অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ডাক্তার শাখাওয়াত হাসান জীবন। এসময় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি। ভারতের কাছে আওয়ামীলীগকে টিকিয়ে রাখার অনুরোধ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এজন দ্বায়িত্বশীল মন্ত্রীর পক্ষে এসব কথা মানানসই নয়। কতবড় বেকুব হলে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরকম বক্তব্য দেন। তারা ভারতের সাথে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই সম্পর্ক রাখে। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি। বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় দলনেতা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আদাল বলেন, ছাগল চুরি, গরু চুরি, কয়লা চুরি, বিদ্যুৎ চুরি সহ রিজার্ভ চুরি, ব্যাংক চুরি সহ সব চুরির সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত। আওয়ামী লীগ এখন সব চুরের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমরা নিত্যপণ্য, বিদ্যুৎ, তেল গ্যাস কমানোর জন্য বার বার বলছি। সারের দাম কি পরিমান বাড়ছে, এখান আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরালে দেশের মানুষ বাঁচতে পারবে না। এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে। তাই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। স্বাগত বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা এর মধ্যেই আবার তারা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে। বিএনপি জনগনের দল, তাই জনগনের ন্যায্য দাবী আদায় করার জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। অতিতের মত দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির সাথে আছে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন কালে সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানান। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গৌছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ ক্ষুদ্রঋণ ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান প্রমূখ। এসময় সিলেট বিভাগে চার জেলা বিএনপি, সিলেট মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা।

Scroll to Top