জানুয়ারি ১১, ২০২৩

জাতীয়

সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার কে উত্খাত করার শক্তি কাহারও হয়নি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার কে উত্খাত করার শক্তি কাহারও হয়নি। আ.লীগ সরকারকে উৎখাতের মতো শক্তি দেশে তৈরি হয়নি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমূলক। কোথায় কত টাকা দুর্নীতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে এমন কোনো শক্তি তৈরি হয়নি যে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে পারে। এই দলের শিকড় অনেক গভীরে। একই সঙ্গে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেছেন, কোথায় কত টাকা দুর্নীতি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলতে হবে। তাহলে তিনি এর জবাব দেবেন। গতকাল বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর–পর্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্ম ক্ষমতা দখলকারী কোন মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে হয়নি। আওয়ামী লীগের জন্ম এ দেশের মাটি ও মানুষ থেকে। কাজেই আমাদের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। আগামী দিনে সরকার গঠন করলে লক্ষ্য হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’: সংসদে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইয়াহিয়া, আইয়ুব খান, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে প্রশ্নকর্তাকে আরেকটি এক–এগারো নিয়ে চিন্তা না করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এটুকু বলতে পারি। ঘাবড়াবেন না, আমরা আছি না? কোনো চিন্তা নেই।’ প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন মোকাব্বির খান। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই কেবল দায়ী নয়। আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা, মেগা প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লুটপাট এবং বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টালের ইনডেমনিটি—এমন অনেক কিছুই দায়ী। ডলার–সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন–জীবিকা আজ দুর্বিষহ। বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা নিয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বিগত বছরে ইনডেমনিটির সুযোগ নিয়ে যেসব কুইক রেন্টাল হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা লুটেছে, তাদের ওপর ৫০ শতাংশ ‘উইন্ডফিল্ড ট্যাক্স’ আরোপ করা হবে কি না। কোথায় কত দুর্নীতি হয়েছে স্পষ্ট বলতে হবে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমাদের সংসদ সদস্য বিরোধী দলে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যেসব অভিযোগ তিনি এনেছেন, তা সম্পূর্ণ অমূলক। তিনি মেগা প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছেন। এই মেগা প্রকল্পের সুবিধাভোগী কারা? এ দেশের সাধারণ মানুষ। পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আমরা করেছি। মেট্রোরেল, এটাও সাধারণ মানুষের যোগাযোগের জন্য। এটা সাধারণ মানুষ ভোগ করছে।’ পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। কানাডার ফেডারেল কোর্টের মামলার রায়েই বলা হয়েছে, সব অভিযোগ মিথ্যা। কুইক রেন্টাল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো করার কারণে মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখানে দুর্নীতি হলে এত বিদ্যুৎ দিতে পারার কথা ছিল না।

জাতীয়

পুলিশের ও আমলাদের উপর ভিত্তি করে ক্ষমতায় ঠিকে আছে সরকার –ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পুলিশের ও আমলাদের উপর ভিত্তি করে ক্ষমতায় ঠিকে আছে সরকার –ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুলিশ ও আমলাদের ওপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে সকাল ১০টার দিকে এই গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়ে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে শেষ হয়। ফ্যাসিস্ট, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, ১০ দফা দাবি ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি’তে এ গণ-অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচয় দেয়। আমরাও জানি, আওয়ামী লীগ পুরোনো পরিচিত দল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন সম্পূর্ণভাবে তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। তারা এখন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেজন্য এখন তাদেরকে পুলিশ ও আমলাদের ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে জোর করে দখল করে রাখতে হচ্ছে। আন্দোলন শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে নয় এই আন্দোলন শুরু হয়েছে যখন এ সরকার বেআইনিভাবে দুই-দুইবার ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, এই সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আমরা কি সেটি হতে দেবো? তখন প্রতিউত্তরে কর্মীরা বলেন, না। আবার তিনি বলেন, আমরা কি এখানে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে দেবো? কর্মীরা বলেন, না। তখন ফখরুল বলেন, সেজন্য আমাদের আরও বেশি করে জেগে উঠতে হবে। আপনারা জেগে উঠেছেন। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এখন সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদেরকে জাগিয়ে তুলে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুসংবাদ হচ্ছে এটাই যে, আজকে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও সুশীল সমাজ এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন। আজকে যে অন্যায় হচ্ছে তার বিরুদ্ধে তারা বাংলাদেশের বরেণ্য নাগরিক ৬০ জন বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আর এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিপরায়ণ, জনবিচ্ছিন্ন ও নির্যাতনকারী সরকার হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতাকে দখল করে রেখেছে। চলমান এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন নিহত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ফরিদপুরে যে গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলছিল, সেখানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা হামলা করে সেই মিটিং পণ্ড করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশ গুলি চালিয়েছে, অনেক লোকজন আহত হয়েছে। আর ময়মনসিংহে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। কর্মসূচির শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা উদ্যোগে দলীয় সংগীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গান পরিবেশন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টার পর থেকে রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করেন। গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বিএনপির কার্যালয় থেকে পূর্ব দিকে ফকিরাপুল ও পশ্চিম দিকে নাইটিংগেল মোড় ছাড়িয়ে যায়। তাদের হাতে ছিল কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা। অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ডা. জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ আরও অনেকে

জাতীয়

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা মজুতদারি, কালোবাজারি এবং এলসি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সামনেও নেব। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষের কষ্ট যেন না হয়, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ঘোষণা দেন। সরকারদলীয় আরেক সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটোর এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি মজুতদারি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা চাই রোজার মাসে মানুষ যাতে কষ্ট না পায়। কেউ মজুদ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে খাদ্যের দারুণ অভাব দেখা দেবে, যার কিছু আভাস আমরা পাচ্ছি। তবে আমাদের খাদ্য চাহিদা যেন আমাদের নিজেদের আওতায় রাখতে পারি সেই উদোগ আমরা নিয়েছি। আমি উৎপাদন বাড়াতে, কোনো জমি যাতে পড়ে না থাকে, যে যা পারে উৎপাদন করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষ সাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রোজা বা উৎসবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিশ্বের কোথাও উৎসবের সময় জিনিসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা হয় না। কিছু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চাহিদা বাড়ানোর চেষ্টা করতে চায়।

জাতীয়

ওমরা হজ্ব পালন শেষ করে দেশে গিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে — ভিপি নূর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ওমরা হজ্ব পালন শেষ করে দেশে গিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে — ভিপি নূর। ইসরাইল রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির কিংবা তাদের অন্য কারো সঙ্গে কোনো মিটিং হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বুধবার দেশে ফিরে নিজ দলীয় কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যদিয়ে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নাই। আমার সাথে মেন্দি এন সাফাদির কিংবা ইসরাইলের কোন গোয়েন্দা সংস্থার কারো সাথে মিটিং হয় নাই। বরং আপনাদের প্রশ্ন করা উচিত বাংলাদেশের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার-এনটিএমসি ইসরাইল থেকে যে গোয়েন্দা নজরদারি ডিভাইস কিনেছে সেটি তারা কিভাবে করেছে। ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটা গুরুতর ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রটি ছিল আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে আমি যেন দেশে আসতে না পারি তার একটি বন্দোবস্ত করতে চেয়েছিল। তারা এই ষড়যন্ত্র করে তাদের নিয়ন্ত্রিত ও তাদের অনুগত মিডিয়ার মাধ্যমে আমার বক্তব্য না নিয়ে প্রতিনিয়ত সিরিজ প্রতিবেদন করে তারা প্ররোচনা চালিয়েছে। আমি খুব বিষ্মিত হয়েছি

আন্তর্জাতিক

সাইবার হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০ ফ্লাইট বাতিল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সাইবার হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০ ফ্লাইট বাতিল। সাইবার হামলার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১ হাজার ২০০টি ফ্লাইট বিলম্বিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাতিল করা হয়েছে ৯১টি ফ্লাইট। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট অ্যাওয়ারের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আজ বুধবার এ তথ্য জানায়। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, এ ঘটনায় সাইবার হামলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এক টুইট বার্তায় হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় পাইলটদের ফ্লাইট পরিচালনা করা বিপজ্জনক। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স জানায়, অস্থায়ীভাবে তাদের সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিলম্বিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এফএএ থেকে হালনাগাদ কোনো তথ্য পেলে জানানো হবে। অস্টিন-বার্গস্ট্রম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট টুইটারে বলেছে, আগমন ও প্রস্থানের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের আজ সারা দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। এদিকে দ্রুত ত্রুটি সারিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা ব্যবস্থা পুনরায় স্বাভাবিক করতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।

জাতীয়

আবার ক্ষমতায় এলে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট অর্থনীতি,স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি উপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশে গড়বো। প্রধানমন্ত্রী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আবার ক্ষমতায় এলে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট অর্থনীতি,স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি উপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশে গড়বো। প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল যদি আবার সরকার গঠন করতে পারে তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামকে একটি জনপদ এবং দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত করবো। বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানন্ত্রী বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্বপ্ন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ‘নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮: সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ যা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে ‘২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ’ এবং ‘নিরাপদ ব-দ্বীপ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনার রূপরেখা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশের যাত্রার প্রথম ধাপ হিসাবে দেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে যেখানে মাথাপিছু গড় আয় পাঁচ হাজার ৯০৬ ডলারের বেশি হবে এবং বাংলাদেশ ২০৪১ সালে মাথাপিছু ১২ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি আয়সহ একটি উন্নত দেশ হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২৫ শতাংশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৫ সালে এই হার ৮.৫১, ২০৩১ সালে ৯.০ এবং ২০৪১ সালে ৯.৯-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এছাড়া রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, যে পরিকল্পনাগুলো এখন বিবেচনাধীন রয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে ভিশন-২০৪১-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১, স্মার্ট ডেল্টা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। (২০২৬-২০৩০), দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০৩১-২০৩৫) এবং ১১তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০৩৬-২০৪০)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রচারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে। ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প গড়ে তোলা হবে। সড়ক, সমুদ্র, রেল ও বিমান যোগাযোগের জন্য গৃহীত সকল প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ওপর জোর দিয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের জন্য নতুন বিদেশি বাজার খোঁজার মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইসের উৎপাদন এবং ডিভাইসের নিজস্ব বাজার সম্প্রসারণ করা হবে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানুষের মৌলিক চাহিদা- বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সব মানুষের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা হবে। এছাড়া প্রতিটি গ্রামকে জনপদে রূপান্তর করে একটি উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে যথাসময়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।

জাতীয়

আজ সেই ১/১১ (ওয়ান ইলেভেন)আজ ১১ জানুয়ারি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ সেই ১/১১ (ওয়ান ইলেভেন) আজ ১১ জানুয়ারি। ২০০৭ সালের এই দিনে আবির্ভাব ঘটেছিল কথিত ওয়ান ইলেভেনের। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনানিয়ন্ত্রিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’। পরবর্তী সময়ে এটিকে ‘ওয়ান ইলেভেন’ কিংবা ‘১/১১’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। কীভাবে কী ঘটেছিল সেদিন? দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। দিনভরই চারদিকে ছিল নানা গুজব, গুঞ্জন। সার্বিক পরিস্থিতি ছিল থমথমে। এই অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফর উল্যাহ এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল যোগ দেন কানাডিয়ান হাইকমিশনারের বাসায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে। কূটনীতিকদের মধ্যে সেই বৈঠকে ছিলেন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার ডগলাস ফসকেট, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইনোওয়ে মাসাইয়েকি, ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) ডেলিগেশনের প্রধান রাষ্ট্রদূত ড. স্টিফান ফ্রোইন ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রেনাটা ডেজালিয়েন। বিকাল পৌনে ৫টায় বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান তারা। কানাডিয়ান হাইকমিশনারের বাসা থেকে  বেরিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা সরাসরি চলে যান দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির সুধাসদনের বাসায়। আওয়ামী লীগের নেতারা বের হওয়ার আধা ঘণ্টা পর বিকাল সোয়া ৫টার দিকে কানাডিয়ান হাইকমিশনারের বাসায় কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। এর নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। বৈঠক শেষে তারাও মুখ খোলেননি। তারা  সোজা চলে যান গুলশানের হাওয়া ভবনে। সেখানে তারা বৈঠক করেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে তার বারিধারার বাসায় বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। কূটনীতিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বৈঠকের আগে তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ দুপুর ১২টায় বৈঠক করেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে। এতে কমিটির সদস্যরা ছাড়াও সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের পরপরই রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্যদিকে বিকাল সাড়ে ৪টায় উপদেষ্টা পরিষদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হয়। দুই-এক জন ছাড়া উপদেষ্টাদের প্রায় সবাই বঙ্গভবনে গিয়ে বৈঠক বাতিলের খবরে ফিরে আসেন। বঙ্গভবনের বৈঠক শেষে তৎকালীন বিমানবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‍্যাব, বিডিআরসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে সেনাসদরে  বৈঠক করেন তখনকার সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। রাত সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনে পুনরায় ডাকা হয় উপদেষ্টাদের। উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে উপদেষ্টাদের অবহিত করা হয়। এ সময় উপদেষ্টাদের সবাইকে পদত্যাগের অনুরোধ জানানো হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন। একই সঙ্গে উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ড. ফখরুদ্দিন আহমদকে। তিনি নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন। এসব নাটকীয় ঘটনা ও টানটান উত্তেজনা-উদ্বেগের মধ্যেই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বিপন্ন এবং বিপদের সম্মুখীন হওয়ায় রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর হবে।’ একই সঙ্গে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা শহরে কারফিউ বলবৎ থাকার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। এরপর নানা উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার মধ্যে রাত সাড়ে ১১টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, একই সঙ্গে দুটি দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। এই অবস্থায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করতে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাতে সরকারের তথ্য অধিদপ্তর থেকে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোকে রাজনৈতিক সংবাদ ও সরকারের সমালোচনামূলক সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়। তাত্ক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল টিভি চ্যানেলের খবর ও টকশো।

Scroll to Top