জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারে অস্ত্র সরবরাহ করতেন জঙ্গিরা।
বিলেতের আয়না ডেক্স :- জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারে অস্ত্র সরবরাহ করতেন জঙ্গিরা। নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহকারীসহ ৩ জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে। টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করতেন কবীর আহাম্মদ। এভাবে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠেন বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সিটিটিসির হাতে গ্রেফতার অন্য দুজন হলেন শারক্বীয়া তৈরির ‘মাস্টারমাইন্ড’ পলাতক শামীম মাহফুজের অন্যতম সহযোগী ইয়াসিন ও আবদুর রহমান ইমরান। রোববার তিনজনকে গ্রেফতারের পর সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান জানিয়েছেন, রোববার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে কবীরকে এবং কদমতলী থেকে ইয়াসিন ও আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। কবীরের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় পিস্তল, ছয়টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, ১৪০ রাউন্ড সিসার তৈরি গুলি এবং আইইডি তৈরির কাঁচামাল ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম তুহিন ও নাঈম হোসেনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসাবে কবীরকে শনাক্ত করে সিটিটিসি। পরে তাকে বান্দরবান থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে লুকানো ২টি প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবীরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কবীর জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল এবং উদ্ধার করা অস্ত্রের কিছু অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অস্ত্র মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে পরিচিত পলাতক আসামি শামিন মাহফুজ দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সংগঠনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধাপে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে কবীর আহাম্মদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কদমতলী থেকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আরও দুই সক্রিয় সদস্য ইয়াসিন ও আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ইয়াসিন ও আব্দুর রহমান জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সক্রিয় সদস্য। তারা উভয়েই পলাতক আসামি শামিন মাহফুজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আব্দুর রহমান ইমরানের মাধ্যমে শামিন মাহফুজ বিভিন্ন সময় তার সংগঠনের অর্থ লেনদেন করত বলে জানা গেছে। এছাড়া ইয়াসিন বিভিন্ন সময়ে শামিন মাহফুজের জন্য শেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনাসহ সংগঠনের উগ্রবাদী আদর্শে দীক্ষিত হয়ে কথিত হিজরতে গমনকারীদের জন্য ব্যবহৃত শেল্টার হাউজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন। সিটিটিসি প্রধান জানান, ডিএমপির সিটিটিসি’র সিটি ইন্টেলিজেন্স এনালাইসিস ডিভিশন এ অভিযানটি পরিচালনা করে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে।