জানুয়ারি ১০, ২০২৩

জাতীয়

কলকাতায় দুই ব্যাপী সিলেট উত্সব শেষ হলো।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কলকাতায় দুই ব্যাপী সিলেট উত্সব শেষ হলো। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপী “কলকাতা সিলেট উৎসব ২০২৩”। দক্ষিণ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এবং অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ শ্রীহট্ট সম্মিলনীজ’র সহযোগিতায় দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক ক্লাবের পূজা মন্ডপ প্রাঙ্গণে ৭ ও ৮ জানুয়ারি কেপিসি গ্লোবাল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী সিলেটীরা এই উৎসবে অংশ নেন। গত (৭ জানুয়ারি) শনিবার মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে সিলেট উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক। অপরদিকে গত রবিবার রাত ১১ টায় বন ফায়ারের মধ্যদিয়ে শেষ হয় এই প্রানের উৎসব। অনুষ্ঠানমালায় উপস্থিত ছিলেন, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, বাংলাদেশী প্রখ্যাত স্থপতি-লেখক-নাট্যকার-তথ্যচিত্র নির্মাতা-বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত শাকুর মজিদ, অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ শ্রীহট্ট সম্মিলনীজ এর সভাপতি শ্রীমতী কৃষ্ণা দাশ, সাধারণ সম্পাদক মলয় পুরোকায়স্থ, সাংবাদিক বিকচ চৌধুরী, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী উত্তরা চৌধুরী, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান আর.কে ধর, দক্ষিণ কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী নির্মল সেন চৌধুরী, সভাপতি প্রদোষ রঞ্জন দে, সাধারণ সম্পাদক বাপ্পু এন্দো, সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা দীপ্তা দে, জার্মানী প্রবাসী সাকি চৌধুরী সহ অনেকেই। দুইদিনব্যাপী এই প্রানের উৎসবে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, মেলা, আলোচনা সভা, সেমিনার, বাংলাদেশ সন্ধ্যা, গুণীজন সংবর্ধনা, নির্মলেন্দু চৌধুরী ও অমর পালের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ সেমিনার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রখ্যাত শিল্পীবৃন্দ। গান পরিবেশন করেন অলোক রায় চৌধুরী, লাভলী দেব, প্রাণেশ সোম, বাউলা দীপু, তুলিকা চৌধুরী, তপন রায়, রাজু চক্রবর্তী, সুরমা পিয়াসী’র মহাশ্বেতা বোস, শর্মিষ্ঠা রায়, অন্বেষা, শ্রীভূমির জবা দত্ত মন্ডল, অনামিকা দেব, মধুমিতা দাশগুপ্ত, শর্মিষ্ঠা রায়, অপর্ণা বণিক, দীপিকা সেন চৌধুরী, পাপিয়া রায়, রুমা দেব, শান্তা দেব, দোলা দাস পুরকায়স্থ, স্বরাজ ভট্টাচার্য্য, গৌতম চক্রবর্তী, সর্বাণী ভট্টাচার্য্য, দেবদাস চৌধুরী, কল্যাণী ধাম, মৈত্রেয়ী ধামসহ শ্রীভূমি, মাদল, পিয়াসী, করিমগঞ্জ শ্রীহট্ট সম্মিলনী ও শিলচর শ্রীহট্ট সম্মিলনীর শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিলচরের রুপসা কর্মকার এবং শ্রীভূমির রতœাদ্বীপা চৌধুরী, সুবর্ণিতা, শালিনী চৌধুরী, ঈশানী চৌধুরী, অন্বেষা দাস। সন্ধ্যায় মীরাক্কেলের প্রথম বিজয়ী তপন দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীতায় উপস্থিত সকলের মাঝে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন কুইজের প্রশ্ন করা হয় এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়। শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা নয় উৎসবে পাওয়া যায় সিলেটি রান্নার বিভিন্ন পদ আস্বাদ করার সুযোগ। এছাড়াও ছিলো সিলেটের ঐতিহ্যবাহি মনিপুরি তাঁত সহ নানা বস্ত্র ও পণ্য সামগ্রির কেনাকাটার সুযোগ। উৎসবের এই দুই দিন কলকাতার বুকে উঠে আসে মিনি সিলেট।

আন্তর্জাতিক

প্রিন্স হ্যারির স্মৃতি কথা ” স্পেয়ার” ১৬টি ভাষায় প্রকাশিত ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রিন্স হ্যারির স্মৃতি কথা ” স্পেয়ার” ১৬টি ভাষায় প্রকাশিত । ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যাওয়া প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ অবশেষে পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক মাস অপেক্ষা এবং তীব্র প্রচারণার পর, প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হয়েছে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবদনে বলা হয়, এটি বাজারে আসার আগে, বইটিতে প্রিন্স হ্যারি সম্পর্কে তথ্য নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ হয়েছিল। বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পর, পাঠকদের ভিড় সামলাতে লন্ডনের বইয়ের দোকানগুলো মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকতে হয়েছে। প্রিন্স হ্যারির বইটি ১৬টি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। স্পেয়ার’ গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি প্রি-অর্ডার করা বইয়ের তালিকায়ও প্রবেশ করেছে। প্রিন্স হ্যারি এই বইতে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, ৪১৬ পৃষ্ঠার বইটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তার স্মৃতিকথায় ব্রিটিশ রাজপরিবারের দ্বন্দ্বের বিস্ফোরক বিবরণ প্রকাশ করার পাশাপাশি, সাসেক্সের ডিউক সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সময় ২৫ জন আফগান নাগরিককে হত্যার ঘটনাও প্রকাশ করেছিলেন। প্রিন্স হ্যারি তার বইতে আরও লিখেছেন, তিনি ও মেগান শীঘ্রই একটি সন্তান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাজ আর ব্যস্ততার কারণে সময়টা তাদের জন্য সঠিক ছিল না। এক পর্যায়ে দম্পতি মেগানের ওজন হ্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। মূলত বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে মেগানের জন্য গর্ভধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। মেগান মার্কেলকে কেন্দ্র করে প্রিন্স হ্যারিকে মারধর করেন তার বড় ভাই উইলিয়াম, এমনটাও ওই বইতে জানিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। উইলিয়াম তাকে কলার ধরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে দম্পতি মেগানের ওজন হ্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। মেগান ২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ে করেছিলেন। নিজের থেকে তিন বছরের বড় আমেরিকান অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করার পর প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে আলোচনা ভিন্ন রূপ নেয়। প্রিন্স হ্যারি ও মেগান ২০২০ সালের শুরুর দিকে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করেছিলেন। তাদের প্রাসাদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বকে নাড়া দেয়। রাজপরিবার ছেড়ে তারা প্রথমে কানাডায় যান। তারপর লস অ্যাঞ্জেলেসে যান। তাদের ঘরে দু সন্তান রয়েছে।

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে আমার কোন বাড়ি নেই সব ডাহা মিথ্যা _—ওয়াসা এমডি ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাষ্ট্রে আমার কোন বাড়ি নেই সব ডাহা মিথ্যা _—ওয়াসা এমডি । দেশ থেকে টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বিলাসবহুল বাড়ি কেনার তথ্যকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমার ১৪টি বাড়ি কেনার তথ্য দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই। এই ১৪ বাড়ির মধ্যে শুধু একটি আমার স্ত্রীর কেনা। বাকি কোনোটিই আমাদের নয়। তবে ১৪টি বাড়ির মধ্যে ৫টিতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছে। আজ কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। তাকসিম এ খান বলেন, আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনা খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামেই ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকেও বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট। ওয়াসার এমডি বলেন, বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি বা পাচ্ছে না তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াসার এমডি তাকসিমের ১৪ বাড়ি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর তার ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।

জাতীয়

খুলনার দাকোপে মৎস্য অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে ১২ হাজার মিটার জাল বিনিষ্ট

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মনিরুল ইসলাম মনি খুলনা জেলা প্রতিনিধি খুলনার দাকোপে মৎস্য অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে ১২ হাজার মিটার জাল বিনিষ্ট মনিরুল ইসলাম মনি খুলনার দাকোপে মৎস্য অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে ১২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল বিনিষ্ট করা হয়। ১০/০১/২০২৩ তাং খ্রি. বিশেষ কম্বিং অপারেশন ২০২৩ এর ৭ম দিনে শিবসা নদীতে বাংলাদেশ নৌ পুলিশের সমন্বয়ে,অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে ২ টি বেহুন্দি জাল ও ১২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়।বিশেষ মৎস্য অভিযানের নেতৃত্বদেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ সেলিম সুলতান।

জাতীয়

রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দ রুহুল কুদ্দুছ শাহ্ আল মাইজভান্ডারী (রাঃ) ৪৬ তম ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত..

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কামরুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দ রুহুল কুদ্দুছ শাহ্ আল মাইজভান্ডারী (রাঃ) ৪৬ তম ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত.. রাঙ্গুনিয়ায় শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ রুহুল কুদ্দুস শাহ আল-মাইজভান্ডারী (রাঃ) এর ৪৬তম ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ই জানুয়ারী ২৫শে পৌষ রোজঃ সোমবার সারাদিন ব্যাপি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর ইউনিয়নে রুহুল ভান্ডার দরবারে ধর্মীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ওরশ মোবারকে আজিমুশশান মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রুহুল ভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত সৈয়দ মাওলানা শফিউল বসর নঈমী আল মাইজভান্ডারী মাঃজিঃআ এর সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধক ছিলেন ইছামতী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার,  প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোমদন্ডী দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ আহমদুল হক আল মাইজভান্ডারী মাঃজিঃআ, এবং এতে ওয়ায়েজীন হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা করিম শাহ নঈমী, মাওলানা এরশাদ হোসাইন আল-কাদেরী মাওলানা ইসমাইল হোসেন কাদেরী মাঃজিঃআ। উক্ত ওরশ মোবারকে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতী ৯নং ওয়ার্ডের সম্মানিত কমিশনার জনাব ওমর ফারুক তালুকদার,  এবং এ কাদের কনস্ট্রাকশন লিঃ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব তৌহিদুল ইসলাম ফাহিম আল মাইজভান্ডারী। উক্ত ওরশ মোবারকে দুর-দুরান্তে থেকে আসা আশেকে ভক্তদের নিয়ে আখেরী মোনাজাত ও তবোরুক বিতরণের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ এর শান্তি কামনার মাধ্যমে শেষ হয়।

জাতীয়

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন গাইবান্ধা -৫ আসনের এমপি রিপন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন গাইবান্ধা -৫ আসনের এমপি রিপন। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন রিপন একাদশ জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী মাহমুদ হাসান রিপন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তাকে বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মঙ্গলবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম। জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি’র মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি ও ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি উপস্থিত ছিলেন। শপথ গ্রহণ শেষে মাহমুদ হাসান এমপি রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এর পর অংশ নেন মোনাজাতে পরে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে লায়ালপুর শহরের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন শেখ মুজিব। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডনে যান। এর পর দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফেরেন।

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। দেশকে ভালোবাসতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে অন্তরে লাগল করতে হবে– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই বাঙালির জন্য কিছু করে গেছেন। আমরা এ দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি তার কাছ থেকেই। তিনিই আমাদের সে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র পাঁচ বছর সময় পেয়েছিলেন। আর কয়েকটি বছর যদি তিনি সময় পেতেন, বাংলাদেশ ১০ বছরের মধ্যেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠত। বঙ্গবন্ধু হত্যায় পরিবারের চেয়ে দেশের মানুষের বেশি ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন সম্পূর্ণ হয়। বাংলার মাটিতে ফিরেই বঙ্গবন্ধু ফিরে যান দেশের মানুষের কাছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ধরনা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের চাপেই ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের একটি কারাগারে নিয়ে বন্দি করে রেখেছিল। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়েছিল। এমনকি জেলাখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান তিনি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে কথাগুলো বলেছিলেন পরে একে একে সব করেছিলেন তিনি। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সংবিধান দিতে ১১ বছর লেগেছিল। ধাক্বা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেলে দেয়া সহজ নয় বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খুব একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল ১০ তারিখ (১০ ডিসেম্বর) নিয়ে। এতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখ চলে গেল গোলাপবাগে। সেটা আমি বলতে চাই না। এখন আবার বলছে ১১ তারিখ থেকে তারা আন্দোলন করবে। আবার সঙ্গে জুটে গেছে অতি বাম, অতি ডান। সব অতিরা এক জায়গায় হয়ে, আতি-পাতি নেতা হয়ে নাকি একেবারে ক্ষমতা থেকে আমাদের উৎখাত করবে। শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা আমি বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিল আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেল এতো সহজ না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধ ক্ষমতাকে বা কেউ যদি ভোট চুরি করে তাকে ক্ষমতা থেকে হটানো সেটা আওয়ামী লীগ পারে- এটা আমরা বার বার প্রমাণ করেছি। আমরা নিজের দলে গণতন্ত্রের চর্চা করি। দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করি। ‘ক্ষমতায় আসার পর জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে, আর্থ-সামাজিক উন্নতি করে জনগণের কল্যাণ সাধন করেছি বলেই আজ জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। কাজেই আওয়ামী লীগের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কিছু মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অধীনে দুই-দুইটি নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আর ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচন। দুটি নির্বাচনই তো বাতিল করতে বাধ্য হয়। জনগণের ভোট চুরি করার ফলে জনগণই তাদের বিতাড়িত করে। বার বার যারা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত ও বিতাড়িত, তারা গণতন্ত্রটা চর্চা করল কবে?

জাতীয়

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর হত্যা মামলার আসামি বুশরা জামিনে মুক্ত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর হত্যা মামলার আসামি বুশরা জামিনে মুক্ত। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার আসামি বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা জামিনে মুক্তি পেলেন। দুপুরে মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কারা ফটক ত্যাগ করেন বুশরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে দুই মাস আগে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত রোববার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতারের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ফারদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

জাতীয়

আজ ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারী। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ ই জানুয়ারী এইদিনে তিনি পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালি জাতির জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্মরণীয় দিন। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডনে যান। তারপর দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন মুক্তির মহানায়ক। সেদিন বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকেল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। স্বয়ং জাতির জনক তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’। সেই থেকে দিনটি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়। জীবনমৃত্যুর কঠিন চ্যালেঞ্জের ভয়ঙ্কর অধ্যায় পার হয়ে সারাজীবনের স্বপ্ন, সাধনা ও নেতৃত্বের ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মহান এ নেতার প্রত্যাবর্তন স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। এ কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলার বিজয়। তাই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। আজকের এ দিনে তিনি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক কালজয়ী মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পায়। আমাদের মহান নেতার আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন— ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়ন শুরু করে। লাখ লাখ নিরীহ বাঙালির ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায় তারা। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটকে রাখে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসতে চান। ওই সময়ের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো তাকে তেহরান বা অন্য কোনো এয়ারলাইন্স বেছে নিতে বললে তিনি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে আসার সিদ্ধান্ত নেন। লন্ডন পৌঁছে তিনি বিবিসিতে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে একটি ভাষণ দেন। তিনি যখন ভরাট কণ্ঠে তার সুস্থতার কথা জানান, ঠিক সেই মুহূর্তটিতে লাখ লাখ বাঙালি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তখনও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ব্রিটিশ বিরোধী দলীয় নেতা হ্যারাল্ড উইলসনও তাকে স্বাগত জানাতে সাক্ষাৎ করেন। তাকে দেয়া হয় রাষ্ট্রীয় অতিথির মর্যাদা। লন্ডন থেকে দিল্লিতে পৌঁছান অবিস্মরণীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র দেশবাসী তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য ভারতবাসী ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এরপর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তিনি পা রাখেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত লাখ লাখ বাঙালি সেই মুহূর্তে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন প্রিয় নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরে পেয়ে। পুরো দেশই তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিল, তার কিছুটা চিত্র ধরা পড়ে তেজগাঁও বিমানবন্দরে। জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠা বিমানবন্দর যেন বাংলার আকাশ-বাতাসকেই প্রতিনিধিত্ব করছিল। পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ সেই মুহূর্তে অবিস্মরণীয় এই নেতাকে গ্রহণ করতে অংশ নিয়েছিলেন। মহান এই নেতাকে একটু ছুঁয়ে দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকুলতা কাজ করছিল। তাকে বহনকারী ট্রাকটিও সে সময় ফুলে ফুলে ভরে গিয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যার সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জনতার উদ্দেশে দেয়া প্রথম সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। সেদিন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাব।’ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের মাত্র তিন বছর সাত মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কুচক্রি মহলের চক্রান্তে সপরিবারে নিহত হন তিনি। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শোধ করে যান সেই ঋণ।

Scroll to Top