দীর্ঘ একমাসপর জামিনে মুক্ত ফখরুল-আব্বাস
বিলেতের আয়না ডেক্স :- দীর্ঘ একমাসপর জামিনে মুক্ত ফখরুল-আব্বাস দীর্ঘ এক মাস কারাভোগের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামিনে মুক্ত হয়েছেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি জানান, সন্ধ্যা ছয়টায় তারা জেল থেকে বের হয়ে অপেক্ষায় থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এ সময় শত শত নেতাকর্মী মিছিল করেন। এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামিন আদেশের নথিপত্র কারাগারে পৌঁছায়। তাদের জামিননামার কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে দেখার পর মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত রবিবার মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষ সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে ৪ জানুয়ারি চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিপক্ষকে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করতে নিষেধ করা হয়। প্রসঙ্গত, ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ‘পুলিশের ওপর হামলায়’ দলীয় নেতাকর্মীকে ‘উস্কানি’ দেওয়ার মামলায় এই দুই বিএনপি নেতাসহ ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় চারটি মামলা করে পুলিশ। তবে মির্জা ফখরুল বা মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না ওই মামলাগুলোয়। অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের পর গত ৯ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।