জানুয়ারি ৪, ২০২৩

জাতীয়

আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আপনাদের ওয়েস্ট মিনিস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। যুক্তরাজ্য থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের। সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতো এবং রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করতো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ভোজ্যতেল আসতো। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এ আইটেমগুলোর আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এ জিনিসগুলোর মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবো।’ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বৈঠকে ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা এ উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। ব্রিটিশ এমপিরা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করেন তারা। ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে তারা বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়। তারা উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানান ইহসানুল করিম। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আন্তরিক এবং নিজস্ব সম্পদ দিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ এবং ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

প্রবাসীদের হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রবাসীদের হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা অনুরোধ করব, এখন যারা রেমিট্যান্স পাঠায়, তারা যেন হুন্ডিতে না পাঠিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠায়, সেই ব্যবস্থাটা করা। প্রবাসীদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তো অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়, তারা কিন্তু সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে। সে জন্য পার্টনার খুঁজে নিয়ে এলে আরও ভালো হয়। বিনিয়োগ যত আসবে তত ভালো। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগ ভালোই আসছে। বিদেশি বিনিয়োগ, সবার একটা ভালো আকাঙ্ক্ষা, বাংলাদেশের দিকে সবার দৃষ্টি। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। মানুষের যাতে খাওয়ার কষ্ট না হয় সেজন্য সরকারের আন্তরিকতার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যত টাকা লাগুক, যেখান থেকে পারি, খাবার জিনিস আমরা কিনে নিয়ে আসছি। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আমাদের একটু সমস্যা। আর তা না হলে আমাদের কোনো সমস্যা থাকার কথা না। … মানুষের খাওয়ার কষ্ট আমরা হতে দেব না। দেশে মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা তো সব জায়গায় লেগেছে। বিশ্বব্যাপী মানুষের খুবই কষ্ট। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। তবে আমাদের এই এখন কিছু মূল্যস্ফীতি কমেছে। একটু ভালোর দিকে। এবার ফসল ভালো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ফসল ভালো হইছে। আমনও খুব ভালো হয়েছে, বাম্পার ফলন। এখন বোরো লাগানোর জন্য সবাই খুব ব্যস্ত। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাই খুব ভালো কাজ করছে বলে জানান।

জাতীয়

সর্তক থাকুন,যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে – প্রধানমন্ত্রী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সর্তক থাকুন,যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে — প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নি-সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে। এজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সতর্ক থাকুন যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে, কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়, এবং কেউ আর যাতে কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।’ বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোন ধ্বংসাত্মক কার্জ করে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে। কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি।’ তিনি পুলিশের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা রকম চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে বলেন, আন্তজাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানব সৃষ্ট দুর্যোগ- যেমন অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের উত্থান, নানা নৈরাজ্য যেখানে পুলিশ সদস্যদেরকে নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি। কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ঐ অগ্নি সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই আইন শৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে। এ জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা তাঁর সরকার বৃৃদ্ধি করে দিয়েছে কারণ একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা, তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও তাঁর সরকার করে দিয়েছে।

জাতীয়

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রিপন বিজয়ী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রিপন বিজয়ী গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটবর্তী প্রার্থী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল সাড়ে ৪টায়। ভোট গণণা শেষে রাত সাড়ে ৮টা দিকে দুই উপজেলার ১৪৫ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল একযোগে পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম। বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি ছাড়া নির্ধারিত সময় সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটগ্রহণ শেষে স্ব স্ব কেন্দ্রেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর সব কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয় দুই উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ।

Scroll to Top