ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

আন্তর্জাতিক

ফুটবলের কিংবদন্তি পেলে আর নেই। ফুটবল সম্রাট

বিলেতের আয়না ডেক্স :– ফুটবলের কিংবদন্তি পেলে আর নেই। ফুটবল সম্রাট ফুটবল কিংবদন্তী পেলে আর নেই। ৮২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা পেলে। সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন পেলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। ফুটবল সম্রাটের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। বাবার দেওয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো। সে নামে অবশ্য তাঁকে চেনেনি বিশ্ব। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। পর পর চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। তার মধ্যে তিন বার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বের আর কোনও ফুটবলারের তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের নজির নেই। ফুটবল মাঠে তার সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি প্রতিপক্ষের কোনো ডিফেন্ডার। সেই তিনি জীবনের মাঠে হার মানলেন মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইটা ছিলো দীর্ঘদিনের, আর পারলেন না। ক্যান্সারের পাশাপাশি পেলের শরীরে গতবছর টিউমারও ধরা পড়েছিলো, অপারেশন করে সেটি অপসারণ করা হলেও শারীরিক জটিলতা যেন তার পিছু ছাড়ছিলো না। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ এই লড়াই শেষে বিশ্বজোড়া ভক্তদের কাঁদিয়ে অবশেষে না ফেরার দেশেই পাড়ি জমালেন ফুটবলের রাজা ‘কালোমানিক’ পেলে।

জাতীয়

বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করতে পারেনি। আমি আশা করি বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে এবং ফুটবলারদের নিজেকে সেইভাবে প্রস্তুত করতে হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনূর্ধ্ব-১৭-২০২২ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭-২০২২ এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপদের মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার বিতরণকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফুটবল টুর্নামেন্টে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ জন ছেলে ও মেয়ের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। আমি মনে করি, বিশ্বে এমন আর কোনো দেশ নেই যেখানে এত বিপুল সংখ্যক ফুটবলার এ ধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসে তখন থেকেই সরকার খেলাধুলায় মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রচেষ্টা ছিল আমাদের সন্তানদের ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধুলায় উৎসাহিত করা। আমাদের শিশুরা যত বেশি খেলাধুলায় নিজেকে নিয়োজিত করবে, আমরা তত বেশি সুবিধা পাব।’ এ সময় খেলাধুলার সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য খেলাধুলা নিশ্চিত করা। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এতে যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।সূত্র ঃবাসস

জাতীয়

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আনন্দ শোভা যাত্রা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আনন্দ শোভা যাত্রা। স্মার্ট জাতি গঠনে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট । নেশন উপহার দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট সোসাইটিএই চারটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের স্মার্ট নেশন উপহার দিতে চাচ্ছেন এবং অচিরেই আমরা স্মার্ট নেশন উপহার পাবো বলে উল্লেখ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপর ১২টায় মেট্রোরেল চালু করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মধুর ক্যান্টিন থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত একটি সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, মেট্রোরেল যেমন ঢাকা শহরের লাইফলাইন ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশের লাইফলাইন। আজকে আমরা স্মার্ট যানবাহনের যুগে প্রবেশ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লব সম্পন্ন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে ৫০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশকে ১৩ কোটি ব্যবহারকারীর দেশে, মাত্র ৭০০ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করে, ৪০ ভাগ বিদ্যুতায়নের দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে পরিণত করে তার নেক্সট টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। ছবি: ভোরের কাগজ তিনি আরো বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোরেল তৈরি করে শেখ হাসিনা আরেকটি বিপ্লব ঘটাবেন। মেট্রোরেলের কারণে দেশের জিডিপি বাড়বে। বদলে যাবে ঢাকা শহর। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ যেন সমুন্নত থাকে সেজন্য ছাত্রলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। বক্তব্য প্রদানকালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনে আমরা যখন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার আরেকটি অর্জন উদযাপন করছি তখন ওই অপশক্তি, প্রেতাত্মাদের অন্তরে জ্বালা শুরু হয়েছে। সে জ্বলার জ্বালায় তারা আগামীকালকে ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা আগামীকাল (শুক্রবার) যদি গণমিছিলের নামে গণহয়রানির করার চেষ্টা করা হলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। যদি একটি রিকশায়, একটি গাড়িতে, একটি সরকারি স্থাপনায় কেও হাত দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপনাদের সকলকে নির্দেশনা দিচ্ছি তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করুন। যে হাত কাল ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে সেই হাত ঢাকা শহরের মানুষ ভেঙে ফেলবে। এ সময় আরো বক্তব্য দেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, উত্তর মহানগরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।

জাতীয়

ল্যানসেটের বিজ্ঞানীদের তালিকায় বাংলাদেশের সেঁজুতি সাহা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ল্যানসেটের বিজ্ঞানীদের তালিকায় বাংলাদেশের সেঁজুতি সাহা। বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট বিশ্বের ১০ বিজ্ঞানীর প্রোফাইল প্রকাশ করেছে। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশিকে ল্যানসেট ওয়েবসাইটে দেখা গেলো। সেঁজুতির প্রোফাইল প্রকাশ করে ল্যানসেট করোনাভাইরাস প্যাথোজেন এবং চিকুনগুনিয়ার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে তার ভূমিকা বর্ণনা করেছে। সেঁজুতি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। কীভাবে থাইরয়েড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই সেঁজুতিকে বাংলাদেশে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে তা তুলে ধরেছে ল্যানসেট। তার দৃঢ় সংকল্পের উদাহরণ হিসেবে ২০১৮ সালে সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য অনুদান ও মেশিন পাওয়ার কথাও উল্লেখ করে সাময়িকীটি। সেঁজুতির উদ্ধৃতিতে ল্যানসেটে উল্লেখ করা হয়, ‘আমি বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিলাম, বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকেই সিকোয়েন্স করা যায়। এই কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে নমুনা পাঠানোর দরকার নেই। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন সেখানেই সিকোয়েন্স করতে পারেন। বাংলাদেশে ছোট সিকোয়েন্সিং মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সেটি করে দেখিয়েছি।’ ওয়েবসাইটে আরও উল্লেখ করা হয়, সেঁজুতি এবং তার নেতৃত্বে কাজ করা জিনোমিক্স দল ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ বাংলাদেশের শিশুদের আক্রমণ করে এমন ভাইরাস সিকোয়েন্স ও গবেষণা করেন।

জাতীয়

সিলেটের কৃতি সন্তান নাদেলকে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন’র অভিনন্দন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের কৃতি সন্তান নাদেলকে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন’র অভিনন্দন বাংলাদেশ প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, বিশিষ্ট সমাজসেবক, সিলেটের প‌রিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, তৃণমূল থেকে উঠে আসা মাটি ও মানুষের জননেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল দ্বিতীয় বারের মত সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ২৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সিলেট মহানগরীর স্থানীয় এক অভিজাত হোটেলে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচছা জানান। এসময় অত্র সংগঠ‌নের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোঃ শ‌হিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক উৎফল বড়ুয়া, দিলু বড়ুয়া উপ‌স্থিত ছি‌লেন। এই সময় ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তথা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয়

জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সিলেট ৪টি উপজেলায় ১১০টি ঘর নির্মাণ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সি‌লেট জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সিলেট ৪টি উপজেলায় ১১০টি ঘর নির্মাণ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্যায় যারা ঘর হারিয়েছেন, তাদের ঘর জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর উদ্যোগে মেরামত ও ২৫ টি ঘর পূর্ণ-নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর উদ্যোগে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একটানা ৪ মাস আগে শুরু করা ১১০টি ঘর নির্মাণ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে।   সিলেট জেলা প্রশাসকের তথ্য অনুযায়ী সিলেট সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মজিদ লাল মিয়া ও চেয়ারপার্সন রোটারিয়ান রাবেয়া তাহেরা মজিদ এর নিজ অর্থায়নে উক্ত ঘর নির্মাণ প্রকল্পটি প‌রিচা‌লিত হয়। আব্দুল মজিদ বলেন বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘর-বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের লক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক, দানশীল সমাজের বৃত্তবান, ব্যক্তিবর্গদের অসহায় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ঘর নির্মাণ প্রকল্পটি পরিচালনা করেন জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামুল কবির, শাহজাহান মিয়া ও শাহীন আহমদ। উল্লেখ্য জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২০০১ সাল থেকে বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন স্থানে কয়েক সহস্রাধিক টিউবওয়েল স্থাপনসহ অসংখ্য সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও জয়তুন ও‌য়েল‌ফেয়ার ট্রাস্ট এ‌তিম,গ‌রিব,দিনমজুর অসহায় বিধবা নারী/পুরুষ এর ম‌ধ্যে সাহায‌্য সহ‌যো‌গিতা, খাদ‌্য সামগ্রী বিতরণ, বসত ঘর নির্মান সহ বি‌ভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ ক‌রে যা‌চ্ছে। মানুষ মানু‌ষের জন্য, জীবন জীব‌নের জন্য-মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও কল্যাণে সর্বদা জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট কাজ করে যাচ্ছে। দুর্যোগ সহ বিভিন্ন সময় সহায়তা ও উপহার নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান।

জাতীয়

মেট্রোরেলের প্রথম দিনে ৩৮৫৭ যাত্রী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মেট্রোরেলের প্রথম দিনে ৩৮৫৭ যাত্রী। প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে মেট্রোরেল। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। সাধারণ যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হওয়ার প্রথম দিনে ৩ হাজার ৮৫৭ জন যাত্রী এতে ভ্রমণ করেছেন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ট্রেন চলার কথা থাকলেও ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন যাত্রীরা। এই যাত্রীদের কেউ ছিলেন অফিসগামী, কেউবা এসেছিলেন পরিবারসহ। আবার অনেকেরই লক্ষ্য ছিল শুধু মেট্রোরেলে ঘোরা। তবে সকাল থেকেই যাত্রীদের অভিযোগ ছিল স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকাতে ধীরগতিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছিল শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যাত্রীদের পুরো ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত করাতে কিছুটা ধীরে কাজ করা হয়েছে। তবে এসবের মাঝেও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১২টার পর আর চলেনি মেট্রোরেল। ফলে মেট্রোরেলে চলার ইচ্ছা অপূর্ণ রেখেই শেষ পর্যন্ত স্টেশন ছাড়তে হয় হাজারো মানুষকে।’

জাতীয়

ইন্টারনেট আসক্তিকে পাঠ্যাভাসে পরিণত করবে ‘লেটস রিড’

বিলেতের আয়না ডেক্স :- অনন্যা আক্তার,ঢাকা প্রতিনিধি ইন্টারনেট আসক্তিকে পাঠ্যাভাসে পরিণত করবে ‘লেটস রিড’ (ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২): শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারনেটের আসক্তি কমিয়ে, ইন্টারনেটের নিরাপদ ও উৎপাদনশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাগো ফাউন্ডেশন এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন ‘লেটস রিড’। এই অ্যাপে শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণী বা গ্রেড অনুযায়ী থিমভিত্তিক বহু বই রয়েছে, যার ই-বুক হিসেবে বিনামূল্যে পড়া যাবে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে দেশের পাঁচ জেলা; রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং বরিশালে সরাসরি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যাতে শিশুদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার প্রচার করা হচ্ছে এবং তাদের পিতামাতার সাথে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ও ব্লেন্ডেড শিক্ষার প্রচার বৃদ্ধি করেছে। এরই মধ্যে এই অ্যাপ্লিকেশনে ২৫০০ জন এর বেশি শিক্ষার্থী এবং ২৫০০ জন অভিভাবক সরাসরি অ্যাক্সেস তৈরি করেছে। এই অঞ্চলগুলিতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের অপেক্ষাকৃত ভাল অ্যাক্সেস থাকায়, এখানেই প্রকল্পটি পরিচালনা করা হয়। এই ৫টি জেলার মোট ২৫০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সরাসরি ২৫টি স্কুলে কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে। কার্যক্রমটি একটি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ তৈরি করেছে এবং গল্পের ছলে শিক্ষার্থীদের গ্রেড-ভিত্তিক পড়ার দক্ষতা উন্নত করেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা নির্বাচিত স্কুলগুলিতে ভ্রমণ করে এবং ইন্টারনেট সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং উৎপাদনশীল স্ক্রিন টাইম প্রচার করতে বিভিন্ন সেশনে শিক্ষার্থীদের লেটস রিড অ্যাপ্লিকেশন থেকে প্রশিক্ষণ দেয়। তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লিফলেট সহ তাদের পিতামাতার ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য শিক্ষার্থীদের গাইড করে। অভিভাবকদের একজন বলেন, “যেহেতু আমার সন্তান ‘লেটস রিড’ অ্যাপটি ব্যবহার করা শুরু করেছে, আমি তাদের পড়ার দক্ষতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করেছি। তারা তাদের ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা গেম খেলতো, কিন্তু এখন তারা গল্প পড়তে আগ্রহী। অ্যাপটিতে পড়ার জন্য নতুন গল্প এবং বই আছে। আমার সন্তানকে পড়ার আনন্দের মধ্য দিয়ে বড় হতে এবং শিখতে দেখে আমি খুবই আনন্দিত।” দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জনাব কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ বলেন, “এশিয়া ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে শিশুদের চরিত্র, এবং থিম সহ বই দরকার যা তাদের জীবনকে প্রতিফলিত করে এবং বিশ্বকে অন্বেষণ করার সুযোগ দেয়। একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের জন্য কৌতূহলী এবং শিক্ষিত পাঠক তৈরি করতে, শিশুদের মানসম্পন্ন বইয়ের অ্যাক্সেস থাকতে হবে। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন, জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদারিত্বে পিতামাতা, শিক্ষক এবং সম্প্রদায়ের লোকেদের কাছে লেটস রিড উদ্যোগটি চালু করেছে, যেখানে শিশুদের বিনামূল্যে বই অন্বেষণ করার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। অফলাইন ব্যবহারের জন্য প্রতিটি বই ডাউনলোড এবং মুদ্রণ করা যেতে পারে।” জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, জনাব করভী রাকসান্দ বলেন, “আমাদের শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার এবং উৎপাদনশীল স্ক্রিন টাইম সম্পর্কে সচেতন করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য লেটস রিড টুগেদার একটি উদ্যোগ। তারা গল্প, রঙিন ছবি, আকর্ষণীয় চরিত্র এবং তাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত থিম দিয়ে ভরা বিভিন্ন ধরনের ই-বুক খুঁজে পেতে পারে এই অ্যাপ এ। জাগো ফাউন্ডেশন, এশিয়া ফাউন্ডেশনের সাথে সহযোগিতায়, শিশুদের, তাদের পিতামাতা এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের সরাসরি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরি করার জন্য এই কার্যক্রমের সূচনা করেছে। আমি আশা করি এটি যাদের প্রয়োজন তাদের সকলের উপকারে আসবে।” রাজশাহীর একটি স্কুলের একজন শিক্ষক বলেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে, ‘লেটস রিড’ অ্যাপটি আমার শিক্ষার্থীদের ওপর যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তা আমি নিজে দেখেছি। তারা ক্লাস আলোচনায় বেশি ব্যস্ত থাকে এবং পাঠ্যগুলোকে উচ্চতরভাবে বুঝতে ও বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়।”

জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫ পদের ১৪টিতেই জিতল আওয়ামীপন্থী নীল দল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫ পদের ১৪টিতেই জিতল আওয়ামীপন্থী নীল দল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ -এ ১৫টি পদের মধ্যে ১৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল। অন্যদিকে, শুধু সহ-সভাপতি পদে জয় পেয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান। এ পদে নীলদলের প্রার্থী ছিলেন অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালক ও ফার্মেসি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে আগামী এক বছরের জন্য শিক্ষক সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নীলদলের অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। তিনি পেয়েছেন ৮১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। নীলদের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক ড. আ.ক. ম জামাল উদ্দিন পেয়েছেন ১৩২ ভোট।  সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক লুৎফর রহমান ৬৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড.লাফিফা জামাল পেয়েছেন ৬৩২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা পেয়েছেন (ভোট ৭১২)। এ পদে সাদাদলের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান পেয়েছেন ৫৮১ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন ড. মাসুদুর রহমান ৮২৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদাদলের ড. মহিউদ্দিন ৪৬১ ভোট পেয়েছেন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু খালেদ মো. খাদেমুল হক ৮৪৫। এ পদে সাদাদলের প্রার্থী দেবাশীষ পাল পেয়েছেন ৩৬৬ ভোট।  ১০ টি সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ৮৮২), অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া (৮৪০ ভোট), ড. আমজাদ আলী (৮২৮ ভোট), ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার (৮০৩ ভোট) ড. শারমিন মূসা (৮০১ ভোট), অধ্যাপক কামরুল হাসান(৭৬৯ ভোট)  অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান(৭৬৩ ভোট), ড. একেএম সাইফুল ইসলাম খান (৭২৮ ভোট),  ড. মাকসুদুর রহমান (৭২৭ভোট) এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আক্কাছ (৭০৮ ভোট)।

জাতীয়

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মোগল আমলের ‘দেওয়ানের পুল’ অক্ষতভাবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতারা ও প্রবাসীরা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মোগল আমলের ‘দেওয়ানের পুল’ অক্ষতভাবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতারা ও প্রবাসীরা। সিলেটের গোলাপ গন্জ উপজেলায় অবস্থিত মোগল আমলে নির্মিত “দেওয়ানের পুল “নামে খ্যাত রক্ষার রক্ষার দাবি জানিয়েছে দেশে বিদেশে বিভিন্ন সংগঠন। সাময়িকভাবে ভাঙার কাজ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জে অবস্হিত মোগল আমলের সেতু ‘দেওয়ানের পুল’। বুধবার দুপুরে উপজেলার লক্ষ্মিপাশা ইউনিয়নের শেষ অংশে বাউশি গ্রামের শেষ অংশে এবং ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়ন বারোকোট গ্রামের প্রথমাংশে অবস্থান সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মোগল আমলের ‘দেওয়ানের পুল’ অক্ষতভাবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতারা ও প্রবাসীরা। আজ বুধবার দুপুরে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল সেতু এলাকা পরিদর্শনের পর এ দাবি জানিয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় বাপার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাউশা এলাকার দেওরভাগা খালের ওপর নির্মিত ‘দেওয়ানের পুল’ দেখতে যান। এ সময় সেতু ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের তাঁরা সেতুটি ভাঙতে নিষেধ করেন। ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে মোগল আমলের এ স্থাপত্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে ভেঙে ফেলা অংশ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান নেতৃবৃন্দরা।মোগল আমলের সেতুতে কোপ বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে সংগঠনটির সহসভাপতি মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী ও সদস্য গোলাম সোবহান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁরা সেতু এলাকায় ছিলেন। এ সময় বাপা নেতারা স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সেতুটি পরিদর্শন শেষে আবদুল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত সেতুর ভেঙে ফেলা অংশ সংস্কার করে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সেতুটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া মোগল আমলের সেতু ভাঙায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এদিকে বাপা নেতাদের এলাকার বাসিন্দাদের আহ্বান ও ঐতিহ্যপ্রেমী মানুষের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর থেকে সেতু ভাঙার কাজ আপাতত স্থগিত রেখেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সময়ে সেতুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে সিলেটের তৎকালীন দেওয়ানের (রাজস্ব কর্মকর্তা) নির্দেশে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকার শ্রীচৈতন্যদেবের বাড়িমুখী সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ সময় লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের দেওরভাগা ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের বারকোট গ্রামের প্রথম অংশে নির্মিত একটি সেতুও নির্মাণ করা হয়। সেতুটিই ‘দেওয়ানের পুল’ নামে পরিচিত। সেতু পুনর্নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ করতে গিয়ে ছয় দিন আগে পুরোনো সেতুটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাপার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাউশি এলাকার দেওরভাগা খালের ওপর নির্মিত ‘দেওয়ানের পুল’ দেখতে যান। তাঁরা শ্রমিকদের সেতুটি ভাঙতে নিষেধ করেন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি ভারী যানবাহন বহনের ক্ষমতা হারানোর কারণে সেটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। পুরোনো সেতুটির দৈর্ঘ্য ছিল ২০ ফুট ও প্রস্থ ১৬ ফুট। একই জায়গায় ৯৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের সেতু বানানো হবে। এ জন্য ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে সেতুর সংযোগ সড়কটিও প্রশস্ত করা হবে। তবে ঐতিহ্যপ্রেমী ও সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, মোগল আমলের স্থাপত্য রক্ষায় সেতুটি সংরক্ষণ করা উচিত ছিল। প্রয়োজনে পুরোনো সেতুর পাশে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণ করা যেত। কিন্তু তা না করে সরকারি উদ্যোগে ঐতিহ্য ধ্বংসের এমন প্রক্রিয়া একেবারেই দুঃখজনক ও হতাশার। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে সেতুর বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। যেহেতু সবাই সেতুটি রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছেন, তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আপাতত ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Scroll to Top