ডিসেম্বর ২৪, ২০২২

জাতীয়

১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণমিছিল

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণমিছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি ও নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন সহ ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশব্যাপি গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ২৪শে ডিসেম্বর দুপুর ০২ ঘটিকা সময় নগরীর ওয়াসার মোড় থেকে কাজির দেউরী বিএনপি’র পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে নগরীর তিন পোলের মাথা হয়ে গনমিছিল সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে মিছিললের সাথে যোগদান করেন। এতে আরো অবস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, সহ সভাপতি মোহাম্মদ শফি চেয়ারম্যান, সহ সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক এম এ বাতেন, যুগ্নসম্পাদক গাজী আইয়ুব আলী, সহ সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজী, সাংগঠনিকসম্পাদক শফিকুর রহমান মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল হোসেন। উপদেষ্টা হালিশহর থানার সভাপতি আলতাফ হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে মোঃ ফজলুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, কাজী আফছার, মোহাম্মদ সিরাজ, অপু সিং, মোহাম্মদ হাসান, আব্দুল খালেক, মোহাম্মদ বাহার মিয়া, জাকির হোসেন মিন্টু, সুজন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ইমন হোসেন কামাল, হামিদউল্লাহ বাবু প্রমুখ থানা ওয়ার্ড সহ অন্যান্য নৃত্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

বাংলাদেশআওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশআওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮১ সালের ১৩তম সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি পদে আসা শেখ হাসিনা দশমবারের মতো দলটির নেতৃত্ব দেবেন। ২০১৬ সালের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদে আসা বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো দলটি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে তাদের নাম ঘোষণা করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। ভোটে পাস হওয়ার পর পৃথকভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। পরে বাকিদের নাম ঘোষণা করেন সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কমিটিতে আরও যারা স্থান পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ। ★বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি ★শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি ★কাজী জাফর উল্লাহ ★ইঞ্জিনিয়ার ★মোশাররফ হোসেন এমপি ★পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য ★নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি ★ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি ★লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ★মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ★শাজাহান খান এমপি ★জাহাঙ্গীর কবির নানক ★আব্দুর রহমান এএইচএম ★খায়রুজ্জামান লিটন ★মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ★অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি ★সিমিন হোসেন রিমি ★যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ★ ★মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি ★ডা. দীপু মনি এমপি ★ড. হাছান মাহমুদ এমপি ★আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ★কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি ★সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য ★ ★অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি ★আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ ★আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু ★ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ★ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ★ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ★ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ★*ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ★ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি ★ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ★বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ★মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম ★ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি ★ শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা ★ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ★সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি ★ স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা সাংগঠনিক সম্পাদক ১.আহমদ হোসেন ২.বিএম মোজাম্মেল হক ৩.আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি ৪.এস এম কামাল হোসেন ৫.মির্জা আজম এমপি ৬.অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ৭.শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ৮.সুজিত রায় নন্দী * উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান *          

জাতীয়

পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন সভাপতি শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন সভাপতি শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের। টানা তৃতীয় মেয়াদে ওবায়দুল কাদের এই দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে নির্বাচিত হন তারা। কাউন্সিলারদের প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। দু’টি পদে দ্বিতীয় কারও নাম প্রস্তাব করা হয়নি। এ কারণে ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়েনি। নতুন কমিটিতে তেমন পরিবর্তন আসেনি। সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বাদ পড়েছেন সাখাওয়াত হোসেন শফিক । নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সুজিত রায় নন্দী। এর আগে তিনি ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। উপ-প্রচার সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আমিনুল ইসলাম আমিন।

জাতীয়

সাংবাদিক মেরে অনিয়ম ঢাকার চেষ্টা, দিলেন বন মামলার হুমকি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সাংবাদিক মেরে অনিয়ম ঢাকার চেষ্টা, দিলেন বন মামলার হুমকি কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার বনবিভাগের হারবাং বিট অফিসের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের মারধর ও বন মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের হারবাং বন বিট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা ও বন বিভাগের কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে শনিবার ২৪ ডিসেম্বর সকালে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ আরিফুল ইসলাম। আহতরা হলেন, আনন্দ টিভির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি মোঃ সেলিম উদ্দিন ও সাপ্তাহিক চট্টবাণী পত্রিকার বিশেষ মোঃ আরিফুল ইসলাম। আহত সাংবাদিক মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, রুবেল নামের এক গাড়ির চালক চুনতি রেঞ্জের হারবাং বিট অফিসের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডলের হাতে মারধর ও হয়রানির শিকার হয়েছে এমন অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় আমি ও আমার সহকর্মী সেলিম উদ্দিন। গাড়ির চালক রুবেলকে মারধর ও মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা জলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে আপনারা জানার কে? বলে হারবাং বিটের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং আমাদের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এবং বলতে থাকে ‘তুরা আমাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে তথ্য সরবরাহ করিস তুদেরকে ছাড়ব না। এক পর্যায়ে সৈকত মন্ডল আমাদের মোটরসাইকেলের চাবি কেঁড়ে নিয়ে ঘুষি দিয়ে বের করে দেয়। এবং বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে একজনকে তিনটি করে বন মামলা দিব। গাড়ির চালক মোঃ রুবেল জানান, শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুরাতন ফার্ণিচার ভর্তি একটি গাড়ি আমিরাবাদ থেকে চকরিয়া উদ্দেশ্য রওনা হয়। চকরিয়ার হারবাং বন বিট অফিসের সামনে একজন দাঁড়াতে সংকেত দিলে আমি বুঝতে না পেরে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। এরপর হারবাং লাল ব্রিজের পাশে একজন এসে আমার গাড়ির সামনে বেরিকেড দিয়ে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে সে আমার গাড়িসহ হারবাং বিট অফিসে নিয়ে আসে। সেখানেও আমাকে প্রচন্ড মারধর করে এবং বিশ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারলে বন মামলা দিবে বলে হুমকি দেন তিনি। চালক আরো জানান, মারধর ও মামলা থেকে বাঁচতে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা জলিলুর রহমান ও হারবাং বিটের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডলকে পাঁচ হাজার টাকা দিই। তারা টাকা নিয়ে আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর মারধর ও মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানায়। প্রচন্ডভাবে মারধর করার কারণে হাঁটতে পারছি না। পায়ে প্রচুর যন্ত্রণা করছে। পরে আমি চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। মুচলেকা ও বন মামলার ভয়ে আইনগতভাবে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি। যদিও অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হারবাং বিট অফিসের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডল ও চুনতি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জলিলুর রহমান। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বনবিভাগের একজন কর্মকর্তা গাড়ির চালক বা সাংবাদিকের উপর হাত তুলতে পারে না। ঘটনাটি আমি জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই সংক্ষুব্ধ। শীঘ্রই তদন্ত করে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী। সাংবাদিক মেরে অনিয়ম ঢাকার চেষ্টা, দিলেন বন মামলার হুমকি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার বনবিভাগের হারবাং বিট অফিসের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের মারধর ও বন মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের হারবাং বন বিট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা ও বন বিভাগের কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে শনিবার ২৪ ডিসেম্বর সকালে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ আরিফুল ইসলাম। আহতরা হলেন, আনন্দ টিভির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি মোঃ সেলিম উদ্দিন ও সাপ্তাহিক চট্টবাণী পত্রিকার বিশেষ মোঃ আরিফুল ইসলাম। আহত সাংবাদিক মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, রুবেল নামের এক গাড়ির চালক চুনতি রেঞ্জের হারবাং বিট অফিসের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডলের হাতে মারধর ও হয়রানির শিকার হয়েছে এমন অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় আমি ও আমার সহকর্মী সেলিম উদ্দিন। গাড়ির চালক রুবেলকে মারধর ও মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা জলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে আপনারা জানার কে? বলে হারবাং বিটের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং আমাদের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এবং বলতে থাকে ‘তুরা আমাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে তথ্য সরবরাহ করিস তুদেরকে ছাড়ব না। এক পর্যায়ে সৈকত মন্ডল আমাদের মোটরসাইকেলের চাবি কেঁড়ে নিয়ে ঘুষি দিয়ে বের করে দেয়। এবং বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে একজনকে তিনটি করে বন মামলা দিব। গাড়ির চালক মোঃ রুবেল জানান, শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুরাতন ফার্ণিচার ভর্তি একটি গাড়ি আমিরাবাদ থেকে চকরিয়া উদ্দেশ্য রওনা হয়। চকরিয়ার হারবাং বন বিট অফিসের সামনে একজন দাঁড়াতে সংকেত দিলে আমি বুঝতে না পেরে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। এরপর হারবাং লাল ব্রিজের পাশে একজন এসে আমার গাড়ির সামনে বেরিকেড দিয়ে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে সে আমার গাড়িসহ হারবাং বিট অফিসে নিয়ে আসে। সেখানেও আমাকে প্রচন্ড মারধর করে এবং বিশ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারলে বন মামলা দিবে বলে হুমকি দেন তিনি। চালক আরো জানান, মারধর ও মামলা থেকে বাঁচতে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা জলিলুর রহমান ও হারবাং বিটের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডলকে পাঁচ হাজার টাকা দিই। তারা টাকা নিয়ে আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর মারধর ও মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানায়। প্রচন্ডভাবে মারধর করার কারণে হাঁটতে পারছি না। পায়ে প্রচুর যন্ত্রণা করছে। পরে আমি চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। মুচলেকা ও বন মামলার ভয়ে আইনগতভাবে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি। যদিও অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হারবাং বিট অফিসের ফরেষ্ট গার্ড সৈকত মন্ডল ও চুনতি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জলিলুর রহমান। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বনবিভাগের একজন কর্মকর্তা গাড়ির চালক বা সাংবাদিকের উপর হাত তুলতে পারে না। ঘটনাটি আমি জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই সংক্ষুব্ধ। শীঘ্রই তদন্ত করে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী। সাংবাদিক মেরে অনিয়ম ঢাকার চেষ্টা, দিলেন বন মামলার হুমকি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার বনবিভাগের হারবাং বিট অফিসের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের মারধর ও বন মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের হারবাং বন বিট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা ও বন বিভাগের কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে শনিবার ২৪ ডিসেম্বর সকালে চকরিয়া থানায় সাধারণ

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাক্ষাৎ।

হাওয়া টিভি ডেক্স :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সপরিবারে সাক্ষাৎ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। গতকাল শুক্রবার রাতে গণভবনে যান। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাদের সিদ্দিকী সাক্ষাৎ করেন। এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। তারা কুশলাদি বিনিময় করেন এবং পরস্পরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। সাক্ষাৎকালে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তার স্ত্রী বেগম নাসরিন ও তাদের দুই মেয়েও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর হঠাৎ সাক্ষাৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে কেন এ সাক্ষাৎ করেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ সাক্ষাৎ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ও বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে এ সাক্ষাৎকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন কেউ কেউ। কাদের সিদ্দিকী ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দল থেকে বেরিয়ে ১৯৯৯ সালে তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

Scroll to Top