ডিসেম্বর ১৬, ২০২২

জাতীয়

কার ভাগ্যে চট্টগ্রাম টেস্ট

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম কার ভাগ্যে চট্টগ্রাম টেস্ট ভারতের দরকার ১০ উইকেট, বাংলাদেশের ৪৭১ রান। বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার প্রথম টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২৫৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। সফরকারিদের দেয়া ৫১৩ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করার সময় স্বাগতিকদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৪২ রান। টেস্ট জিততে ভারতের তাই এখন দরকার ১০ উইকেট। আর বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হবে ৪৭১ রানের এক পাহাড় অসম্ভব পথ। চট্টগ্রামে আগের দিন করা ১৩৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ১৭ রান যোগ করে অলআউট হয় টাইগাররা। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ছন্নছাড়া হয়ে যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের চায়নাম্যান কুলদ্বীপ যাদব নেন ৫টি উইকেট। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল ইনিংস শুরু করেন ভারতের হয়ে। ২৩ তম ওভারে খালেদের বলে তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারত কাপ্তান লোকেশ রাহুল। আর একপাশ ধরে রেখে সেঞ্চুরি হাঁকান গিল। ১১০ রানে মেহেদী মিরাজের শিকার হন তিনি। এছাড়া চেতেশ্বর পূজারা অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ৫১২ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করেছিলো সফরকারিরা। এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো বল করেন লিটন দাস। ৫১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে দেননি দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। শান্ত ২৫ এবং জাকির অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।

জাতীয়

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কে যে ভাবে হউক আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ)

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কে যে ভাবে হউক আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আমি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটাই কথা বলতে চাই যেকোনো মূল্যে রাজাকারদের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হবে। রাজনীতির মাঠ থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করতে হবে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা দেশ বিরোধী তাদের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোনো আলোচনা চলবে না। যারা বিএনপির সঙ্গে মিটমাটের কথা বলে তারা কার্যত বাংলাদেশে রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে চায়। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আর কোনো আপস নয়। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে কোনো আলাপ চলতে পারে না।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে চলছে ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে চলছে । আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে তারা এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তারা বলেন, আমরা না কি সন্ত্রাস করতে চাই। সন্ত্রাস যদি এদেশে কেউ করে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ করেছে। আর এই আওয়ামী লীগ আবার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের কোন উস্কানিতে পা দিবেন না। সরকার উস্কানি দিচ্ছে, মিথ্যাচার করছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে কথা বলছেন। তাই সরকারের উস্কানিতে আপনারা পা দিবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে জনগণকে সঙ্গে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব। বিএনপি বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য মাঠে নেমেছে- । আমরা বিভাগীয় ১০টি সমাবেশে প্রমাণ করেছি- আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। এই ১০টি সমাবেশের কোন জায়গায় কোনো অরাজকতা এবং কোন বিশৃঙ্খলা হয় নাই। সরকারকে দেশের মানুষ চায় না, এটা যখন তারা বুঝতে পেয়েছে- আমাদের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছে দেশের মানুষ। তখন তারা দিশেহারা হয়ে নানা রকম কথা-বার্তা বলছেন। আর সরকার যখন দেখছে যে তাদের দিন শেষ, সেজন্য দেশে-বিদেশের মানুষকে প্রতারণা করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, মহা একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে বাংলাদোশ অতিক্রম করছে। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় তাদের ক্ষমতাকে ঠিকে রাখার জন্য তারা এই সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সরকার আজকে দেশে-বিদেশে একটা অগণতান্ত্রিক সরকার, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকার এবং হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। শোভাযাত্রায় বিএনপি নেতা ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম রফিকুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বকাপ নিতে কাতারে মেসির স্বজনেরা

বিলেতের আয়না ডেক্স :-বিশ্বকাপ নিতে কাতারে মেসির স্বজনেরা দোহায় পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি জিততে একটি জয় দূরে আর্জেন্টিনার। আগামী রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে মাঠে নামবে আলবিসেলেস্তেরা। জিতলেই আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় শিরোপা এনে দেবেন লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়ারা। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালের জন্য আগামীকাল অনুশীলন শুরু করবেন মেসিরা। তবে এর মধ্যে নিজেদের চাঙা রাখতে স্ত্রী-বান্ধবী ও স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়েরা। লিওনেল মেসিও আছেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। আরও আগেই তিন ছেলেকে নিয়ে কাতারে পৌঁছান মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো। পরে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মেসির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পারিবারিক ছবি পোস্ট করেছেন মেসি। যেখানে দেখা যায়, মেসির স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা ও ভাই-বোনসহ আরও অনেকেই ছিলেন। ছবিতে মেসিসহ ২০ জন সদস্যকে দেখা যায়। মেসি ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘পরিবার’, সঙ্গে ভালোবাসার প্রতীক স্বরূপ একটি ‘লাভ’ ইমোজি ব্যবহার করেছেন। কাতারে রীতিমতো ভিড়ই জমাচ্ছেন মেসির স্বজনেরা। মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি আর্জেন্টিনায় নিয়ে যেতেই যেন ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি জমিয়েছেন তাঁরা! কিন্তু এ জন্য তো মেসিকে আবারও চমক দেখাতে হবে। ছেলের সে চমকই হয় তো দেখতে এসেছেন হোর্হে মেসি ও সেলিয়া মারিয়া কুচিতিনি।

জাতীয়

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫১তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এসময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

আজ মহান বিজয় দিবস

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইয়ামিন হুসাইন, ঢাকা আজ মহান বিজয় দিবস আজ বাঙালি জাতির চিরদিনের গৌরব, অসমসাহস, বীরত্ব ও আত্মদানে মহিমান্বিত অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন। আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মরণপণ যুদ্ধের শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বীর বাঙালি। পাকিস্তানি হানাদার বর্বর ঘাতক সেনাবাহিনী অবনত মস্তকে অস্ত্র নামিয়ে রেখে গ্লানিময় আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন আজ। যেসব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়েই এই দিবসের মহিমা প্রকাশ পাবে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করার পরও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। এরই এক পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত নিরীহ নিরস্ত্র সাধারণ বাঙালিদের ওপর চালায় মানব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম গণহত্যা। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে। এর আগেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে হানাদারদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে অর্জিত হয় চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরাক্রমের কাছে মাথা নত করে পাকিস্তানি ঘাতক দল। পৃথিবীর বুকে অর্ধশত বছর আগের এই দিনে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বাঙালি ঊর্ধ্বলোকে তুলে ধরে প্রাণপ্রিয় লাল-সবুজ পতাকা। আজ সকাল থেকেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন সর্বস্তরের মানুষ। পরাধীনতা ঘোচাতে জাতির যে বীর সন্তানেরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কৃতজ্ঞ জাতি আজ তাঁদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। আজ সরকারি ছুটি। রাজধানীর পাড়া-মহল্লা, সড়কের মোড়ে মোড়ে বাজবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আর মুক্তির অবিস্মরণীয় গান। বাড়ির ছাদের কার্নিশে, অফিস-আদালত, দোকানপাটে, অনেক যানবাহনে উড়বে লাল-সবুজ পতাকা। ইতিমধ্যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও সড়কদ্বীপগুলোতে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি দেখা দিচ্ছে। এ সংকট মোকাবিলায় সরকার সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদানসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন, তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।’ কর্মসূচি বাসস জানায়, জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এ দিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোও। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে।

Scroll to Top