ডিসেম্বর ৩, ২০২২

আন্তর্জাতিক

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে নেদারল্যান্ডস ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে নেদারল্যান্ডস ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সবার আগে শেষ আটে পা রাখলো নেদারল্যান্ডস। খলিফা ইন্টারন্যাশন্যাল স্টেডিয়ামে শুরু হয় এ ম্যাচ। ম্যাচের ৮ মিনিটে গোল করে ডাচদের এগিয়ে দেন মেম্পিস ডিপাই। এরপর ডেলি ব্লিন্ডের গোলে ২-০ তে এগিয়ে বিরতিতে যায় ডাচরা। ৭৫ মিনিটেই যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে এক গোল শোধ দেন রাইট। বা পাশ থেকে পুলিসিচের ক্রস থেকে পা ছুঁয়ে ব্যবধান কমান তিনি। কিন্তু এই গোলের আনন্দ বেশিক্ষণ রইল না যুক্তরাষ্ট্রের। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় নেদারল্যান্ডস। এবার ডেনজেল ​​ডামফ্রিজের গোলে ৩-১ করে ডাচরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

আন্তর্জাতিক

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ২-১ গোলে অষ্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছে আর্জেন্টিনা ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ২-১ গোলে অষ্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছে আর্জেন্টিনা । নক-আউট পর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেল শিরোপা প্রত্যাশী আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই মেসির গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের গোলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ৭৭ মিনিটে ১ গোল করে অস্ট্রেলিয়া।

জাতীয়

শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি,শৃঙ্খলা সমৃদ্ধি প্রয়োজন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর  শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি,শৃঙ্খলা সমৃদ্ধি প্রয়োজন। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছিল।পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ মুল্যায়ন করবে কতটা নিরাপদ। কতটাশান্তি ফিরে এসেছে। সেখানে কি কি সমস্যা রয়েছে। কতটুকু করণীয় রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ রাআ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এসেছিল।গুরুত্বের বিচারে এটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তির ফলে তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা শৃঙ্খলা যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। অনেক রাস্তা ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়,মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির গীর্জাসহ সামাজিক অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল।পর্যটন শিল্পের ও প্রসার লাভ করেছ।এসব কর্মকাণ্ডের ফলে অর্থ নৈতিক ভাবে তিন পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নের অগ্রগতি হয়েছে । অর্থনীতির চাকা ও অগ্রসর ভুমিকা রেখেছে। কিন্তু ২৫ বছরে ও তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসে নাই। কিন্তু এলাকা ভিত্তিক বা আঞ্চলিক সংগঠনের কারণে। তাদের মধ্যে হানাহানি রক্তক্ষয়ী দ্বিধা দ্বন্দ্বের কারণে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে থাকে। অস্হিতিশীল পরিস্থিতি মূল কারণ রাজনৈতিক সংকটের স্হায়ী সমাধান না হওয়া ও ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়া। প্রতিটি মুহূর্ত চাঁদাবাজী,খুন খারাবি, মাদক ব্যবসা, খুন অপহরন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা জন্য সরকার কে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু ২৫ বছরে ও তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আশানুরূপ কোন অগ্রগতি হয়নি। ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আর জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা।তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা শান্তি শৃঙ্খলা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব নয়। আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ক্ষুধা দারিদ্র্য দূরীকরণ করতে হবে। সুখী সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। শান্তি চুক্তির পূর্বে দীর্ঘ ২১বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ খুন হয়েছে। তা কখনো পুরণ হওয়া সম্ভব নয়। তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ৭২টি ধারা ছিল। তাঁর মধ্যে ৪৮ টি সম্পূর্ণ ভাবে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। ১৫ টি আবার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। ৯ টি ধারা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা গেছে। পাহাড়ের মানুষ অত্যন্ত অমায়িক, শান্তিপ্রিয়, সহজ সরল জীবন যাপন করে থাকে। চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ের সমস্যার সমাধান কঠিনতর হয়ে উঠবে। এই চুক্তির ফলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার ও পেয়েছিলেন।এটা বৃথা দেওয়া যায় না। তিন পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তেক্ষেপ দরকার।

জাতীয়

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে (৫০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই ইউনিয়নের শান্তিপুর স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহত চেয়ারম্যান মানিকের ভাই বারসন মিয়া। বর্তমানে তার লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাতীয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আওয়ামী লীগ পুলিশের বন্ধুক পিস্তল দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ৯টি বিভাগীয় শহরে শান্তিপূণ গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে বিএনপির সমাবেশে স্রোতের মতো আসছে। এতে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ। এখন তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন ভয় পাচ্ছে। এই বুঝি তাদের ক্ষমতা গেল! ১০ই ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয়ের শেষ নেই। কারণ তারা এই দেশে এমন কিছু কাজ করেছে যে নিজেদের (আওয়ামী লীগের) ওপর কোনো আস্থা নেই। শনিবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির গণসমাবেশে এসব কথা বলেন ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে এই বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। আমরা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। কিন্তু তারা তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘুম হারাম করে ফেলেছে। তারা আতঙ্কে ভুগছে। আমরা তো নয়া পল্টনে অসংখ্য সমাবেশ করেছি, যেখানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। এখন তারা জঙ্গি নাটক শুরু করেছে।  নিজেদের প্রয়োজনে জঙ্গি বানায়। নিজেরাই বাস পুড়িয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করে। আর দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ। গত ১৪/১৫ বছরে আওয়ামী লীগ লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। সব সেক্টরে দুর্নীতি করে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। নিজেরা সম্পদ লুট করে পাহাড় বানাচ্ছে আর সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। করোনা মহামারীর এই সময়ে দেশে ১২ হাজার মানুষ কোটিপতি হয়েছেন। অন্যদিকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ গরীব থেকে আরো গরীব হয়েছে। দেশের মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। সব নিজ দল ও বিত্তশালীদের উন্নয়ন হয়েছে।  ইসলামী ব্যাংকের টাকা নামে বেনামে ঋণের নামে লুট করছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। যে দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে, সেই দেশের সরকার প্রতিদিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী খারাপ কাজ করলেও সমালোচনা করা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্র একটাই- যেমন করেই হোক ক্ষমতায় বসে থাকা। মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। যেই সরকার নতুন স্বপ্ন দেখাবে। এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং নিহত সহযোদ্ধাদের রক্তের বদলা নিতে হলে আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

জাতীয়

আওয়ামী ছাত্র লীগের মধ্যে কোন শৃঙ্খলা নাই এই ছাত্র লীগ চাই না – ওবায়দুল কাদের ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী ছাত্র লীগের মধ্যে কোন শৃঙ্খলা নাই এই ছাত্র লীগ চাই না – ওবায়দুল কাদের । ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এটাই কি ছাত্রলীগ! কোনো শৃঙ্খলা নেই! পোস্টার নামাতে বলছি, নামায় না, স্লোগান থামায় না! এই ছাত্রলীগ আমার চাই না।’ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, সব নেতা, তাহলে কর্মী কোথায়! এত নেতা স্টেজে? শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ না? মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে! কাদের বলেন, আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রেসিডিয়াম, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক সময়ের অভাবে বক্তৃতা করতে পারেনি। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না। তিনি আরও বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকের অঙ্গীকার। কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা দিতে পারেননি। আমন্ত্রিত অনেকেই বক্তৃতা দিতে পারেননি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন? একটু একটু করে বলতে পারলো না! আপনারা দুজনে ১ ঘণ্টা শেষ করলেন। মনে নেই, আজ শুক্রবার! লেখকের না হয় মনে নেই, জয়ের কি মনে ছিল না! এটা কোন ছাত্রলীগ, বিস্ময় প্রকাশ করেন।

আন্তর্জাতিক

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ৩-২ গোলে সার্বিয়াকে পরাজিত করেছে সুইজারল্যান্ড।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ৩-২ গোলে সার্বিয়াকে পরাজিত করেছে সুইজারল্যান্ড। স্টেডিয়াম ৯৭৪- (২ ডিসেম্বর) রাত ৭ ঘটিকায় ‘জি’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় সার্বিয়া। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছে সুইজারল্যান্ড।   তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পাওয়া সুইজারল্যান্ড ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে উঠলো নকআউট পর্বে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের পয়েন্টও ৬। ম্যাচের প্রথম থেকেই সার্বিয়ার মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে সুইজারল্যান্ড। সুইস ডি বক্সের ভেতর বল নিয়ে বারবার ঢুকলেও গোল পাচ্ছিল না সার্বিয়া। উল্টো ২১ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে গোল খেয়ে বসে সার্বিয়া।

আন্তর্জাতিক

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল কে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে ক্যামেরুন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল কে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে ক্যামেরুন কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) লন্ডন সময় রাত ৭ টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে মাঠে নামে এই দু’দল। একাধিক আক্রমণ করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল। তবে গোল পায় ক্যামেরুন। অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে হয় ব্রাজিলকে। ১-০ ব্যবধানের জয় পায় ক্যামেরুন।

জাতীয়

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। আজ অবধি দাবি গুলো বাস্তবায়ন হয়নি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। আজ অবধি দাবি গুলো বাস্তবায়ন হয়নি । পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৫ বছর আজ, ২ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে। চুক্তিতে সরকার পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা ওরফে সন্তু লার্মা দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে। খুন, অত্যাচার-অবিচার, ভূমি জবরদখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তিচুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এক বিবৃতিতে বলেছে, সব বাধা অপসারণ করে দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রশাসনের একটি শক্তিশালী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ধরনের জনবিরোধী ও চুক্তিবিরোধী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিবৃত্তি বলা হয়, ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির ২৫ বছরের মাথায় এসেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি। চুক্তির কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। চুক্তি বাস্তবায়নে তারা ৮টি দাবি পেশ করেন সরকারের কাছে।

Scroll to Top