নভেম্বর ১৯, ২০২২

আন্তর্জাতিক

কিয়েভ সফরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কিয়েভ সফরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফরে গেলেন ঋষি সুনাক। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (১৯ নভেম্বর) এক ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের নেতা। খবর আল জাজিরার। টেলিগ্রামে জেলেনস্কি জানান, আজকের আলোচনায় আমরা ইউক্রেন ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। পরে টুইটবার্তায় ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য ব্রিটেনকে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আপনার মতো বন্ধুরা আমাদের পাশে থাকায় আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। জেলেনেস্কির আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেন সফরে আসেন। এই যুদ্ধে মস্কোর বিরুদ্ধে কিয়েভকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে ব্রিটিশ সরকার। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রও সর্বাত্মক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

জাতীয়

৪৭ বছর পর জাসদের চার নেতার কবর আজিমপুর থেকে নেত্রকোনায় স্থানান্তর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৪৭ বছর পর জাসদের চার নেতার কবর আজিমপুর থেকে নেত্রকোনায় স্থানান্তর। নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার কাজলা গ্রামে জাসদের চার নেতার কবর স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার সেখানে চার নেতাকে পুনঃসমাহিত করার পর শ্রদ্ধা জানান জাসদের নেতারা। রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থান থেকে জাসদের চার নেতার কবর নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কাজলা গ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই চার নেতা হলেন বাহার, বাচ্চু, মাসুদ ও হারুণ। ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তাঁরা নিহত হয়েছিলেন। জাসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, এই চার নেতাকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ তাহেরের কবরের পাশে আজ পুনরায় দাফন করা হয়েছে। পরে জাসদ ও ওই চার নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সেখানে সমবেত জাসদ নেতা-কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় জনতার সামনে বক্তব্য দেন কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের, কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই জাসদ নেতা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লা, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহহিল কাইয়ূম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শফিকুল ইসলাম। এ সময় কর্নেল তাহেরের ছোট বোন জুলিয়া আহমেদ, বড় ভাই সার্জেন্ট আবু ইউসুফের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ, ছোট ভাই আবু সাঈদ আহমেদের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার, নিহত বাচ্চুর বড় ভাই মীর আনোয়ারুল ইসলাম, ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সৈয়দ বাহারুল হাসান, জাসদ ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রতন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

সময় থাকতে আওয়ামী লীগকে শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নেওয়ার আহ্বান- ভিপি নুরের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সময় থাকতে আওয়ামী লীগকে শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নেওয়ার আহ্বান- ভিপি নুরের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সময় থাকতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা করে ক্ষমতা হস্তান্তর ও শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নুরুল হক নুর। অন্যথায় জনগণের রোষানলের মধ্য দিয়ে শ্রীলংকা, মিশরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসকরা যেভাবে বিদায় নিচ্ছে আপনাদের পরিণতিও তাই হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা। তিনি আরও বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনে অন্যায়ভাবে যদি পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে কোন থানায় নিয়ে যায় এলাকাবাসী-গ্রামবাসীকে নিয়ে থানা ঘেরাও করা হবে। শনিবার দুপুরে আয়োজিত গণঅধিকার পরিষদের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। নগরীর আমতলা মোর একটি কনভেনশন হলে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়। তবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় বাইরে একটি ট্রাকের উপরে অস্থায়ী মঞ্চ করে সেখানে বক্তব্য রাখেন নুরুল হক নুর। বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার সমন্বয়কারি বিপ্লব কুমার পোদ্দারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল জায়ের, মাহবুবুর রহমান খান, সহকারি সদস্য সচিব বাইজিদ হোসেন সাহেদসহ অন্যান্যরা। এসময় ভিপি নুর আরো বলেন, প্রশাসন এখন কিছুটা ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা এমনি এমনি যায়নি, ২ মাস আগে কিন্তু এইভাবে সভা-সমাবেশ করা যায়নি। যখন বিদেশি অ্যাম্বাসেডর বলছেন তারা পৃথিবীর কোনো দেশে শোনেনি পুলিশ প্রশাসন ছাত্রলীগ-যুবলীগ সরকারি দল আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখে। এখন আগামীতে তারা একটা অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। এখন সরকার টেনশনে পড়ে গেছে।যে কারণে বিএনপিরকে বিভাগীয় সমাবেশ করতে এমনি এমনি দিচ্ছে না। তারা (আওয়ামী লীগ) খুব চাপে আছে। ১৪ এবং ১৮ সালের মত বিনাভোটের নির্বাচন ডাকাতি, বাটপারি নির্বাচন এই বাংলাদেশ এই সরকার আর করতে পারবে না বলে হুশিয়ারী দেন নুরুল হক নুর।

জাতীয়

সিলেট বিভাগীয় মহা সমাবেশ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট বিভাগীয় মহা সমাবেশ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- দেশের মানুষ এখন আর শান্তিতে নেই। নতুন করে তেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মানুষ খুব কষ্টে আছে। সরকার দেশে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। গত ১৪ বছর ধরে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে শেখ হাসিনার সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এই সরকারের বিচার হবে জনতার আদালতে। মানুষের অধিকার হরণ করার জন্য এই বিচার হবে। এদের ছাড়া হবে না। আজ বিকালে সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপি’র বিভাগীয় গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী। এতে বক্তৃতা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রমুখ। মির্জা ফখরুল বলেন, ইলিয়াস আমাদের মাঝে নেই। সে বেঁচে আছে কিনা, বেঁচে থাকলে কোথায় আছে আমরা জানি না। কিন্তু ইলিয়াস আলীর স্ত্রী দমে থাকেননি। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে লড়াইয়ে আছেন। তিনি বলেন-নতুন করে সরকার মামলা মামলা খেলা করছে। হঠাৎ করে মামলা দিচ্ছে। সরকার আবারো মিথ্যা মামলা করে অনেককেই কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন- ‘সুদের টাকা দেয়ার সামর্থ বর্তমান কোষাগারে নেই। আজ গণতন্ত্র গুম হয়ে গেছে ইলিয়াস আলীর মতো। আমরা গণতন্ত্রের সঙ্গে এম ইলিয়াস আলীকে খুঁজছি। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশী তাকে দেবো- আমরা সেই আন্দোলনই করছি। আজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্য দেশে আছেন। তিনি কী সাধ করে আছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকির কারণে দেশে আসছেন না। তাকে বেআইনীভাবে গ্রেপ্তার করে কোমরের হাড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন- ‘১০ই ডিসেম্বর যাক তারপর খেলায় নামবো আমরা। এই সরকার জনগণের নয়। এ কারণে সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। সাহস থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচন করুন। দেখবেন কী হয়।

Scroll to Top