নভেম্বর ১৮, ২০২২

সাম্প্রতিক

মাটি ও মানুষের বন্ধু আনোয়ার শাহজাহান – মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাটি ও মানুষের বন্ধু আনোয়ার শাহজাহান – মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার আনোয়ার শাহজাহানের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় হওয়ার আগেই তাঁর কয়েকটি প্রকাশনার সাথে আমার পরিচয় ঘটেছিল। এই প্রকাশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ দুটি বই গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। বই দুটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, এর লেখক ইতিহাসের যথার্থ প্রতিফলন নিশ্চিত করতে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন এবং তাঁর সব মেধা দিয়ে, গভীর আন্তরিকতার সাথে ইতিহাসের চিত্রটুকু সবার সামনে তুলে ধরতে নিবেদিত ছিলেন। এ কাজে কোনো খাদ তাঁর ছিল না। আনোয়ার শাহজাহানের সাথে আমার পরিচয় হয় এই লন্ডনে বাংলা সংবাদকর্মীদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কাজকর্মের সুবাদে। আমার কাছে মনে হয়েছে, আনোয়ার শাহজাহান স্বল্পভাষী কিন্তু অমায়িক একজন মানুষ, যিনি তাঁর সব কাজকে গ্রহণ করেন যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এবং সেই কাজটুকু সম্পন্ন করার জন্য তাঁর ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়, তা তিনি পালন করেন নিষ্ঠার সাথে। আনোয়ার শাহজাহানের অনেক পরিচিতি রয়েছে। তিনি একাধারে লেখক, সাংবাদিক, সংগঠক, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও দানশীল। তবে তাঁর এসবই পরিচিতির ভিত্তি। আমার কাছে মনে হয়েছে, সঠিক তথ্যের অনুসন্ধানে তাঁর সনিষ্ঠ একাগ্রতা আর সবার থেকে আলাদা। এই অনুসন্ধানী মানস-জগৎ গড়ে ওঠে সমাজ-সংসার আর ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। এটি নিঃসন্দেহে এক বিরল গুণ। আনোয়ার শাহজাহান এই বিরল গুণের অধিকারী, এ জন্য তাঁর তারিফ করতেই হয়। আমি জেনেছি, আনোয়ার শাহজাহানের মূল প্রেরণাদাত্রী তাঁর মহীয়সী মা। সেই ছোটবেলা থেকে যখনই কোথাও আনোয়ার শাহজাহানের কোনো লেখা প্রকাশিত হয়েছে, তাঁর মা সেটি বারবার পড়েছেন, আরও ভালো লেখার জন্য তাঁকে প্রেরণা দিয়েছেন এবং কোথায় আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে, সেটি তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছেন। লেখালেখিতে এভাবে একধরনের প্রশিক্ষণের সুযোগ আনোয়ার শাহজাহান পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে। লেখক হিসেবে সন্তানের গড়ে ওঠার আকাক্সক্ষাকে তাঁর মা অসাধারণ মমতার সাথে এগিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি আনোয়ার শাহজাহানের জন্য কত বড় পাওয়া, তা নিশ্চয় তিনি এই পরিণত বয়সে অনুধাবন করতে পারেন। আনোয়ার শাহজাহানের এগিয়ে যাওয়ার মূল চালিকাশক্তি তাঁর মা, এটি খুব আনন্দের সংবাদ। মায়ের আশীর্বাদ উৎসাহ আর প্রেরণা জোগায় এবং প্রতিভার বিকাশ নিশ্চিত করে। বিশেষ করে, বাংলাদেশে আমাদের যে সমাজ-সংসারের কাঠামো, সেখানে একজন মায়ের এই অপরিসীম অনুপ্রেরণার অনির্বচনীয় যে সংবাদ আমরা জানতে পারি, তা আমাদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। এই লেখার সুবাদে আমি আনোয়ার শাহজাহানের আম্মার প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আনোয়ার শাহজাহানের অন্যতম আগ্রহের একটি বিষয়। এটিও গভীর মনোযোগের সাথে লক্ষ করার মতো। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাঁর আরও কয়েকটি গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সিলেটের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ও সৌধ। এ বইগুলোর প্রতিটি ছত্রে বিধৃত হয়েছে বাঙালির মহত্তম অর্জন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং তার অমর রচয়িতা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আনোয়ার শাহজাহানের গভীর মমতা, অসীম ভালোবাসা আর অকুণ্ঠ দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। সব তথ্য সর্বতোভাবে যাচাই-বাছাই শেষে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য আনোয়ার শাহজাহানের সনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ছবি আমরা তাঁর গ্রন্থগুলোয় দেখতে পাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের এই সময়ে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সর্বজনীন ইতিহাসকে জনমানুষের মধ্যে সমভাবে পৌঁছে দিতে পারিনি। এ কারণে একাত্তরে ক্ষুদ্র একটি অংশ যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতায় সক্রিয় ছিল, তেমনি স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সেই অংশটি এবং তাদের অনুসারী গোষ্ঠী একই রকম বিরোধিতায় সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পর্কে নানা রকম বিরূপতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেই চলেছে। এদিকটি বিবেচনায় নিলে আনোয়ার শাহজাহান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব পালন করেছেন বলতেই হয়। তিনি তাঁর জন্মমাটিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্ব আর অশ্রু-বেদনার আখ্যান ইতিহাসবিদের মতো করে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। গোলাপগঞ্জের সেই ইতিহাস বিকৃত অথবা অস্বীকার করার সাহস কোনো স্বাধীনতাবিরোধীর কখনোই হবে না। কারণ, গোলাপগঞ্জের মাটিতে জন্ম নেয়া এক সন্তান আনোয়ার শাহজাহান সেই মাটিতে প্রবাহিত শোণিত আর অশ্রুধারায় রচিত মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব আর বিজয়ের কাহিনি লিখে নিয়েছেন। আনোয়ার শাহজাহানের একই রকম নিষ্ঠা আমরা লক্ষ করেছি গোলাপগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গ্রন্থ রচনার বিষয়েও। ছোটবেলাতেই একসময় জন্মমাটির ইতিহাস জানার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েন তিনি। বিভিন্ন গ্রন্থাগারে তিনি গোলাপগঞ্জের ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য ঢুঁ দিতে থাকেন, কিন্তু তৃপ্তি পাওয়ার মতো তেমন কোনো গ্রন্থ তাঁর নজরে আসেনি। একসময় নিজেই সিদ্ধান্ত নেন গোলাপগঞ্জের ইতিহাস সংকলনের। মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতা কতখানি সুগভীর হলে একজন মানুষ নিজেকে এভাবে সেই কাজে উৎসর্গ করতে পারে, এটি ভাবনায় নেয়ার মতো একটি বিষয়। গোলাপগঞ্জ সিলেট অঞ্চলের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা। এ মাটিতে অনেক বরেণ্য মানুষের জন্ম। শিক্ষায় প্রাগ্রসর গোলাপগঞ্জ উপজেলায় জন্ম নিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত মানুষ। তাঁদের কৃতিত্বপূর্ণ ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং তাদেরও একইভাবে অনুপ্রাণিত করার কাজে আনোয়ার শাহজাহানের গ্রন্থটি সামাজিক একটি আন্দোলনের মতো প্রভাব রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস। ধানখেতে কাদামাটি গায়ে মেখে নানা খেলায় মেতে ওঠা, শীতের বিকেলে খেতে খড়ে আগুন জ¦ালিয়ে আনন্দের ঝরনাধারায় অবগাহন করা, লোকজ মাটিতে অমর একুশের প্রভাতফেরিতে অংশ নেয়া আনোয়ার শাহজাহান আজ দুনিয়াজোড়া আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু লন্ডন মহানগরের ব্যস্ত বাসিন্দা। কিন্তু সেই ধানখেত, সেই খড়ের আগুনে আলোর ঝিলিমিলি, সেই প্রভাতফেরির অপার্থিব আনন্দ তাঁর হৃদয় থেকে হারিয়ে যায়নি। মায়ের হাত ধরে লেখালেখিতে তাঁর অভিষেক আর এগিয়ে যাওয়া, তারপর সাংবাদিকতায় বিচরণ, আরও লেখালেখি; সবকিছুতে আনোয়ার শাহজাহানের ভালোবাসা মানুষের জন্য। তাই গোলাপগঞ্জের ইতিহাস বলি আর বলি সেই মাটিতে বাঙালির গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকালীন কথা, আনোয়ার শাহজাহান বারবার সেখানেই ফিরে তাকান। কেননা তিনি জানেন, তাঁর শেকড় দৃঢ়ভাবে সেখানেই প্রোথিত, আর তিনি এ-ও জানেন, শেকড়বিহীন মানুষের মতো দুঃখী আর কেউ হয় না। খুব খুশির খবর, আনোয়ার শাহজাহান শেকড়বিহীন নন, শক্ত শেকড় থেকে উত্থিত মানুষটি জন্মমাটির প্রতি অপরিসীম মমতা নিয়ে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। লেখক পরিচিতি : এডিটর, ম্যাক্স মিডিয়া লন্ডন। সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব।

জাতীয়

বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আগামীকাল ১৯ নভেম্বর শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।’ সমাবর্তন উপলক্ষ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্নাতক ছাত্র-ছাত্রী, তাদের পিতা-মাতা, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে এ উপমহাদেশে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না- এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত বহু আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, ’৫২ এর জাতির ভাষাভিত্তিক স্বাতন্ত্র্য চেতনা রক্ষার ভাষা আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ’৬৬ এর ছয় দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্বশাসন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। জাতির পিতার আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাঁদের অনেকে শহিদ হয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর হতে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সংশ্লেষ ঘটিয়ে এই মহীরূহ বিদ্যায়তন সমগ্র দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের বিগত প্রায় ১৪ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে শিক্ষাখাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’ তিনি বলেন, সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে বিভিন্ন হল ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ১৭টি নতুন বিভাগ, ৩টি ইনস্টিটিউট ও ২২টি গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যে কোন সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করি, জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করুক। তিনি গৌরবদীপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে দারিদ্র্য বাড়ছে

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ফ্রান্সে দারিদ্র্য বাড়ছে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে এনজিও। ফ্রান্সে অভাব-অনটন ও দারিদ্র্য বাড়ছে। দেশটির ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য নিয়ে বিভিন্ন শঙ্কার কথা জানিয়েছে একটি এনজিও। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা জানায়, ফ্রান্সে দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। খবর তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাকের। ক্যাথলিক রিলিফ নামের একটি এনজিও তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফ্রান্সে ২০২১ সালে এ সংস্থার কাছে যারা সাহায্য চেয়েছিল, তাদের ৪৮ শতাংশ পরিবার এতই গরিব ছিল যে, তাদের নিজেদের খাওয়ার মতো কোনো অর্থ বা বাজেট ছিল না। বিভিন্ন বিল পরিশোধ ও অনিবার্য খরচ চালানোর পর প্রতি দুই পরিবারের একজনের কাছে মাস শেষ করার জন্য ৩০৫.২ মার্কিন ডলার অর্থ ছিল। এটা ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য জনপ্রতি প্রতিদিন ৫.১৭ মার্কিন ডলার অর্থের নিশ্চয়তা দিচ্ছিল। অথচ এ সংস্থাটি বলছে, ফ্রান্সে একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অন্তত ৭.২৪ মার্কিন ডলারের খাদ্য দরকার। বেসরকারি ত্রাণ সংস্থা ক্যাথলিক রিলিফের কাছে যারা সাহায্য নিচ্ছে, তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নতুন। এর আগে অভাবগ্রস্ত ছিল না। ২০২২ সালের জ্বালানি সংকট এবং বিভিন্ন পণ্যের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ এনজিওটির শঙ্কা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। লা ডেপেচে সংবাদপত্রের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্যাথলিক রিলিফের সভাপতি ভেরোনিক ডেভিস বলেন, এ গরিব পরিবারগুলো ইতোমধ্যে তাদের বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের ব্যবহার কমাতে অনেক কিছু করছে। কিন্তু আগামী বছর যদি জ্বালানির দাম ১৫ শতাংশ বাড়ে, তখন তারা কীভাবে তাদের জীবন চালাবে? এ সমস্যা সমাধানের জন্য এনজিওটি বলেছে, ফ্রান্সের মানুষের গড় আয়ের ৪০ শতাংশ অনুসারে ন্যূনতম সামাজিক সুবিধাগুলো বাড়াতে হবে এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে এ বিষয়টির সামঞ্জস্য করতে হবে।

জাতীয়

অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের উদ্যোগে সিলেট স্টেশন ক্লাবে লিভার রোগ বিষয়ক সচেতনতামুলক অনুষ্ঠান

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের উদ্যোগে সিলেট স্টেশন ক্লাবে লিভার রোগ বিষয়ক সচেতনতামুলক অনুষ্ঠান সিলেটে ঐতিহ্যবাহী সিলেট স্টেশন ক্লাবে হেপাটাইটিস বি সংক্রান্ত একটি সচেতনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে সহযোগিতা করেন রোটারী ক্লাব অব ঢাকা জেনারেশন নেক্সট, ই রোটারী ক্লাব ৩২৮২ এবং জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট। অনুষ্ঠানে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)। অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল তার বক্তব্যে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার নানা দিক সম্বন্ধে আলোকপাত করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে লিভার চিকিৎসায় সাম্প্রতিক গবেষনা এবং অগ্রগতির বিষয়েও অবহিত করেন। অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল জানান যে তার যৌথভাবে উদ্ভাবিত হেপাটাইটিস বি’র নতুন ওষুধ ন্যাসভ্যাক আগামী বছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বাজারে চলে আসবে। তিনি আরো জানান যে লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় স্টেম সেল থেরাপী এবং লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসায় ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেশন এবং ইমিনিউনথেরাপীর মতন অত্যাধুনিক চিকিৎসাগুলো তার তত্বাবধানে বাংলাদেশে তো বটেই, এমনকি সিলেটেও এখন নিয়মিত করা হচ্ছে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ ও ন্যাসভ্যাকের অন্যতম আবিস্কারক জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবরও অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে রোটারী ক্লাব অব ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১’এর হেপাটাইটিস বি এলিমেনেশন ক্যাম্পেইন সম্ভন্ধে অবিহিত করেন রোটারী ক্লাব অব ঢাকা জেনারেশন নেক্সটের প্রেসিডেন্ট রোটারীয়ান পর্না সাহা। রোটারীয়ান পর্না তার বক্তব্যে এসডিজি গোল ৩.৩ অর্জন অর্থাৎ হেপাটাইটিস বি নির্মূলে রোটারীর এই উদ্যেগে সবার, বিশেষ করে সিলেটের রোটারীয়ানদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন এবং তার রোটারী ড্রিস্টিক্টের পক্ষ থেকে সিলেটের রোটারীয়ানদের শুভেচ্ছা পৌছে দেন। সিলেট স্টেশন ক্লাবের সভাপতি এডভোকেট নুরুদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে সন্মনিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতের মান্যবর সহকারী হাই কমিশনার শ্রী নিরাজ কুমার জাইসওয়াল। সহকারী হাই কমিশনার মহোদয় তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে ভারতের অকৃতিম বন্ধু হিসেবে আখ্যাায়িত করে জানান যে, তার দেশ স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব গিয়ে থাকে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সামনের দিনগুলোতে এই সহযোগিতা অব্যহত থাকবে এবং এই দুই প্রতিবেশি ভাতৃপ্রতিম দেশের সম্পর্ক একটি অন্য উচ্চতায় উন্নিত হবে। উল্লেখ্য অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের প্রতিষ্ঠিত জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে নানাধরনের কল্যানমুখি কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। ট্রাস্টটির উদ্যোগে এরই মধ্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাটিজ, জাতীয় ইমাম সমিতি, ইমাম প্রশিক্ষন একাডেমি, নারায়ন হৃদালয় ভারত ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় সিলেটে নিয়মিতভাবে এ ধরনের সচেতনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। সিভিল সোসাইটি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে ট্রাস্টের এই ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলো এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ডের পরিধি আরো বাড়ানোর লক্ষ্য ট্রাস্টের রয়েছে। সিলেটে সাম্প্রতিক বন্যার সময়ে ট্রাস্টের উদ্যোগে সিলেট মহানগরের বহু জায়গায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়েছিল। এছাড়াও বন্যা পরবর্তী সময় সিলেট মহানগর, ফেঞ্চুগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জে ট্রাস্টের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এসব ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে হাজার হাজার সিলেটবাসী উপকৃত হয়েছিলেন।

জাতীয়

আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না, এটা নির্ধারিত : আ স ম রব।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না, এটা নির্ধারিত : আ স ম রব। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি (জেএসডি) আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না এটা বক্তৃতা করে বলার দরকার নেই। এটা বাংলাদেশে নির্ধারিত হয়ে গেছে। আমরা এখন আলাপ করছি এর পরের সরকার কী রকমের হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা, হামলা মামলা, দমনপীড়ন, গুলি হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, আজকের ডিসেম্বর হোক বা আগামী ডিসেম্বর হোক। এর চেয়ে বেশি আপনারা আর বাংলাদেশে শাসন করার অবস্থায় নেই। তাই চিন্তা করে কথা বলুন। কাল যখন ক্ষমতায় থাকবেন না তখন কেমন আচরণ আপনি দেখতে চান। আপনি আপনাদের মত নির্বাচন দেখতে চান, আপনাদের মত বিচার ব্যবস্থা দেখতে চান, আওয়ামী লীগের যারা আজকের মত প্রজায় পরিণত হবেন তারা কী এমন বাংলাদেশ দেখতে চান না সুশাসনের বাংলাদেশ চান? সুতরাং ভেবে চিন্তে কথা বলবেন। আব্দুর রব বলেন, আপনারা প্রতিদিন যে পরিমাণ চুরি করেন আরও এক বছর যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে গত পনেরো বছরের চেয়েও বেশি ক্ষতি করবেন। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকার চাই। তবে তারা একটি দলকে বসিয়ে দিবে তারা আবার চালাবে সেটার জন্য আন্দোলন করছি না। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দুটি কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যাবস্থা যেন এরপর থেকে প্রতিটি নির্বাচন যেন নিয়মতান্ত্রিক হয় এবং যে সংবিধানের কারণে আপনারা নিজেদের মন মত দেশ চালান সে সংবিধানের ক্ষমতাকাঠামো বদলাতে হবে। এগুলো করেই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত হবে করবো এ ধরনের বোকা কথার পেছনে ছুটে মানুষ বহু জীবন দিয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রশীদ চৌধুরী, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত।

জাতীয়

আগামীকাল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামীকাল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে এতে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সমাবর্তন উপলক্ষে  গত ১৬ই অক্টোবর থেকেই ক্যাম্পাসের ৭টি পয়েন্টে কালো গাউন আর টুপিসহ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সেগুলো গায়ে জড়িয়ে প্রফুল্ল চিত্তে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্যাম্পাস এলাকা, নিজ নিজ ডিপার্টমেন্ট ঘুরে ঘুরে স্মৃতিচারণ করছেন শিক্ষার্থীরা। অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি, ভিসি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে ছবি তুলতেও দেখা যায়। গত দুইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাস সমাবর্তন প্রত্যাশী এসব শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে অংশ নেবেন ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক। এদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া অধিভুক্ত ৭ কলেজের ৭ হাজার ৭৯৬ জন সমাবর্তনে অংশ নেবেন। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের মাঠ থেকে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল। ঢাবি’র শিক্ষার্থী ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমাবর্তনে অংশ নেবেন অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং ঢাবি’র উপাদানকল্পে পরিচালিত অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা এবং দুপুর ১২টায় সমাবর্তন শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর  অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সুন্দর ও সফল সমাবর্তন আয়োজনের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে ভিসি বলেন, সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাবর্তনের আয়োজন এগিয়ে চলছে। এটি খুবই আনন্দের যে এই মুহূর্তে আমরা বেশ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সহকর্মী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষসহ  সবাই এখানে উপস্থিত আছি। অনেক শিক্ষার্থীরাও এখানে রয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো দৃষ্টান্ত। যার মাধ্যমে বুঝতে পারছি আয়োজন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে এবং সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ঘটেছে। এবারের সমাবর্তনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হবে।

জাতীয়

সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকট নাসির উদ্দিন খান

বিলেতের আয়না ডেক্স :-শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকট নাসির উদ্দিন খান সিলেটে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মী (সাংবাদিক)’দের সাথে মতবিনিময় করলেন সিলেটের নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় সিলেট নগরির একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সিলেটের সকল গণমাধ্যমকর্মী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। এসময় সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান সাংবাদিকদের সাথে কোশল বিনিময় করে সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় তিনি বলেন, জেলা পরিষদের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহনের আগেই আমি আমার প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েই আজকের এই আয়োজন। এসময় তিনি তাঁর ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে এপর্যন্ত তাঁর অগ্রযাত্রায় সিলেটের সাংবাদিকদের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার প্রতি এ অঞ্চলের জনগনের যে প্রত্যাশা রয়েছে তাহা পূরণে আমি কাজ করতে চাই। এসময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর একজন কর্মী হিসেবে আওয়ামীলীগের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে চাই। এক্ষেত্রে তিনি সাংবাদিক সহ সিলেটের সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতাও কামনা করেন। এসময় রাজনৈতি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা বারের পিপি এডভোকেট মোঃ নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক মুকতাবিস উন নুর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ নুর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সামির মাহমুদ, সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ, ইমজা’র সহ-সভাপতি দ্বিগেন সিং ,ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতেন ফয়সল প্রমুখ। পরে সেখানে এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজ আয়োজন করা হয়।

Scroll to Top