নভেম্বর ১৭, ২০২২

জাতীয়

পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা ও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে স্থলের কাছেই ছাত্রলীগের শোডাউন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা ও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে স্থলের কাছেই ছাত্রলীগের শোডাউন সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশস্থলের পাশে চৌহাট্টা এলাকায় বৃহস্পতিবার মিছিল করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ আর একদিন পরই সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা সিলেটে এসে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণায় কিছুটা অস্বস্তিতে দলটির নেতারা। সড়কে অবৈধ সিএনজি-ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা বন্ধের দাবিতে ১৮ ও ১৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ-সিলেট রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটসহ বিভাগের তিন জেলা- হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার বাস মালিকরা পৃথকভাবে এ ধর্মঘট আহ্বান করেন। ১৯ নভেম্বর সমাবেশকে ঘিরে সিলেটজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নগরজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। পুুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সিলেট নগরী ও আশপাশ এলাকায় যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, মারামারি, সংর্ঘষ, চুরি, ছিনতাই বা জনগণের ক্ষতিসাধন হয় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে নগরজুড়ে রয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা বলয়। কোনোস্থানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা হলেই পুলিশ দ্রুত যাবে অ্যাকশনে। তাছাড়া সিলেট নগরীতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ১৯টি গুরুত্বপূর্ণস্থানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বা তল্লাশি চৌকি। নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ এসব মোড়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা যানবাহনকে সন্দেহ হলেই চালানো হবে তল্লাশি। এমনকি কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট আইনে অথবা মেট্রো আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং পরবর্তীতে অপরাধ অনুযায়ী মামলা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। এদিকে- বিএনপির সমাবেশস্থল সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অনুমতি এখনো দেয়নি পুলিশ। তবে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, মাঠ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের। তাই সিসিক ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টদের লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। তবুও সিলেটের এ গণসমাবেশকে নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সমাবেশকে সামনে রেখে সিলেট বিভাগজুড়ে চলছে মিছিল,সভা-সমাবেশ ও প্রচারপত্র বিলি। ঘাম ঝরানো প্রচেষ্টায় রয়েছেন নেতারা। অঙ্গ-সংগঠনের কোনো নেতাই ঘরে বসে নেই। যে যেভাবে পারছেন গণসমাবেশের প্রচারে অংশ নিয়েছেন। সিলেট বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রচার ভোটের মাঠ থেকেও বেশি। ১৯ নভেম্বর গণসমাবেশের আগেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সমাবেশস্থলে প্রতিদিন ঢুঁমারা, আয়োজনে শরিক হওয়া, রাতে মাঠে অবস্থান করা নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। শনিবার সমাবেশের দিন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। শোডাউন দিয়েছে ছাত্রলীগ। সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের একদিন আগে নগরীতে শোডাউন দিয়েছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির সমাবেশস্থলের পাশে চৌহাট্টা এলাকায় মিছিল করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। এর আগে খন্ড খন্ড – মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা চৌহাট্টা এলাকায় সমবেত হন। আলিয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়েও কয়েকটি মিছিল যায়। এসময় আলিয়া মাঠে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘাতের আশঙ্কায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এ সময় দলীয় কর্মীদের মাঠের ভেতরে নিয়ে যেতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ৪টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলযোগে স্লোগান দিতে দিতে চৌহাট্টা থেকে ছাত্রলীগের মিছিল জিন্দাবাজার ঘুরে আবার চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ হয়। এসময় নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে চৌহাট্ট এলাকায় অবস্থান নেন তারা। কাছাকাছি দুইপক্ষের অবস্থানের কারণে চৌহাট্টা এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছু সময় চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থানের পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জিন্দাবাজারের দিকে চলে যেতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজারের দিকে চলে যান।

জাতীয়

শনি ও রবিবার সিলেটে ধর্মঘট।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শনি ও রবিবার সিলেটে ধর্মঘট। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সেখানে প্রায় চার লাখ লোকসমাগমের টার্গেট নিয়েছে দলটি। নেতাকর্মীরাও নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। পাশাপাশি পুরোদমে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। তবে, অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটেও বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন থাকছে পরিবহন ধর্মঘট। শুধু সিলেট জেলাতে নয়, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন এই বিভাগের সব জেলাতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এতে শনিবার সিলেটের চার জেলাতেই চলবে না বাস ও মিনিবাস। সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন-করিমন ও পরীক্ষামূলক (অন-টেস্ট) সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধসহ নানা দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেও হবিগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ভিন্ন একটি কারণে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলোকে যেতে দিচ্ছে না দাবি করে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। এদিকে, সিলেট জেলায় শনিবার ৬টা থেকে পরদিন রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পরিবহন সংগঠনগুলোর দাবি, এই ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা দাবি আদায়ে ধর্মঘট পালন করবে। বিপরীতে বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের গণসমাবেশ বানচাল করতেই সরকারের নির্দেশে এসব ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটের বিষয়ে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বলেন, দাবিগুলো জানিয়ে আমরা কিছু দিন আগে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট পালন করা হবে। ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধর্মঘট ডাকা হয়। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দাবি করেন, বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে পারবে না। যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে। সিলেটের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে। তিনি আরও বলেন, গণসমাবেশগুলোতে আপনারা দেখেছেন মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে, নৌকাযোগে, ছোট ছোট যানবাহনে উপস্থিত হয়েছেন। সর্বত্র মানুষের ঢল নেমেছিল। সব বাধা পেরিয়ে সিলেটেও জনতার ঢল নামবে।  

জাতীয়

বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা নেই – ডব্লিউএফপি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা নেই — ডব্লিউএফপি। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠক করেন ডব্লিউএফপির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি। বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি। তিনি বলেন, তবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশসহ সব দেশকেই আগামী বছর খাদ্য নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের সব দেশকেই গরিব মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে ডমেনিকো স্কালপেল্লির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বৈঠকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই বৈঠকে ডব্লিউএফপির এদেশীয় প্রধান কথাগুলো বলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রীও ডমেনিকো স্কালপেল্লির এ বক্তব্য তুলে ধরেন। আল্লাহর পক্ষ’ থেকে দুর্ভিক্ষ না হওয়ার গ্যারান্টি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী! কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন উৎপাদিত হবে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। সারা দেশ থেকেই আমনের বাম্পার ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমন একটি মূল ফসল। আমরা মনে করেছিলাম, শ্রাবণ মাসে মাত্র এক দিন বৃষ্টি হয়েছে, কৃষকরা হয়তো ধান লাগাতেই পারবেন না। উৎপাদন কমে যাবে। কিন্তু এই প্রতিকূলতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’ মন্ত্রী বলেন, অনেক নিচু এলাকায় অন্য বছর ধান লাগানো যেত না। কারণ, বিল পানিতে ডুবে যায়। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় এই বিলের বা নিচের জমিতেও ধান লাগিয়েছেন অনেকে। সবাই বলছেন যে স্মরণকালে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমান করছে, পৃথিবীতে একটি খাদ্যসংকট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দূরদর্শী। তিনি আমাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতা করছে। ছয় বছর ধরে রোহিঙ্গাদের জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন, সেটিও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমেই দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন বিএনপি বলছে, শেখ হাসিনা পালানোর রাস্তা পাবেন না। সরকারের কেউ পালাবেন না। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে এবং ইনশাআল্লাহ, জনগণকে নিয়ে রাজনৈতিকভাবেই যত হুমকি আসুক, আমরা সেটা মোকাবিলা করবো।

আন্তর্জাতিক

বৃটেনে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বৃটেনে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সরকার স্বীকার করে নিয়েছে বৃটেন এরই মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দায় দেশ জর্জরিত। নিরপেক্ষ পূর্বাভাসকারী প্রতিষ্ঠান অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবলিটি (ওবিআর) বলেছে, আগামী বছর তা আরও শোচনীয় পর্যায়ে যাবে। এ অবস্থার জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির উচ্চ মূল্য বিশেষত দায়ী।  এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের আগে এই অবস্থা থেকে উন্নতির ঘটবে না। বৃটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট যখন পার্লামেন্টে শীতকালীন বিবৃতি দিচ্ছিলেন তখন এমন পূর্বাভাস দিয়েছে ওবিআর। জেরেমি হান্ট বলেছেন, ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবারগুলো, পেনশনাররা, ব্যবসায়ীরা, শিক্ষকরা, নার্সরা ও অন্যরা। তবে অভয় দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা এবং প্রতিশ্রুত পরিকল্পনার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে। এরই মধ্যে বৃটেনে বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং জ্বালানি বিল গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। অসংখ্য পরিবার পড়েছে কঠিন অবস্থায়। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা অতি দরিদ্রদের। এ অবস্থায় ওবিআর বলছে, এ বছর সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হতে পারে শতকরা ৪.২ ভাগ। কিন্তু তা আগামী বছর কমে যেতে পারে শতকরা ১.৪ ভাগ। পরের তিন বছরে তা শতকরা ১.৩ ভাগ, ২.৬ ভাগ এবং ২.৭ ভাগ বাড়তে পারে। কোনো একটি দেশে পর পর দুটি তিনমাস মেয়াদে অর্থনীতি যদি সংকুচিত হয়, তখন সেই অর্থনীতি মন্দায় আছে বলা হয়। মন্দার সময় কোম্পানিগুলো কম আয় করে। পাওনা পরিশোধ করতে পারে না। বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর অর্থ হলো সরকারি সেবাখাত পরিচালনার জন্য সরকার অর্থ পাবে কম।

আন্তর্জাতিক

জানুয়ারি মাসের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। 

বিলেতের আয়না ডেক্স :-জানুয়ারি মাসের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।  জানুয়ারীর মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় গভর্নর বলেছিলেন, আগামী  জানুয়ারির শুরু থেকে ডলার-সংকট কমে আসবে। ডলার-সংকটের কারণে আমদানি তদারকি জোরদার করা হয়েছে। ফলে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ কমেছে। এরপরও আরও দুই মাস ডলার-সংকট চলবে বলে ওই সভায় জানানো হয়। ডলার বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ওই সভায় বলা হয়, ৩০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের আমদানি ঋণপত্র তদারকি করা হচ্ছে। এতে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ কমে গেছে। ফলে সামনের দিনে সংকট কেটে যাবে। গত মার্চ থেকে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘদিন ডলারের দাম আটকে রেখে সংকটকে ত্বরান্বিত করে। পরে বাধ্য হয়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়।

Scroll to Top