নভেম্বর ১৫, ২০২২

জাতীয়

বিশ্বে জনসংখ্যা ৮০০ কোটি, অষ্টম বাংলাদেশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বে জনসংখ্যা ৮০০ কোটি, অষ্টম বাংলাদেশ। পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। জনসংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়ায়। পরিসংখ্যাবিষয়ক ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, বিকাল ৩টার দিকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল ৮০০ কোটি ৮ হাজার জন। ১৬ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৯২৩ জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টমে। তালিকায় শীর্ষে চীন। সেখানে মোট জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬০ জন। চীনের পর যথাক্রমে রয়েছে ভারত (১৪১ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ১২০), যুক্তরাষ্ট্র (৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭১), ইন্দোনেশিয়া (২৮ কোটি ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৮), পাকিস্তান (২৩ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪০০), নাইজেরিয়া (২১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৭) ও ব্রাজিল (২১ কোটি ৬১ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৪)। এ ছাড়াও নবম ও দশম অবস্থানে রাশিয়া (১৪ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬) ও মেক্সিকো (১৩ কোটি ২২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৪)। বর্তমানে উচ্চ জন্ম ও মৃত্যুহার থেকে নিম্ন জন্ম ও মৃত্যুহারে ধাবিত হচ্ছে বিশ্ব। পরিবার পরিকল্পনা, ধারাবাহিকভাবে আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, পুষ্টি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, ওষুধ, সচেতনতা, শিক্ষার হারসহ নানা ক্ষেত্র এমন পরিস্থিতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যদিও কিছু কিছু দেশে উচ্চ ও একই ধরনের প্রজননহার এখনো বিদ্যমান। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৮০৪ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ১ বিলিয়ন। ১ বিলিয়ন থেকে ২ বিলিয়নে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১২৩ বছর। ১৯৫০ সালে ছিল ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন, যা দ্বিগুণে পৌঁছায় ১৯৮৭ সালে ৫ বিলিয়নে। তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার ছিল। ২০১০ সালের ৭ বিলিয়ন জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নে সময় নিয়েছে মাত্র ১২ বছর। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াদি-সংক্রান্ত জনসংখ্যা বিভাগের ‘বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা ২০২২’ অনুযায়ী, বিশ্ব জনসংখ্যা এখন থেকে ১৫ বছর পর ২০৩৭ সালে হবে ৯ বিলিয়ন, যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাসের প্রবণতা লক্ষ করা যাবে। বাংলাদেশের অবস্থান : বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হলেও ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে দশম, বিশ্বের জনসংখ্যার বিচারে যা প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ। জনসংখ্যার আকার মোটেও কম নয়। দেশের জনঘনত্বের বিচারে বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বাধিক জনঘনত্বের একটি দেশ। বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ১ হাজার ৩১৫ জনেরও বেশি, যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এটি ২০৫০ সালে হবে ১ হাজার ৫৬৬ জন। জনঘনত্বের সঙ্গে গুণগত জীবনের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে যেকোনো পরিকল্পনায় উচ্চ জনঘনত্বের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের মতে, জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক যুগান্তকারী এ সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে নাইরোবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব প্রতিশ্রুতি ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনকালের মধ্যেই তিন শূন্য লক্ষ্যমাত্রা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে। এগুলো হলো : শূন্য মাতৃ মৃত্যুহার, পরিবার-পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অপূর্ণ চাহিদা শূন্যতে আনা এবং যৌন ও জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন দূরীকরণ ও বাল্যবিবাহ শূন্যতে নিয়ে আসা। অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার উন্নয়নে রয়েছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। করোনা মহামারির আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যুহার, মোট প্রজননহার হ্রাস, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বৃদ্ধি ও আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেলেও এসব অগ্রগতির পাশাপাশি মহামারি-উত্তর নতুন ও উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ কিংবা অসম উন্নয়নও লক্ষণীয়। সর্বাধিক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী নিয়ে প্রথম জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনের সুযোগের সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। যুবগোষ্ঠী ও দ্রুত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। এখানে বেকারত্বের হারে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি, বরং বেড়েছে। দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। নগরজীবনে উদ্ভূত হচ্ছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। জলবায়ুর পরিবর্তন বা পরিবেশগত (প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙন, বন্যাসহ) বিভিন্ন কারণে শহরে স্থানান্তরিত হচ্ছে মানুষ।

জাতীয়

রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন ৪৫ ফায়ার ফাইটার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন ৪৫ ফায়ার ফাইটার। বছরজুড়ে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ৪ ক্যাটাগরিতে ৪৫ ফায়ার ফাইটারকে রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ১০টায় ফায়ার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাসহ সব বিভাগ ও প্রতিটি জেলায় বেলা ১১টায় ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত, সারাদেশে অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ উদযাপন করা হয়।

জাতীয়

গনতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপি’র যুগপৎ আন্দোলনে ঐক্যমত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গনতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপি’র যুগপৎ আন্দোলনে ঐক্যমত। সরকারবিরোধী বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্য করতে এবার গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৈঠক শেষে দল দুটি সরকার পতনের আন্দোলনে একমত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলন হবে জাতীয় ঐক্যসৃষ্টির আন্দোলন। এর মাধ্যমে আমরা একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলবো। মির্জা ফখরুল বলেন, আপাতত সরকার পতনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা হবে। পরে সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই আন্দোলনকে বেগবান করব। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এদের (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করতে সক্ষম হব। তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে, অবাদ সুষ্ঠু একটি নির্বাচন উপহার দিতে, ফ্যাসিস্ট সরকার হঠানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে প্রস্তাব করেছি একটি জাতীয় সরকার গঠনের। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিবর্তনের সূচনা করা যেতে পারে। এই লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। আর তারই অংশ হিসেবে আজ গণতান্ত্রিক মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে মূল লক্ষ্য ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল সেটাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে একদলীয় শাসক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের জনগণ যে রাষ্ট্র গঠন করেছিল, সেই রাষ্ট্র তাদের হাতে নেই। কর্তৃত্ববাদী সরকার সব স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করেছে। রাষ্ট্রকে এখন পুরোপুরিভাবে মেরামত করা প্রয়োজন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সংলাপে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আ স ম আবদুর রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, ইমরান ইমন প্রমুখ

জাতীয়

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন – প্রধানমন্ত্রী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন – প্রধানমন্ত্রী। ‘দুর্ঘটনা-দুর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিনটি উপলক্ষে সকালে রাজধানীর মিরপুরে সংস্থাটির ট্রেনিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অগ্নিনির্বাপণ ও নানা দুর্যোগে দায়িত্ব পালন করা সংস্থাটি বুধবার পর্যন্ত তিন দিনের ‘ফায়ার সপ্তাহ-২০২২’ ঘোষণা করেছে। এ সময় ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে নানা অনুষ্ঠান ছাড়াও দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার স্টেশনে সচেতনতামূলক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে গত এক বছরে সাহসিকতাপূর্ণ ও সেবামূলক ভালো কাজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পদক দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ ও মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন

আন্তর্জাতিক

জি ২০ সম্মেলন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জি ২০ সম্মেলন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন। ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের সম্মেলন শুরু হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার বিদ্যমান ‘যুদ্ধের অবসান’ ঘটানোর আহ্বান জানান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। কেননা, এই সংঘাত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি দুনিয়াজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারের জি-২০ সম্মেলনেও বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিজের ভাষণে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করা ইন্দোনেশিয়ার জন্য একটি সম্মানের বিষয় বলে উল্লেখ করেন জোকো উইদোদো। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হওয়ার আগের দিন সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবারের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়াল মাধ্যমেও কোনও বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা সেটিও নিশ্চিত নয়। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও তার দেশ এই জোটের সদস্য নয়। অংশগ্রহণকারীদের চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে বাইডেন সন্তুষ্ট কিনা- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান। তিনি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনটিকে বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি মোকাবিলায় বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর নেতাদের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ঋণ সংস্কারসহ বাস্তবিক বিষয়গুলোর ওপর তিনি জোর দেবেন।

Scroll to Top