নভেম্বর ১৪, ২০২২

জাতীয়

সি‌লেট চেম্বার (এস‌সি‌সিআই) ও এসএমই ফাউন্ডেশন উদ্যোগে উদ্যোক্তা সৃ‌ষ্টি কর্মশালা অনু‌ষ্ঠিত

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শহিদুল ইসলাম, সিলেট সি‌লেট চেম্বার (এস‌সি‌সিআই) ও এসএমই ফাউন্ডেশন উদ্যোগে উদ্যোক্তা সৃ‌ষ্টি কর্মশালা অনু‌ষ্ঠিত দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও এসএমই ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত “এসএমই উদ্যোক্তাদের বিপণন কৌশল ও ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান ১৪ নভেম্বর ২০২২ (সোমবার) বিকাল ০৩:৩০ ঘটিকায় চেম্বার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, এসএমই উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এসব উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে সঠিক বিপণন কৌশল প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যবসায়ীগণকে নিজেদের সততাও ধরে রাখতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষকে ঠকিয়ে সাময়িকভাবে লাভবান হলেও তাদের ব্যবসাগুলো স্থায়ী হয় না। উদাহরণস্বরূপ তিনি সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া কিছু অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা তুলে ধরেন। অপরদিকে পণ্যের গুণগত মান ও সঠিক ওজন বজায় রেখে যারা ব্যবসা করেন তাদেরকে ভোক্তারাই খুঁজে বের করেন। তিনি এসএমই উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিপণন কৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজনের জন্য সিলেট চেম্বার ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ প্রথমবারের মত সিলেট চেম্বার কার্যালয় সফর করায় জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও এসএমই খাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসএমই উদ্যোক্তা ও নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিল্প খাতের প্রসার ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এসএমই ফাউন্ডেশন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিসিক সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে বছরব্যাপী নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন করে থাকে। এসব কর্মশালা থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সিলেটের এসএমই উদ্যোক্তাগণ যেমন লাভবান হয়েছেন, তেমনি অনেক নবীন উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছেন। সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে আমাদের এ প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ হিজকিল গুলজার ও জিয়াউল হক, পরিচালক মুশফিক জায়গীরদার, হুমায়ুন আহমদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সরোয়ার হোসেন ছেদু, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার জেরিন তাসনিম তাসিন, প্রশিক্ষণার্থী উৎফল বড়ুয়া, শাহানা বেগম, সিলেট চেম্বারের সচিব মোঃ গোলাম আক্তার ফারুক ও কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ ডলার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ ডলার। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে অর্থনৈতিক সংকটেও আগের অর্থ বছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৩৩ ডলার। গত অর্থ বছরে মাথাপিছু আয় হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৭ টাকা ৫১ পয়সা)। ২০২০-২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৫৯১ ডলার। সে হিসাবে বিগত অর্থ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৩৩ ডলার। সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থছরের কার্যাবলি সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ (সাময়িক), বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার নিরূপিত হয়েছে। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থ বছরে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময়ে ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৯ জন বাংলাদেশি কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১ হাজার ৮৩৬টি প্রকল্পে ব্যয় হয় ২ লাখ ৩ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৯২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এই অর্থ বছরে ৩৩৩টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়। ২০২১-২২ অর্থ বছর শেষে ১৬ দশমিক ৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল, যা বিগত অর্থ বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অর্থ বছরে সার, সেচ কাজে বিদ্যুৎ, ইক্ষু ইত্যাদি খাতে মোট ১৫ হাজার ১৭২ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ছেলে সহ দুই জন আবারও রিমান্ডে ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ছেলে সহ দুই জন আবারও রিমান্ডে ।রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহসহ দুজনের ফের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৪ নভেম্বর) তাদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের স্বার্থে ফের সাত করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ১০ নভেম্বর দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের স্বার্থে তাদের দশদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারও আগে বুধবার (৯ নভেম্বর) তাদের গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। মামলার সূত্রে জানা যায়, রাফাত সাদিক জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে জিহাদি দাওয়াতের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদে রাফাতের নাম বেরিয়ে আসে। এরপরই তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়।

জাতীয়

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন গতকাল ১৩ই নভেম্বর ২০২২ রবিবার সন্ধ্যায়, ইস্টলন্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত হলো সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন। সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়নূর রহমান বাবুল এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আব্দুল্লাহ। সভাপতি ময়নূর রহমান বাবুলের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এরপর সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আব্দুল্লাহ গত বছরের কার্যবিবরণ তুলে ধরেন এবং কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার শাহজাহান গত বছরের আর্থিক হিসাব তুলে ধরেন। কার্যবিবরণ ও হিসাব যথাযথ হয়েছে বলে উপস্থিত সকলে অনুমোদন প্রদান করেন। এ ছাড়া গত সাধারণ সভার মিনিটস সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন প্রদান করা হয়। গত ৪-৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বইমেলা সফল ভাবে আয়োজনের জন্য উপস্থিত সবাই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ সহ কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ফারুক আহমদ, ড. রফিকুল হাসান জিন্নাহ ও আতাউর রহমান মিলাদ। নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্ধিতা না থাকায় বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটেকে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী দুবছরের জন্য সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- ড. রফিকুল হাসান জিন্নাহ,আতাউর রহমান মিলাদ, ফারুক আহমদ,আবু মকসুদ, নুরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ছোটন, সুজাত মনসুর, হামিদ মোহাম্মদ, ময়নূর রহমান বাবুল, এ কে এম আব্দুল্লাহ, স্মৃতি আজাদ, আনোয়ার শাহজাহান, মোসাইদ খান, মোস্তফা জামান চৌধুরী, শাহ সোহেল আমিন, মোহাম্মদ ইকবাল,সৈয়দ হিলাল সাইফ,উদয় শংকর দূর্জয়, মুহাম্মদ মুহিদ,আহমদ হোসেন হেলাল, মোহাম্মদ নুরুল হক, রহমত আলী, নূরুন্নবী, মোহাম্মদ আবুল কালাম, সেলিনা আক্তার জোছনা, শেখ শমছুল ইসলাম।

জাতীয়

সবাই যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় সে ব্যবস্থা নিয়েছি: প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সবাই যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় সে ব্যবস্থা নিয়েছি: প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি। সোমবার (১৪ নভেম্বর) জেলা পরিষদে ৫৯ জন চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে শহরের সুযোগ-সুবিধা পায় এ জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি, তারা আবার দলের নেতা হয় কি করে। আমাকে অপমান করেছে তারপরও দণ্ডিত হওয়ার পরও আমি তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর দল অর্থপাচারে কথা বলে কি করে। এর আগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) এ শপথ অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী। জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আইনি জটিলতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী ছাড়া গত ১৭ অক্টোবর দেশের ৫৭ জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্থগিত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে ১৪ নভেম্বর। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ রিটার্নিং কর্মকর্তা একেএম গালিভ খান। এদিকে আদালতের রায়ে নোয়াখালীতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। এছাড়া ফেনী ও ভোলা জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি বাদে ৬১টি জেলা ৫৭ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ছিলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। আর প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন অন্য নির্বাচন কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠায় তাকে পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয় কমিশন।

জাতীয়

বিজিএমইএ আয়োজিত “মেইড ইন বাংলাদেশ “এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিজিএমইএ আয়োজিত “মেইড ইন বাংলাদেশ “এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বিজিএমইএ আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক-২০২২’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাসস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনিয়োগ ও সোর্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিতে বিদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের সেরা অনুকূল গন্তব্য। তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। এর ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন বিনিয়োগ এবং সোর্সিংয়ের জন্য সর্বাধিক অনুকূল গন্তব্য হয়ে উঠেছে। দেশের বিনিয়োগবান্ধব নীতি একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে।’ রবিবার (১৩ নেভেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক-২০২২’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এই আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে আমি দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধ করছি। আপনারা তাদের প্রযুক্তি, জ্ঞান আপনাদের শিল্প খাতে গ্রহণ করুন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণই আমাদের সাহসের উৎস। জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার এখন মাথাপিছু আয়। ক্রয়ক্ষমতাও এ দেশের মানুষের বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের নিজস্ব বাজার তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু রপ্তানি করলেই চলবে না, নিজের দেশের ভেতরেও বাজার সৃষ্টি করতে হবে এবং করোনাকালীন তার সরকার যতটা সম্ভব তৃণমূলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া ও সরবরাহ করা যায় সেটা করেছে। এর ফলে মানুষের ভেতর হাহাকার আসেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পদধ্বনি শুনছি আমরা। যারা শ্রম দেয় তারা আমার বাংলাদেশেরই মানুষ, তাদের আমরা আরো উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে চাই। কারণ এখন বিজ্ঞানের কারণে প্রযুক্তির নতুন নতুন আবির্ভাবে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযুক্ত করে দক্ষ মানবসম্পদ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং উদ্যোক্তাও সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমাদের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে যে প্রভাব ফেলবে সেজন্য আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে হবে, সেজন্য আমরা প্রস্তুত, আমরা তৈরি করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মাথায় আমাদের এই চিন্তাও ঢোকাতে হবে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মেলাতে হলে আমাদের দেশ-বিদেশে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন পড়বে। তারা যাতে প্রযুক্তি জ্ঞানেও দক্ষ হয় সেজন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কাপড়ের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং শ্রমবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার রাজনীতিই হচ্ছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও মেহেনতি মানুষের জন্য। তাদের কল্যাণই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আমাদের যে বিপুল শ্রমশক্তি রয়েছে তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং মেধাকাজে লাগানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী আবার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে জোর দিয়ে বলেন, আমাদের সাড়ে ১৬ কোটির ওপর মানুষ এবং তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা কারো কাছে ভিক্ষা করে চলতে চাই না। নিজের খাদ্য উৎপাদন নিজে করব। সেজন্য ফসলি জমি রক্ষা করা, যততত্র শিল্প গড়ে না তোলা এবং পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে তোলার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেমে ‘কেয়ার ফর ফ্যাশন’ থিম নিয়ে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত এটি চলবে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’-এর প্রচার করাই এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য। বিজিএমইএ তার মার্কেট শেয়ার ধরে রাখতে এবং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পোশাকের মার্কেট শেয়ার বাড়াতে চায়। সপ্তাহব্যাপী এই মেগা ইভেন্ট গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের অংশীদারদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি করবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দুটি কফি টেবিল বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন, যার ওপর বিজিএমইএ চলতি বছরের শুরু থেকে কাজ করছে। পোশাক রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চারজন তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারককে বিশেষ সম্মাননাও দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল ফেডারেশন (আইএএইফ) সভাপতি সেম অলটান এবং বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি বক্তৃতা করেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন। দেশের পোশাক খাতের অগ্রগতি এবং নারীর ক্ষমতায়নবিষয়ক পৃথক দুটি ভিডিও চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।

জাতীয়

কপি রাইট কোম্পানীর কাছ থেকে ১০ হাজার ডলার পেলেন শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নুর জালাল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কপি রাইট কোম্পানীর কাছ থেকে ১০ হাজার ডলার পেলেন শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নুর জালাল। গত এক বছর আগে চালু করা হয় বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের নামে ওয়েবসাইট। এর দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। তাদের তত্ত্বাবধানে ৪৭২টি গান সংরক্ষণ করা হয় সেখানে। এবার সেখান থেকেই গানের রয়্যালটি বাবদ ১০ হাজার ডলার পেয়েছেন শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালাল। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর কপিরাইট অফিসে জালালের হাতে চেক তুলে দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, রয়্যালটি হিসেবে আবদুল করিমের অ্যাকাউন্টে ১২ হাজার ডলার জমেছে। সেখান থেকে ১০ হাজার ডলার দেওয়া হলো। সরকারি খরচে চলতি অর্থবছরে আরও ২০জন শিল্পীর ওয়েবসাইট করা হবে। জানা গেছে, শাহ আবদুল করিম ওয়েবসাইটে আরও কিছু অপ্রকাশিত নতুন কিছু গান খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এদিকে, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মরমী কবি ও বাউল শিল্পী হাছন রাজার নামেও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়। সরকারি খরচে, কপিরাইট অফিসের তত্ত্বাবধানে হওয়া সাইট তিনটি উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনটি সাইটেই তথ্য, সংগীত ও ভিডিও রয়েছে। যে কেউ সাইটগুলো থেকে শিল্পীদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাবেন বলে জানান ওয়েব সাইট প্রস্তুতকারক জুয়েল মোর্শেদ। হাছন রাজার প্রপৌত্র সামারীন দেওয়ান ‘হাছন রাজা’ লেখার অনুরোধ করেন। শাহ নূর জানান, শাহ আবদুল করিমের গান যেন স্বরলিপিসহ সংরক্ষণ করা হয়। আর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জানান, তিনি এমন উদ্যোগে অভিভূত। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা, ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ। হমিন জানান, কমল দাসগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের জন্যও যেন এমন ওয়েবসাইট করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কপিরাইট আইন করা হচ্ছে, আগামী সংসদেই এটা উঠবে বলে আশা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য মেধাস্বত্বের স্বার্থ সংরক্ষণ করা।’ কপিরাইট-সংক্রান্ত কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন- এজন্য উপস্থিত অতিথিরা তাকে শুভেচ্ছা জানান

Scroll to Top