নভেম্বর ১৩, ২০২২

আন্তর্জাতিক

টি-টোয়েন্টির বিশ্ব ক্যাপ ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের জয়ের মুকুট ইংল্যান্ডের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টি-টোয়েন্টির বিশ্ব ক্যাপ ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের জয়ের মুকুট ইংল্যান্ডের। পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয় করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। রবিবার (১৩ নভেম্বর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয়বারের মতো ছোট ভার্সনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি জিতল ইংল্যান্ড। দিন-রাতের ম্যাচে বৃষ্টির শঙ্কা উড়িয়ে টস ভাগ্যটা জস বাটলারের পক্ষেই ছিল। ইংল্যান্ড অধিনায়ক আবহাওয়া আর এমসিজির উইকেটের কথা ভেবে শুরুতে বল তুলে দেন নিজ বোলারদের হাতে। তার সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক হতে সময় লাগেনি। ২০ ওভারে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে তুলে মাত্র ১৩৭ রান। জবাবে নেমে পুরো টুর্নামেন্টে ফ্লপ বেন স্টোকস দেখান যোগ্যতার পরিধিটা। তার ব্যাটেই ইংল্যান্ড ফাইনালটা নিজেদের করে নেয়। ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড বনে যায় বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। পাকিস্তানের পেস আক্রমণকেই ভয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই জুজুতে শুরুতে চাপে পড়েছিল তারা। এমনিতে লো স্কোরিং ম্যাচ অনেক সময়ই উপভোগ্য হয়। তেমন কিছুরই ইঙ্গিত ছিল শুরুতে। প্রথম ওভারেই ভাঙে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার লেগ স্টাম্পে পড়ে সোজা আসা বলে হেলস ব্যাট চালিয়ে খেলতে পারেননি। প্যাডে লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২ বলে ১ রানে আউট হেলস। তারপরই হারিস রউফ ম্যাচটা জমিয়ে তুলেন ফিল সল্টকে ফিরিয়ে। পুল করতে গিয়ে মিস টাইমিং। সল্ট অনায়াস ক্যাচ তুলে দেন ইফতিখার আহমেদের হাতে। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১০ রানে। তারপর অধিনায়ক জস বাটলারকে ফিরিয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তুলেন হারিস রউফ। তার লাফিয়ে বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করেন বাটলার। বলে সুইং থাকায় ব্যাটের বাইরের কানা স্পর্শ করে চলে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। ফেরার আগে ১৭ বলে ২৬ রান তুলেন বাটলার। আর পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯। তারপর বেন স্টোকস আর মঈন আলির ব্যাটে হাসিমুখ ইংল্যান্ডের। পরিস্থিতি বুঝে লড়ে গেছেন দু’জন। জানা ছিল আস্কিং রান বেশি নয়। টিকে থাকলেই চলবে। তাছাড়া পাওয়ার প্লে থেকেও ভাল রান পেয়েছিল দল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টোকস খেলেন ঠান্ডা মাথায়। তার ব্যাটে ৪৯ বলে ৫৫ রান। মঈন তুলেন ১৩ বলে ১৯ রান। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি পাকিস্তানের। শুরুতেই রানআউটে ফিরতে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্রিস জর্ডান মিস করায় প্রাণ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেন নি পাকিস্তানের এই ওপেনার। রিজওয়ানের উইকেট উড়িয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্যটা এনে দেন স্যাম কারান। এই পেনারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করা বলে ব্যাট চালিয়ে ভুল করেন রিজওয়ান। ব্যস, ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। ফেরার আগে ১৪ বলে ১৫ রান তুলেন রিজওয়ান। তার বিদায়ের সময় দল মহা বিপাকে। ৫ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ২৯ থাকলে তো আর টি-টোয়েন্টিতে স্বস্তি পাওয়া যায় না। তারপর প্রথম ৬ ওভার শেষে পাওয়া প্লে’তে ৩৯ রান। তারপর মোহাম্মদ হারিসও যেতে পারেননি বেশিদূর। আক্রমণে এসেই তাকে ফেরান আদিল রশিদ। তখন খেলা চলছিল অষ্টম ওভারের। বল হাতে নিয়েই বোকা বানান হারিসকে। তার প্রলুব্দ তরা বলে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে সর্বনাশ হয়ে যায় তার। টাইমিং ভুলে লং-অনে বেন স্টোকসের হাতে বল দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। তার আগে করেন ১২ বলে ৮। তারপর অবশ্য কিছুটা লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে শান মাসুদের জুটিটা জমেই যাচ্ছিল। তবে রান তোলার গতিটা কখনোই সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ছিল না। মেলবোর্নের উইকেট প্রথম ১০ ওভার শেষে পাকিস্তান তুলে ২ উইকেটে ৬৮। তারপর ফের পথ হারায় ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। সেই আদিল রশিদে সর্বনাশ তাদের। আদিলের গুগলিতে বোকা বনে ক্যাচ তুলে দেন বাবর। ১২তম ওভারের প্রথম বলেই গুগলি করেন আদিল। তার ডেলিভারি এতোটাই বাঁক নিচ্ছিল যে ব্যাটে ঠিকঠাক খেলতে পারেন নি বাবর। ক্যাচ উঠলে হাতে জমাতে ভুল করলেন না আদিল। পাকিস্তান অধিনায়ক দলকে চাপে ফেলে ফিরেন ২৮ বলে ৩২ রানে। টানা দুই ওভারে উইকেট হারিয়ে পথটাও হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। আদিলের পর বল হাতে ম্যাজিক দেখান বেন স্টোকস। তিনি তুলে নেন ইফতিখার আহমেদের উইকেট। স্টোকসের দ্রুতগতির লাফিয়ে উঠা বল খেলতে পারেননি ইফতিখার। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় অধিনায়ক জস বাটলারের গ্লাভসে। ৬ বল খেলে কোন রান না করেই ফেরেন তিনি। এরপর শাদাব খান-শান মাসুদ জুটি গড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন পাকিস্তানকে। গ্যালারিতে রাজত্ব করা পাকিস্তানি দর্শকদের কিছুটা সময়ের জন্য হলেও স্বস্তি দেন দু’জন। কিন্তু বড় জুটি গড়া হয়নি। দ্বিতীয় স্পেলে এসে স্যাম কারান ভাঙেন এই জুটি। তার বলে হাওয়ায় ভাসাতে গিয়ে সীমানা পার করতে পারলেন না। মিড উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মাসুদ। তার আগে করেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। তারপরও শাদাবও দ্রুত মাসুদের সঙ্গী হয়ে হতাশায় ভাসান মেলবোর্নের গ্যালারিতে হাজির পাকিস্তানিদের। ক্রিস জর্ডানের বলে পুল করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে শাদাব। অবশ্য বোর্ডে রান উঠছিল না, চাপ তো থাকবেই। মিড অফে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে তিনি করেন ১৪ বলে ২০। তারপর কারান তুলে নেন মোহাম্মদ নাওয়াজের উইকেটও। ৭ বলে ৫ রান ফেরেন তিনি। কারানের আগুনঝরা বোলিংয়ে পথ হারায় পাকিস্তান। তারপর আর ফেরা হয়নি ম্যাচে।

জাতীয়

কবি আবুল বশর আনসারীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনু‌ষ্ঠিত।

হাওয়া টিভি ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট  প্রতি‌নি‌ধি কবি আবুল বশর আনসারীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনু‌ষ্ঠিত। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলী‌গের প্রতিষ্ঠাতা সভাপ‌তি, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, বি‌শিষ্ট সমাজ সেবক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সমাজ সংস্কারক, সংঘঠক মরহুম ক‌বি আবুল বশর আনসারীর ৪র্থ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ আছর সি‌লেট নগরীর চৌ‌খি‌দে‌কিস্থ ক‌বির বাসভবন জে‌নেত ক‌টেজ এ দোয়া মাহফিল অনু‌ষ্ঠিত। যুক্তরা‌জ্যে থে‌কে ভার্চুয়ালী দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন মরহুম ক‌বি আবুল বশর আনসারীর সু‌যোগ‌্য বড় মে‌য়ে লন্ডন টাওয়ার হেম‌লেটস্ এর সাবেক ডেপু‌টি স্পিকার ও কাউ‌ন্সিলর মাদার জে‌নেত রহমান। দোয়া মাহফিল উপ‌স্থিত ছি‌লেন মরহুম ক‌বি আবুল বশর আনসারীর সদ্য দেশে আসা সু‌যোগ‌্য না‌তী যুক্তরাজ‌্য, ক্রয়ডন এর কাউন্সিলর ও সা‌বেক মেয়র হুমায়ুন ক‌বির, যুক্তরাজ‌্য ক‌মিউ‌নি‌টি নেত্রী রা‌হেনা ক‌বির চৌধুরী, যুক্তরাজ‌্য ক‌মিউ‌নি‌টি নেত্রী রুহুন চৌধুরী, সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন ‌কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টি বাংলা‌দেশ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোঃ শ‌হিদুল ইসলাম, আবুল মনছুর জু‌য়েল, সুলতানা আক্তার বানু, মুস‌লিমা আক্তার বানু, কাজী দিদার মিয়া, মাইশা চৌধুরী, হুমায়রা চৌধুরী সহ স্বানীয় ব‌্যক্তিবর্গ।

জাতীয়

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজনীতির ৫০ বছর পূর্তিতে নাগরিক সংবর্ধনা।

হাওয়া টিভি ডেক্স :- সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজনীতির ৫০ বছর পূর্তিতে নাগরিক সংবর্ধনা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীরা নৃত্যে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে ফজলে হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান। শনিবার বিকেল রাজশাহী শিল্পকলা। রাজনৈতিক জীবনের ৫০ বছর পূর্তিতে নাগরিক সংবর্ধনা পেয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী–২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। ৭০ বছর বয়সী ফজলে হোসেনকে সংবর্ধনা জানাতে আজ শনিবার বিকেল রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে করা হয় নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীরা নৃত্যে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে ফজলে হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান। তাঁকে ঘিরে নৃত্যের তালে তালে শিল্পকলার মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে একে একে রাজশাহীর অন্তত ৮০টি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান তাঁকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনী প্রতীক হাতুড়ি তুলে দেন। এরপর রাজশাহীর বিশিষ্টজনেরা বাদশার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক’ অর্থনীতিবিদ সনৎ কুমার সাহা বলেন, ফজলে হোসেন বাদশা তাঁর ছাত্র ছিলেন। নিজের ছাত্র যখন ভবিষ্যতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, দেশের নাম উজ্জ্বল করে; তখন শিক্ষক হিসেবে তা অত্যন্ত গর্বের। তিনি বাদশাকে নিয়ে গর্ব করেন। একই ধারায় টানা ৫০ বছর রাজনীতিতে সক্রিয়তা শক্তিশালী চেতনা ও আদর্শের পরিচয় বহন করে। তাঁর একনিষ্ঠ দেশপ্রেম ও সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মের অনন্য অনুপ্রেরণা। বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে ফজলে হোসেন বাদশাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, রাজশাহীর প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে ফজলে হোসেন বাদশা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শুধু রাজনীতিই নয়, রাজশাহীকে শিক্ষানগরীতে পরিণত করতেও তাঁর অবদান স্মরণীয়। ভাষাসংগ্রামী মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ফজলে হোসেন এখন জাতীয় রাজনীতিক। রাজনীতিতে তাঁর ৫০ বছর শুধু কোনো সংখ্যা নয়, একটি সুদীর্ঘ পরিক্রমা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়নের জন্য ফজলে হোসেন প্রয়োজনে আরও ৫০ বছর রাজনীতি করবেন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আবদুল হাদী বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই ফজলে হোসেন গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাজনীতি করেছেন। কখনো কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ, আবার কখনো আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য লড়াই করেছেন নিরলসভাবে। সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই সেদিন তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিনিময়ে কখনোই কিছু প্রত্যাশা করেননি। চেয়েছেন শুধু একটি সমতাভিত্তিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ, যা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা মনজুর মোরশেদ। সংবর্ধনা উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির বাইরে ফজলে হোসেনের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন আন্দোলনের ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। ফজলে হোসেন ১৯৫২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজশাহী নগরের হড়গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অনার্সসহ অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশ স্বাধীনের পর প্রগতিশীল ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করেন ও ছাত্রদের দাবি আদায়ে বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবন্দী হন। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন। সে বছর ৬ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী নামে নতুন একটি ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। আশির দশকজুড়ে আন্দোলনে থাকা বাদশা ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হন। সর্বশেষ পেয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।

জাতীয়

জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না, মানুষ জেগে উঠেছে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না, মানুষ জেগে উঠেছে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জোর করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তরুণরা জেগে উঠেছে। তাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের লড়াই অস্তিত্বের লড়াই। বেঁচে থাকার লড়াই। ভোটের, ভাতের অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই। এই লড়াইয়ে তরুণদের ইস্পাত কঠিন হয়ে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারেন তরুণরাই। তিনি বলেন, ‘আজকে যে সরকার আছে, তারা নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জোর করে, মানুষকে গুম করে, বন্দুক দিয়ে ক্ষমতায় আছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, মানুষ জেগে ওঠে। মানুষ অধিকার নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’ মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী মানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানেই ছিল। তিনবার নির্বাচন হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তো আওয়ামী লীগই সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছে। সংবিধানকে আওয়ামী লীগই বারবার ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, ‘আজকে চারদিকে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। কমিশন ছাড়া কোনো কাজ হবে না। তারা বলে দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। কারা মধ্যম আয়ের মানুষ হয়েছে? যারা চুরি করেছে, দুর্নীতি করেছে, সরকারের লোক তারা। এর বাইরে সাধারণ মানুষ কিছু পায়নি। তারা বলেছিল বিনা পয়সায় কৃষককে সার দেবে। দিতে পারেনি। এখন টাকার জন্য কৃষক সার কিনতে পারছেন না। কৃষকরা আর কৃষিকাজ করতে চাইছেন না। বাধ্য হয়ে তারা দিনমজুরের কাজ করছেন। কেউ রিকশা-ভ্যান চালাচ্ছেন। শিক্ষিত যুবকরা কাজ পাচ্ছেন না। তারা এখন বাধ্য হয়ে মোটরবাইক চালাচ্ছেন, হকারের কাজ করছেন। আমরা বলছি, ক্ষমতায় গেলে এই তরুণদের ভালো চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে সমাবেশের আগে তিন দিন ধরে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। এই হলো আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। এত ভয় কেন? ভয় হলো, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকে আলেম-ওলামাদের হয়রানি করছে। জেলে ঢুকিয়েছে। গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চার বছর ধরে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে।’ ফখরুল বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগ। ৯৬ সালে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা লগি-বৈঠা নিয়ে মানুষ খুন করেছে। তাদের অবস্থা হলো, আমরা ক্ষমতা ছাড়ব না, তোমরা যে যাই বল আমি সোনার হরিণ চাই। এটা আর হবে না। এটা আর হবে না। মার খেতে খেতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আর পেছনে যেতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছে। আজকে নতুন করে সেই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’ সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য দেন।

জাতীয়

বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়।  

বিলেতের আয়নার ডেক্স :-  বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়।   ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। শনিবার (১২ নভেম্বর) এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। সিআরআইয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত আট বছরে ছয়বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই অ্যাওয়ার্ড। ইয়াং বাংলা জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা। তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, পলিসি ক্যাফেসহ তরুণদের কাছে জনপ্রিয় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে ইয়াং বাংলা। এক লাখের বেশি তরুণকে নিয়ে তৈরি ইয়াং বাংলার নেটওয়ার্ক। ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা করা ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৫০০টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াং বাংলার পথচলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টাই করছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে যেই স্বপ্নের সূচনা করেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পেছনে বড় অবদান রাখেন। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলে, তা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের সময় ডিজিটাল রূপান্তরের সেবা পেয়েছে বাংলাদেশ। টেলিমেডিসিন, ভার্চুয়াল কোর্ট, মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থ সরবরাহসহ ডিজিটাল কার্যক্রমের বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে অর্থনীতি এগিয়ে গেছে।

Scroll to Top