নভেম্বর ৮, ২০২২

জাতীয়

গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা। দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি। গ্রাহকসেবার মান না বাড়ানোর অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রথমে অপারেটরটিকে কোনো ধরনের নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোনের অনুরোধে ১৩ লাখ অব্যবহৃত সিম বিক্রির সুযোগ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু আজ সেই সুযোগও রহিত করা হলো। ফলে গ্রামীণফোন নতুন-পুরনো কোনো সিমই বিক্রি করতে পারবে না। রবিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা (চলতি বছরের মে পর্যন্ত) আট কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। এই বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও অপারেটরটির বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ এসেছে, তারা বিটিআরসি থেকে যে স্প্রেকট্রাম বরাদ্দ নিয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও ঘনঘন কল ড্রপ, ফোরজি কভারেজ না বাড়ানো, বিটিআরসির পাওনা নিষ্পত্তি না করাসহ অপারেটটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কমিশন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেও গ্রামীণফোনের সেবার মান ভালো করার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। তারা গ্রাহক বাড়াবে কিন্তু সেবার মান বাড়াবে না- এটা হতে দেয়া যাবে না। যতদিন না তারা সেবার মান ভালো করবে এবং তা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত না হবে ততদিন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

জাতীয়

১০০সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

বিলাতে আয়না ডেক্স :- ১০০সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দেশের বিভিন্ন জেলায় নবনির্মিত ছোট-বড় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানের সেতুগুলো ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। সরকার ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করেছে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করে দিয়েছি। এর জন্য বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে আজ একসাথে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।

জাতীয়

৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় ইনু বলেন  পাকিস্তানপন্থি সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় ইনু বলেন  পাকিস্তানপন্থি সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে। আজও দেশের অসাংবিধানিক শাসন, মোশতাক-জিয়ার চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানপন্থি সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আজ সোমবার ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে জাসদ ঢাকা মহানগর কমিটি শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ইনু বলেন, ৭ নভেম্বরের ঘটনায় কর্নেল তাহের মহানয়ক, জিয়া খলনায়ক। পাকিস্তানপন্থার সরকার আনার অপরাজনীতি রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে অবিচল থাকতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ১৪ দলের অন্যতম এই শরিক নেতা। ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন—দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ফজলুর রহমান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, উম্মে হাসান ঝলমল, নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হকসহ অনেকে। কর্নেল তাহের বা জাসদ ক্ষমতা দখলের জন্য সিপাহিদের বিদ্রোহে যুক্ত হয়নি উল্লেখ করে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, কর্নেল তাহের ও জাসদ চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে যে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র, সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের ধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই ধারার অবসান করা। তাই জাসদ বা কর্নেল তাহের নিজের হাতে ক্ষমতা না নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কর্নেল তাহের ও সিপাহিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিয়াকে মুক্ত করেছিল জানিয়ে ইনু বলেন, জিয়া মুক্ত হয়েই সিপাহিদের দাবি অনুযায়ী জাতীয় সরকার গঠনের পথে না গিয়ে নিজে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিদ্রোহী সিপাহি ও কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। কর্নেল তাহেরসহ শত শত অফিসার, সৈনিককে হত্যা করেন। জাসদের নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করে। তিনি বলেন, জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতায় সিপাহি বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্র-ক্যু-সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সিপাহিদের বিদ্রোহ বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য মহান ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু যেমন খন্দকার মুশতাককে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন, কর্নেল তাহেরও জিয়াকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন। ইনু বলেন, আজ এটা প্রমাণিত হয়েছে ৭ নভেম্বর সিপাহি বিদ্রোহ ছিল সামরিক অফিসারদের উচ্ছৃঙ্খলার বিপরীতে সিপাহিদের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার এক অনন্য ঘটনা। আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের পর থেকে পরাজিত পাকিস্তানি শক্তি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ষড়যন্ত্র করেছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি মাঠে নেমেছে। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী রাজনৈতিক শক্তির একটি শক্তিশালী, কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্যই কেবল ষড়যন্ত্রকারীদের সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে পুনরায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সরকার কায়েম করতে পারে।

Scroll to Top