অক্টোবর ২১, ২০২২

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান কে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান কে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা। পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তোশাখানা মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। খবর দ্য ডনের। খবরে বলা হয়, আর্টিকেল ৬৩ (১) ধারায় ৫ বছরের জন্য তাকে ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের বেঞ্চ এ ঘোষণা করেছে। এদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাৎক্ষণিকভাবে শুক্রবারের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি বলছে, এই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করবে তারা। সমর্থকদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়েছে দলটি। আগস্টে পাকিস্তান মুসলিম নওয়াজ দলের একজন সদস্য ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া উপহার কিনেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ঘোষণাপত্রে এ সম্পদের তথ্য প্রকাশ করেননি। প্রসঙ্গত, গত রোববার পাকিস্তানের উপনির্বাচনে বড় জয় পেয়ে আবারও আলোচনায় এসেছিলেন ইমরান খান। খাইবার পাখতুনখার তিনটি, পাঞ্জাব প্রদেশের তিনটি এবং করাচি শহরের দুটি আসনে জাতীয় পরিষদ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আটটি আসনের সাতটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন পিটিআই প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর মধ্যে ছয়টিতেই জয় পান তিনি। বাকি একটি আসনে জয় পায় তার জোট। উপনির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, মুসলিম লিগ-এনের নওয়াজ শরীফের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। তিনি পিটিআইয়ের জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছেন

আন্তর্জাতিক

বৃটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বৃটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন। লিজ ট্রাস পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর এখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টিতে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। লিস ট্রাস টোরি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। লিস ট্রাস সরকারী ব্যয় হ্রাস না করে ট্যাক্স হ্রাস ও প্রবিধান সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলীয় এমপিদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সুনাক (৪২) সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, অতিরিক্ত ঋণের মাধ্যমে প্রস্তাব গুলোতে অর্থায়ন করার জন্য তার পরিকল্পনা বেপরোয়া এবং কয়েক দশকের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বাজারের আস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে। এখন যেহেতু সুনাকের বক্তব্য সঠিক প্রমাণিত হয়েছে, ট্রাসের নাটকীয় ঘোষণার পর সুনাক এখন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাছাইয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দলের আইনপ্রণেতারা ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী করার আগে তিনি পরপর রাউন্ডের ভোটে সর্বাধিক সংখ্যক টোরি আইন প্রণেতাদের সমর্থন অর্জন করেছিলেন। মঙ্গলবারের একটি নতুন ইউগভ জরিপে দেখা গেছে যে, তিনি ট্রাসের বিকল্পগুলোর মধ্যে সেরা রেটিং পেয়েছেন, যদিও এখনও সামগ্রিক অনুকূল সমর্থনে তার অবস্থান রেটিং -১৮ তে। পার্টির অনেক সদস্য, যারা সাধারণত বলে থাকেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে (৫৮) ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য তাকে ক্ষমা করতে তারা রাজি নন। কয়েক মাস বিতর্কের পর জনসনের দুর্বল সরকার থেকে সুনাক এবং অন্যদের পদত্যাগের কারণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জনসন গত মাসের শুরুর দিকে তার মন্ত্রিসভা এবং টোরি এমপিদের মধ্যে বিদ্রোহের পর প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন। জনসনকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবেন-যদিও খুব কমই ভেবেছিলেন এত দ্রুত সম্ভব হতে পারে। ট্রাসের পদত্যাগের পর টাইমস রিপোর্ট করেছে যে, তিনি ভোটের মাধ্যমে হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। জনসন ব্রেক্সিটের জন্য কনজারভেটিভ এমপি এবং দলের একটি অংশের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু বৃহত্তর ভোটারদের মধ্যে তার ব্র্যান্ডটি কলঙ্কিত হওয়ায় তিন বছরের মেয়াদে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি সাম্প্রতিক ইউগভ জরিপ দেখিয়েছে যে, জনসন লিস ট্রাসের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তবুও জিজ্ঞাসা করা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ তার সম্পর্কে একটি প্রতিকূল মতামত দিয়েছিল। বেন ওয়ালেস প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে সাম্প্রতিক কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে ভোটে দাঁড়ানোর কথা বিবেচনা করবেন কি-না, ৫২ বছর বয়সী বেন ওয়ালেস বলেছিলেন, ‘আমি এটিকে অস্বীকার করি না।’ সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ওয়ালেস একটি টহলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যেটি একটি বোমা হামলা চালানোর চেষ্টাকারী আইআরএ ইউনিটকে আটক করেছিল। প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনার পর প্রিন্সেস ডায়ানার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার সময় তিনিও অংশ নিয়ে ছিলেন। এর আগে টোরি নেতা নির্বাচনে ঋষি সুনাক ছিলেন লিস ট্রাসের প্রতিদ্বদ্ধী। তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য পেনি মর্ডান্ট (৪৯) পঞ্চম দফা ভোটেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। আর বেনওয়ালেস গতবারের টোরি নেতা নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

Scroll to Top