অক্টোবর ১২, ২০২২

জাতীয়

লন্ডনে ১৩তম বইমেলা। ১৫, ১৬ ও ১৭ অক্টোবরের বইমেলায় সবার উপস্থিতি কামনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- লন্ডনে ১৩তম বইমেলা। ১৫, ১৬ ও ১৭ অক্টোবরের বইমেলায় সবার উপস্থিতি কামনা। এক যুগের সফল ধারাবাহিকতায় এবার আরো ব্যাপক পরিসরে ১৩তম লণ্ডন বাংলা বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিলেতের বাংলা ভাষাভাষি লেখক—সাহিত্যিক—সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকসহ বইপ্রেমীদের প্রাণের এই মেলা তথা উৎসব হবে তিন দিনব্যাপী। তবে তিন দিনের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ অক্টোবর মেলা বসবে পূর্ব লণ্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে এবং ১৭ অক্টোবর হবে বিপুলসংখ্যক বাঙালি অধ্যুষিত বৃটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি বার্মিংহামে। পুরো বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবকে সফল ও উৎসবমূখর করে তুলতে সবার স্বতঃস্ফূূর্ত উপস্থিত কামনা করা হয়েছে। বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবকে সর্বাত্মক সফল করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংস্থা লণ্ডন বাংলা বইমেলা উদযাপন পর্ষদের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং লণ্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতা অনুষ্ঠিতব্য এবারের বইমেলা ও সাংস্কৃতি উৎসবে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ও বৃটেনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকার পাশাপাশি অনেকগুলো বাংলাদেশী প্রকাশনা সংস্থা তাদের প্রকাশিত বিপুলসংখ্যক বই নিয়ে মেলায় অংশ নেবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া সাংস্কৃতিক উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলতে কবিতা আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠ, গান এবং শিশু—কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়। বিশেষ করে উৎসব মাতিয়ে রাখতে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন সঙ্গীত ভূবনের অন্যতম প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত কণ্ঠ মৌসুমী ভৌমিক এবং বিশিষ্ট আবৃত্তিকার আহকাম উল্লাহ। আর অতিথিদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গহর রিজভী, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এম খালিদ এমপি, সাবেক মূখ্যসচিব কবি কামাল চৌধুরী, লণ্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দা মুনা তাসনিম, বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান। গত ১১ অক্টোবর, মঙ্গলবার পূর্ব লণ্ডনের মাইক্রো—বিজনেস সেন্টারে আয়োজি এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের বিস্তারিত কর্মসূচী তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লণ্ডন বাংলা বইমেলা উদযাপন পর্ষদের সদস্যসচিব, ছড়াকার দিলু নাসের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেলা উদযাপন পর্ষদের প্রধান সমন্বয়ক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম মোস্তফা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক যথাক্রমে কবি মাশূক ইবনে আনিস, সঙ্গীতশিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, কবি শামীম শাহান ও কবি হাফসা নূর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির উপদেষ্টা এডভোকেট কবি মুজিবুল হক মনি, মেলা কমিটির সমন্বয়ক যথাক্রমে সাংবাদিক মিসবাহ জামাল, কবি ফয়জুর রহমান ফয়েজ, সঙ্গীতশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, কমিউনিটি একভিস্ট জামাল খানসহ অনেকে। বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবকে আলোকিত করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে বক্তারা বলেন, এধরনের বইমেলা ও উৎসব নিজেদের সাংস্কৃতিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে। এধরনের অনেকগুলো মেলা ও উৎসবে কোনো অসুবিধা নেই মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, আমাদের সাহিত্য—সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়াই আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য এবং আমরা চাইÑ এসবের মাধ্যমে দেশপ্রেম জাগ্রত হোক। তৃতীয় বাংলা খ্যাত বিলেতে এখন আর বাংলা বইয়ের দোকান নেই উল্লেখ করে তারা বলেন, বেশী বেশী বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমেই বইপ্রেমীদের কাক্সিক্ষত বইটি পাওয়ার সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে এবারের বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব সফলে ইতোমধ্যে গঠন করা উপদেষ্টা কমিটি, সমন্বয় কমিটিসহ বিভিন্ন উপকমিটিতে থাকা ব্যক্তিবর্গের দীর্ঘ নামের তালিকা পড়ে শোনান মেলা কমিটির সদস্যসচিব ছড়াকার দিলু নাসের। তাতে দেখা গেছে যে, ওইসব কমিটিতে বিলেতের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। স্বাগত বক্তব্যে প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা বলেন, বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে ২০১০ সালে লণ্ডন বাংলা বই মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সাহিত্য—সাংস্কৃতিক সংগঠন, কবি—সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিককর্মীসহ নানা পেশার বাঙালিরা এসব উৎসবের আয়োজক ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সাল থেকে লণ্ডন বাংলা বইমেলা নামে নতুন রূপে এর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এবার বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০টি প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলার সার্বিক সহযোগিতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতি, বাংলাদেশ হাইকমিশন লণ্ডন। দুই দিনের বিস্তারিত কর্মসূচী এবং সময়—ক্ষণ তুলে ধরে বলা হয়, প্রথম দিন ১৫ অক্টোবর, শনিবার মেলা শুরু হবে দুপুর ২টায় এবং এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বিকেল সাড়ে টায়। উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেবেন প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী মৌসুমী ভৌমিকসহ বিলেতের খ্যাতনামা শিল্পীরা। বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শিশু—কিশোরদের রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিন ১৬ অক্টোবর, রোববার মেলা শুরু হবে দুপুর ১২টায় এবং উন্মোক্ত থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ওইদিন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় থাকবে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, তাল—তরঙ্গ এবং অংশ নেবেন স্থানীয় বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীবৃন্দ। সাহিত্য সংগঠন গ্রন্থী, শিকড় এবং আবৃত্তি সংগঠন বর্ণনের পরিবেশনায় থাকবে বিশেষ অনুষ্ঠান। এছাড়া রোববার দিনব্যাপী আলোচনাসহ স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীবৃন্দের উপস্থিতিতে গান পরিবেশনা। .        

জাতীয়

গোলাপগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাত আটক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গোলাপগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাত আটক। গোলাপগঞ্জে পল্লী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন গভীররাতে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ফুলসাইন্দ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন একদল ডাকাত। উক্ত গোপন সংবাদের আলোকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল থানা পুলিশ ফুলসাইন্দ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ঘর ও তালা ভাঙ্গার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং গাড়ি চাবি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি থানার রসুলপুর গ্রামের মৃত ছেনু মিয়ার পুত্র মোখলেছুর রহমান (৪০), বালাগঞ্জ উপজেলার নশিওপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলির পুত্র আবুল হোসেন রিপন (৩৪), ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম তিলাপাড়া গ্রামের মহিব উল্লাহর পুত্র নজরুল ইসলাম (৩৩) ও গোলাপগঞ্জের বুটিরাপাড়া গ্রামের মৃত ইসহাক আলির ছেলে মো. হারুন রশিদ (৩২)। থানা সূত্রে জানা যায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, চুরি, ডাকাতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। চার ডাকাত আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জাতীয়

ভোট কেন্দ্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কে স্বচক্ষে দেখেছি – সিইসি হাবিবুল আওয়াল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভোট কেন্দ্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কে স্বচক্ষে দেখেছি – সিইসি হাবিবুল আওয়াল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধায়-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভোট কারচুপি স্বচক্ষে দেখেছি। তাই পুরো ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরের পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে থেকে এ ঘোষণা দেন তিনি। সিইসি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন ভবনে একটি পর্যবেক্ষণ কক্ষ করেছি। পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। আমরা কেন্দ্র থেকে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে ইমপার্শিয়ালি, ফেয়ারলি ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।’ কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সম্ভবত পোলিং এজেন্ট, তাদের গায়ের গেঞ্জিতে নির্বাচনের প্রতীক ছাপানো ছিল। মেয়েদের একই রকমের শাড়ি নাকি একই রকমের ওড়না ছিল, যেটা নির্বাচন আচরণবিধি পরিপন্থি।’ সিইসি জানান, ‘অনিয়মের কারণে কয়েক দফায় ৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, ৫১ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়ে গেলে বাকি যে কেন্দ্রগুলো রয়েছে, তার ভিত্তিতে ফলাফল মূল্যায়ন সঠিক হবে না। ’ তিনি বলেন, ‘আরপিওর ৯১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় ভোটগ্রহণ সঠিকভাবে হচ্ছে না, ফেয়ারলি হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন কমিশন সব ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারে। আমরা পরিশেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো নির্বাচনি এলাকা গাইবান্ধা-৫-এর ভোট কার্যক্রম আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওখানে এখন আর ভোট হচ্ছে না। পরবর্তীকালে আমরা দেখব বিধিবিধান অনুযায়ী কী করতে হবে। আমরা কমিশন বসে আইন-কানুন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’ এই নির্বাচনের কী পুনরায় তফসিল হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইভিএমের বিষয় নয়, এটি হচ্ছে হিউম্যান এলিমেন্ট। এখানে আমরা যান্ত্রিক বা মেকানিক্যাল কোনো সমস্যা দেখিনি। ভোটে ইভিএম কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি। ভোটকেন্দ্র প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’ গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদসহ উপনির্বাচনে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  

আন্তর্জাতিক

পুরুষ ( মাহরাম) ছাড়াই হজ্ব করতে পারবেন নারীরা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পুরুষ ( মাহরাম) ছাড়াই হজ্ব করতে পারবেন নারীরা। হজ কিংবা ওমরাহ পালনের সময় নারীদের সঙ্গে মাহরাম (রক্তের সম্পর্কের পুরুষ আত্মীয় বা অভিভাবক) থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। গত সোমবার মিসরের কায়রোতে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে নারীরা মাহরাম ছাড়াই সৌদি আরব গিয়ে হজ বা ওমরাহ পালন করতে পারবেন বলে জানান আল-রাবিয়াহ। আরব গেজেটের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সৌদি আরবে হজ বা ওমরাহ পালনের সময় নারীদের সঙ্গে মাহরাম থাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। অবশেষে কায়রোতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হজ-ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী রাবিয়াহ এ বিতর্কের অবসান ঘটালেন। হজ বা ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে বিশ্বের কোনো দেশের জন্য কোনো কোটা বা সংখ্যা নির্ধারিত নয় বলে জানান ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ। তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশের যেকোনো মুসলিম যেকোনো ভিসা নিয়ে এসে হজ করতে পারবেন।’ হজ ও ওমরাহ পালনের খরচ কমানোর বিষয়ে সৌদি সরকারের আগ্রহ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি অনেক কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত। অবশ্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। আল-রাবিয়াহ বলেন, সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার যুক্ত করেছে সরকার। কোনো কোনো সময় রোবটের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়। নুসুক নামের একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খুব কম সময়ে ওমরাহর অনুমতি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যায়।

জাতীয়

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ এক দফা, একদাবীতে আজ বুধবার মহাসমাবেশ হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ এক দফা, একদাবীতে আজ বুধবার মহাসমাবেশ হয়েছে। সারা দেশে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। আন্দোলনে পতন হবে সরকারের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন।  বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলো গ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি মানুষকে বলেছেন কম খান। কম বিদ্যুৎ জ্বালান। সামনে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তাহলে আপনি আছেন কেন। এখনই ক্ষমতা ছাড়েন। নইলে পালানোর পথ পাবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের হত্যা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশকে ঘিরে নানা বাধা উপেক্ষা করে সকাল থেকে জনতার ঢল নামে চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে। দুপুর নাগাদ নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এদিকে গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের উপর সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা ও বিভিন্ন পয়েন্ট বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, গতরাত থেকে চট্টগাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা কর্মীদের উপর বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন। চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, বিভাগীয় সমাবেশে দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগদান করতে আসার পথে হামলার শিকার হয়েছেন। নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগদান না করে সেজন্য ভয় দেখাতে, আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মঙ্গলবার রাতে তাদের বাসাবাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে যত বাধাই আসুক না কেন বিএনপি নেতাকর্মীদের থামানো যাবে না, বরং চলমান আন্দোলন আরও গতিশীল হবে।  বিএনপির নেতারা জানায়, নোয়াখালীর কবির হাট থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে মিরসরাইয়ের নিজামপুর কলেজ এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কবিরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এভাবে আরও বিভিন্ন এলাকায় বাধাগ্রস্ত হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বিভাগের আওতাধীন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে।

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেলেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেলেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। দেশের ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১২ অক্টোবর) এই পুরস্কার তুলে দেন তিনি। কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় অবদান রাখায় ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দেওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানস্থলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীংয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ১৪২৫ বঙ্গাব্দে পুরস্কার পেলেন ১৫ জন। এরমধ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছেন একজন। তিনি হলেন বগুড়ার শেরপুরের প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান। কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে তিনি এই পদক পেয়েছেন। রৌপ্যপদক পেয়েছেন সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এরা হলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পিরোজপুরের নাজিরপুরের বদরুল হায়দার বেপারী ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হামিদুল হক। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে কৃষিতে নারীর অবদানের ক্ষেত্রে ঝিনাইদহ সদরের শারমিন আক্তার, প্রতিষ্ঠান বা সমবায় বা কৃষক পর্যায়ে উচ্চমানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারি স্থাপনে অবদানের জন্য পাবনার আটঘরিয়ার দুলাল মুখা। বাণিজ্যিকভিত্তিক খামার স্থাপনে সাভারের কোব্বাদ হোসাইন ও রাজশাহীর গোদাগাড়ির মনিরুজ্জামান মনির এবং প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছে প্যারামাউন্ট এগ্রো লিমিটেড। ব্রোঞ্জ পদক পেলেন সাত জন। এরা হলেন, কৃষি গবেষণায় রাজশাহীর তানোরের নুর মোহাম্মদ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার বারেক হাওলাদার, কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে রংপুরের বুড়িহাটের হর্টিকালচার সেন্টারের মজিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শফিকুল ইসলাম, নওগাঁর পোরশা উপজেলার গৌতম কুমার সাহা, রাজশাহীরর পুঠিয়ার মোছা. পূর্ণিমা বেগম ও ঢাকার নবাবগঞ্জের নিপু ট্রেডার্স। ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ২৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছেন দুই জন। এরা হলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি/উদ্ভাবন/ব্যবহার ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি চাষে পাবনার ঈশ্বরদীর আমিরুল ইসলাম। রৌপ্যপদক পেয়েছেন ৯ জন। এরা হলেন, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের মুহাম্মদ রকিবুল আহসান রনি, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন, খুলনার খালিশপুরের হালিমা বেগম, যশোরের ঝিকরগাছার নাসরিন সুলতানা, সিলেটের আব্দুল হাই আজাদ বলা, মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম, খুলনার ডুমুরিয়ার আবুল হোসেন সরদার, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর বাবুল হোসেন। ব্রোঞ্জপদক পেয়েছেন ১৮ জন। এরা হলেন, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের সহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মহালছড়িরর হ্লাশিং মং চৌধুরী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের গাজী মামুদ, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মাহবুবুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের রিনা বেগম, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোমরেজ আলী, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী, পাবনার ঈশ্বরদীর শাহীনুজ্জামান, বান্দরবানের তোওয়াব্রোয়াও ম্রো, ফেনীর মজিবুল হক, মুন্সীগঞ্জের সিরাজ খান, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ছানোয়ার হোসেন, রাঙ্গামাটির রাজস্থলির আবদুল আউয়াল, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের শাকিল মিয়া, নড়াইলের তনিমা আফরিন এবং দিনাজপুরের রাখী। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্র, পদক ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদক প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন।

Scroll to Top