অক্টোবর ৫, ২০২২

আন্তর্জাতিক

রসায়নে যৌথ ভাবে তিনজন নোবেল পেলেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রসায়নে যৌথ ভাবে তিনজন নোবেল পেলেন। ক্লিক রসায়ন এবং বায়োর্থোগোনাল রসায়নে অগ্রগতির জন্য এ বছর রয়াসনে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলিন আর বেরতোজি, কে বেরি শার্পলেস এবং ডেনমার্কের মর্তেন মেলদাল। বুধবার বাংলাদেশ স্থানীয় সময় বিকেল বেলা সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে। তাদের নোবেল দেয়ার কারণ হিসেবে নোবেল কমিটি থেকে জানানো হয়েছে, এই বিজ্ঞানীরা ক্লিক রসায়ন এবং বায়োর্থোগোনাল রসায়নে অগ্রগতিতে বড় অবদান রেখেছেন। এর আগে গত ৩রা অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনতত্ত্ববিদ সভান্তে পাবো। এছাড়া পদার্থে ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জন এফ ক্লজার ও অস্ট্রিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেসময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি।

জাতীয়

ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যাতে কাউকে বিভ্রান্ত করতে না পারেন সে দিকে খেয়াল রাখবে রাষ্ট্রপতি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যাতে কাউকে বিভ্রান্ত করতে না পারেন সে দিকে খেয়াল রাখবে রাষ্ট্রপতি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাদের হীন স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটির কোনো স্থান নেই।’ দেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব সনাতন ধর্মাবলম্বীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দুর্গাপূজায় আমরা অবশ্যই আনন্দ উৎসব করবো। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে আমাদের প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন তারাও যেন এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।’ এ সময় রাষ্ট্রপতি গত ২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে ৭০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন। সারা বিশ্বে বিরাজমান করোনার ছোবল ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্ববাসী চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত মন্দার ধাক্কা লাগছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস আর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।’ মঙ্গলবারের অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, এজন্য কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সামনের দিনগুলোতে ধর্মীয় সব উৎসব আরও সুন্দর ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হবে। একই সঙ্গে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যর বন্ধন আরও সুসংহত হবে।’ অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আন্তর্জাতিক

পদার্থে নোবেল পেলেন যৌথ ভাবে তিন বিজ্ঞানী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পদার্থে নোবেল পেলেন যৌথ ভাবে তিন বিজ্ঞানী। চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি পদার্থের নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেছে। পদার্থের এই তিন নোবেলবিজয়ী হলেন-ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জন এফ ক্লজার ও অস্ট্রিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার। নোবেল কমিটি বলেছে, বেল ইনেকুয়ালিটির পরীক্ষায় পাওয়া প্রমাণ ও কোয়ান্টাম অ্যান্টেঙ্গেলমেন্ট গবেষণায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নোবেল পুরস্কারের ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার পাবেন এ তিন বিজ্ঞানী। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ছোট আকারের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির বাইরে অন্য কোনো অতিথি উপস্থিত ছিলেন না। এ বছর নোবেল ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের বিজয়ীদের সঙ্গে গত দুই বছরের বিজয়ীদেরও ডিসেম্বরের নোবেল সপ্তাহে আমন্ত্রণ জানাবে। সেখানে ১০ ডিসেম্বর নোবেল পুরস্কারের মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনারের (প্রায় ৯ লাখ ডলার) পাশাপাশি বিজয়ীদের হাতে একটি সনদ ও স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হবে। এর আগে, সোমবার বিলুপ্ত হোমিনিনের জিন ও মানব বিবর্তনের যুগান্তকরী এক গবেষণার জন্য চলতি বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ জিনতাত্ত্বিক বিজ্ঞানী সোয়ান্তে প্যাবো। গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী শুকুরো মানাবে, জার্মানির পদার্থবিজ্ঞানী ক্লাউস হ্যাসেলম্যান ও ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী জর্জিও পারিসি। বৈশ্বিক জলবায়ুর কাঠামোগত মডেল নির্মাণ, বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্বাভাস ও তা নির্ভুলভাবে পরিমাপের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কার এবং পরমাণু ও গ্রহীয় পরিসরের ভৌত কাঠামো এবং তার ওঠানামার মিথস্ক্রিয়া আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান তারা। নোবেল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পদার্থ বিজ্ঞানে ১৯০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১১৫টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে এককভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন মোট ৪৭ জন। নোবেলের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে পুরস্কার পেয়েছিলেন অস্ট্রেলীয়-ব্রিটিশ পদার্থবিদ লরেন্স ব্র্যাগ। মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৯১৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে তার বাবার সঙ্গে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া পদার্থবিদ্যায় এখন পর্যন্ত মোট চারজন নারীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ম্যারি কুরি ১৯০৩ সালে, মারিয়া গোয়েপার্ট-মেয়ার ১৯৬৩, ডনা স্ট্রিকল্যান্ড ২০১৮ এবং আন্দ্রিয়া ঘেজ পেয়েছিলেন ২০২০ সালে। নোবেলের ইতিহাসে পদার্থে মাত্র একজনই দুবার পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি হলেন বিজ্ঞানী জন বার্ডিন। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৯৬ বছর বয়সে পদার্থের নোবেল জিতেছিলেন আর্থার আশকিন। সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এবারের নোবেল পুরস্কার মৌসুমের সূচনা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার রসায়ন এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে আগামী শুক্রবার (৭ অক্টোবর)। আর ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে এবারের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা। উনবিংশ শতাব্দীতে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল আবিষ্কার করেছিলেন ডিনামাইট নামের ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক, যা তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তির মালিক করে তোলে। মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে যান— প্রতি বছর ৫টি বিষয়ে যারা বিশেষ আবদান রাখবেন তাদের যেন এই অর্থ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ওই ৫ বিষয় হলো— চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তি। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় অনেক পরে ১৯৬৮ সালে। ব্যাংক অব সুইডেন আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে এই পুরস্কার চালু করে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে আগামী ১০ অক্টোবর।

আন্তর্জাতিক

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যেসব অভিবাসী বৃটেনে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তা থামানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন বৃটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যেসব অভিবাসী বৃটেনে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তা থামানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন বৃটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। এক্ষেত্রে নতুন করে একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন তিনি। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বৃটেনে প্রবেশের পরই এসব অভিবাসী আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এরই মধ্যে ছোট ছোট বোটে করে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সেখানে প্রবেশ করেছেন। তবে যেসব অভিবাসী বৃটেনের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন তিনি। যারা বেআইনিভাবে বৃটেনে প্রবেশ করেন এর মাধ্যমে তাদের আইন লঙ্ঘনের ইতি ঘটানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার কনজার্ভেটিভ পার্টির কর্মীদের কনফারেন্সে বক্তব্যে এসব প্রতিশ্রুতি দেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। যারা বৃটেনে বেআইনিভাবে প্রবেশ করবে তাদেরকে বিচারের আওতায় নেয়ার কথা বলেন তিনি। লন্ডনের টাইমস পত্রিকার মতে, বেআইনি অভিবাসন বিষয়ে একটি বিল প্রস্তাব করার কথা রয়েছে সুয়েলা ব্রেভারম্যানের। এতে বলা হয়েছে, এই বিলে বেআইনিভাবে বৃটেনে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হবে। বিশেষ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বৃটেনে যান এবং আশ্রয় প্রার্থনা করেন তাদেরকে থামাতে চান তিনি। সোমবার সরকার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এরই মধ্যে ছোট ছোট বোটে করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে কমপক্ষে ৩৩ হাজার অভিবাসী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ডাটায় দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে বিপজ্জনকভাবে ২১ মাইল চওড়া ডোভার প্রণালী পাড়ি দিয়েছে কমপক্ষে ৩৩ হাজার ১ জন। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরে গিয়েছে মোট ৭৯৬১ জন অভিবাসী। সোমবার আরও ৪০০ মানুষ ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছে। ফলে এসব সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্ডার ফোর্সের কমপক্ষে দুটি যান ডোভার, কেন্টে মঙ্গলবার সকালের শুরুতে কয়েক ডজন অভিবাসীকে ঘেরাও করেছে। ওই অভিবাসীদের মধ্যে আছে টিনেজাররা। কড়া ঠাণ্ডায় তাদের গায়ে শুধু কম্বল জড়ানো। তারা সাবেক একটি জেটফয়েল টার্মিনালের ডকসাইটে লুকিয়ে ছিল, যাতে কেউ তাদের দেখতে না পায়। অন্যদিকে সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের রোয়ান্ডা পাঠিয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে দেয়া হচ্ছে ওয়ান-ওয়ে ট্রিপ। অর্থাৎ তাদের ফেরার কোনো সুযোগ রাখা হচ্ছে না। কিন্তু সরকারি সেই সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে মিসেস সুয়েলা ব্রেভারম্যান কি করেন তা দেখার। তিনি হয়তো এটা নিশ্চিত করবেন যে, বৃটেনের বেআইনি অভিবাসন বিষয়ক নীতিকে আধুনিক দাসত্বের আইন দ্বারা, মানবাধিকারের আইন দ্বারা অথবা ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস দ্বারা পথচ্যুত করা যাবে না। বার্মিংহামের কনফারেন্সে সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেন, এটা ঠিক যে, যাদেরকে আমাদের প্রকৃতপক্ষেই প্রয়োজন, তাদের বিষয়ে আমাদেরকে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করতে হবে। বৃটেন সব সময়ই তা করে এসেছে। এটাই করেছিলেন আমার পিতা। তিনি ১৯৬০ এর দশকে একজন যুবক হিসেবে কেনিয়া থেকে বৃটেনে এসেছিলেন। কিন্তু এখন আমরা সিরিয়া, হংকং, আফগানিস্তান এবং ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার মানুষকে স্বাগত জানাচ্ছি।  

Scroll to Top