সাম্প্রতিক

সাম্প্রতিক

বাঙালির মহান জাতীয় বীর সিরাজুল আলম খানের সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জিয়াউল হক মুক্তা বাঙালির মহান জাতীয় বীর সিরাজুল আলম খানের সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি সিরাজুল আলম খান ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালির বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা জনাব খোরশেদ আলম ও মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে সিরাজুল আলম খান ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁকে বদলি হতে হয়েছে। সেই সুবাদে সিরাজুল আলম খান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৬ সালে খুলনা জিলা স্কুল থেকে তিনি অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে পড়াশোনা করেন। ১৯৬২ সালের নভেম্বরে তিনি আব্দুর রাজ্জাক (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতা) ও কাজী আরেফ আহমেদকে (পরবর্তীতে জাসদ নেতা) সাথে নিয়ে পূর্ববাংলার স্বাধীনতার জন্য প্রধানত ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে গঠন করেন গোপন রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ বা ‘স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস’ বা নিউক্লিয়াস। পরবর্তীতে এই গোপন রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় আরো যোগ দেন আবুল কালাম আযাদ (পরবর্তীকালে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা) ও আব্দুল মান্নান (পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা)। দারিদ্র্যের কারণে পরে আবুল কালাম আযাদ শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত হবার জন্য ও সাংগঠনিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য আব্দুল মান্নানকে এই প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়; এঁদের স্থলাভিষিক্ত হন মনিরুল ইসলাম বা মার্শাল মনি (পরবর্তীকালে জাসদ নেতা)। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ সালের জন্য ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন শেখ ফজলুল হক মনি। দায়িত্ব গ্রহণের কিছুকালের মধ্যে শেখ ফজলুল হক মনি ব্যক্তিগত কারণে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া থেকে দূরে চলে গেলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিরাজুল আলম খান। মূলত এই সময়েই তিনি সারা পূর্ব বাংলায় স্বাধীনতাকামী ছাত্রতরুণদের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। ১৯৬৩ সালের ৭ নভেম্বরের সম্মেলনে সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালের মার্চের পর তিনি আরো কয়েকজন ছাত্রনেতার সাথে কারান্তরীণ হন। ১৯৬৫ সালের জুলাই/আগস্ট মাসে কারামুক্তির পরে সেপ্টেম্বরের ৫-৬ তারিখে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগ সম্মেলনে তিনি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন; এসময় তিনি আবুল কালাম আযাদকে দায়িত্ব দেন ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় আলোচনার জন্য ‘পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক বৈষম্য’ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র রচনা করতে। আবুল কালাম আযাদ দু’জন স্কুল শিক্ষার্থীর সহায়তা নিয়ে তা রচনা করেন ও ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় পাঠ করেন। বর্ধিত সভার পরে ১৯৬৫ সালের নভেম্বরে ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী ও আব্দুর রাজ্জাকের ভূমিকাসমেত ছাত্রলীগ ওই গবেষণাপত্রটি জনবোধ্য পুস্তিকা হিসেবে প্রকাশ করে এবং সারা পূর্ব বাংলায় ‘আঞ্চলিক বৈষম্য’ নিয়ে ব্যাপক প্রচার আন্দোলন সংগঠিত করে। ছাত্রলীগ কর্তৃক ‘আঞ্চলিক বৈষম্য’ বিষয়ক প্রচার অভিযানের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণা করলে ডান-মধ্য-বাম নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দল এর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। ইসলামপন্থিরা একে পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র বলেন, মস্কোপন্থি কমিউনিস্টগণ একে সিআইএ-র বানানো দলিল ও শেখ মুজিবকে সিআইএ-র দালাল বলেন, চিনপন্থি কমিউনিস্টগণ একে র-এর তৈরি দলিল ও শেখ মুজিবকে ভারতে দালাল বলতে থাকেন। এমনকি আওয়ামী লীগও দল হিসেবে ভেঙে যায়— ছয় দফাপন্থি আওয়ামী লীগ ও পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট বা পিডিএম-এর আট দফাপন্থি আওয়ামী লীগ তৈরি হয়। আওয়ামী লীগের সকল সিনিয়র নেতৃত্ব শেখ মুজিব ও ছয় দফার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ১৯৬৬ সালেই সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে নিউক্লিয়াস বিদ্যুৎগতিতে ছয় দফার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে এবং ছয় দফাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধানতম অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। সিরাজুল আলম খানের সহযোদ্ধা কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ছয় দফা সমর্থন করে বিবৃতি প্রদান করেন। ছয় দফা ঘোষণার অপরাধে পাকিস্তানী শাসকরা শেখ মুজিবকে দ্রুত কারান্তরীণ করলে সিরাজুল আলম খান তাঁর মুক্তির দাবিতে ও ছয় দফার পক্ষে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ধর্মঘট সংঘটিত করেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন তরুণ নেতা কর্তৃক এই ধর্মঘট আহুত হলেও সিরাজুল আলম খান ও তাঁর অনুসারীগণ শ্রমিকদের সাথে নিয়ে এই ধর্মঘটকে সাফল্যমণ্ডিত করেন। ছয় দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দিতে সিরাজুল আলম খান শ্রমিক আন্দোলনের ট্রেড ইউনিয়নবাদি ধারা থেকে বের করে এনে রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ধাবিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের শ্রমিক ফ্রন্ট হিসেবে জাতীয় শ্রমিক লীগ গঠন করেন এবং মস্কোপন্থি ও চিনপন্থি কমিউনিস্টদের কবল থেকে শ্রমিক আন্দোলনকে উদ্ধার করে জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে ধাবিত করেন। প্রকাশ্য শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি ১৯৬৮ সালে নিউক্লিয়াসের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখা হিসেবে সিরাজুল আলম খান ও নিউক্লিয়াস নেতৃত্ব গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট’ বা বিএলএফ। বিএলএফ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে জঙ্গিরূপ রূপ দিতে গণআন্দোলনে সীমিত পরিসরে বল প্রয়োগের কাজ শুরু করে। কারান্তরীত শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বিচার কার্য শুরু করলে সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে মস্কোপন্থি ও চিনপন্থিদের সাথে ১১ দফা ভিত্তিক ঐক্য গড়ে তোলেন; মস্কোপন্থিরা ছয় দফায় ঘোষিত পূর্ব বাংলার জন্য আলাদা মুদ্রার ব্যাপারে একমত না হলে, এই একটি বিষয় বাদ দিয়ে ছয় দফার বাকি সব দফা যুক্ত করে ১১ দফা গ্রহণ করেন। সিরাজুল আলম খান ও নিউক্লিয়াসের তখন একটাই শপথ, যে কোনো মূল্যে শেখ মুজিবের জীবন রক্ষা করতে হবে। ১১ দফার ভিত্তিতে দুর্বার ছাত্র আন্দোলনকে নিউক্লিয়াস ‘ছয় দফা না হলে এক দফা’র (অর্থাৎ স্বাধীনতা)আন্দোলনে পরিণত করেন। এক দফা বা স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনার এই পর্যায়ে সিরাজুল আলম খানের অনুসারীগণ গভীর জাতীয়তাবাদি জনপ্রিয় শ্লোগানগুলোর জন্ম দেন; এই সময়ই তাঁরা মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভায় বাঙালির জাতীয় রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান প্রবর্তন করেন। বিদ্যুৎগতিতে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পরে। জাতীয় রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ প্রবর্তনের পর গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুক্ত শেখ মুজিবকে অতি দ্রুত ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এককভাবে সম্বর্ধনা প্রদান করে নিউক্লিয়াসের পক্ষে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য ১৯৬৯-১৯৭০ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জনসভায় শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করলেও এর আগেই ১৯৬৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দেয়ালিকা পত্রিকা ‘প্রতিধ্বনি’তে ছয় দফার পক্ষের একটি রচনায় নিউক্লিয়াসপন্থি ছাত্রনেতা রেজাউল হক চৌধুরি মুশতাক সর্বপ্রথম শেখ মুজিবের জন্য বঙ্গবন্ধু অভিধাটি ব্যবহার করেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের পর বঙ্গবন্ধু নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এই প্রস্তুতিকালে সিরাজুল আলম খান স্বাধীনতার পক্ষের তরুণ নেতৃত্বকে নির্বাচনের প্রার্থী করতে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করেন। ১৯৭০ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিরুত্তাপ মনে হলেও নিউক্লিয়াস এই সময়টিকে বঙ্গবন্ধু ও সিরাজুল আলম খান স্বাধীনতার দাবি এগিয়ে নিতে বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৯৭০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হকের প্রথম শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে ‘সার্জেন্ট জহুর বাহিনী’ বা ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করেন ও কুচকাওয়াজ করে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন পল্টন ময়দানে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের ধর্মঘটটি শ্রমিকদের শহিদ হবার দিন হওয়ায় এদিনে পল্টন ময়দানে শ্রমিক সমাবেশ আয়োজন করা হয়;

সাম্প্রতিক

চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল’র পক্ষে এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন ডাঃ বিদ্যুৎ বড়ুয়া

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, প্রতি‌নি‌ধি চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল’র পক্ষে এতিম শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন ডাঃ বিদ্যুৎ বড়ুয়া পবিত্র রমজানুল মোবারক উপলক্ষে এতিম শিশুদের জন্য চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ইফতার ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর হযরত শাহ আমানত (রহঃ) সংলগ্ন এতিমখানায় এই বিশেষ ইফতার ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এতিমখানার শিক্ষার্থীরা হামদ নাত ও কেরাত পাঠ করেন। ইফতারের আগে মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন এতিমখানার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম। মোনাজাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসী সকলের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে ফাউন্ডেশন বিগত দুইবছর ধরে সমাজের অসচ্ছল ও গরিবদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, খাবার বিতরণ ও অন্যন্য জনহিতকর কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে তা অক্ষুণ্ণ রাখার নিমিত্তে সাধারণের জনগণের সেবার এখনো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ফাউন্ডেশন।

সাম্প্রতিক

অটোরিক্সা চোরাই চক্রের ৭জন আটক-সিএমপি-হালিশহর থানা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি অটোরিক্সা চোরাই চক্রের ৭জন আটক-সিএমপি-হালিশহর থানা সিএমপি হালিশহর থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাই যাওয়া ৫টি বিভাটেক অটোরিক্সা উদ্ধার ও ব্যাটারী চালিত বিভাটেক অটোরিক্সা চোরাই চক্রের ৭জন সদস্যকে গ্রেফতার। ২৩মার্চ,থানা অফিসার ইনচার্জ জানান-২২মার্চ রাতে পাহাড়তলী থানাধীন সরাইপাড়া অনৈক রাশেদের অটোরিক্সার গ্যারেজে তাহার চোরাই যাওয়া অটোরিক্সা ২টি আছে মর্মে নিশ্চিত করে থানার সরকারী মোবাইল ফোনে জানায়। পরবর্তীতে হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় এসআই (নিঃ)মোঃ রুহুল আমিন এর নের্তৃত্বে পুলিশ টিম পাহাড়তলী উক্ত গ্যারেজ হতে আসামী ইয়াকুল শেখ সাইফুল (২৮) কে আটক করে। ভুক্তভোগী জনৈক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২) একজন ব্যবসায়ী তাহার মালিকানাধীন ২টি বিভাটেক অটোরিক্সা রহিয়াছে। ১৩ফেব্রুয়ারি রাতে অটোরিক্সা চালক মোঃ ইমরান (২৭) পলিটেকনিক্যাল কলেজের সামনে রেখে রেল লাইনের একপাশে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গেলে অজ্ঞাতনামা চোরেরা অটোরিক্সাটি চুরি করে নিয়ে যায়। পুনরায় গত ২০মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায়,চালক মোঃ রুবেল (৩২) তাহার মালিকীয় অটোরিক্সায় ১জন অজ্ঞাতনামা যাত্রী একটি চাউলের বস্তা নিয়ে উঠে। অজ্ঞাতনামা যাত্রী তাহার কোমড়ের ব্যথার কথা বলে চাউলের বস্তাটি বিল্ডিংয়ের ২য় তলায় উঠাইয়া দিতে বলে। বস্তাটি তুলে দিতে গেলে। যাত্রীকে দেখিতে না পাইয়া সে উক্ত বিল্ডিংয়ের সিড়ির জানালা নিয়ে নিচের দিকে তাকালে দেখিতে পান যে,যাত্রীবেশী চোর পূর্ব হইতে ঘটনাস্থলে উৎ পেতে থাকা তাহার সঙ্গীয় ২চোরসহ চুরি করে নিয়ে যাইতেছে। চালক রুবেল নামতে নামতে যাত্রীবেশী চোর দ্রুত গতিতে অটোরিক্সাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বাদী খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তথ্য অভিযোগের ভিত্তিতে বাদীর চোরাই যাওয়া অটোরিক্সা ২টি সহ আরো ১টি চোরাই অটোরিক্সা,যাহা ব্যাটারী বিহীন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে অটোরিক্সা চোর দলের সক্রিয় সদস্য ১। মোঃ রফিক আলম (২২),২। মোরশেদ আলম সবুজ (১৯) ৩। মোঃ আফিফ রহমান সেলিম (১৯) ৪। উত্তম কুমার সিং (২৯),৫। মোঃ হেলাল (২০)৬ মোঃ এয়াকুব শেখ সাইফুল (২৮),৭। মোঃ আব্দুল কাদের টিপু (৩০)কে আটক করে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ইয়াকুল শেখ যা সাইফুল (২৮) জানায় যে,পাহাড়তলী থানাধীন সরাইপাড়াস্থ রাশেদের অটোরিয়র গ্যারেজের ব্যবসায়ের আড়ালে আসামী মোরশেদ আলম এর সবুজ (১৮) আসামী আফিফ রহমান এ সেলিম (১৮) এবং আসামী রফিকুল আলম (২২) পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকা হইতে অটোরিক্সা চুরি করিয়া আনিত। সে সহ আসামী মোঃ আব্দুল কালো টিপু (৩০), মোঃ হেলাল (২৬), উত্তম কুমার সিং (২৯) চোরাই অটোরিক্সা নিজেদের দখল ও হেফাজতে রেখে ক্রয় বিক্রয় পরিচালনা করিত। আটক আসামীগন একটি সংঘবদ্ধ অটোরিক্সা চোর চক্রের সদস্য। উরু চুরির ঘটনায় মনৈক জাহাঙ্গীর আলম এজাহার দায়ের করিলে পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলার রুজুর পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক উল্লেখিত ৭নং আসামী মোঃ আব্দুল কাদের টিপুকে মেফতার করা হয়। টিপুকে মোকতার পরবর্তীতে তাহার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়তলী থানাধী ০২টি অটোরিক্সা সহ সর্বমোট ১৫টি অটোরিক্সা উদ্ধার পূর্বক জল. আরো চোৱাই যাওয়া বিভাটেক অটো রিক্সা উদ্ধারের কাজ অব্যাহত রহিয়াছে।

সাম্প্রতিক

আগামীদিনের তরুণরাই স্মার্ট বাংলা দেশের নেতৃত্ব দিবে – স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামীদিনের তরুণরাই স্মার্ট বাংলা দেশের নেতৃত্ব দিবে – স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। তরুণরা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে উল্লেখ করে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার সিকিউরিটি, মাইগ্রেশনসহ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। স্পীকার শনিবার নটর ডেম কলেজ প্রাঙ্গনে নটর ডেম কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘প্রতিষ্ঠার ৭৪’ বছর পুনর্মিলন উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক এমপি এবং নটর ডেম কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজ। শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, নটর ডেম কলেজ বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তারে মাইলফলক। কলেজটি সুদীর্ঘ ৭৪ বছর ধরে বাংলাদেশে মানসম্মত শিক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আলোকিত করে যাচ্ছেন। স্পীকার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। কলেজের শিক্ষকরা নিরলসভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের করে তৈরী করেন। এসময় তিনি নটর ডেম কলেজ অ্যালামনাই এর সহযোগিতায় কলেজটির ঐতিহ্য ও গৌরব অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি দেশের অনগ্রসর, অস্বচ্ছল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নটর ডেম কলেজ অ্যালামনাইয়ের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহিদ এবং প্রয়াত নটরডেমিয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠান কমিটির আহবায়ক বিপ্লব কুমার দেব।

সাম্প্রতিক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৯ জন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৯ জন। ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরি পার্কের একটি ব্যবসায়িক প্রাঙ্গণে বন্দুকধারীর গুলিতে ৯ জন নিহত হয়েছেন।স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। হামলার আগে চীনা চন্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ উৎসবের জন্য শহরে জড়ো হয়েছিল। এই উৎসবে এক লাখের বেশি দর্শকদের ভিড় করেছিল বলে জানানো হয়েছে। তবে গুলিবর্ষণে কতজন আহত হয়েছেন বা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা পুলিশ এখনও জানায়নি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী সিউং ওন চই জানান, তিনজন লোক তার রেস্তোরাঁয় দৌড়ে আসে এবং তাকে দরজা বন্ধ করতে বলে। কারণ, ওই এলাকায় একটি মেশিনগানসহ একজন লোক ছিল।

সাম্প্রতিক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের একটি বাড়ি থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার: পুলিশ

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের একটি বাড়ি থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার: পুলিশ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার একটি বাড়িতে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, উপজেলার দীঘলবাক গ্রামে আখলাকুর রহমানের মালিকানাধীন একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়, যা সকাল ১০টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘেরাও করে রাখে। আজ বিকেলে অভিযান শেষ হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানার এএসআই মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিক আখলাকুরের ছেলে আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে সমন আদেশ নিয়ে ওই বাড়িতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আফজাল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বাড়িতে তল্লাশির সময় এএসআই ঘরের মধ্যে কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সাদা পাউডার পান। বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্যের ভিত্তিতে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এবং অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিট যৌথ অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় বাড়ি থেকে বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ উপকরণ, কিছু বিস্ফোরক পাউডার এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে একটি মামলা চলছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সাম্প্রতিক

রামগড়ে চাঁন্দপাড়া গলায় ফাসঁ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রামগড়ে চাঁন্দপাড়া গলায় ফাসঁ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা! রামগড়ে চাঁন্দপাড়া গলায় ফাসঁ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা! খাগড়াছড়ি পার্বত‍্য জেলা-র রামগড় উপজেলার ১নং ইউপি”র অধিনস্থ চাঁন্দপাড়া নামক স্থানে ২৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন (২২)নামে এক যুবক গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করে, নিহত যুবক চাঁন্দপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম হোসেনের ছেলে বলে স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে। পরিবার ও স্থানীয়”রা জানান ইয়াকুব একটি সড়ক দুঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যায়ও ভুগছেন,বর্তমানেও সেই মানসিক চিকিৎসক দ্বারায় চিকিৎসাধীন সে কিছুক্ষণ ভাল,আবার কিছুক্ষণ খারাপ, তার এই আত্মহত্যা মানসিক সমস্যার কারণেও হতে পারে। ইয়াকুব এর মা জাহানারা বেগম জানান আমাদের সংসারে কারো সাথে কোন ঝামেলা নেই,তবে আমার ছেলে সড়ক দুঘটনার পর থেকে মানসিক ভাবে অসুস্থ দীর্ঘদিন,মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর সকালে ঘর থেকে বের হয়ে সে আর বাসায়,সারাদিন ফিরে নাই, সারাদিন তার কোন খুজঁখবর না পাওয়াতে, চারদিকে খুঁজাখুঁজি করতে থাকি, খুঁজাখঁজি”র এক পর্যায় বাড়ির পাশে একটি আম বাগানে বিকেল বেলায় অনুমানিক ৪/৫ টায় ইয়াকুব”কে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আমি চিকৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে, পরে এলাকাবাসী ঝুলন্ত লাশ দেখে রামগড় থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। রামগড় থানা উপপরিদর্শক (এসআই) ইরফান জানান যুবক গালায় ফাসঁ দেওয়ার ঘটনা এলাকাবাসী ফোনে জানালে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ৫-৬-৩০ টার সময় আমরা লাশ উদ্ধার করি, ময়নাতদন্তের জন‍্যে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে,এবিষয়ে থানা একটি অপমৃত‍্যু মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। স্থানীয় ইউপি” সদস্য ক‍্যারী মারমা, জানান ইয়াকুব দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যা য় ভুগছেন বলে পরিবার ও ডাক্তার চিকিৎসা পত্র সুত্রে জানতে পেরেছি। পারিবারিক কোন সমস্যা নেই বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিক

রামগড়ে পিসিএনপির শোক সভা অনুষ্ঠিত

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জহিরুল ইসলাম, রামগড় খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি রামগড়ে পিসিএনপির শোক সভা অনুষ্ঠিত জহিরুল ইসলাম রামগড় খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ দেশপ্রেম_সম্প্রীতি_উন্নয়ন——আমার পাহাড় -আমার জীবন, দল যার যার নাগরিক পরিষদ সবার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “পার্বত্য চট্রগ্রামের বসবাসরত সকল জাতি–ধর্মের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিত”পাহাড়ের সশস্থ সন্ত্রাসী দল জেএসএস(সন্তু)শান্তি বাহিনী কর্তৃক ১৯৮৬ সালের ১৩ই ডিসেম্বর রামগড় পাতাছড়া, ১৭ই ডিসেম্বর ছিনছড়িপাড়া এবং ২২শে ডিসেম্বর রামগড় বাজারে নৃশংস গণহত্যার নিহতদের স্মরণে খাগড়াছড়ির জেলার রামগড় এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। ২২শে ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর ০২.০০ঘটিকায় রামগড় বাজার উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক লোকমান হোসেনের সঞ্চালনা ও উপজেলা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃনুরুন্নবীর সভাপতিত্ব ও কেন্দ্রিয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দীন এর স্বাগত ব্যক্তব্যে শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যক্তব্য প্রদান করেন পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রিয় কমিটির মহাসচিব মোঃআলমগীর কবির,সাংগঠনিক সম্পাদক মাটিরাঙা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোক্তাদের হোসেন, উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মতি,পৌর কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মোঃমোশারফ হোসেন,সহ-সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক,সদস্য শাহেদ হোসেন রানা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ,সুশীল-সমাজ,গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, নিরাপত্তত কর্মি ও সাংবাদিকবৃন্দ।

সাম্প্রতিক

মুক্তিযুদ্ধে গোলাপগঞ্জ

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আনোয়ার শাহজাহান মুক্তিযুদ্ধে গোলাপগঞ্জ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বর্বর পাকবাহিনী রাতের অন্ধকারে বাঙালিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালালে দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। গোলাপগঞ্জের জনগণও পিছিয়ে ছিল না। ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতা ঘোষণার সংবাদ গোলাপগঞ্জে এসে পৌঁছলে শত শত মানুষ রাতভর গোলাপগঞ্জ ও ঢাকাদক্ষিণে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ২৬ মার্চ সকাল থেকেই সিলেট শহর থেকে শত শত লোক প্রাণভয়ে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আসতে থাকে। মুক্তিসংগ্রামী গোলাপগঞ্জবাসীরা শরণার্থীদের মাঝে খাবার ও পানি সরবরাহসহ তাদের থাকার ব্যবস্থা করে। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গোলাপগঞ্জ উপজেলার রয়েছে বিরল ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনে জানমাল ও মেধা দিয়ে উপজেলার ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যুব ও তরুণ সমাজ দলে দলে যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সক্রিয় হয়ে ওঠেন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে। প্রবাসী গোলাপগঞ্জবাসী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনমত গঠন এবং অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে সর্বাত্বক সহযোগিতা করেন। স্বাধীনতাকামী সৈনিকরা যুদ্ধের প্রথম প্রহরেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। উপজেলার ফুলবাড়ী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজকে অস্ত্র মহড়া, আক্রমণ ও শত্রুদের ঘায়েল করতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যুবক ও ছাত্ররা দলে দলে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে ছুটে আসেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে আসেন তৎকালীন ইপিআরের কয়েকজন জোয়ান। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুবেদার মতিউর রহমান এবং হবিলদার আবু আহমদ। এখান থেকে যোগাযোগ করা হত বিয়ানীবাজারের মেওয়া ক্যাম্পে। বেঙ্গল রেজিমেন্ট এটি পরিচালনা করছিল, আর কিছুদিন তার দায়িত্বে ছিলেন গোলাপগঞ্জের কৃতিসন্তান মেজর জেনালের আজিজুর রহমান (ছত্রিশ রাণাপিং)। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে কাজ করেন মরহুম আব্দুর রহিম অ্যাডভোকেট (সাবেক এমপি), মসুদ আহমদ চৌধুরী (রণকেলী), কফিল উদ্দিন চৌধুরী (রণকেলী), ইকবাল আহমদ চৌধুরী (রফিপুর), আব্দুল জববার (বারকোট), সৈয়দ মকবুল হোসেন (সুন্দিশাইল), শহীদ লে. কর্ণেল মুজিবুর রহমান চৌধুরী (রণকেলী), জয়নাল মহসীন চৌধুরী (ভাদেশ্বর) প্রমূখ। মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার প্রথমেই গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বইটিকর নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করার চেষ্টা গ্রহণ করা হয়। ৮ এপ্রিল রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সিলেট শহর পূর্ণ দখল করে ফেলে। এসময় মুক্তিসেনারা কৌশল গ্রহণের জন্য ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হন। একটি শেরপুর হয়ে মৌলভীবাজারের দিকে পিছু হটে, একটি খাদিমনগর জৈন্তা হয়ে তামাবিলের দিকে অগ্রসর হয় এবং অপরটি গোলাপগঞ্জ বইটিকর এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যূহ রচনা করে। পাকিস্তানি বাহিনী সিলেট শহরে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে তাদের একটি গ্রপ গোলাপগঞ্জের দিকে অগ্রসর হলে বইটিকরে অবস্থান নেয়া মুক্তিবাহিনীর জোয়ানরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। এসময় লড়াই বেঁধে গেলে অনেকেই হতাহত হন। গোলাবারুদ, অস্ত্র এবং সৈন্যবল তুলনামূলক কম থাকায় মুক্তিবাহিনীর জোয়ানরা বইটিকর এলাকা ত্যাগ করে। ১০ এপ্রিল বিয়ানীবাজারের মেওয়া থেকে ফুলবাড়ী মাদ্রাসায় স্থাপিত ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ট্রাকযোগে খাবার নিয়ে আসা হচ্ছিল। ট্রাকটির সঙ্গে ছিলেন ফুলবাড়ীর লাল মিয়াসহ ৪ জন আনসার। গাড়িচালক ছিলেন জকিগঞ্জের বাসিন্দা এখলাছ হোসেন (ছুতু মিয়া)। খাদ্য বহনকারী ট্রাক ছাড়াও রাস্তায় কয়েকটি ট্রাক ও গাড়ি চলাচল করছিল। হঠাৎ খাদ্যবাহী ট্রাককে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে পাকিস্তানি বোমারু বিমান। গোলাপগঞ্জের মৌলভীর খাল নামক কালভার্টের নীচে আত্মগোপন করার জন্য গাড়ি থেকে নামার আগেই পাকবাহিনীর ছোঁড়া বোমায় খাদ্যবাহী ট্রাকটি বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং শহীদ হন ফুলবাড়ী এলাকার কিশোর মতিউর রহমান, মোহাম্মদপুরের ভেড়াই মিয়া ঠিকাদার, সাইদুর রহমান ও গাড়িচালক জকিগঞ্জ উপজেলার এখলাছ হোসেন (ছুতা মিয়া)। বোমার আঘাতে লাল মিয়ার ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পাকবাহিনীরা এখান থেকে এগিয়ে রাণাপিং এলাকায় পৌঁছে আওয়ামী লীগ নেতা কফিল উদ্দিন চৌধুরী ও হারুন চৌধুরীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্যের মধ্যে কারো কাছে গুলি না থাকায় অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় তাদের উপর এবং রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে চলে যায় হানাদার বাহিনী। উপজেলার বইটিকরে ক্যাপ্টেন আজিজ ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সেনা, ইপিআর ও আনসার মুজাহিদের প্রায় ৩০০ জনের একটি দল পাকবাহিনীর সাথে ২৪ এপ্রিল এক সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়। তাদের সহযোগিতা করেন সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে আসা প্রায় ৩০০ বিএসএফ-এর একটি দল। আধ ঘণ্টা স্থায়ী এ যুদ্ধে পাকবাহিনীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ২৬ এপ্রিল সকালে পাকহানাদার বাহিনীর একটি দল উপজেলার ঢাকাদক্ষিণে প্রবেশ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও হিন্দুধর্মালম্বীদের খুঁজতে থাকে। এসময় পাকবাহিনী স্থানীয় ব্যাংক, দোকানপাট লুটপাট করে। এছাড়া শ্রী চৈতন্য দেবের মন্দির ও দত্তরাইল গ্রামের কালিকৃষ্ণ চৌধুরীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট করে। একইদিন বারকোট গ্রামের মনোরঞ্জন চক্রবর্তী নিতাইকে হত্যা করে। মুক্তিকামী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকাদক্ষিণ পাকহানাদার বাহিনীমুক্ত হয় এবং একইদিন মুকিতলা গ্রামের ছানুহর আলীকে পাক ও রাজাকার বাহিনী হত্যা করে। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম সংগঠন ঢাকাদক্ষিণ সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ ২০১২ সাল থেকে ১১ ডিসেম্বর ঢাকাদক্ষিণ মুক্ত দিবস পালন করে আসছে। ১২ সেপ্টেম্বর গোলাপগঞ্জের সীমান্তসংলগ্ন হাকালুকী হাওড়ে চলে দুর্ধর্ষ এক অপারেশন। ৪ নং সেক্টরের কুকিতল সাবসেক্টরের ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে গঠিত এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন আবুল খায়ের চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা তজম্মুল আলী ও লুৎফুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধাদের এ দলটি বড়লেখার ডিমাই গ্রামে অবস্থানের পর ফেঞ্চুগঞ্জ থানার চান্দভাগ চা-বাগানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছার আগেই ভোর হয়ে যায়। এসময় একটি স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্রাম নিতে গেলে সংবাদ পেয়েই তাদের উপর আক্রমণ চালায় পাকবাহিনী। এসময় মুখোমুখী সংঘর্ষে ২৫ জন পাকবাহিনী নিহত হয় এবং মুক্তিবাহিনীর ৩ জন জোয়ান শহীদ হন। ২৫ অক্টোবর (৪ রমজান) বারপুঞ্জি ক্যাম্প থেকে ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে এসে পৌঁছে বিশ্রাম নেন। মুক্তিযোদ্ধার আগমনের সংবাদ পেয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর এক দোসর এ সংবাদটি পাকবাহিনীর কাছে পৌঁছে দেয়। এসময় পাকসেনারা এলাকায় আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা নিরীহ এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে পাল্টা আক্রমণ না করে পাশ্ববর্তী টিলা দিয়ে সুন্দিশাইল এলাকা ত্যাগ করেন। মুক্তিবাহিনীকে না পেয়ে স্থানীয় এক রাজাকারের নির্দেশে মুক্তিবাহিনীদের আশ্রয়দাতাদের মধ্যে এলাকার ১৭ জন নিরীহ লোককে ধরে নিয়ে যায় পাকবাহিনী। তাদেরকে হত্যা করার জন্য স্থানীয় মোকামটিলায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করালে পাকবাহিনীর উপর আক্রমণ চালান মুক্তিযোদ্ধারা। এ সুযোগে আটককৃত লোকজন পালিয়ে গিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেন। দীর্ঘ সময় ধরে চলা পাল্টাপাল্টি আক্রমণে শহীদ হন দু’জন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। পরদিন ২৬ অক্টোবর (৫ রমজান) মোকামটিলায় অবস্থিত হযরত জাহান শাহ্ মৌলার মাজারসংলগ্ন মসজিদে (উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জড়ো হওয়া) মুসুল্লিরা আসরের নামাজ পড়ে বের হচ্ছিলেন। এসময় পাকবাহিনীর স্থানীয় এক দোসরের নেতৃত্বে একদল পাকসেনা গণহত্যা চালিয়ে একসাথে শহীদ করে ২১ জন রোজাদার সাধারণ মুসুল্লিকে। এ ২১ জন শহীদের মধ্যে কেউই মুক্তিবাহিনীর সদস্য না হলেও দেশ স্বাধীনের রণাঙ্গনের সাথে তাদের কারো সন্তান বা কারো আত্মীয়-স্বজন জড়িত ছিলেন। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর সুন্দিশাইল মোকামটিলায় আক্রমণ চালিয়ে দু’দিনে ২৩ জনকে শহীদ করে পাকবাহিনী। নির্মম এ গণহত্যাটি ছিল গোলাপগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গণহত্যা। মোকামটিলায় পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমণে নির্মমভাবে যারা শহীদ হয়েছেন তারা হলেন – (১) শহীদ খুর্শেদ আলী (সুন্দিশাইল), পিতা সরাফত আলী লস্কর (২) শহীদ আসদ আলী (সুন্দিশাইল), পিতা আব্দুল হামিদ (৩) শহীদ তুতা মিয়া (সুন্দিশাইল), পিতা আব্দুল মজিদ মাস্টার (৪)

Scroll to Top