সাম্প্রতিক

সাম্প্রতিক

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কী বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কী বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর। বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। ওই সব মিডিয়ার প্রতিবেদনে বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি। সব পক্ষকে টেনে এতে চূলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, গোটা ভোট ব্যবস্থাপনার। বেশ ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, নির্বাচনের নানা ঘাটতি, ত্রুটি-বিচ্যুতি। মোটা দাগে বলা হচ্ছে, টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিএনপির আন্দোলন ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফল কী হবে, তা আগেই বোঝা যাচ্ছে। সরকার বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন করায় এবং তাদের অনেক নেতা কারাগারে থাকায় তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। মানবাধিকার ইস্যু নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রতিবেদনে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে যে বিষয়টা বলা হয়েছে, তা হলো নেতাকর্মীরা কারাগারে থাকায় নিস্তেজ হয়েছে পড়েছে বিএনপির আন্দোলন। এর বিপরীতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন চলছে বেশ জোরেশোরে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অসুস্থ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের শিরোনাম, রোববার বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে নৌকা প্রতীকের প্রচার-প্রচারণার বেশ কয়েকটি ছবি ব্যবহার করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের জরুরি ঋণ সহায়তার প্রয়োজন পড়েছিল বাংলাদেশের। তা সত্ত্বেও টানা চার মেয়াদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে, ভোটের মাধ্যমে একদলীয় শাসনে যাওয়ার শঙ্কা বাড়ছে বাংলাদেশে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেও দৌড়ের ওপর রয়েছেন বিরোধীরা। এতে আরও বলা হয়, বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বারবার বলেছে, নির্বাচন বানচাল করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বিএনপি। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব ভারতের গণমাধ্যমগুলো। নিয়মিত নির্বাচনের খবরের পাশাপাশি মতামতভিত্তিক নিবন্ধও প্রকাশ করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। এমনই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এমনই এক লেখার শিরোনাম হচ্ছে, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে রশি টানাটানির খেলা : ইসলামি মৌলবাদ বনাম গণতন্ত্র’। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনের শিরোনাম, নিষেধাজ্ঞা ও বয়কট : বাংলাদেশের অশান্তির নির্বাচনের ইতিহাস। প্রতিবেদনে বলা হয়- ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশটিতে হাতেগোনা কয়েকটি নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ বলে বিবেচিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ নির্বাচনে দলীয় ইশতেহার নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও সেন্টারগেুলো থেকে একযোগে প্রচারিত হয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ। প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সবাইকে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ’৭৫-পরবর্তী সময়ে চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার-নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২-লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি। আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই—মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও ১০ বছরের শেখ রাসেল; কামাল ও জামালের নবপরিণীতা স্ত্রী সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জামিল এবং পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এএসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ সেই রাতের সব শহিদকে। এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ নেতাকর্মীকে। স্মরণ করছি, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস এবং পেট্রোল বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, আমি তাদের স্মরণ করছি। আহত ও স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রিয় দেশবাসী, পাকিস্তানের ২৪ বছরের শোষণ এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পোড়ামাটি নীতির ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো ও অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকার পরিচালনা করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরে তা বাড়িয়ে ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবৈধ সরকারগুলো দীর্ঘ ১৬ বছরে মাথাপিছু আয় মাত্র ৫ ডলার বাড়ায়। জাতির পিতার আমলে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ অতিক্রম করে। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন অগ্রগতি। জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানা বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে অবৈধ নির্বাচন করার ব্যবস্থা করে। সে নির্বাচনে ভোট গণনায় ১০০ শতাংশের বেশি ভোট দেখানো হয়। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে একদিকে ছিল সেনাপ্রধান, অপরদিকে রাষ্ট্রপতি। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান আমাদের দেশে আসতে বাধা দেয়। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সকল রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। শুরু করি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এজন্য বারবার আমার উপর আঘাত এসেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, বারবার গ্রেপ্তার হয়েছি। আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি দমে যাইনি। অবশেষে মানুষের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হই। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। অবসান হয় হত্যা, ক্যু ও সামরিক শাসনের। ’৭৫-পরবর্তী অবৈধ সরকারগুলোর জনবিচ্ছিন্নতা, লুটপাট ও দর্শনবিহীন রাষ্ট্র পরিচালনা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছিল বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং ভিক্ষুক-দরিদ্র-হাড্ডিসার মানুষের দেশ হিসেবে। তখন দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল প্রায় ৫৫ শতাংশ। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা দারিদ্র্য বিমোচনে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমরা পার্বত্য শান্তি চুক্তি করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি যেমন: আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ফেরা, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মত কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কৃষক ও কৃষি-বান্ধব নীতি গ্রহণের ফলে দেশ দ্রুত খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ-মেয়াদী নীতিমালা গ্রহণ করি; যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। প্রিয় দেশবাসী, ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই—এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। দেশ যখন আর্থিক স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা শুরু করে, ঠিক তখনই ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন। ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বহু চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দেওয়া হয়। ‘হাওয়া ভবন’ খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুঃশাসন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৫০০ এর বেশি মানুষকে আহত করে। জেলায় জেলায় বোমা হামলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশন জট, ছাত্রছাত্রীদের অনিশ্চিত জীবন ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কার সাধারণ চালচিত্র। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অস্ত্র চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিং, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, হাওয়া ভবনের দ্বৈত শাসনে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে থাকে। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসমেত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে ধাবিত করে। যার ফলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। সামরিক বাহিনী অন্তরালে থেকে ক্ষমতা দখল করে। ইয়াজুদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দীনের এই সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে তাদের উপর স্টিমরোলার চালানো শুরু করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। আমাকে এবং আমার দলের বহু নেতাকর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের বন্দি করা হয়। ভিন্ন দল গঠন করার চেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাদের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা ৯ম সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। তবে নির্বাচন সংস্কারের যে দাবি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট উপস্থাপন করেছিল সেগুলি থেকে তারা কিছু বিষয় কার্যকর করে, যেমন: ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট বাতিল এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার।

সাম্প্রতিক

স্পিকার শিরীন শারমিনকে ‘মেয়ে’ সম্বোধন, নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্পিকার শিরীন শারমিনকে ‘মেয়ে’ সম্বোধন, নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং পীরগঞ্জ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নিজের কন্যা আখ্যায়িত প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে আমার মেয়েকে আপনাদের দিয়ে গেলাম নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করা মানে আমাকে ভোট দেওয়া, জয়কে ভোট দেওয়া। সে জয়ের বোন, পুতুলের বোন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ‘এই নৌকা স্বাধীনতা এনেছে, অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে, এই নৌকা আমাদের একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ দেবে।’ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণের কাছে নৌকায় ভোট প্রদানের দাবি করে রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দরকার।’ নূহ নবীর নৌকা মানব জাতিকে মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা করেছিল বলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, এই নৌকা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে এবং এই নৌকাই দেবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। কাজেই আপনাদের কাছে আমার এটাই আবেদন-আমি আপনাদের এলাকার পুত্রবধূ ‘কি বাহে একখান ভোট মুই পামু না, একখান ভোট হামাক দেবেন না’-রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় এভাবেই ভোট চান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সকলের ওয়াদা চাইলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে চিৎকার করে দুই হাত তুলে ভোট প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইনশাল্লাহ নৌকা জিতলে তিনি আবারও আসবেন, এখানে জনসভা করবেন এবং বাদবাকি উন্নয়ন কাজগুলোও সম্পন্ন হবে। গত ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে শুরু হওয়া আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার সমাবেশের মতোই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দেবে বলে যে কথা দিয়েছিল, সে কথা রেখেছে-সেটাই সবচেয়ে বড় কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে সেবা করতে। তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা এসেছিল লুটপাট করতে। লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক-এগুলো ছিল তাদের কাজ। তারা জনমানুষের কল্যাণে কোন কাজ করেনি। নিজেদের আখের গুছিয়েছে। আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু মানুষকে সম্পদশালী করেছে। অন্যদিকে, আমার মজুর, কৃষক, শ্রমিক, সকলে মানবতার জীবন যাপন করেছেন। একমাত্র আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। শিক্ষা-দীক্ষা সবদিক থেকে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বেশি মঙ্গা পীড়িত এলাকা ছিল এই রংপুর। কিন্তু, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কোনদিন এখানে আর মঙ্গা হয়নি, বলেন তিনি। এ সময় তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাঁর আহ্বান পুণর্ব্যক্ত করে তাঁর সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মাধ্যমে সকলকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সামনে নির্বাচন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি এবং বাংলাদেশে এই প্রথম ধারাবাহিক ভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এই স্থিতিশীলতা অনেকেই চায় না। কারণ, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে যেসব দল উঠে এসেছে তারা মানুষের শান্তি দেখতে পারে না। যে কারণে আপনাদের মনে আছে, অগ্নি সন্ত্রাস থেকে রংপুরও বাদ যায়নি। ২০১৩-১৪ সাল এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপি জামাত জোটের অগ্নি সন্ত্রাস ও তান্ডবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসের থেকে এ রংপুরও বাদ যায়নি। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন ও ট্রেনে আগুন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন আগে রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলে দিয়েছে ওই বিএনপি জামাত চক্রের সন্ত্রাসীরা। কারণ, রেলের বগি পড়ে যাবে মানুষ মারা যাবে। মানুষ মারার ফাঁদ তারা তৈরি করেছে। এর থেকে ঘৃণার আর কি বা থাকতে পারে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয় ট্রেনে আগুন দিয়েছে। মা তো তার শিশু পুত্রকেতো ছাড়তে পারে না, জড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছে, দু’জনেই সেখানেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এ দৃশ্য দেখা যায় না, এটা সহ্য করা যায় না। তিনি বলেন, এই অগ্নি সন্ত্রাসই নাকি তাদের আনন্দ, এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি মানুষের জন্য কিন্তু মানুষকে মেরে মানুষকে হত্যা করে সেটা কিসের আন্দোলন ? কিসের রাজনীতি? সেটাই আমার প্রশ্ন। তিনি এই অগ্নি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান পুনব্যক্ত করে বলেন, এখানে ছাত্ররা আছে, তরুণ সমাজ আছে, প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে। ওই অগ্নিসন্ত্রাস যারা করতে আসবে তাদের সাথে সাথে ধরতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে কাউকে আমরা খেলতে দেব না। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি, দিনরাত পরিশ্রম করি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর তারা আসে ধ্বংস করার জন্য। কাজেই, এদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে, সজাগ হতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ির কাছে রেললাইন থাকলে পাহারা দিতে হবে। কোন বাস বা গাড়িতে কেউ আগুন দিতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরতে হবে। জনগণকেই এটা প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে জনগণ এটা প্রতিরোধ করেছিল এবং ২০১৪ সালে জনগণ এগুলো প্রতিরোধ করে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই আমরা সরকারে এসেছিলাম। কাজেই, সবাইকে এক হয়ে এই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আনন্দিত এইজন্য যে গত ১৫ বছরে রংপুরে কোন মঙ্গা দেখা দেয়নি। এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমরা তৈরি করেছি। স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার আমরা উন্নয়ন করেছি। সারা বাংলাদেশে আমরা মডেল মসজিদ এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করছি। সেটা আমরা এখানেও করেছি। যাতে করে আমাদের দেশের সব স্তরের মানুষ ভালো থাকে, তাদের জীবন উন্নত হয়। তাছাড়া, সমাজে অনগ্রসর যারা এমনকি দলিত-হরিজন- তাদের জন্যও বিনামূল্যে আমরা ঘর করে দিচ্ছি। জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের কাজই হচ্ছে জনগণের কল্যাণ করা। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের সরকার স্মার্ট হবে, আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট হবে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা স্মার্ট হবে-কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি আগামীতে এটা কার্যকর করে আমরা আরো এগিয়ে যাব। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। তিনি বলেন, একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, একটি মানুষ ও ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না, একটি মানুষও বিনা চিকিৎসায় থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষের যে মৌলিক অধিকারগুলো রয়েছে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা, তার ব্যবস্থা আমরা করবো। এটা আমরা করেও দিচ্ছি এবং এটা আমাদের অব্যাহত থাকবে। আর এটা অব্যাহত থাকতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দরকার। এদিন বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এই বিশাল নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেন। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর

সাম্প্রতিক

সিলেটের ১৯ আসনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের ১৯ আসনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দিনভর স্ব স্ব জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সিলেটের ৬টি, সুনামগঞ্জের ৫টি, হবিগঞ্জের ৪টি, মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ব্যানার টানানো শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামছেন প্রার্থীগণ। সিলেটের ৬টি আসন — সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সিলেটের ৬টি আসনে যে প্রার্থী পেলেন যে প্রতীক– সিলেট-১ (সিটি কর্পোরেশন ও সদর) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য– পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। সম্মিলিত মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল বাসিত ছড়ি। এনপিপির প্রার্থী ইউসুফ আহমদ আম। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক মিনার এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ডাব প্রতীক। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ- ওসমানীনগর) :- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন নৌকা। গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী লাঙ্গল। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব সোনালী আঁশ। বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. জহির ডাব এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)’র প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন পেয়েছেন আম প্রতীক। সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান পেয়েছেন নৌকা। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান লাঙল। বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শেখ জাহেদুর রহমান (মাসুম) মোমবাতি প্রতীক। ইসলামী ঐক্যাজোটের প্রার্থী মো.মইনুল ইসলাম মিনার। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)’র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আফরোজ আম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল পেয়েছেন ট্রাক্টর প্রতীক। সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইমরান আহমদ পেয়েছেন নৌকা। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) মিনার এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো.আবুল হোসেন পেয়েছেন সোনালী আঁশ প্রতীক। সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন নৌকা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী কেতলি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডঃ আহমদ আল কবির ট্রাক্টর। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার সোনালী আঁশ। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাব্বীর আহমদ লাঙ্গল। বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী মো.বদরুল আলম ডাব এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) প্রার্থী মো. খায়রুল ইসলাম পেয়েছেন হাতপাঞ্জা প্রতীক। সিলেট-৬ গোলাপ গঞ্জ ও বিয়ানীবাজার) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন নৌকা। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান (আতা) ছড়ি প্রতীক। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন লাঙ্গল। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী সোনালী আঁশ। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান মিনার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। সুনামগঞ্জের ৫টি আসন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থেকে তাদের এই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। সুনামগঞ্জ-১ ( তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট রনজিত সরকার (নৌকা) প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (কেটলি) প্রতীক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম আহমদ (ঈগল) প্রতীক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের নবাব সালেহ আহমদ (ডাব) প্রতীক, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মন্নান তালুকদার (লাঙ্গল) প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মো. আশরাফ আলী (সোনালী আশঁ) প্রতীক, গণফ্রন্ট’র মো. জাহানুর রশিদ (মাছ) প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’র মো. হারিছ মিয়া (একতারা) প্রতীক পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চৌধুরী আব্দুল্লা আল মাহমুদ (নৌকা) প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সাংসদ ড. জয়া সেন গুপ্তা (কাচিঁ) প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব মো. মিজানুর রহমান (ঈগল) প্রতীক পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সাংসদ এম. এ মান্নান (নৌকা) প্রতীক, তৃণমূল বিএনপি’র মোহাম্মদ শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আশঁ) প্রতীক, জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী (লাঙ্গল) প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির তালুকদার মো. মকবুল হোসেন (কাঠাঁল) প্রতীক পেয়েছেন।॥ সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক (নৌকা) প্রতীক, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান (লাঙ্গল) প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত মো. এনামুল কবির ইমন (ঈগল) প্রতীক, মো. মোবারক হোসেন (কাচিঁ) প্রতীক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোহাম্মদ দিলোয়ার ‘আম’ প্রতীক পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মহিবুর রহমান মানিক ‘নৌকা’ প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত শামিম আহমদ চৌধুরী ‘ঈগল’ প্রতীক পেয়েছেন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল রোববার। সোমবার প্রতীক পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা চালাতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলার পাঁচটি আসনে ২৯ প্রার্থীকে বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জের ৪টি আসন : হবিগঞ্জ জেলার ৪টি আসনে ৩১ প্রার্থীর মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে হবিগঞ্জ -১ আসনে ৫ জন, হবিগঞ্জ-২ আসনে ৯ জন, হবিগঞ্জ-৩ আসনে ৯ জন এবং হবিগঞ্জ ৪ আসনে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কেয়া চৌধুরী (ঈগল), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ (ট্রাক), ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারহানী (মিনার), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো: নুরুল হক (গামছা) প্রতিক পেয়েছেন। হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ খান (ঈগল), জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী শংকর পাল (লাঙ্গল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনমোহন দেবনাথ (গামছা), ইসলামী ঐক্যজোটের শেখ হিফজুর রহমান (মিনার), তৃণমূল বিএনপির খাইরুল আলম (সোনালী আশঁ), বিএনএম এর এসএএম সোহাগ (নোঙ্গর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশর মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (চেয়ার) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: জিয়াউর রশিদ (ডাব) প্রতিক পেয়েছেন। হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই ও শায়েস্তগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো: আবু জাহির (নৌকা), জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী এম এ মুমিন চৌধুরী বুলবুল (লাঙ্গল), বিএনএম এর মো: বদরুল আলম সিদ্দিকী (নোঙ্গর), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো: আদম আলী (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো: আব্দুল কাদির (আম), জাকের পার্টির আনসারুল হক (গোলাপ ফুল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আবদুল ওয়াহেদ (চেয়ার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: নোমান হাসান (ডাব), মুক্তিজোট (জেডিপি) এর মো: শাহিনুর রহমান (ছড়ি) প্রতিক পেয়েছেন। হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (ঈগল), জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: আল আমিন (ডাব), ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের আবু ছালেহ (মিনার), বিএনএম এর মো: মুখলেছুর রহমান (নোঙ্গর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আব্দুল মুমিন (চেয়ার) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐকজোটের

সাম্প্রতিক

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অনেক হেভি ওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স ;- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অনেক হেভি ওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তৃতীয় দিনে গতকাল অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন। গত শুক্রবার শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, আজ তা শেষ হবে। বাছাইয়ে বাদ পড়ারা সবাই রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরে মধ্যে। সেগুলো নির্বাচন কমিশনে নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাইয়ের তৃতীয় দিনে বাদ পড়া উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, বিকল্প ধারার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও লাঙ্গল      প্রতীকের প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, পাবনার সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী, চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম, নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত ও বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন প্রমুখ। মনোনয়ন বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- কক্সবাজার : কক্সবাজারের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিন কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপির মনোনয়ন পত্র ঋণ খেলাপির অভিযোগে বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ ছাড়া এ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে দাখিল করা আরও চারজন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। অপরদিকে কক্সবাজার-২ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে সবার মনোনয়ন পত্র বৈধ করা হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সবাজার-১ আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা কাগজপত্রে অসঙ্গতি ও ঋণখেলাপি থাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং অপর চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আটজন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টি জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাহউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ). সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মহাসচিব আবদুুল আওয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির হোসনে আরা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম ও তার ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন। রিটার্নিং অফিসার আরও জানান, কক্সবাজার-২ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে সবার মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মাহাবুবুল আলম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. ইউনুস, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপির মোহাম্মদ খাইরুল আমিন, বিএনএমের প্রার্থী শরীফ বাদশা। পটুয়াখালী : পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ২০০০-২০০৯ সাল পর্যন্ত রুহুল আমীন হাওলাদার ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮১১ টাকা কর পরিশোধ না করায় গতকাল সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর চারটি আসনে দাখিলকৃত মনোনয়পত্র যাচাই-বাছাইকালে কর বকেয়া থাকার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া পটুয়াখালী-১ আসনে দাখিলকৃত মনোনয়নের মধ্যে ঋণখেলাপির দায়ে বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাসির উদ্দীন এবং জাকের পার্টির মিজানুর রহমানের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় মহিউদ্দিন মামুনের মনোনয়ন পত্র স্থগিত করা হয়েছে। বগুড়া : বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী হওয়ার পর চার অভিযোগে আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, আশরাফুল হোসেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েও মনোনয়ন পত্রে নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিখে জমা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থন ফরমও তিনি জমা দেননি। মনোনয়ন পত্রের হলফনামায় আশরাফুল হোসেন সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। এ ছাড়া তিনি মনোনয়নের হলফনামায় নিজে স্বাক্ষরও করেননি। এ জন্য আশরাফুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মনোনয়ন পত্র বাতিলের আদেশ উঠিয়ে আশরাফুল হোসেন আগামী ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম জানান, ‘মানুষ মাত্রই ভুল। আমারও ভুল হয়েছে। দুজন উকিল মনোনয়ন পূরণে ভুলগুলো করেছেন। সেই দায় আমারই। আমি আপিল করব। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাব। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকতে চাই। হিরো আলম মাঠে ছিল থাকবে। ’ ঝালকাঠি : ঝালকাঠির দুটি আসনের সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও  জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংস পার্ট খ্যাত ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ইসলাম, যাকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। মনোনয়ন বাতিল হওয়া আরও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন। আরও রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় পার্টির এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন, নুরুল আলম, ব্যারিস্টার আবুল কাশেম মো. ফখরুল ইসলাম। ঝালকাঠি-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দীন ইমরানের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে আলোচিত প্রার্থী বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম) এসে কিছুক্ষণ থেকে প্রশাসন ও  নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করে চলে যান। পাবনা : পাবনায় তিনজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহা. আসাদুজ্জামান। বাতিলকৃতদের মধ্যে পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী রয়েছেন। ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত খেলাপি ঋণের কারণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে বিএনএমের সংসদ সদস্য প্রার্থী সংগীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সময় আরও দুজনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। তারা হলেন- পাবনা-২ এর সতন্ত্র প্রার্থী আবদুুল আজিজ খান ও পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল করিম। এ বিষয়ে ডলি সায়ন্তনী বলেন, কার্ডের বিষয়টি আমার খেয়াল ছিল না। বিষয়টি আমি দ্রুত সমাধান করে আপিল করব। আপিলে মনোনয়ন পত্র ফিরে পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। রাজশাহী : রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, গোলাম রাব্বানী, শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া ও চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর মনোনয়ন প্রথমে স্থগিত রাখা হয়। সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকায় এ সিদ্ধান্ত দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিকালে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখানোর পর সেটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ আসনে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ছয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা

সাম্প্রতিক

এক ঝাঁক নতুন মুখ।অনেক এমপি, প্রতি মন্ত্রী বাদ পড়েছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- এক ঝাঁক নতুন মুখ।অনেক এমপি, প্রতি মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনীত প্রার্থীর নাম পরে প্রকাশ হবে বলে জানানো হয়। প্রার্থী তালিকায় বর্তমান সরকারের ৭১ জন সংসদ সদস্য এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। পাশাপাশি মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন ৩ প্রতিমন্ত্রী। তারা হলেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। অন্যদিকে  মনোনয়ন পেয়েছেন ৪ সাবেক আমলা। তারা হলেন-প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব এবং এসডিজি বিষয়ক সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কামাল আজাদ, সাবেক সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সাজ্জাদুল হাসান। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রার্থী ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ প্রকাশ করেন মনোনয়ন পাওয়া নেতারা। অনুসারীদেরও আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়। সকাল থেকে মনোনয়ন পাওয়া নেতাকর্মীরাও ভিড় করেন দলীয় কার্যালয়ে। মনোনয়ন ঘোষণায় নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ চত্বর। প্রার্থীদের নামে স্লোগান দিতে থাকেন অনুসারীরা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা: ২৯৮ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা যারা পেলেন তারা হলেন-পঞ্চগড়-১ মো. নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, পঞ্চগড়-২ মো. নূরুল ইসলাম সূজন, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ মো. মাজহারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ মো. ইমদাদুল হক, দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান, দিনাজপুর-৬ মো. শিবলী সাদিক, নীলফামারী-১ মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ মো. গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ মো. জাকির হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-১ মো. মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ মো. মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ মো. রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-২ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মণ্ডল, রংপুর-৪ টিপু মুনশি, রংপুর-৫ রাশেক রহমান, রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-১ মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ মো. বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধা-৫ মাহমুদ হাসান, জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ মো. হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ মো. মজিবর রহমান (মজনু), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৭ মো. মোস্তফা আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মু. জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মো. আব্দুল ওদুদ, নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, নওগাঁ-৪ মো. নাহিদ মোর্শেদ, নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), নওগাঁ-৬ মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী-৩ মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, রাজশাহী-৬ মো. শাহরিয়ার আলম, নাটোর-১ মো. শহিদুল ইসলাম (বকুল), নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-৪ মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৩ মো. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ মো. শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মমিন মণ্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-১ মো. শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ মো. মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ, পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, কুষ্টিয়া-১ আ. ক ম সরওয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-২ নাম ঘোষণা হয়নি, কুষ্টিয়া-৩ মো. মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ সেলিম আলতাফ জর্জ, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), চুয়াডাঙ্গা-২ মো. আলী আজগার, ঝিনাইদহ-১ মো. আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ঝিনাইদহ-৩ মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার), যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ মো. তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল, যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৬ শাহীন চাকলাদার, মাগুরা-১ সাকিব আল হাসান, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ বি এম কবিরুল হক, নড়াইল-২ মাশরাফি বিন মর্তুজা, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দীন, বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ এইচ, এম, বদিউজ্জামান সোহাগ, খুলনা-১ ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-২ শেখ সালাহউদ্দিন, খুলনা-৩ এসএম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আব্দুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ মো. রশীদুজ্জামান, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৩ আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ এসএম আতাউল হক, বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা, পটুয়াখালী-১ মো. আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ এস.এম শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ মো. মহিবুর রহমান, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আলী আজম, ভোলা-৩ নুরন্নবী চৌধুরী, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্‌, বরিশাল-২ তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল-৩ সরদার মো. খালেদ হোসেন, বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ, বরিশাল-৫ জাহিদ ফারুক, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুন, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, পিরোজপুর-১ শ. ম. রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান, টাঙ্গাইল-১ মো. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৩ মো. কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ মো. মামুন-অর-রশিদ, টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম (টিটু), টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয়, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ মো. ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ মির্জা আজম, জামালপুর-৪ মো. মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ মো. আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-১ মো. আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ এডিএম শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৩ নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ মো. আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ মো. মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী, ময়মনসিংহ-৮ মো. আব্দুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমী গোলন্দাজ (বাবেল), ময়মনসিংহ-১১ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, নেত্রকোনা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-২ মো. আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৩ অসীম কুমার উকিল, নেত্রকোনা-৪ সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোনা-৫ আহমদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-২ আবদুল কাহার আকন্দ, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান, মানিকগঞ্জ-১ মো. আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, মুন্সীগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা-২ মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ হারুনর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাইদ খোকন, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মো. মাইনুল হোসেন খান, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ মো ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৮ মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৯ ডা. মো. এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ বেনজীর আহমদ, গাজীপুর-১ আ ক ম, মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ রুমানা আলী, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন (রিমি), গাজীপুর-৫ মেহের

সাম্প্রতিক

ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ যখন লক্ষনাবন্দ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ হযে যায় তখন এইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ যখন লক্ষনাবন্দ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ হযে যায় তখন এইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে যে ১২৫ বৎসর পূর্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে সেটা নাকি লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কেন ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কি লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নে অবস্থিত? আমাদের প্রশ্ন এই কমিটি করার মানে কি আর এই এলাকার সম্মান নেওয়ার মানে কি?? ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান কে নিয়ে ফুটবলের মতো ব্যবহার করার অপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর কি কেউ নেই! অ্যালামনাই কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান নিজ ইউনিয়ন ছেড়ে অন্য ইউনিয়নে কেন আয়োজন করা হবে? ইতিপূর্বে ঢাকাদক্ষিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আন্ডারে ১২৫ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এমন একটা সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কমিটির ব্যক্তিবর্গরা কেন আবার এমন কাজের অনুমতি দিচ্ছেন? অশিক্ষিতদের নিয়ে কমিটি গঠন করলে কি আর আসা করা যায় এই কমিটি ও এই কমিটির সিদ্ধান্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল বয়কট করবে। এই সিদ্ধান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। তা না হলে এই আয়োজন বয়কট ঘোষণা করা হবে।

সাম্প্রতিক

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন মনোনয়নপ্রত্যাশী সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৬২৪জন। সর্বনিম্ন সিলেটে ১৫০ জন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন মনোনয়নপ্রত্যাশী সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৬২৪জন। সর্বনিম্ন সিলেটে ১৫০ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদের জন্য ঢাকা বিভাগে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বেশি। সিলেট বিভাগের ক্ষেত্রে এ চিত্রটা ঠিক উলটো। শুক্রবার বিক্রি শুরুর দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগ থেকে সবচেয়ে কম ফরম কিনেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ফরম বিক্রি ও জমার শেষ দিন আজ মঙ্গলবার। জানা গেছে, গত তিন দিনে মোট ৩ হাজার ১৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬২৪, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭১, খুলনা বিভাগে ৩৭৪, বরিশাল বিভাগে ২৩০, রংপুর বিভাগে ২৭৩, রাজশাহী বিভাগে ৩৬৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৬৮টি এবং সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৫০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এসব ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগের আয় হলো ১৫ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নির্বাচনে প্রার্থী হতে গতকাল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এবং পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। নেত্রকোনা-৫ আসনের (পূর্বধলা উপজেলা) জন্য ফরম সংগ্রহ করেছেন অধ্যাপক আনোয়ার। ঐ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হলেন আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। তারা দুই জনই মুক্তিযোদ্ধা—বেলাল পূর্বধলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আনোয়ার হোসেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য। তারা প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এবং আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করা আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। ২০১২-২০১৪ সময়ে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে ফরম কিনেছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। এ আসনটি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির (জাপা) পির ফজলুর রহমান মিছবাহ। শিক্ষাসচিব এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ সাদিক এক জন কবি হিসেবেও পরিচিত। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বাংলা একডেমির পুরস্কার পান তিনি। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের তিন নেতা। তারা হলেন—বাসদের সভাপতি রেজাউল রশিদ খান, সদস্য হামিদুল, সদস্য মো. বকুল হোসেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তারা। রেজাউল রশিদ খান সিরাজগঞ্জ-৬ আসন, হামিদুল সুনামগঞ্জ-২ ও মো. বকুল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ফের নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে নড়াইল-২ আসনে মাশরাফির পক্ষে ফরম সংগ্রহ করেন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস। ক্যারিয়ারে দেড় যুগ ক্রিকেট খেলে মাশরাফি রাজনীতিতে আসেন ২০১৮ সালে। ঐ বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে দাঁড়িয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। গত বছর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ককে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশন হিরো মাসুম পারভেজ রুবেল। বরিশাল-৩ সংসদীয় আসনের জন্য মনোনয়ন তুলেছেন তিনি। এই নায়কের বড় ভাই আরেক খ্যাতিমান চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে ২০০৯ সালে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ গ্রহণ করে দলটিতে যোগ দেন। এরপর জাপার প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচনবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান সোহেল রানা। সেই থেকে তিনি জাপা নেতা হিসেবেই রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত। তবে রুবেল কিনলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম। মনোনয়ন ফরম তোলার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুবেল দাবি করেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকেই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আসছি। অভিনয় জগতের অন্যদের মতো আমি নতুন করে রাজনীতিতে আসিনি। আমার শেকড়ই আওয়ামী লীগের।’ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে ঢাকা-১৭ এবং টাঙ্গাইল-১ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন প্রয়াত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা হলে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন সিদ্দিক। সিদ্দিকের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা আরেকটি আসন টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিকালে বড় শোডাউন সহকারে টাঙ্গাইল-১ আসনে আবারও মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র জমা দেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। একই পরিবেশে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ঢাকা-১৩ এবং বরিশাল-৫ আসনে জাহাঙ্গীর কবির নানক। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দেন বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা ও বিডিআর বিদ্রোহের সাবেক প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাহার আকন্দ, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের ফরম নিলেন আওয়ামী লীগে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপন। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম নেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুন। পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে এই আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু অব্বাস। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য গত ১৮ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। গতকাল বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজির হয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি। পাবনা-৪ আসন (ঈশ্বরদী-অটঘরিয়া) থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সাহেদ ইমরান। ময়মনসিংহ-৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে নান্দাইল থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি, যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন বর্তমান সংসদ সদস্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। শনিবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে আওয়ামী লীগ। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন উত্সবের আমেজে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এবার দলটির মনোনয়ন ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। গতকাল ৭৩৩টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি ৭০৯ জন আর অনলাইনে ২৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। যা গত তিন দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, তৃতীয় দিন গতকাল ঢাকা বিভাগে ১৬৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৫টি, সিলেট বিভাগ ৩৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ৫৮টি, বরিশাল বিভাগে ৭৬টি, খুলনা বিভাগে ৯০টি, রংপর বিভাগে ৬২ ও রাজশাহী বিভাগে ৫৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর বাইরে অনলাইনে

সাম্প্রতিক

বিশ্ব ইজতেমা তুরাগ তীরে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হইবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্ব ইজতেমা তুরাগ তীরে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হইবে। তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্ব আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্ব ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের লোকজন অংশ নেবেন। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ভারতের প্রখ্যাত মাওলানা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই গ্রুপ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ভারতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা। অপরটির নেতৃত্বে রয়েছে বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারী গ্রুপ।

সাম্প্রতিক

আরামবাগের জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আরামবাগের জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান এবারও জিতবে নৌকা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরামবাগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আগতদের হত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান যেদিকে চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ! স্মরণকালে এমন  জন¯্রােত আর দেখেনি আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার রাজধানী ঢাকার মানুষ। কয়েক কিলোমিটার এলাকা যেন মানুষের মহাসমুদ্র! যে সমুদ্রের শুরু থাকলেও কোথায় যে শেষ কেউ তা বলতে পারেনি। ঢাকা বিভাগের সকল জেলার লাখ লাখ মানুষের ¯্রােতে পুরো ঢাকা মহানগরের একাংশ যেন পরিণত হয়েছিল বিশাল জনসমুদ্রে। স্বপ্নযাত্রার মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণকালের বৃহৎ ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশের সামনে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য ঢাকা বিভাগের সকল মানুষকে আহ্বান জানালেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গেই বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ দেশের জনগণ আগামীতেও নৌকায় ভোট দেবে এবং আমরা জনগণের সেবা করে যাব। নৌকা এবার জিতবেই।’ বিশাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, সহিংসতা করে দেশের অগ্রযাত্রাসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিতে চায়। কে তাদের অধিকার দিয়েছে ধ্বংস করার? অবিলম্বে তাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। না করলে কিভাবে এসব বন্ধ করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। কাউকেই ছাড়া হবে না। যারা সন্ত্রাস করছে, অগ্নিসন্ত্রাসের যারা ইন্ধন দিচ্ছে, দেশে-বিদেশে যেখানেই থাকুক ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ধরে এনে শাস্তি দেব ওই কুলাঙ্গারকে (তারেক রহমান)। আর দেশের মানুষের কাছে আমার একটাই চাওয়া, সবাই যেন স্বাধীন দেশের আত্মমর্যাদা নিয়ে চলে। ওই সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তপরায়ণদের যেন প্রত্যাখ্যান করে। কানা-খোঁড়া যাকেই মনোনয়ন দেই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাকে বিজয়ী করার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের তফসিল যেকোনো সময় ঘোষণা হতে পারে। সেই নির্বাচনে কানা-খোঁড়া বা যাকেই প্রার্থী দিই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এবার নৌকা জিতবেই। এ সময় ওয়াদা চাইলে সমাবেশে উপস্থিত লাখ লাখ নেতাকর্মীরা দু’হাত তুলে এবং নৌকা মার্কার গগণবিদারী স্লোগান দিয়ে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কাই পারে স্বাধীনতা দিতে, নৌকা মার্কাই পারে উন্নয়ন দিতে। আমি ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করব, একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এতো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সেটা আমরা নির্ধারণ করব। যাকে মনোনয়ন দেব ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। যেন আবারও আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। এখনো অনেক উন্নয়নকাজ বাকি সেগুলোও যেন শেষ করতে পারি। কারণ অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে এ দেশটাকে টিকতে দেবে না। সে জন্যই সকলকেই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন, আনোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র ব্যারিস্টার ফজরে নূর তাপস, আতিকুল ইসলাম, সাবের হোসেন এমপি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, একেএম শামীম ওসমান, যুবলীগের শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, কৃষক লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। যৌথভাবে সমাবেশা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে দশ লক্ষাধিক মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি নিকট অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। মহাসমাবেশ স্থল আরামবাগ থেকে মতিঝিল, কমলাপুর, ইত্তেফাক মোড়, দৈনিক বাংলা, পল্টন, ফকিরাপুলসহ চারপাশে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল লোকে লোকারণ্য। নানা স্লোগানে, নাচে গানে খ- খ- বর্ণিল মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে ঢাকা মহানগরীর এই প্রাণকেন্দ্রটি। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ঢাকা মহানগরের অলিগলিতে গণমানুষের ঢল নামে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে আরামবাগ-মতিঝিলসহ পুরো এলাকার কয়েক কিলোমিটার পথ। পুরো এলাকাই রীতিমত মহাসমাবেশ স্থলে পরিণত হয়েছে। মহানগরের নেতারা এই বিভাগীয় মহাসমাবেশকে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণের সেই ঐতিহাসিক গণসমাবেশের সঙ্গে তুলনা করেন। শনিবার সকাল থেকে ঢাকা মহানগরীতে গণমানুষের ঢল থেকে ভাসতে থাকে ‘জয় বাংলা আর বারবার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার’ স্লোগান। সকাল ১০টা থেকে ঢাকা মহানগরী সকল থানা, ওয়ার্ড ছাড়া ঢাকা বিভাগের সকল জেলা নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুরসহ দূর-দূরান্ত থেকে শত শত বাসে-ট্রাকে করে সভাস্থল নগরীর আরামবাগে রঙিন টিশার্ট ও ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে আসতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগারগাঁও স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরা-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন শেষে মেট্রো ট্রেনযোগেই সমাবেশস্থল আরামবাগে ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগ দেন। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল স্টেশনে আসতে সময় লাগে মাত্র ২৫ মিনিট। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে আসার আগেই পুরো এলাকা রীতিমত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে শেষে নিজেই জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, মার্ক কী নৌকা স্লোগান ধরলে মহাসমাবেশে উপস্থিত প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের পাল্টা স্লোগানে পুরো নগরীই যেন প্রকম্পিত হয়ে উঠে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশকে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমাদের কাজ। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। যাতে করে ঘাতকের দল, বিএনপি-জামায়াত এ দেশের মানুষকে আর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে না পারে। আর দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করতে না পারে। তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সাবধান করে দিচ্ছি, ধ্বংসযজ্ঞ করলে ছাড়ব না ॥ বিএনপিকে ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করার সাবধানবাণী উচ্চারণ করে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাদের আন্দোলন হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করা। সবকিছু ধ্বংস করা। কেন ধ্বংস করবে এভাবে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে? কাজেই তাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। আর এটি যদি বন্ধ করতে না পারে কীভাবে বন্ধ করাতে হয় তা আমাদের জানা আছে। এটি আমরা ছাড়ব না। সমাবেশে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, এরা যেন জ্বালাও পোড়াও ধ্বংস করাই যেন তাদের একটি উৎসব। এই হলো বিএনপির চরিত্র। আমার প্রশ্ন তারা মানুষের ভাত দিতে পারেনি। মানুষের ঘর দিতে পারেনি। মানুষকে কাপড় দিতে পারেনি। তাদের আমলে বিদেশ থেকে পুরান কাপড় এনে আমাদের দেশের মানুষকে পরাত। আর সেই মানুষগুলোর ওপর তারা এই অত্যাচার কিভাবে করে? ঢাকাবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে পোড়াবে

Scroll to Top