সাম্প্রতিক

সাম্প্রতিক

পিলখানা বিভীষিকার ১৫ বছর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পিলখানা বিভীষিকার ১৫ বছর। বিচারকসংকটে হচ্ছে না হত্যা মামলার বিশেষ বেঞ্চ। দেড় দশক আগে আজকের দিনে তত্কালীন বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হয়েছিল নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। ঐ দিন ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বিডিআরের মহাপরিচালকসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। নৃশংস ঐ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার বিচারের দুটি ধাপ সম্পন্ন হলেও তৃতীয় ধাপের বিচার এখনো শুরু হয়নি। বিচারক-সংকটের কারণেই এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন আশা প্রকাশ করে বলছেন, এই মুহূর্ত আপিল বিভাগে পর্যাপ্তসংখ্যক বিচারক নেই। দ্রুতই বিচারক নিয়োগ হবে। বিচারক নিয়োগের পর বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেওয়া হলে তখন এই হত্যা মামলার আপিল শুনানি হবে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের নামে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত করা হয় বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে। লাশ বিকৃতের পর নিহতদের ইউনিফর্মসহ র্যাংক ব্যাচ খুলে ফেলা হয়, যাতে ভবিষ্যতে সেনা কর্মকর্তাদের মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা না যায়। সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বিডিআর জওয়ানদের এমন নৃশংসতার চিত্র ফুটে ওঠে। যা স্থান পেয়েছে উচ্চ আদালতের রায়ের পাতায় পাতায়। আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে কেন বিলম্ব: হত্যা মামলার বিচার ২০১৩ সালে শেষ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১৫২ বিডিআর জওয়ানের ডেথ রেফারেন্স ও যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে দন্ডিত আসামিদের আপিল ২০১৭ সালে নিষ্পত্তি করে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ২৯ হাজার পৃষ্ঠার আপিলের রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, পিলখানায় তত্কালীন বিডিআরের কিছু সদস্য আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এই কলঙ্ক চিহ্ন তাদের অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে।’ হাইকোর্টের নকল শাখা থেকে বড় ভলিউমের এই রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ এবং রায় পর্যালোচনা করে আপিল দায়ের করতে অনেকটা সময় নেয় আসামি পক্ষ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ফাঁসির ১৩৯ আসামিসহ দণ্ডিতরা। এছাড়া বেশ কিছু আসামির সাজা অপর্যাপ্ত হওয়ায় তাদের ফাঁসি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষ থেকে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিলের পর গত বছরের অক্টোবর মাসে আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়। শুনানির জন্য প্রস্তুত হলেও বিচারক-সংকটের কারণে আপিল শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাসে বিচারকাজ চলে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিচারকাজে অংশ নেন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিন চলতি মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি অবসরে যাবেন। তখন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা গিয়ে দাড়াবে পাঁচ জনে। আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। ফলে আপিল বিভাগে তিনি এই মামলার আপিল শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বাকি চার বিচারপতিকে নিয়ে যদি এখন আপিল শুনানি গ্রহণ করা হয়, তাহলে আপিল বিভাগে বিচারাধীন অন্যান্য মামলার বিচারকাজ বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, আপিল শুনানি করতে আপিল বিভাগে চার জন বিচারক প্রয়োজন। আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে টানা ৪০/৫০ কার্যদিবস দরকার। এখন আপিল শুনানি গ্রহণ করলে অন্যান্য মামলার বিচারকাজ থমকে যাবে। সেজন্য নতুন বিচারক নিয়োগের পর বিশেষ বেঞ্চ গঠন হলে আপিলের শুনানি সম্ভব হবে। আসামি পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুনানি করতে প্রস্তুত। যখন বিশেষ বেঞ্চ গঠিত হবে, তখনই আমরা শুনানিতে অংশ নেব।’

সাম্প্রতিক

জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে — রওশন এরশাদ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে — রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, কেন আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলাম না। জাতীয় পার্টির অনেক নিবেদিত প্রাণ নেতা, যাদের ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তাদের বাদ দিয়ে তো আমি নির্বাচন করতে পারি না। আমার ছেলের আসনও যদি কেড়ে নেয়া হয়, তাহলে ছেলেকে ফেলে রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না। তিনি বলেন, তারপরও আমি সব কিছু মেনে নিতে পারতাম, যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এটা আমি কীভাবে মেনে নেবো? শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আরো পড়ুন: সঠিক রাজনীতি করতে গেলেই দল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা হয় জাপাকে উদ্ধারের জন্য উদ্যোগ নেয়ায় তার পক্ষের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে রওশন বলেন, পার্টির অগণিত নেতাকর্মীর একান্ত দাবির মুখে আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছি। আজ আপনারা আমার দায়িত্ব নেয়াকে অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারাই জাতীয় পার্টির সব ক্ষমতার উৎস। আপনারা যেভাবে চাইবেন, পার্টি সেভাবেই পরিচালিত হবে। জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তিতে আপনারা কান দেবেন না। ৯ মার্চের সম্মেলন সফল করার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সম্মেলনের জন্য আমরা রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতিও পেয়েছি। আপনারা ৯ মার্চ সকাল ১০টার মধ্যে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের নিয়ে উপস্থিত হবেন। ওইদিন আপনারাই জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত করবে। ব্যর্থতায় পার্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছিলো। জি এম কাদেরপন্থিরা জাপা থেকে এরশাদের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন অভিযোগ করে রওশন এরশাদ বলেন, পল্লীবন্ধুর নীতি-আদর্শ, তার চেতনা-প্রেরণা, তার ভাবমূর্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব যারা মুছে দিতে চান, তারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দেয়ার অধিকার রাখেন না। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের মলাট থেকে পল্লীবন্ধুর ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবারের নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি রাখতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার নির্বাচনী পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছেন। অথচ জাতীর পার্টির চেয়ারম্যানের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি জায়গা পায়নি। এটা জাতীয় পার্টির অগণিত নেতাকর্মীর মনে আঘাত দিয়েছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাপার রওশনপন্থী অংশের কো-আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রওশনপন্থী মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।

সাম্প্রতিক

জাতীয় পাটিকে ভাঙনের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন জি এম কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় পাটিকে ভাঙনের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন জি এম কাদের। জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে সরকারি দল তাদের এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চায়, তখনই সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে।’ আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হিসেবে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হিসেবে, এটাই বাস্তবতা। কারণ, সরকারি দল থেকে বিভিন্ন এজেন্ট আমাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা আমাদের দল করে, কিন্তু রাজনীতি করে সরকারি দলের। এরা কিন্তু ঠিকই আমাদের দল করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়, কিন্তু বার্গিনিংয়ের সময় সরকারের পক্ষে চলে যায়। ফলে আমরা যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই তারা দল ভেঙে আরেকটা রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা করে। আর এ সবকিছু সরকার প্রতিনিয়ত করে এসেছে। যাতে আমরা স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে না পারি এবং সরকারের গৃহপালিত দল হিসেবে থাকি।’ তিনি বলেন, ‘এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যারা জাতীয় পার্টি করে, তাদের জাতীয় পার্টিই করতে হবে। আর যারা জাতীয় পার্টির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য কোনো দল করতে চায়, তাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের করে দিতে হবে। যদি এসব করা যায় তাহলে এই দল টিকবে। এসব করতে না পারলে দল টিকবে না। গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। পরজীবী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির থাকার প্রয়োজন আছে কিন্তু গৃহপালিত দল হিসেবে নয়।’ জাতীয় পার্টি এখন বন্দী হয়ে আছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আগে আমরা পরজীবী হলেও আমাদের একটা চয়েজ ছিল। আমরা এখানে যেতে পারি বা চাইলে অন্য খানেও যেতে পারি। আর এখন আমরা বন্দী হয়ে গেছি। একজন ছাড়া অন্য কারও কাছে যেতে পারব না।’ বন্দী থাকার কারণ হিসেবে রওশন এরশাদকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘আমাদের আরেকজন লোক সরকারের পাশে বসে থাকেন। তিনি যখন ডাক দেবেন, সরকার তাকে মদদ দেবে। মিডিয়া তাকে বিভিন্নভাবে কাভারেজ দেবে। আর আমাদের দল ভেঙে যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে বলে ভেঙে দেওয়া হবে এবং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের লাঙ্গল প্রতীক সব নিয়ে যাওয়া হবে; এই ধরনের ধমকি দেওয়া হবে। এই ধরনের সমস্যায় জাতীয় পার্টি ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। আর এসবের কারণ হচ্ছে আমাদের দুর্বলতা।’ সরকার সমাজে বৈষম্য দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে অভিযোগ করে কাদের আরও বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। কোনো চাকরি করতে গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, সেই প্রার্থী বা পরিবারের কেউ কি আওয়ামী লীগ করছেন কি না। এই ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই একুশের সংগ্রাম।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর, জাতীয় পার্টির নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক তৈয়বুর রহমান, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের প্রমুখ।

সাম্প্রতিক

আমাদের বিচার বিভাগও হবে ‘স্মার্ট’ — প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আমাদের বিচার বিভাগও হবে ‘স্মার্ট’ — প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ করব বলে আমরা যে ঘোষণা দিয়েছি, ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট হবে। আমাদের বিচার বিভাগও স্মার্ট বিচার বিভাগ হবে, আমি সেটাই চাই।’ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘৭৫ এ আমার ছোট বোন আর আমি বিদেশে ছিলাম। তখন ভারতই আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। যারা গুলি খেয়ে বেঁচে গিয়ে ছিল, যারা স্বজন হারা ছিল, যাদের জীবন ছিল অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ তারাও কিন্তু ওই ভারতে আশ্রয় নিয়ে ছিল। কাজেই ৭৫ এর পরে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল- সেটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন? চেয়েছিলেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে। বাঙালি জাতিকে ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি দিয়ে একটু উন্নত জীবন দিতে। এই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেয়েই তিনি আজীবন সংগ্রাম করেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেন। তারই নেতেৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।’ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিরা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরাণ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, সংসদ সদস্য ও বিজ্ঞ আইনজীবীরা।

সাম্প্রতিক

ভারতের আসামে মুসলিম বিয়ে ও তালাক আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভারতের আসামে মুসলিম বিয়ে ও তালাক আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার ইউনিফর্ম বা অভিন্ন সিভিল কোড আইন (ইউসিসি) কার্যকরের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, দেশটির আরেক রাজ্য উত্তরাখন্ডের সরকার সব ধর্ম-বর্ণের জন্য একই ধরনের বিয়ে, তালাক ও উত্তরাধিকারসহ অন্যান্য সাধারণ আইন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এনডিটিভি বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখন্ড রাজ্য ইউসিসি আইন পাস করে। এখন আসামের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারও একই ধরনের আইন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সময় ইউসিসি বিলটি উপস্থাপন করতে পারে। শুক্রবার আসামের মন্ত্রী জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া বলেছেন, মন্ত্রিসভা মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এখন এই ধরনের সব বিষয়কে বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় আনতে চায়। আসামের বর্তমান আইনে মুসলমানদের বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদে স্বেচ্ছা নিবন্ধনের অনুমতি রয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ঘটনা নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক নয়। নিবন্ধনের যেসব বিধি-বিধান রয়েছে তা অনানুষ্ঠানিক এবং বিদ্যমান নিয়মাবলি উপেক্ষা করার সুযোগও রয়েছে। মুসলিম রেজিস্ট্রার থাকবে না : আইনটি বাতিল হয়ে গেলে বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের নিবন্ধনের লাইসেন্সধারী মুসলিম রেজিস্ট্রাররা আর বিবাহ কিংবা তালাকের নিবন্ধন করতে পারবেন না। মন্ত্রী জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া বলেন, রাজ্যে যে ৯৪ জন মুসলিম নিবন্ধক রয়েছেন; যারা আইনের আওতায় বিবাহ নিবন্ধন করেন তাদের এককালীন ২ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন রেকর্ডের রক্ষণাবেক্ষণ : হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতে, আইনটি বাতিল হওয়ার পর নিবন্ধন রেকর্ডের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন জেলা কমিশনার এবং জেলা রেজিস্ট্রাররা। নিবন্ধনের পুরো রেকর্ড ও প্রক্রিয়া আসামের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রেশনের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রিত হবে। বর্তমানে আসামের ৯৪ জন মুসলিম বিবাহ নিবন্ধক এই ধরনের রেকর্ডের রক্ষণাবেক্ষণ করেন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ : হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বর্তমান আইনের কিছু বিধানে বর এবং কনের ব্য়স যথাক্রমে ১৮ ও ২১ বছরে না পৌঁছালেও বিবাহ নিবন্ধন করার অনুমতি রয়েছে। আইনটি বাতিল করা হলে তা আসামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

সাম্প্রতিক

দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত যদি হিসাব করেন, আজকে দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, সেটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। শনিবার (২৪ ফ্রব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ পাশাপাশি। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যখন আত্মপ্রকাশ পেল, আমরা দেখলাম ভারতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে সেই পাকিস্তান আমলে হোক, আর বাংলাদেশ হওয়ার পর হোক— আমরা মিলিটারি ডিক্টেটরশিপের ওপর পড়েছি। বারবার আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর। কোনো স্থিতিশীলতা ছিল না। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে আশা করেছিলাম, আমাদের ভূ-খণ্ডের মানুষ অন্তত একটা স্থিতিশীল জীবন পাবে, দেশের উন্নতি হবে। গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া কখনো কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি— এটি একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজ জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে জুডিশিয়ারিতে কোনো নারী অংশগ্রহণ করতে পারত না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন। সুপ্রিমকোর্টে যাতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় বিচার পান, সেটা নিশ্চিত করেন। কিন্তু ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই বন্দি করে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করি। কিন্তু উচ্চ আদালতের ক্ষমতা আবার ২০০১ সালে বিএনপি কেড়ে নেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানান উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করি।

সাম্প্রতিক

পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের মিসরের পিরামিড কেন তৈরি করা হয়েছিল?

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের মিসরের পিরামিড কেন তৈরি করা হয়েছিল? পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের কথা ভাবলে প্রথমেই আসে মিসরের পিরামিডের নাম। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে নির্মাণ করা এই বিস্ময়কর স্থাপনার কাঠামো এবং নির্মাণশৈলীর রহস্য নিয়ে এখনও আগ্রহের কমতি নেই। ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনো এলিয়েন স্থাপনাগুলো বানিয়েছিল কিংবা শস্য সংরক্ষণের জন্য ফারাওরা এগুলো তৈরি করেছিল, এমন নানা ধারণা প্রচলিত আছে পিরামিডকে ঘিরে। আসলেই কেন তৈরি করা হয়েছিল পিরামিড- তা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আর তাতে সাহায্য করেছে সাহারার শুষ্ক জলবায়ুতে সুরক্ষিত প্রাচীনকালের মিসরীয়দের লেখা, নির্মাণের মতো নানা প্রমাণ। পিরামিড কী? পিরামিড মূলত সমাধিক্ষেত্র। প্রাচীন মিসরের শাসনকর্তা ফারাওদের মৃত্যুর পর তাদের সমাহিত করা হতো এই বিশাল সমাধিক্ষেত্রে। প্রায় কয়েক দশক ধরে হাজার হাজার শ্রমিকদের দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন আসে ফারাওরা কেন এই স্থাপনা নির্মাণে এত সময় ও অর্থ ব্যয় করেছিল? মূলত প্রাচীন মিসরীয় সমাজে পরকালের ধারণা প্রচলিত ছিল। সেই বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই এই বিরাট আকারের সমাধিক্ষেত্র নির্মাণ করা হয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে প্রকাশিত এক প্রবন্ধের তথ্যমতে, মিসরীয়রা বিশ্বাস করতো যতদিন ফারাওদের দেহ রক্ষা করা যাবে ততদিন তারা স্বর্গে বাস করবে। তবে তার জন্য পৃথিবী থেকে পরকালের যাবার সময় ‘আত্মা’র নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা জরুরি ছিল। এই আত্মাকে তারা ডাকতো ‘কা’ বলে। এই ‘কা’ বেঁচে থাকার জন্য প্রসাদ আকারে খাবার, বিশ্রামের জন্য বিছানাসহ কিছু ব্যবস্থার দরকার ছিল বলে তারা মনে করতো। আর সে কারণেই প্রয়োজন পড়ে পিরামিডের। প্রাচীন মিসরীয়রা বিশ্বাস করতো, পিরামিডের ভেতরে ফারাওদের ‘কা’ বেঁচে থাকতো। আর তাই ফারাওদের শরীর মমীকরণ করা হতো। তারা এটাও বিশ্বাস করতো যে পরপারের যাত্রার জন্য জাগতিক সব ধরনের জিনিসই প্রয়োজন হবে ‘কা’র। তাই ফারাওদের মৃতদেহের সঙ্গে প্রয়োজন মতো ধন-সম্পদ দিয়ে দেয়া হতো। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির মিসরবিদ পিটার ডার ম্যানুয়েলিয়ান বলেন, অনেকেই আধুনিক অর্থে জায়গাটিকে কেবল একটি সমাধিক্ষেত্র হিসেবে মনে করেন, কিন্তু এটি তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এই সুসজ্জিত সমাধিগুলোতে প্রাচীন মিসরীয় জীবনের প্রতিটি দিকের বিস্ময়কর উপস্থাপন রয়েছে- তাই এটি কেবল মিসরীয়রা কীভাবে মারা গিয়েছিল তা-ই নয় বরং তারা কীভাবে বেঁচে ছিল সেটাও বলে। পিরামিড নির্মাণের আগে মিশরীয়দের কবর দেয়ার পদ্ধতি ভিন্ন ছিল। তখন সমাধি দেয়া হতো চারকোনা ছোট আকৃতির ঘরে, যার নাম ছিল ‘মাস্তাবা’। জাদুঘর ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউশনের ওয়েবসাইটে প্রাচীন মিসর নিয়ে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এর উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, খ্রিস্টপূর্ব ২৭৮০ অব্দের দিকে ধাপে ধাপে উঠে যাওয়া আকৃতির পিরামিড নির্মাণের জন্য একটির ওপর আরেকটি– এভাবে ছয়টি ধাপে প্রথম পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছিল। জোসের নামের একজন ফারাওয়ের জন্য নির্মাণ করা এই পিরামিডের কোনাগুলো মসৃণ না হলেও এটাকেই প্রথম সত্যিকারের পিরামিড হিসেবে ধরা হয়। প্রচলিত আছে, এই সমাধির নকশাকারের নাম ছিল ইমহোতেপ। তাকেই পিরামিডের প্রথম নকশাকার হিসেবে ধরা হয়। প্রথম পিরামিড নির্মাণের পর পরবর্তী ফারাওরা আরও ভালো এবং বড় আকারের পিরামিড নির্মাণ শুরু করেন। ‘পিরামিড কারা বানিয়েছিল’ এই প্রশ্নের দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত উত্তর ছিল ‘দাস’। ধারণা করা হতো বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষদের ধরে এনে ‘নির্দয়’ ফারাওরা দাস বানিয়ে তাদের দিয়ে পিরামিড নির্মাণ করাতো। আর এই ধারণার শুরু জুডিও-খ্রিস্টান ধারণা থেকে। পরে এটি জনপ্রিয়তা পায় সিসিল বি. ডি মিলের ‘দ্য টেন কমান্ডমেন্টস’র মতো হলিউড সিনেমার হাত ধরে। কিন্তু পিরামিডের দেয়ালে আঁকা ছবিগুলো থেকে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাধীনভাবে প্রকাশিত হার্ভার্ড ম্যাগাজিনে জনাথন শ’ প্রত্নতত্ত্ববিদ মার্ক লেহনারের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। ‘পিরামিড দাসরা বানিয়েছিল’ প্রচলিত এই ভুল ধারণার বিপরীতে যুক্তি তুলে ধরেছেন তিনি। মার্ক লেহনারের পিরামিড নির্মাণকারীদের বসবাসের শহর খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে লেখাটিতে পিরামিডের কারিগরদের জীবনযাপনের বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে তারা সেখানে যে ধরনের খাবার খেতেন তা থেকে বোঝা যায় দাস বা সাধারণ কর্মী না, তারা ছিলেন ‘দক্ষ কারিগর’। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অ্যামেরিকান প্রত্নতত্ত্ববিদ জর্জ রিনজার পিরামিডের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি দেখতে পান, যেখানে পিরামিড নির্মাণকারীদের ‘খুফুর বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মিস্টার লেহনারের ধারণা, মিশরীয় সমাজ কিছুটা সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হতো, যেখানে প্রায় প্রত্যেকেই শাসকের সেবা করতেন। মিশরীয়রা একে বলতো ‘বাক’। সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসে তাদের উপরে থাকা লোকদেরকে কোনও না কোনও ভাবে ‘বাক’ দিতে হতো। ‘কিন্তু এটা আসলে দাসত্ব হিসেবে বিবেচ্য হতো না’, বলেন লেহনার। “এমনকি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরও ‘বাক’ দিতে হতো”। পিরামিড নির্মাণের খরচ অনেক বেশি হয়ে যাওয়ায় ফারাওরা শেষ পর্যন্ত ওল্ড কিংডম বা প্রাচীন সাম্রাজ্যের শেষের দিকে পিরামিড নির্মাণ বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিরাট আকারের পিরামিডগুলোতে ধন-সম্পদ পাওয়া যাবার কারণে মিসরীয়রা নিজেরাই সেগুলো লুট করে নিতো। পরে পিরামিড তৈরির বদলে ভ্যালি অব কিংসের গোপন সমাধিক্ষেত্রে ফারাওদের সমাহিত করা হতো।

সাম্প্রতিক

সিলেটে বিভাগে অবিবাহিত নারী বেশি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটে বিভাগে অবিবাহিত নারী বেশি। অবিবাহিত মানুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে। এ বিভাগের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ পুরুষ ও ৪৪ দশমিক ৯১ শতাংশ নারী এখনো বিয়ে করেননি। তবে অবিবাহিত নারীর হার সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (এসভিআরএস) প্রতিবেদন ২০২২’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২০২২ সালে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও এর আগে গণমাধ্যমে তারা এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেয়নি বা প্রকাশ্যেও আনেনি। তবে বিবিএস বিয়ে না করার কারণ উল্লেখ করেননি। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশের ৪৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩ দশমিক ২৯ শতাংশ নারী বর্তমানে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ আছেন। আর বিয়ের বাইরে রয়েছেন মোট জনসংখ্যার ৭ কোটি ২০ লাখের বেশি। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং নারী ৩৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। সর্বশেষ আদমশুমারি এবং এসভিআরএসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশে মোট জনসংখ্যার ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ জন পুরুষ। এর মধ্যে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৮ জন বিয়ে করেনি। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক পুরুষ এখনো বিয়ে করেনি। বিপরীতে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন নারীর মধ্যে বিয়ে করেনি ৩ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ১২৬ জন। বয়সভিত্তিক অবিবাহিতদের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী-পুরুষ রয়েছেন ২ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৭৬ জন। এর মধ্যে ১ কোটি ৫১ লাখ ৭৮ হাজার ৩১২ জন পুরুষের মধ্যে ৫ লাখ ২২ হাজার ১৩৩ জন অবিবাহিত রয়েছেন। বিপরীতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার নারীর মধ্যে কখনো বিয়ে করেননি ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৮ জন। এই হার পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীর প্রায় দেড় শতাংশ। সাধারণত বাংলাদেশে ৫০ বছরের বেশি বয়সে বিয়ে করার হার খুবই কম। সেই হিসাবে ৫০ বছর বয়স পার হলেও যারা বিয়ে করেন না, কিছু ব্যতিক্রম বাদে তাদের বেশিরভাগই সারা জীবন অবিবাহিত থাকেন। তাদের চিরকুমার বা চিরকুমারী বলা হয়। এই হিসাবে দেশে বর্তমানে চিরকুমার ও চিরকুমারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১১ হাজার ৮৩১ জন।

সাম্প্রতিক

কারাগারগুলো এখন বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা — রিজভী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  কারাগারগুলো এখন বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা — রিজভী। দেশের কারাগারগুলো এখন বিএনপির নেতাকর্মীতে ঠাসা বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে বলেও দাবি করেন তিনি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘৭ জানুয়ারির বিরোধী দলহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচন নির্বিঘœ ও কণ্টকমুক্ত করার জন্য গুম, খুন, গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি ও বাড়িঘর ভাঙচুরের যে ভয়াবহতা চলছিল, তা এখনো অব্যাহত রেখেছে একনায়ক ডামি সরকার।’ রিজভী আরও বলেন, ‘গত ১৭ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে বাধা দূর করতে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে। আমরা চিন্তা ভাবনা করেই এই কাজ করেছি। তাদের জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেত।’ বিএনপি নেতা বলেন, ‘কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধকর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। প্রতিটি কারাগারে কারাবিধির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দী নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। ‘ রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, ‘নির্যাতনে গত তিন মাসে কারাগারে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশের আইন-আদালত, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন-কোর্ট কাচারি-বিচার-আচার সবকিছুই আওয়ামী ডামি সরকার করতলে বন্দী। বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাদের জামিনের সাংবিধানিক ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আদালতে জামিনের জন্য বারবার আবেদন করলেও নানা টালবাহানা করা হচ্ছে।’ রিজভী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করে রাখা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুস সালাম পিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, লায়ন আসলাম চৌধুরী, জহির উদ্দিন স্বপন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আমিনুল হক, শরিফুল আলম, কাজী আবুল বাশার, রফিকুল আলম মজনু, সাইফুল আলম নীরব, আবু সাঈদ চাঁদ, শেখ রবিউল আলম রবি, সাইফুল ইসলাম পটু, ফজলুর রহমান খোকন, এস এম জাহাঙ্গীর, আমির এজাজ খান, অ্যাডভোকেট দুলাল হোসেন, শেখ ফরিদ উদ্দিন বাহার, মাহফুজন্নবী ডন, সিরাজুল আসলাম, হযরত আলী, আমজাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম, ইউসুফ বিন জলিল, আজিজুর রহমান মুসাব্বির, আমান উল্লাহ আমান (ছাত্রদল), খোরশেদ আলম সোহেল, পাভেল সিকদার, মেহেদী হাসান পলাশসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আমি অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সাম্প্রতিক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভাষন দিয়েছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভাষন দিয়েছেন। গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে সেদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার ক্ষতি সাধন করতে না পারে, সেদিকেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে জনগণকে সম্পৃক্ত রেখে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হবে।  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে অহিংস পন্থায় গঠনমূলক কর্মসূচি পালন করবে এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি সরকারকেও সংযত আচরণ করার উপদেশ দিয়ে বলেন, উন্নয়নের এ চলমান গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি দেশের আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে জোর তাগিদ দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন অত্যন্ত যুগান্তকারী ঘটনা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই, জনগণের রায় মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে  মো. সাহাবুদ্দিনের এটি ছিল জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রথম ভাষণ। মো. সাহাবুদ্দিন গত বছর ২৪ এপ্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর ১৪৩ পৃষ্ঠার ভাষণের সংক্ষিপ্তসার সংসদে পাঠ করে শোনান। তাঁর পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি জাতীয় সংসদে পঠিত হিসেবে গণ্য হবে বলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উল্লেখ করেন। নির্বাচন বর্জনকারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্ত-স্নিগ্ধ যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তাদের গণতন্ত্রবিরোধী ও সহিংস কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে জনগণকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রাখলেও গণতন্ত্রের শাণিত চেতনা ভোটারদের ভোটদান  থেকে বিরত রাখতে পারেনি। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সকল পদক্ষেপ সার্থক হয়েছে। নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে। সরকারও এ ক্ষেত্রে সংযত আচরণ করবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা। দেশের উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। আমাদের পরম কর্তব্য ও দায়িত্ব হচ্ছে এই দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করা। যে জাতি গণতন্ত্রের জন্য রাজপথ রঞ্জিত করে, অসীম ধৈর্যে অতিক্রম করে বন্ধুর পথ, সেই অমিত সম্ভাবনাময় জাতি নিশ্চয়ই পারবে সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলতে পারব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে,  ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী দেশে যে নৃশংস সহিংসতা হয়েছিল তা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এর মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনসহ পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুস্পষ্ট ও কঠোর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নিষ্কণ্টক পথচলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো উদার ও গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে বিভিন্ন ধরনের দেশি ও বিদেশী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী এবং গণমাধ্যমকে এ বিরাট কর্মযজ্ঞে সহায়তা দেওয়ার জন্য জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সকল ভোটার, বিশেষত নবীন ও মহিলা ভোটারদের জানাই উষ্ণ অভিনন্দন। দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বলেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে গত দেড় দশকে আর্থসামাজিক খাতসহ সকল খাতে অভূতপূর্ব এ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর জন্য সমগ্র দেশবাসীর পক্ষ হতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে, উন্নয়নের মূল ভিত্তি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চা। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। গত দেড় দশকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বজায় থাকার কারণে দেশের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। উন্নয়ন স্থায়ী ও টেকসই করতে হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত, তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে। উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা গড়তে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ভবিষ্যতে হয়তো অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে, কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সকল গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত রেখে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে  বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে। এ জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষি খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে, উচ্চ-মূল্য ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য উন্নত  কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্যসমূহ রপ্তানি বাজারে যাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ   তৈরির পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজারের অনুসন্ধান করতে হবে যাতে দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানি সম্ভব হয়। আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতীয় সংসদকে সকল

Scroll to Top