সাম্প্রতিক

সাম্প্রতিক

ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

বিলেতের আয়না রিপোর্ট — মাহমুদুর রহমান শানুর ।ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে’র উদ্যোগে গতকাল ২০ অক্টোবর রবিবার লন্ডনস্হ চিলড্রেন এডুকেশন সেন্টারে সংগঠনের এক বছর পূতি অনুষ্ঠান ও বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় কুরআন তেলাওয়াত করেন মৌলানা আশরাফুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জনাব তছউর আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুর। অনুষ্ঠানটি চার পর্বে ছিল। প্রথম পর্ব – বার্ষিক সাধারণ সভা। দ্বিতীয় পর্ব – আলোচনা সভা ও তৃতীয় পর্ব- সম্মাননা পদক বিতরন অনুষ্ঠান। চতুর্থ পর্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতি তছউর আলী স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নুরু’ সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন।এবং কোষাধ্যক্ষ ফরিদ আহমদ বার্ষিক আর্থিক রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টটি সবার সর্ব সম্মতিক্রমে রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি শামীম আহমেদ। সিনিয়র সহসভাপতি মুজিবুর রহমান। সহসভাপতি আজন উদ্দিন। সহসভাপতি সেলিম উদ্দিন চাকলাদার। সহসভাপতি দেওয়ান নজরুল ইসলাম।সহসভাপতি আব্দুল কাদির।সহসভাপতি মৌলানা আশরাফুল ইসলাম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদ সুমন। যুগ্ম সম্পাদক মারুফ আহমেদ। সহ কোষাধ্যক্ষ কাওসার আহমেদ জগলু। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ময়নুল ইসলাম। সহ প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান জুনেদ। শিক্ষা সম্পাদক মাহবুব হোসেন। স্পোর্টস সম্পাদক কবির আহমেদ খান তায়েফ। মহিলা সম্পাদিকা নাজিয়া আক্তার রেবিন।আবদুল কাদির । আরও উপস্থিত ছিলেন এনাম আহমদ । মেম্বারশীপ সম্পাদক রসুম জসিম উদ্দিন। স্যোসাল এন্ড ওয়েলফেয়ার সম্পাদক খালেদ আহমেদ। এন্টারটেইমেন্ট সম্পাদক রহিম উদ্দিন মুক্তা।রিসিপশন সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন। সহ স্পোর্টস সম্পাদক কামরুজ্জামান চাকলাদার। সহ এডুকেশন সম্পাদক জিলাল উদ্দিন। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। নির্বাহী কমিটি সদস্য হেলাল আহমেদ। এমদাদুল হোসেন জগরুল। রোকসানা পারভীন জোছনা। ফেরদৌসী জামাল। সালমা রহমান। আজিজুর রহমান। শিহাব উদ্দিন। তাজুল ইসলাম। সাংবাদিক আইঅন টিভি’র সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ। কিশোয়ার আনাম লিটন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সম্মানিত সিনিয়র সহসভাপতি ডাঃ মাসুক উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না কাতারে অবস্থান করার কারণে কিন্তু উপস্থিত সবাই কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে। অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেছেন। এক বছর পূতি অনুষ্ঠানের কেক কেটে অনুষ্ঠানকে আরো বেশি সমৃদ্ধ ও আলোকিত করছে। মহিলা সম্পাদিকা নাজিয়া আক্তার রেবিনের সঞ্চালনায় তৃতীয় পর্ব ছিল পাঁচজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মামনা পদক দেওয়া হয় । স্পনসর করেছেন সংগঠনের সহ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেওয়ান নজরুল ইসলাম। সম্মানিত ব্যক্তিরা হলেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে এর সভাপতি জনাব তছউর আলী। সহসভাপতি জনাব মুজিবুর রহমান। বিশিষ্ট কমিউনিটি এক্টিভিটিস কাউন্সিলর সাফরন ও ওয়াল্ডেন টাউন কাউন্সিল এর ডেপুটি মেয়র জুবায়ের খান মিলন। বিশিষ্ট কমিউনিটি এক্টিভিটিস জনাব জমির উদ্দিন আহমেদ ও কমিউনিটি এক্টিভিটিস জনাব এম শামসুদ্দিন। উক্ত সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা।রত্নগর্ভাদের উজ্জ্বল ভূমি। আমরা এক মনন ও আত্বীক সম্পদের সমৃদ্ধিতে ঋদ্ধ ও গর্বিত ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র শিক্ষকরা। ঢাকা দক্ষিণ তথা গোলাপগঞ্জ উপজেলার কথা শুনলে অন্যান্য এলাকার মানুষ আনন্দে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেন। আমাদের এলাকা গৌরবদীপ্ত ও কৃতি সন্তানদের এক উজ্জ্বল ভূমি। এ মাটি রত্নগর্ভা ও নানন্দিক ঐশ্বর্যে ভরপুর। এর পরতে পরতে আবৃত আছে গর্ব ও গৌরবের ভান্ডার। মাটির সন্তানদের নিয়ে আমাদের ছিল সংগঠনের এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। আমাদের এলাকার মাটি যেমন উর্বর এর চেয়ে বেশি উর্বর এর মনন প্রকর্ষন। মহিমান্বিত অতীত আর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যে ভাস্কর গোলাপগঞ্জ উপজেলা তথা ঢাকাদক্ষিণ।প্রগতিশীল কর্মকাণ্ড, সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চা এবং জ্ঞান মনিষার ঔজ্জ্বল্য শুধু বা বাংলাদেশ নয়, বহিবিশ্বে নন্দিত। আমাদের এলাকার কৃতি সন্তানেরা প্রমিথিউসের মতো আলো জেলেছেন ঘরে ঘরে এবং নন্দিত হয়েছেন, সমগ্র বিশ্বে। । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জাতীয় সংগীত পরিবেশ করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও আগত অতিথিরা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল, গান পরিবেশন করেন শংকরী। নাজিয়া আক্তার রেবিন। সেলিম উদ্দিন চাকলাদার। রহিম উদ্দিন মুক্তা। মুজিবুল হক মনি। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর আপ্যায়ন ও ছিল। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুর। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে এর সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি লাইফ সম্প্রচার করেছে ★হাওয়া টিভি ★ সিলেটি লন্ডনী ★।

সাম্প্রতিক

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণ বনাম ’৭৬ সালের ৭ মার্চ পালন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণ বনাম ’৭৬ সালের ৭ মার্চ পালন। বঙ্গবন্ধুর বিপরীত যাত্রা জিয়ার – হাসানুল হক ইনু। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ মার্চ  একটা নতুন ইতিহাস সৃষ্টির দিন। এই দিনেই ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ জনতার সামনে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। যা আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। ৭ মার্চের ভাষণের বিচার-বিশ্লেষণ এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। তবে প্রসঙ্গক্রমে ভাষণের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। দৃশ্যপট বদলে যায় ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর। ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ কীভাবে পালন করা হয় জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনকালের শুরুর দিকে তার বিবরণ দেখলাম; ১৯৭৬ সালের ৮ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকের পাতায়। ছবিও ছাপা হয়েছিল। ছবিতে বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ও উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক তোয়াব প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিচ্ছেন। উনি তখন সামরিক শাসকদের একজন এবং জেনারেল জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর ও প্রতিনিধি হিসেবে ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে হাজির হন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রায় সাত মাসের মাথায় ১৯৭৬-এর ৭ মার্চ ওই উদ্যানে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই  সমাবেশ ছিল রাজনৈতিক মোল্লা ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের। ওই সমাবেশে কুখ্যাত রাজাকার ও সাম্প্রতিককালে যুদ্ধাপরাধে দন্ডিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একটি প্রস্তাব পাঠ করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরাসরি সহায়তায় দিনের আলোতে এসে হাজির হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেই সভায় যে প্রস্তাব উত্থাপিত হয় তা হলো- ১. বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ ঘোষণা, ২. জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন আর ৩. বেদাতি শহীদ মিনার ধ্বংস করা। জিয়ার সামরিক সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তি তোয়াব এসব দাবির প্রতি তার সরকারের সমর্থনের ঘোষণা দেন তার ভাষণে। এ সময় স্লোগান উঠে- ‘তোয়াব ভাই তোয়াব ভাই, চান তারা পতাকা চাই’। গোলাম আযম পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর পাকিস্তানে গিয়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ শুরু করে। পরে সৌদি আরবে গিয়ে এই আন্দোলন চালায়। জিয়ার ১৯৭৬-এর ৭ মার্চ পালন ছিল গোলাম আযমের পূর্ব পাকিস্তানে পুনরুদ্ধার আন্দোলনেরই অংশ। ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর কথা ছিল না কোনো রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে বা আলোচনায়। ৭ মার্চ এর মোড় বদলকারী ভাষণের কোনো উল্লেখও ছিল না। ১৯৭৬-এর ৭ মার্চ যারা দেখেছেন তারা স্বীকার করবেন যে, জিয়ার সামরিক জান্তা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নির্বাসনে পাঠায়নি, মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব ও মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস বেমালুম গায়েব করে দিয়েছে। এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে বদলে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার যে অভিযান শুরু হয়েছিল তারই অংশ হিসেবে জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক মোল্লাদের সমাবেশের আয়োজন করে। যে উদ্যানে ১৯৭১- এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের জন্য নতুন ইতিহাস গড়েছিলেন। সেই বাংলাদেশের বুকে “Owing and Disowing of Bangladesh” অর্থাৎ বাংলাদেশকে স্বীকার-অস্বীকার করার ঘটনা-দুর্ঘটনা-দুষ্কর্ম ঘটতে শুরু করল বঙ্গবন্ধু হত্যার পর। ১৯৭৫-পরবর্তী রাজনৈতিক দুর্যোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ লেখা। এর জন্য সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রথমেই ৭ মার্চের ভাষণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। আলোচনা করব ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ও তারপর কৃত দুষ্কর্ম প্রসঙ্গে এবং তারপর সাঈদীর প্রস্তাব নিয়ে। মার্চ মাসকে আমরা অগ্নিঝরা মার্চ বলি। ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বুঝতে হলে আমাদের পেছনের দিকে একটু তাকাতে হবে। ’৭০ সালে আওয়ামী লীগের বিশাল নির্বাচনি বিজয় হয় এবং ৬ দফার প্রতি গণরায় প্রদান করে জনগণ। তাই সেই নির্বাচনের পর করণীয় হচ্ছে ৬ দফার ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর হাতে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা অর্পণ করা। এর জন্যই সবাই অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু তা হলো না। ঢাকায় গণপরিষদের অধিবেশন বসার কথা ছিল ১৯৭১-এর ৩ মার্চ। এ অধিবেশন বসা নিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান নানা টালবাহানা করছিলেন। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে শুরু হয় সর্বাত্মক আন্দোলন। অগ্নিঝরা ’৭১-এর মার্চের প্রথম দিন দুপুর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জীবনযাত্রা ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির সভায় যোগ দিতে নির্বাচিত সদস্যরা হোটেল পূর্বাণীতে সমবেত হন। স্বাভাবিক এ পরিস্থিতি হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে পড়ল দুপুরে রেডিওর এক আকস্মিক ঘোষণায়। বেলা ১টা ৫ মিনিটে ইয়াহিয়া ঘোষণা করলেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খন্ড খন্ড মিছিল হোটেল পূর্বাণীর দিকে এগোতে থাকে। পরিস্থিতি মোকাবিলা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল আহ্বান করেন। একই সঙ্গে ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ঘোষণা দেন। সন্ধ্যার মধ্যেই স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, স্বাধীন বাংলাদেশের ইশতেহার, বঙ্গবন্ধুকে সর্বাধিনায়ক ঘোষণাসহ এর পরের সব ইতিহাস সবার জানা। ১ মার্চ থেকে ৬ মার্চ ১৯৭১-এ প্রতিদিন বাংলাদেশের জনগণ রাজপথ, মাঠ-ঘাট সব মুখর করে রেখেছিল। প্রতিদিন ‘বাংলাদেশ’ প্রস্ফুটিত হচ্ছে, আর প্রতিদিন কোটি কোটি জনগণ তা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে। এরকম এক উত্তাপ ছড়ানো পরিবেশে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ তাঁর ভাষণ দিতে মঞ্চে ওঠেন। ‘মুজিব’ আরবি শব্দ। এর অর্থ- উত্তর দেওয়া, জবাব দেওয়া। জাতির ওপর সেই সময় যত অন্যায় হয়েছিল, জাতির যত প্রশ্ন ছিল- সব প্রশ্নের উত্তর দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণে। যারা ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়বস্তু এবং পূর্বাপর ঘটনাবলি হিসেবে না নিয়ে ভাষণের মধ্যে খুঁত ধরার চেষ্টা করেন, তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই যে, বঙ্গবন্ধু এই ভাষণে জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতা আন্দোলনে উঁচুমাত্রায় রণনীতি ও রণকৌশল প্রয়োগ করেন। শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের মধ্যে স্বাধীনতার প্রশ্ন ফয়সালা করেন। কোন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু এ ভাষণ দিয়েছেন সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। আর এ ভাষণ শুধু ভাষণ নয়; পরের দিন ৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত কী ফলাফল করেছিল, তাও বিবেচনায় নিতে হবে। জাতীয় প্রেক্ষাপট কী ছিল? অতীতে ৪টি বিজয় অর্জন হয় : ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর নির্বাচনে বিজয়, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ইয়াহিয়া খানের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা খারিজ ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তি আর ’৭০-এর মহানির্বাচনি বিজয়। আবার এ ৪টি বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ৩টি ষড়যন্ত্র পাকিস্তানিরা করেছিল। সামরিক হস্তক্ষেপে ’৫৪-এর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া, ৬ দফাকে বানচাল করার জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সাজিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা। ’৭০-এর নির্বাচনি বিজয় বানচালের জন্য ১ মার্চ সংসদ অধিবেশন বাতিল করে দেওয়া। এ ছাড়া মাথার ওপর পাকিস্তানিদের পাকিস্তান ভাঙার অভিযোগ ছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ ছিল। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু নিজের হাতে তিল তিল করে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি নাগরিককে স্বাধীনতার লক্ষ্যে জাগিয়ে তুলেছিলেন। ’৬৬-তে ৬ দফা উত্থাপন এবং স্বশাসনের পক্ষে গণরায় অর্জন ’৭০-এ। এ ছাড়া ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে আইয়ুবের শাসনতন্ত্র বাতিল করে এক মাথা এক ভোট অর্জন করে তিনি গণপরিষদের ভোট আদায় করে নেন এবং নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন নাকি স্বাধীনতার লক্ষ্যে উত্থিত জাতির কর্তৃত্বভার প্রকাশ্যে গ্রহণ করবেন- এই প্রশ্ন তার সামনে ছিল। এই ভাষণের আগেই স্বাধীনতার পতাকা উঠেছে, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়েছে, জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ করে

সাম্প্রতিক

রাশিয়ায় কনসার্ট হলে হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রাশিয়ায় কনসার্ট হলে হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক। রাষ্ট্রয় বার্তা সংস্থা তাস ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসকে (এফএসবি) উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে। আল জাজিরা বলেছে, হামলার দায় স্বীকার করেছে আইসিস। মস্কোতে অবস্থিত ক্রোকাস সিটি হলে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এ হলটিতে কয়েক হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা আছে। সেখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ আর্টিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আয়োজন হয়েছিল রকব্যান্ড ‘পিকনিকের’ কনসার্ট। হামলাকারীরা নির্বিচারে মানুষকে গুলি করতে থাকে। ব্যবহার করে বিস্ফোরক। এর ফলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, আহতদের কয়েকজনকে এরই মধ্যে বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় রাজধানীর উত্তরে ক্রাসনোগোরস্কে ওই ভবনটির ওপর দিয়ে কালো ধোয়া উঠে যাচ্ছে আকাশে। রাশিয়ান মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ৫ জনের মধ্যে তিনজন হামলাকারী ছিল বেপরোয়া। তারা দর্শকদের সমাবেশের দিকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তির একজন সাংবাদিক। তিনি বলেছেন, অস্ত্রধারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি করে। নিক্ষেপ করে গ্রেনেড। এতে পুরো হলরুমে আগুন ধরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, ১৫ থেকে ২০ মিনিট গুলি চলতে থাকে। এ সময় অনেক মানুষ মেঝেতে শুয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বুঝে লোকজন হামাগুঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে যায়। আকাশে অভিযানে নামে হেলিকপ্টার। সড়কে ও হলটির বাইরে ভরে যায় অ্যাম্বুলেন্সে।

সাম্প্রতিক

যুক্তরাজ্যে কেয়ার ভিসায় পরিবার নেওয়ার নিয়ম বাতিল করলো।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যে কেয়ার ভিসায় পরিবার নেওয়ার নিয়ম বাতিল করলো। ব্রিটেনে কেয়ার ভিসার অভিবাসীদের পরিবার নেওয়ার নিয়ম বাতিল করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আগামী ১১ মার্চ থেকে এই ভিসায় আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিয়মটি প্রযোজ্য হবে। ব্রিটিশ সরকার বলেছে, এই পদক্ষেপ সরকারের অভিবাসনের হার কমানোর পরিকল্পনার অংশ। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অভিবাসন নিয়ে এ সংক্রান্ত পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। তবে তিনি নীতিটি প্রথমবারের মতো ঘোষণা করেছিলেন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপটি ব্রিটিশ অভিবাসনের সংখ্যা হ্রাস করার পরিকল্পনার অংশ।’’ আগের নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে পরিচর্যাকর্মীর ভিসায় যাওয়া ব্যক্তিরা তাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে আসতে পারতেন। তবে ১১ মার্চ থেকে পরিবারের সদস্যদের স্পন্সর করতে বেশ কিছু অতিরিক্ত আয়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যুক্ত করা হবে। যা পূরণ করা অভিবাসীদের জন্য কার্যত অসম্ভব হবে। নতুন পরিবর্তনগুলো প্রবর্তনের পেছনে যুক্তরাজ্য সরকার জানায়, বর্তমানে ব্রিটেনে অভিবাসনের হার অনেক বেশি। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, আশ্রয়প্রার্থী এবং বিভিন্ন মানবিক প্রকল্প ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীদের সামগ্রিক সংখ্যা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে কেয়ার ভিসায় যাওয়া ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। যুক্তরাজ্য সরকারের মতে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে এক লাখ কেয়ার কর্মী এবং তাদের পরিবারের এক লাখ ২০ হাজার সদস্য এসেছেন। দেশটির বৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী টম পার্সগ্লোভ চলতি সপ্তাহে বলেন, এই সংখ্যা ‘অসমানুপাতিক’ এবং নিঃসন্দেহে ‘উদ্বেগজনক’। অন্যদিকে, অভিবাসী সহায়তাকারী এনজিও এবং দাতব্য সংস্থাগুলো বলেছে, বিদেশি পরিচর্যা কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের তাদের সঙ্গে যোগদান করতে বাধা দেওয়া ‘অমানবিক’ এবং এর ফলে কর্মীরা মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। সরকারের এই পরিবর্তন ঘোষণার পর ওয়ার্ক রাইটস সেন্টারের প্রধান ডোরা-অলিভিয়া ভিকোল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমকে বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা ইতিমধ্যে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বাস করছে। নতুন উদ্যোগের অর্জন হবে পরিবার ভেঙে দেওয়া, কর্মীদের ভয়ে রাখা এবং পারষ্পরিক বিশ্বাস নষ্ট করা। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিরোধীরা বলেছেন, এই পদক্ষেপ ব্রিটিশ অর্থনীতির ক্ষতি করতে পারে। কেয়ার সেক্টরগুলো কর্মী ঘাটতিতে ভুগছে। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞাটি সংকটে থাকা খাতে প্রয়োজনীয় অভিবাসী শ্রমিকদের আসতে বাধা দেবে। স্কটিশ দৈনিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, সোশ্যাল কেয়ার খাতের নিয়োগকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, তারা বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। ব্রিটিশ পাবলিক সেক্টর ইউনিয়নের প্রধান গেভিন এডওয়ার্ডস বলেন, পরিচর্যা কোম্পানিগুলো অভিবাসীদের ছাড়া সহজভাবে কাজ করতে পারে না। অভিবাসন আইন নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও আইনজীবী কলিন ইয়ো বলেন, পরিচর্যা কর্মীদের পরিবারের মানুষদের আনতে বাধা দিলে এই সেক্টরে কর্মী ঘাটতি দেখা দেবে বলে তিনি মনে করেন না। প্রচুর অভিবাসী আছেন যারা পরিবার ছাড়া ব্রিটেনে আসতে চাইবে। তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের কারণে আরও বেশি লোক যুক্তরাজ্যে আসতে পারবে। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পরিবারের কাছে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রথা রয়েছে। অনেক দেশে শুধুমাত্র কাজের জন্য দেশত্যাগের অনুশীলন ও সংস্কৃতি রয়েছে। বৈধভাবে আসার পাঁচ বছর পর তারা এখানে স্থায়ী হতে পারলে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নিয়মের অধীনে তাদের সন্তান এবং অংশীদারদের নিয়ে আসতে পারবেন। নতুন পরিবর্তনের অর্থ হল যারা চলতি বছরের ১১ মার্চ থেকে থেকে আসবেন তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসতে পারবেবেন না। নতুন আইনের আওতায় প্রভাবিত পেশার কোড হল এসওসি ৬১৪৫ এবং ৬১৪৬। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে। নতুন নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পরিচর্যা কর্মীদের ও তাদের পরিবারের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই ভিসায় কর্মী আনতে শুধুমাত্র সেসব কোম্পানি স্পন্সর করতে পারবেন যারা ব্রিটিশ কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত। সম্প্রতি স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার পরিবর্তিত বেতন কাঠামোর শর্তগুলো এই স্বাস্থ্য এবং কেয়ার ভিসার জন্য প্রযোজ্য হবে না। বিস্তারিত ব্রিটিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা এনএইচএস সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তাদের জন্য নিবেদিত ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।

সাম্প্রতিক

প্রখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই। ভারতীয় গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২। দীর্ঘদিন ধরে গায়ক নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গায়কের কন্যা নায়াব উদাস ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বাবার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উদাস ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন। অনুষ্ঠান, অ্যালবাম ও ছবির গানে আশির দশককে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ। মূলত গজল গায়ক হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৮০ সালে ‘আহত’ শিরোনামের গজল অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তার সংগীত দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেন। ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, নিকলো না বেনাকাব’-পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনের রসদ। ‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যালবামও রয়েছে তার ঝুলিতে।

সাম্প্রতিক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে জমা পড়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সব মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রবিবার কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে ৫০ জন নারী প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে ইসি। এসব প্রার্থীর বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে। সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার এসব তথ্য জানিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার আজ বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মোট ৫০টি মনোনয়নপত্র পেয়েছিলেন, বাছাইয়ে ৫০টি মনোনয়নপত্রই বৈধ হয়। আজ বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। এই সময়ে কেউ প্রত্যাহারের আবেদন করেননি। সবার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় জাতীয় পার্টি থেকে দুজন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোট থেকে পাওয়া ৪৮ জনকে বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপিরা হলেন ১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়) ২. দ্রৌপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও) ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী) ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) ৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর) ৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ৭. রুনু রেজা (খুলনা) ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট) ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা) ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা) ১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী) ১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ) ১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা) ১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট) ১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) ১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা) ১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা) ১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) ১৯. বেদৌরা আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ) ২০. শবনম জাহান (ঢাকা) ২১. পারুল আক্তার (ঢাকা) ২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা) ২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) ২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা) ২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর) ২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) ২৭. সাহেদা তারেক দীপ্তি (ঢাকা) ২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা) ২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা) ৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজী (নরসিংদী) ৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) ৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) ৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) ৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল) ৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা) ৩৬. নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ) ৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) ৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর) ৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী) ৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম) ৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী) ৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম) ৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙ্গামাটি) ৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) ৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর) ৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী) ৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) ৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট) অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

সাম্প্রতিক

রোহিঙ্গাদের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেবে বিশ্ব ব্যাংক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রোহিঙ্গাদের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেবে বিশ্ব ব্যাংক। রোহিঙ্গাদের জন্য ৬৫ কোটি ডলার অনুদান দেবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানা বেজার্ড। দুটি প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়ন করা হবে। অর্থায়নের প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যবহার করা হবে এবং পুরোটাই অনুদানের শর্তে। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৬৬ পয়সা হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ১২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের অবস্থা অর্জনে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন সংস্থাটির এমডি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যানা বেজার্ড। বিশ্বব্যাংক এমডি বলেন, দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আর্থিক খাতের সংস্কার জরুরি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে দাবি করে বেজার্ড বলেন, আর্থিক ও রাজস্ব নীতিতে দ্রুত এবং সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমাতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন অ্যানা। তিনি বলেন, আজ প্রায় শতভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায়। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বিদ্যুৎ রয়েছে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এবং সেই সঙ্গে স্বাগতিক সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। অ্যানা বেজার্ড বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের জন্য আমি খুবই গর্বিত। এটি লাখো মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে। আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শক্তিশালী বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ু মোকাবিলায় কাজ করেছি। ভবিষ্যত সংকট মোকাবিলায় ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবো এবং একই সঙ্গে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ছিল অন্যতম। দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৪১ বিলিয়নের বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ঋণের বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণ। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সমর্থিত বৃহত্তম কর্মসূচি চলমান।

সাম্প্রতিক

সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল- বললে হবে না –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলাতের আয়না ডেক্স :- সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল- বললে হবে না –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি কাজে সাশ্রয়ী ও যত্নশীল হওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের বলেছেন, যে কাজগুলো সরকার করে দেয়, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, যত্ন, এটা আপনাদেরই করতে হবে। সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল- বললে হবে না। সরকার চলে কিন্তু জনগণের পয়সায়। যেটাই হোক, এটা জনগণের, মাথায় রাখতে হবে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের অনেক সরকারি অফিসারও থাকেন, নানা রকম বুদ্ধি-পরামর্শও দেন, আমাদেরও কেউ কেউ মনে করেন, এখানে একটা স্থাপনা করলেই তো ভালো একটা কমিশন পাওয়া গেল। বা কিছু পয়সা কামাই করা গেল। দয়া করে এ ব্যবস্থায় যাবেন না। শেখ হাসিনা বলেন, আপনার এলাকার জন্য কোনটা করলে পরিবেশ সংরক্ষণ করা হবে, মানুষ উপকৃত হবে, সেগুলো দেখে প্রকল্প নিতে হয়। যত্রতত্র যেখানে সেখানে একটা কিছু করে ফেলে দেওয়া উচিত নয়। কোনো জলাভূমি, খাল, নদী এগুলো রক্ষা করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। অর্থ সাশ্রয় করে কাজ করতে হবে। যাতে জাতীয়ভাবে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করা যায়। তিনি বলেন, প্রকল্প গ্রহণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে। শুধু মাত্র একটা কাজ দিলাম, আর পয়সা পেল, এ চিন্তা করে দয়া করে কেউ প্রকল্প নেবেন না। গ্রাম থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরুর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন থেকে গ্রাম পর্যায় থেকে যদি শুরু না করি, এগুলো একটা সমস্যা হবে। শহরগুলোতে কিন্তু এটা বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বর্জ্য কোথায় ফেলবে, কী করবে, না করবে … বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন থেকে আমাদের নিতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের জনগণের সঙ্গে করা ওয়াদা পূরণ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কাছে যে ওয়াদা দিয়ে এসেছেন, সেটা আপনারা রক্ষা করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহসহ (খোকন সেরনিয়াবাত) বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

সাম্প্রতিক

মেয়র সাদিক খানকে ইসলামপন্থী বলে বরখাস্ত হলেন ব্রিটিশ এমপি ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মেয়র সাদিক খানকে ইসলামপন্থী বলে বরখাস্ত হলেন ব্রিটিশ এমপি । লন্ডনের এমপি সাদিক খানকে ইসলামপন্থী বলায় বরখাস্ত হয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য লি অ্যান্ডারসন। আজ রবিবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র সাদিক খান বিরোধী লেবার পার্টির সদস্য। রাজধানীতে নিয়মিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ-মিছিল ও পুলিশ পরিচালনার জন্য প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। শুক্রবার এক সাক্ষাতকারে লি আন্ডারসন বলেন, আমি বিশ্বাস করি না ইসলামপন্থীরা আমাদের দেশের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। তবে আমি যা বিশ্বাস করি তা হল তারা সাদিক খানের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। এরপরই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। সাদিক খানকে উদ্দেশ্য করে করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করার পরে তাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়। শনিবার সাদিক খান বলেন, আন্ডারসনের এমন মন্তব্য মুসলিম বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢালার সমান। তার মন্তব্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর বধির নীরবতারও কঠোর সমালোচনা করেন খানদিক খানের এমন সমালোচনার ঘণ্টাখানেক পরেই, টোরি পার্টির চিফ হুইপ সাইমন হার্টের এক মুখপাত্র বলেন: গতকালকের করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানানোয় দলের হুইপ পদ থেকে লি অ্যান্ডারসনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যমেয়র সাদিক খানলন্ডনলি অ্যান্ডারসন।

সাম্প্রতিক

শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজের ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজের ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি। সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এ অঞ্চলের মানুষের গৌরবোজ্জ্বল অর্জন। সংস্কৃতি চর্চা, বুদ্ধিচর্চা ও নারীজাগরণে এমসি কলেজের অবদান অনস্বীকার্য। গৌরবময় এমসি কলেজের ঐতিহ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের উদ্যোগে শুক্রবার রাতে ‘মুরারিচাঁদ কলেজের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনুষঙ্গ এবং প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও আড্ডায় বক্তারা এসব কথা বলেন। নগরীর বই বিপণন প্রতিষ্ঠান বাতিঘরে পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে ও ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপনের বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের ইতিহাস গবেষণা। গ্রন্থের লেখক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জফির সেতু। তিনি বলেন, ১৯১৭ সালে এমসি কলেজের প্রথম ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। ১৯২১ থেকে বছরে ৪টি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হতো। এমসি কলেজের বস্তুগত ও অবস্তুগত ঐতিহ্য আজ বিপন্ন। বস্তুগত ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও অবস্তুগত স্থাপনা সংস্কার জরুরি। আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও বাপা সিলেটের প্রেসিডেন্ট ড. জামিল আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুধাংশু শেখর তালুকদার ও অধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জি, মদনমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লে. কর্নেল (অব.) আতাউর রহমান পীর ও অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন ও আল আজাদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদু, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. ফারুক উদ্দিন, স্থাপত্য বিভাগের প্রধান ড. কৌশিক সাহা ও ড. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, উদীচী সিলেটের সাবেক সভাপতি মনির হেলাল, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেটের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন।

Scroll to Top