দেশজুড়ে

দেশজুড়ে

৮ -০গোলে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৮ -০গোলে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল। ভুটানকে গুঁড়িয়ে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। কের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে শেষ পর্যন্ত ৮ গোল জালে ভেড়াল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এই জয়ে ২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো সাফের ফাইনালে কোয়ালিফাই করলো তারা। এদিন সাবিনা একাই করেন তিন গোল। একটি করে গোল স্বপ্না, কৃষ্ণা রানী সরকার, ঋতুপর্ণা চাকমা, মাসুরা পারভীন ও তহুরা খাতুনের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ভুটানের জালে বল পাঠান সিরাত জাহান। ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল করা এই স্ট্রাইকার মনিকা চাকমার বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠিয়েছেন। ১৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সাবিনা। মারিয়া মান্দার কাছ থেকে বল পেয়ে পোস্টের বেশ দূর থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেছেন তিনি। ৩০ মিনিটে ঋতুপর্ণার ক্রসে মাথা ছুঁয়ে কৃষ্ণা রানী করেন ৩-০। এর মিনিট পাঁচেক পর ঋতুপর্ণার গোল। কৃষ্ণাকে বাধা দিতে ভুটানের গোলরক্ষক এগিয়ে গেলে, সেই বল ধরে জালে পাঠিয়ে দিয়েছে ঋতু।

দেশজুড়ে, মুক্তমত, রাজনীতি

জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সাথে যুক্তরাজ্য জাসদের মতবিনিময়। 

গত ৪ঠা মে বুধবার পুর্ব লন্ডনের ক্যাফে গ্রীল রেষ্টুরেন্টে যুক্তরাজ্য জাসদের উদ্দোগে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় । যুক্তরাজ্য জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা  এডভোকেট হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আবুল মনসুর লিলুর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্হিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং জাসদ স্হায়ী কমিটির সন্মানিত সদস্য জনাব মোহাম্মদ মহসিন । এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মতবিনিময় সভায় এবং বক্তব্য রাখে যুক্তরাজ্য জাসদের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ইউরোপিয়ান জাসদ নেতা মতিয়ুর রহমান মতিন, সিলেট জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমদ মুক্তা, যুক্তরাজ্য জাসদের সহ সভাপতি মজিবুল হক মনি, সহ সভাপতি সৈয়দ এনামুল হক বদরুল, সহসভাপতি আব্দুল হালিম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন খাঁন শামীম, দপ্তর সম্পাদক সাবুল সামসুজ্জামান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রেদঁয়ান খাঁন, যুক্তরাজ্য জাসদের সদস্য মোঃ আব্দুল হক প্রমুখ

Rumel Ahmed
অন্যান্য, অপরাধ, অর্থনীতি, আইন, আন্তর্জাতিক, এক্সক্লুসিভ, কৃষি ও প্রকৃতি, ক্যাম্পাস, খেলাধুলা, গণমাধ্যম, জাতীয়, তথ্যপ্রযুক্তি, দেশজুড়ে, ধর্ম, নারী ও শিশু, প্রবাস, ফিচার, বিজ্ঞপ্তি, বিনোদন, ভ্রমণ, মুক্তমত, রাজনীতি, লাইফস্টাইল, শিক্ষা, সম্পাদকীয়, সাম্প্রতিক, সাহিত্য, স্বাস্থ্য

ফ্রিল্যান্সার থেকে তরুণ উদ্যোক্তা

এখনকার তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। পড়াশোনার পাশাপাশি তরুণরা এখন বিভিন্নরকম কর্মকান্ডে নিজেদেরকে যুক্ত রাখছেন, শিখছেন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে। তেমনই একজন তরুণ রুমেল আহমদ, যিনি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছেন ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে।   সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা রুমেল বড় হয়েছেন সেখানেই। কৃতিত্বের সাথে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি শেষ করেছেন। তার বাবা হাফিজ উদ্দিন এবং মা রোকিয়া বেগম। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে চান তিনি।   প্রযুক্তিই যেনো রুমেল এর নেশা-পেশা। প্রযুক্তির প্রতি এই ভালোবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে তার। গ্রামের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ১৪ বছর বয়সে ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইনে তার স্কিল ডেভেলপমেন্ট শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র ১৫ বছর বয়সে লোকাল মার্কেটপ্লেস এ ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে শুরু হয় রুমেল এর ক্ষুদে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। পড়াশোনা পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সহজ না হলেও পূরণ করেছে রুমেল এর ছোট-বড় অনেক স্বপ্নই।   সবার মতো রুমেলেরও কিছু করে দেখানোর প্রবল ইচ্ছে ছিলো। সবসময় তার মাথায় বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া বা কনসেপ্ট ঘুরে বেড়াতো। একসময় নিজেই একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি “ক্ষুদে বিজ্ঞানী” নামক একটি ব্র্যান্ডিং ও ডিজিটাল এজেন্সির প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষুদে বিজ্ঞানী হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল এজেন্সি, যেখানে ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ব্যবসার আইডিয়াসহ আরও বিভিন্ন সমাধান পাওয়া যাবে সহজেই। আমাদের দেশে ছোটো-খাটো, কম বা বেশি অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি আছে যারা সঠিক ব্র্যান্ডিং এর কারণে সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেনা। এই ধরণের স্টার্টআপ’রা যেনো সহজেই তাদের ব্যবসাকে দ্রুত বৃদ্ধি বা প্রসার করতে পারে সেই সমাধানই দিচ্ছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী।   রুমেল আহমদ বলেন, শুরুটা কখনো সহজ হয় না। তবুও ছোট থেকে বাবা-মা, ফ্যামিলির কেউই আমাকে বাঁধা দেয়নি এ কাজে। তারা আমাকে নিয়ে গর্বই করতেন। যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছি সবার। প্রযুক্তির প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোবাসা ছিল, যেটা সচরাচর সবার মধ্যে থাকে না। আমার বয়স যখন ১২ বছর, আমার কাছে কোনো স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ছিল না। একটা জাভা ফোন ছিল, যেটায় আমি সবসময় গুগল করতাম আর প্রায়শই নতুন নতুন জিনিস শিখতাম।   সেসময় মোবাইল দিয়েই নিজের জন্য একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছিলাম। পরে আমার কাছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন আসে এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রতি আমার আলাদা একটা ঝোক ছিলো। ফলে, আমি ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন দিয়েই শুরু করি আমার স্কিল ডেভেলপমেন্ট। আমি কোনো সমস্যায় পড়লে সবসময় গুগল করতাম অথবা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতাম।  শুরু থেকেই কাজের প্রতি আলাদা একটা স্পিরিট কাজ করতো। আমার মতে, সফলতা অর্জনের কোনো শর্টকার্ট পথ নেই, সফলতা অর্জন করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি আসবেই, থেমে থাকলে তো হেরেই গেলাম।   তার ভাষ্য, আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় ব্যয় করছি। এই সময়টুকু যদি নতুন কিছু জানা বা শেখার পেছনে ইনভেস্ট করা যেতো তাহলে আমরা অনেকেই হয়তো  আমাদের স্বপ্নের চেয়েও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। বর্তমানে অনলাইনে কোটি কোটি ফ্রি রিসোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ই-বুক/ ব্লগ আর্টিকেল, অডিও বুক ইত্যাদি রয়েছে। শেখার মাধ্যম টা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। একটু বৃত্তের বাইরে চিন্তা আর চেষ্টা করলেই হয়তো সুন্দর সুন্দর সব স্কিলগুলো আয়ত্তে আনা সম্ভব। বর্তমানে চাকরির অবস্থা কি করুণ, তা হয়তো আমাদের সবারই জানা। স্কিল বা দক্ষতা থাকলে আপনাকে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না। আপনি নিজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে তুলতে পারবেন সুন্দর একটি ক্যারিয়ার।

Scroll to Top