তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়াবিদ সাকিব আল হাসান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়াবিদ সাকিব আল হাসান। মঞ্চে কাজী সালাউদ্দিন, সাকিব আল হাসান ও নিয়াজ মোর্শেদ। এই তিন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মধ্যে ৫০ বছরের সেরা একজন হবেন। মঞ্চে উপস্থিত ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাম ঘোষণা করতে পারছিলেন না। এশিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি হি দং জং তৃতীয় নাম ঘোষণা করেন নিয়াজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাঁচ দশক পেরিয়েছে। পাঁচ দশকের মধ্যে সেরা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্রীড়া লেখক সমিতি সেরা ১০ ক্রীড়াবিদের নাম আগেই প্রকাশ করেছিল। নয় জন বিচারক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্স, খেলায় এবং খেলাপ্রেমীদের মধ্যে প্রভাব বিবেচনা করে নম্বর প্রদান করেছেন। সেই নম্বরের ভিত্তিতেই এক থেকে দশ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। একটি খামে দশ জনের নাম ছিল। সেখান থেকে বিশেষ অতিথিরা একটি একটি করে নাম খোলেন। গলফার সিদ্দিুকুর রহমান। দশম হয়েছেন। এরপর বক্সার মোশাররফ, সাবেক দ্রুততম মানব শাহ আলমের নাম উঠে। শাহ আলম সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করেছেন তার পুরস্কার গ্রহণ করেন ছেলে মামুন। ২০০২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী শুটার আসিফ হোসেন খান সপ্তম হন। সপ্তম সেরা ক্রীড়াবিদ হয়ে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এভাবে, ‘সাত আমার জন্য খুব সৌভাগ্যর সংখ্যা। বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হই। জাতীয় শুটিংয়ে সাত বছর খেলার পর কমনওয়েলথে স্বর্ণ জিতি৷ আমার ছেলের বয়সও এখন সাত।’ ছয় নম্বর হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাফ গেমসে পাঁচ স্বর্ণ জেতা মোশাররফ হোসেন খান পঞ্চম সেরা হয়েছেন৷ চার নম্বর হয়েছেন প্রয়াত ফুটবলার মোনেম মুন্না। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রধান অতিথি হিসেবে এই পুরস্কার প্রদান করেন৷ এশিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি হি দং জং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন।

Rumel Ahmed
অন্যান্য, অপরাধ, অর্থনীতি, আইন, আন্তর্জাতিক, এক্সক্লুসিভ, কৃষি ও প্রকৃতি, ক্যাম্পাস, খেলাধুলা, গণমাধ্যম, জাতীয়, তথ্যপ্রযুক্তি, দেশজুড়ে, ধর্ম, নারী ও শিশু, প্রবাস, ফিচার, বিজ্ঞপ্তি, বিনোদন, ভ্রমণ, মুক্তমত, রাজনীতি, লাইফস্টাইল, শিক্ষা, সম্পাদকীয়, সাম্প্রতিক, সাহিত্য, স্বাস্থ্য

ফ্রিল্যান্সার থেকে তরুণ উদ্যোক্তা

এখনকার তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। পড়াশোনার পাশাপাশি তরুণরা এখন বিভিন্নরকম কর্মকান্ডে নিজেদেরকে যুক্ত রাখছেন, শিখছেন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে। তেমনই একজন তরুণ রুমেল আহমদ, যিনি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছেন ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে।   সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা রুমেল বড় হয়েছেন সেখানেই। কৃতিত্বের সাথে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি শেষ করেছেন। তার বাবা হাফিজ উদ্দিন এবং মা রোকিয়া বেগম। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে চান তিনি।   প্রযুক্তিই যেনো রুমেল এর নেশা-পেশা। প্রযুক্তির প্রতি এই ভালোবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে তার। গ্রামের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ১৪ বছর বয়সে ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইনে তার স্কিল ডেভেলপমেন্ট শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র ১৫ বছর বয়সে লোকাল মার্কেটপ্লেস এ ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে শুরু হয় রুমেল এর ক্ষুদে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। পড়াশোনা পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সহজ না হলেও পূরণ করেছে রুমেল এর ছোট-বড় অনেক স্বপ্নই।   সবার মতো রুমেলেরও কিছু করে দেখানোর প্রবল ইচ্ছে ছিলো। সবসময় তার মাথায় বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া বা কনসেপ্ট ঘুরে বেড়াতো। একসময় নিজেই একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি “ক্ষুদে বিজ্ঞানী” নামক একটি ব্র্যান্ডিং ও ডিজিটাল এজেন্সির প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষুদে বিজ্ঞানী হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল এজেন্সি, যেখানে ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ব্যবসার আইডিয়াসহ আরও বিভিন্ন সমাধান পাওয়া যাবে সহজেই। আমাদের দেশে ছোটো-খাটো, কম বা বেশি অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি আছে যারা সঠিক ব্র্যান্ডিং এর কারণে সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেনা। এই ধরণের স্টার্টআপ’রা যেনো সহজেই তাদের ব্যবসাকে দ্রুত বৃদ্ধি বা প্রসার করতে পারে সেই সমাধানই দিচ্ছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী।   রুমেল আহমদ বলেন, শুরুটা কখনো সহজ হয় না। তবুও ছোট থেকে বাবা-মা, ফ্যামিলির কেউই আমাকে বাঁধা দেয়নি এ কাজে। তারা আমাকে নিয়ে গর্বই করতেন। যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছি সবার। প্রযুক্তির প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোবাসা ছিল, যেটা সচরাচর সবার মধ্যে থাকে না। আমার বয়স যখন ১২ বছর, আমার কাছে কোনো স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ছিল না। একটা জাভা ফোন ছিল, যেটায় আমি সবসময় গুগল করতাম আর প্রায়শই নতুন নতুন জিনিস শিখতাম।   সেসময় মোবাইল দিয়েই নিজের জন্য একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছিলাম। পরে আমার কাছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন আসে এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রতি আমার আলাদা একটা ঝোক ছিলো। ফলে, আমি ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন দিয়েই শুরু করি আমার স্কিল ডেভেলপমেন্ট। আমি কোনো সমস্যায় পড়লে সবসময় গুগল করতাম অথবা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতাম।  শুরু থেকেই কাজের প্রতি আলাদা একটা স্পিরিট কাজ করতো। আমার মতে, সফলতা অর্জনের কোনো শর্টকার্ট পথ নেই, সফলতা অর্জন করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি আসবেই, থেমে থাকলে তো হেরেই গেলাম।   তার ভাষ্য, আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় ব্যয় করছি। এই সময়টুকু যদি নতুন কিছু জানা বা শেখার পেছনে ইনভেস্ট করা যেতো তাহলে আমরা অনেকেই হয়তো  আমাদের স্বপ্নের চেয়েও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। বর্তমানে অনলাইনে কোটি কোটি ফ্রি রিসোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ই-বুক/ ব্লগ আর্টিকেল, অডিও বুক ইত্যাদি রয়েছে। শেখার মাধ্যম টা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। একটু বৃত্তের বাইরে চিন্তা আর চেষ্টা করলেই হয়তো সুন্দর সুন্দর সব স্কিলগুলো আয়ত্তে আনা সম্ভব। বর্তমানে চাকরির অবস্থা কি করুণ, তা হয়তো আমাদের সবারই জানা। স্কিল বা দক্ষতা থাকলে আপনাকে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না। আপনি নিজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে তুলতে পারবেন সুন্দর একটি ক্যারিয়ার।

Scroll to Top