জাতীয়

জাতীয়

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন আইজিপি হলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশ পুলিশের নতুন আইজিপি হলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাকে বাংলাদেশ পুলিশের ৩১তম মহাপরিদর্শক (আইজি) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সকালে বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদের অবসর প্রদান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বয়স ৫৯ পূর্ণ হওয়ায় ১লা সেপ্টেম্বর থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে থাকবেন বেনজীর আহমেদ। বিসিএস ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা। সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সকল খেলোয়াড়কে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদানে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রয়েছেন। দেশে ফিরে নারী ফুটবল দলের যেসব ফুটবলারদের ঘর দরকার, তাদের ঘর দেওয়ার ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে কার বাড়ির প্রয়োজন সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক রূপনা চাকমার জন্য রাঙামাটিস্থ তার গ্রামের বাড়িতে বাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। রূপনা চাকমা ২০২২ সালের সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপে সেরা গোলরক্ষক মনোনীত হন। রূপনা চাকমার জরাজীর্ণ বাড়ির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় শেখ হাসিনা তার জন্য বাড়ি নির্মাণের নির্দেশ দেন। বুধবার দেশে ফেরার পর সাফ চ্যাম্পিয়নদের উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ট্রফিসহ একটি খোলা বাসে চড়ে ভিক্টরী প্যারেডে অংশ নেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতার সুদৃশ্য ছবি এবং লোগো সংবলিত বাসটিতে সাফ ফুটবল জয়ের পর বিজয়ী দলের ট্রফি উত্তোলনের দৃশ্য অন্তর্ভূক্ত ছিল। টুর্নামেন্টে মালদ্বীপ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালকে হারিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ২৩ গোল করে এবং তাদের বিপক্ষে ফাইনালে একটি মাত্র গোল করতে সক্ষম হয় রানার্স আপ নেপাল।

জাতীয়

জনাব আমিনুর রহমান(দুলু) বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বার্মিংহাম, ইউকের সভাপতি নির্বাচিত হলেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জনাব আমিনুর রহমান(দুলু) বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বার্মিংহাম, ইউকের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বার্মিংহাম, ইউকের সভাপতি নির্বাচিত হলেন লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খলকুর রহমানের বড়ভাই জনাব আমিনুর রহমান(দুলু) ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ৯৪৬ জন ভোটার নিয়ে পরিচালিত প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আমাদের এলাকার সম্মান বৃদ্ধি করলেন।উনার প্রতি রইল অজস্র ভালোবাসা এবং শুভকামনা। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান জনাব মোস্তফা কামাল বাবলু।

জাতীয়

বি‌শিষ্ট সমাজ সেবক তৌফিক বক্স লিপন উপ‌জেলা পর্যা‌য়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বা‌চিত

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- শ‌হিদুল ইসলাম, সি‌লেট বি‌শিষ্ট সমাজ সেবক তৌফিক বক্স লিপন উপ‌জেলা পর্যা‌য়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বা‌চিত। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মধ্যে শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র তৌফিক বক্স লিপন। ২১শে সেপ্টেম্বর বুধবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহি উদ্দিন আহমদ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শ্রেষ্ট সভাপতি, কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বলেন, “কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্টান। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও রেজাল্টের হার খুবই ভালো। আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মানের পাশাপাশি খেলাধুলা ও চিত্ত বিনোদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই আমরা দক্ষিণ উপজেলা উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ট সভাপতির সম্মান অর্জন করেছি। কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিমানা দেয়াল নির্মাণ, গেইট নির্মান, সৌন্দর্যবধর্ণ, করোনার পর কার্যক্রম ও বন্যার পর কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সফল ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপনকে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত করায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারি শিক্ষা অফিসার সহ সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদেরকে তিনি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

জাতীয়

জাসদ ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে ঐক্য বদ্ধ নির্বাচন করার পক্ষে — হাসানুল হক ইনু

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাসদ ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে ঐক্য বদ্ধ নির্বাচন করার পক্ষে — হাসানুল হক ইনু জাসদ সভাপতি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উগ্রবাদী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবেলা করতে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি চৌদ্দদলীয় জোটের সঙ্গে জাসদ নির্বাচন করার পক্ষে। আজ সোমবার কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি চত্তরে জাসদের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় যোগদানের আগে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাসদ চায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাক। পরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশ ও দেশের জনগণকে রাষ্ট্রের মৌলিক অস্তিত্ব অস্বীকারকারী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী রাজনৈতিক শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গীকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তাদের মোকাবেলা করা দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণের প্রধান দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি জাসদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এই শত্রুদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ধারায় দলের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে গা ঝাড়া দিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান। হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত-তালেবানি শক্তি’ পুনরুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য যে হুমকি দিচ্ছে, তা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ওপর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার পথে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌর মেয়র, জাসদ নেতা আনোয়ারুল কবির টুটুল, জাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, আবদুল্লাহেল কাইয়ুম, মোখলেছুর রহমান, রোকনুজ্জামান রোকন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন। এর আগে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ম. আ. মুক্তাদির এর সংগ্রামী জীবন।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট:-  ইফতেখার মহম্মদ তুহিন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ম. আ. মুক্তাদির এর সংগ্রামী জীবন “Man is Mortal” মানুষ মরণশীল। আমাদের প্রত্যেকেরই মরণের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, এটাই চিরন্তন সত্য। ইতিহাসে অমর হওয়ার মত মৃত্যুর সংখ্যা কত, প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হলেও আমরা কত জনকে স্মরণ রাখছি, তবুও অনেক মৃত্যু আমাদেরকে ভাবায়, এমনি এক মহান ব্যক্তিত্ব আমাদের সবার কাছে প্রিয় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক মরহুম ম. আ. মুক্তাদির। আজ ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতীর শ্রেস্ট সন্তান, বিপ্লবী এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ! তিনি ১৯৫২ সালে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম মুসলিম মিয়া, পাঁচ ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ভাইবোনদের মধ্যে পঞ্চম ও ভাইদের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন। প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি রাজা জি সি হাই স্কুলে ভর্তি হন। একজন ভাল ক্রিয়াবিদ ও মেধাবী ছাত্র হিসেবে তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের প্রাথমিক সদস্য পদ লাভ করেন। ছাত্রজীবনেই তিনি কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৬৭/৬৮ সালে দেশ ও কৃষ্টি আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি কৃতিত্তের সহিত এস এস সি পাশ করেন। ১৯৬৯ সালের মহান গণঅভুখানে তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় সংগঠক। মদন মোহন কলেজ থেকে তিনি ১৯৭০ সালে আই এ পাশ করেন। তিনি সিলেটের ফুটবল জগতে হোয়াইট মোহামেডানের একজন সক্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন এবং দক্ষিণ সুরমা ক্রীড়াচক্রেরও খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি কিছুদিন সংবাদিকতায় নিযুক্ত ছিলেন। তার প্রতিভা সমাজের বিভিন্ন জায়গায় পরিলক্ষিত হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মা-বোনদের ইজ্জত, দেশমাতৃকাকে মুক্ত ও একটি স্বাধীন লাল সবুজের পতাকার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধে জাপিয়ে পড়েছিলেন জাতীর শ্রেস্ট সন্তানরা তাদেরই একজন জাতীর শ্রেস্ট সন্তান সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ২৬ নং ওয়ার্ড এর কদমতলী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ম. আ. মুক্তাদির। তিনি মেজর সি আর দত্তের নেতৃত্বে ৪নং সেক্টরে একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলিস্ট ভুমিকা রাখেন। মরহুম ম. আ. মুক্তাদির একটি স্বাধীন পতাকা, একটি স্বাধীন মানচিত্র, একটি স্বাধীন নিঃশ্বাসের জন্য মুক্তিযোদ্ধকে বেছে নিয়েছিলেন আর রাজনীতিকে বেছে নিয়েছিলেন যাতে সমাজে মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো প্রতিস্টিত হয়, সমাজের অমূল্য পরিবর্তন ও অগ্রসর চিন্তার মানুষের বিপ্লব ঘটানোর লক্ষে আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছিলেন। নির্যাতন আর জেল-জুলুমকে আলিঙ্গন করে নিয়েছিলেন নতুন সূর্যোদয়ের আশায়। তিনি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অবহেলিত মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষে একজন নিবেদিত সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি আমৃত্যু স্বপ্ন দেখে এসেছেন একটি অসাপ্রদায়িক, গনতান্ত্রিক,সমাজতান্ত্রিক, শোষণহীন বাংলাদেশের। ৭০ ও ৮০ দশকের আপোষহীন ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর জন্মলগ্নে ছাত্রলীগে যোগ দেন এবং জাসদ সংগঠনের বলিষ্ঠ সংগঠক হিসেবে ১৯৭৩ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি এম.সি কলেজ থেকে বি.এ পরীক্ষা দেন। ১৯৭৬ সালের ৯ জুন জাসদ রাজনীতির চরম দুর্দিনে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মনোনীত হন তিনি। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি দ্বিতীয় বার ছাত্রলীগ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে বাসদ প্রতিষ্ঠা হলে তিনি বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা বাসদের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। এ দায়িত্ব গ্রহণে তিনি কিছুদিন বাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এক কথায় সিলেটে বাসদের জন্মদাতা মরহুম ম. আ. মুক্তাদির। বাসদ এবং ছাত্রলীগ যতদিন থাকবে মুক্তাদিরও ততোদিন প্রতিস্টাতা হিসেবে বেঁচে থাকবেন। পরবর্তীতে জেনারেল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে বাসদ সমথন দান করে। সিলেট অঞ্চলে ওসমানী সাহেব বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পেছনে মরহুম ম. আ. মুক্তাদিরের অবদান চিরস্মরণীয়। ১৯৮৪ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বৈরশাসক এরশাদ এর শাসনামলে নির্যাতন, জেল, জুলুম আর গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি ১৯৮৬ সালে লন্ডনে পাড়ি জমান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি যেমন সক্রিয় ভূমিকা রাখেন ,তেমনি লন্ডনে প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে বাসদকে সংগঠিত করেন এবং পরবর্তীকালে লন্ডনের লেবার পার্টিতে যোগ দেন। বিলেতের মাটিতে তিনি শুধু রাজনীতিতেই সীমাবব্দ ছিলেন না। সামাজিক ও সংস্কৃতিক অঙ্গনেও তার যথেষ্ট বিস্তার ছিল। ২১শে ফেব্রুয়ারী, শহীদ দিবস, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় অনুস্টান গুলোতে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি লন্ডনে প্রবাসী সিলেটী ও বাঙালিদের দাবী-দাওয়া বাস্তবায়নের আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, প্রবাসী বাঙালিদের হয়রানি, নারী নির্যাতনসহ মানবতা বিরোধী বর্ণবাদ বিরোধী প্রতি আন্দোলনে তার ছিল একটা বলিস্ট কণ্ঠস্বর। তিনি সিলেট বিভাগ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষিত আন্দোলনে প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠিত করেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে লন্ডনে বলিষ্ঠ সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লন্ডনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দেখানোর মধ্যদিয়ে নিজের দেশ ও জাতির প্রতিই সম্মান দেখানো হয়। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ম. আ. মুক্তাদিরের প্রতি সম্মান দেখাতে আজ আমরা ও ব্যর্থ। তার জীবনাবসানের দীর্ঘ ২৪ বছর অতিবাহিত, আজও তার নামে দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে নির্মাণ করা হয়নি কোনো স্মৃতিস্তম্ব। মুক্তিযোদ্ধা মুক্তাদিরের মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৯৯৮-৯৯ ইং সালে তৎকালীন নৌ-ও পরিবহন মন্ত্রী আ স ম আব্দুর রবের নির্দেশে কদমতলী এলাকার ফেরিঘাট সড়ক থেকে জকিগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত যে রাস্তাটি বিদ্যমান, সেই রাস্তাটি মুক্তিযোদ্ধা মুক্তাদিরের নামে সরকারীভাবে নামকরণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় রাস্তা পাকা করনের কাজের টেন্ডার ইস্যু করা হয় এবং কাজটি সম্পূর্ণ হয়, তখন থেকে এ সড়কটি মুক্তিযোদ্ধা মুক্তাদিরের নামে সরকারী কাগজপত্রে বলবৎ থাকলে ও বাস্তবে রাস্তার কোথাও মুক্তাদিরের নামের অস্থিত্ব নেই। এ নিয়ে এলাকায় রয়েছে মতবেদ, যার ফলে আড়ালেই রয়ে গেছে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মুক্তাদিরের নাম। “বর্তমানে দেশে বিদেশে থাকা সচেতন মহল এবং ম. আ. মুক্তাদির স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্ট এর সকল সদস্যবৃন্দের একটাই দাবী মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ম. আ. মুক্তাদিরের নামে কদমতলী এলাকার ফেরিঘাট সড়ক থেকে জকিগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত যে পাকা রাস্তাটি [ মরহুম ম. আ. মুক্তাদিরের বাড়ির পশ্চিমের রাস্তাটি], সেই রাস্তাটি মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মুক্তাদিরের নামে সরকারীভাবে নামকরণ করা হোক, যাতে করে আগামী প্রজন্ম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখতে পারে এই বীর, সাহসী, বিপ্লবী সন্তানকে।“ মরহুম ম. আ. মুক্তাদির ১৯৯৭ ইং সালের ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার লন্ডনে ‘বাংলা টাউন’ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠার সমূহ জড়িত থেকে অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার সময় অসুস্থবোধ করেন। তাঁকে সাথে সাথে লন্ডন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডন সময় ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টায় হাসপাতালেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহ বিশেষ বিমান যুগে লন্ডন থেকে দেশে আনা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়। পরে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী গ্রামের সেই স্মৃতিঘেরা মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এই ক্লান্ত বিপ্লবী সৈনিককে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র সন্তান, (বড় ছেলে রাহাত মুক্তাদির লন্ডনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নিহত হন, আল্লাহপাক যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন সেই প্রার্থনা করি

জাতীয়

পুলিশের আইজিপি হচ্ছেন র‌্যাবের মহা পরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পুলিশের আইজিপি হচ্ছেন র‌্যাবের মহা পরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাংলাদেশ পুলিশের পরবর্তী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হচ্ছেন এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত একজন অতিরিক্ত আইজিপির নাম র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নতুন ডিজির হিসেবে প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। এরপরই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আইজিপির দায়িত্ব নিবেন। তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক পদে যোগদানের আগে সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিসিএস অষ্টম ব্যাচের এই কর্মকর্তা আগামী ১১ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা। সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে বাহিনী ও সরকারের কাছে সুনাম রয়েছে র‌্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের। পুলিশে অসামান্য অবদান ও অনন্য সেবাদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদকে ভূষিত হয়েছেন। গত বছরের ১৮ অক্টোবর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে ঢাকা রেঞ্জে ও ডিআইজি হিসেবে ডিআইজি (অপারেশনস), ডিআইজি (প্রশাসন), রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে ময়মনসিংহ ও ঢাকা রেঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে তিনি অতিরিক্ত আইজিপির (এইচআরএম) দায়িত্ব পান। র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের আগে তিনি সিআইডি প্রধান হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।        

Rumel Ahmed
অন্যান্য, অপরাধ, অর্থনীতি, আইন, আন্তর্জাতিক, এক্সক্লুসিভ, কৃষি ও প্রকৃতি, ক্যাম্পাস, খেলাধুলা, গণমাধ্যম, জাতীয়, তথ্যপ্রযুক্তি, দেশজুড়ে, ধর্ম, নারী ও শিশু, প্রবাস, ফিচার, বিজ্ঞপ্তি, বিনোদন, ভ্রমণ, মুক্তমত, রাজনীতি, লাইফস্টাইল, শিক্ষা, সম্পাদকীয়, সাম্প্রতিক, সাহিত্য, স্বাস্থ্য

ফ্রিল্যান্সার থেকে তরুণ উদ্যোক্তা

এখনকার তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। পড়াশোনার পাশাপাশি তরুণরা এখন বিভিন্নরকম কর্মকান্ডে নিজেদেরকে যুক্ত রাখছেন, শিখছেন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে। তেমনই একজন তরুণ রুমেল আহমদ, যিনি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছেন ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে।   সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা রুমেল বড় হয়েছেন সেখানেই। কৃতিত্বের সাথে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি শেষ করেছেন। তার বাবা হাফিজ উদ্দিন এবং মা রোকিয়া বেগম। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে চান তিনি।   প্রযুক্তিই যেনো রুমেল এর নেশা-পেশা। প্রযুক্তির প্রতি এই ভালোবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে তার। গ্রামের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ১৪ বছর বয়সে ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইনে তার স্কিল ডেভেলপমেন্ট শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র ১৫ বছর বয়সে লোকাল মার্কেটপ্লেস এ ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে শুরু হয় রুমেল এর ক্ষুদে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। পড়াশোনা পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সহজ না হলেও পূরণ করেছে রুমেল এর ছোট-বড় অনেক স্বপ্নই।   সবার মতো রুমেলেরও কিছু করে দেখানোর প্রবল ইচ্ছে ছিলো। সবসময় তার মাথায় বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া বা কনসেপ্ট ঘুরে বেড়াতো। একসময় নিজেই একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি “ক্ষুদে বিজ্ঞানী” নামক একটি ব্র্যান্ডিং ও ডিজিটাল এজেন্সির প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষুদে বিজ্ঞানী হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল এজেন্সি, যেখানে ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ব্যবসার আইডিয়াসহ আরও বিভিন্ন সমাধান পাওয়া যাবে সহজেই। আমাদের দেশে ছোটো-খাটো, কম বা বেশি অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি আছে যারা সঠিক ব্র্যান্ডিং এর কারণে সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেনা। এই ধরণের স্টার্টআপ’রা যেনো সহজেই তাদের ব্যবসাকে দ্রুত বৃদ্ধি বা প্রসার করতে পারে সেই সমাধানই দিচ্ছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী।   রুমেল আহমদ বলেন, শুরুটা কখনো সহজ হয় না। তবুও ছোট থেকে বাবা-মা, ফ্যামিলির কেউই আমাকে বাঁধা দেয়নি এ কাজে। তারা আমাকে নিয়ে গর্বই করতেন। যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছি সবার। প্রযুক্তির প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোবাসা ছিল, যেটা সচরাচর সবার মধ্যে থাকে না। আমার বয়স যখন ১২ বছর, আমার কাছে কোনো স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ছিল না। একটা জাভা ফোন ছিল, যেটায় আমি সবসময় গুগল করতাম আর প্রায়শই নতুন নতুন জিনিস শিখতাম।   সেসময় মোবাইল দিয়েই নিজের জন্য একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছিলাম। পরে আমার কাছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন আসে এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রতি আমার আলাদা একটা ঝোক ছিলো। ফলে, আমি ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন দিয়েই শুরু করি আমার স্কিল ডেভেলপমেন্ট। আমি কোনো সমস্যায় পড়লে সবসময় গুগল করতাম অথবা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতাম।  শুরু থেকেই কাজের প্রতি আলাদা একটা স্পিরিট কাজ করতো। আমার মতে, সফলতা অর্জনের কোনো শর্টকার্ট পথ নেই, সফলতা অর্জন করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি আসবেই, থেমে থাকলে তো হেরেই গেলাম।   তার ভাষ্য, আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় ব্যয় করছি। এই সময়টুকু যদি নতুন কিছু জানা বা শেখার পেছনে ইনভেস্ট করা যেতো তাহলে আমরা অনেকেই হয়তো  আমাদের স্বপ্নের চেয়েও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। বর্তমানে অনলাইনে কোটি কোটি ফ্রি রিসোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ই-বুক/ ব্লগ আর্টিকেল, অডিও বুক ইত্যাদি রয়েছে। শেখার মাধ্যম টা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। একটু বৃত্তের বাইরে চিন্তা আর চেষ্টা করলেই হয়তো সুন্দর সুন্দর সব স্কিলগুলো আয়ত্তে আনা সম্ভব। বর্তমানে চাকরির অবস্থা কি করুণ, তা হয়তো আমাদের সবারই জানা। স্কিল বা দক্ষতা থাকলে আপনাকে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না। আপনি নিজেই আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে তুলতে পারবেন সুন্দর একটি ক্যারিয়ার।

Scroll to Top