জাতীয়

জাতীয়

কোলকাতায় সন্মাননা পেলেন বাংলাদেশ‌ের অধ্যাপক ডাঃ স্বপ্নীল।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- শ‌হিদুল ইসলাম,সিলেট প্রতি‌নি‌ধি কোলকাতায় সন্মাননা পেলেন বাংলাদেশ‌ের অধ্যাপক ডাঃ স্বপ্নীল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে কোলকাতা শহরে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘শতবর্ষে বিদ্রোহী’ শীর্ষক একটি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ছায়ানট, কোলকাতা, ভারত। সোমঋতা মল্লিকের পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠিতা প্রধান ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব, প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং বিশ্ব কবি মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি পুলক কান্তি ধর। অনুষ্ঠানটিতে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের হাতে বিশেষ সন্মাননা স্মারক তুলে দেন আসামের নজরুল গবেষক ড. রেজাউল করিম ও পশ্চিমবঙ্গের নজরুল গবেষক শেখ মকবুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যাপক স্বপ্নীল বলেন, জীবদ্দশায় শেষ তিন দশকেরও বেশি সময় দুর্বিসহ যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে কাটালেও বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষে এসে বিদ্রোহী কবি এখন ভালোই আছেন। তার বাঙ্গালীর রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে। তিনি এখন বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাকে নিয়ে গবেষনা করার জন্য বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নজরুল ইনষ্টিটিউট এবং ত্রিশালে তার নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আ‌ছে। বাঙ্গালীর বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। কিন্তু তারপরও বাস্তবতা এই যে, সবার জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক, সাম্যের বাতায়ন তৈরি করার ক্ষেত্রে এখনও অনেকখানি কাজ করা বাকি। নজরুলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমরা যদি বাঙালীয়ানার চর্চা করতে পারি আর ধর্মের উর্ধ্বে উঠে অখন্ড বাঙ্গালী জাতি সত্তার চেতনাকে লালন করতে পারি শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষে এসে আমাদের আজকের যতটুকু অপূর্ণতা তা দুর করে আমরা বাঙ্গালীর জন্য নজরুলের স্বপ্নের বাসভূমি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।

জাতীয়

একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই।

বিলেতের আয়না :- একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই। একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খান মারা গেছেন। ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তোয়াব খান সর্বশেষ দৈনিক বাংলার সম্পাদক ছিলেন। তার আগে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তোয়াব খানের হাতেখড়ি। এরপর দৈনিক সংবাদে কাজ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেসসচিব ছিলেন তোয়াব খান। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই সাংবাদিক ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। তখন তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিন্ডির প্রলাপ’ নামের একটি অনুষ্ঠান।

জাতীয়

বিদায়ী পুলিশের আইজিপি ড.বেনজির আহমদ অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্যদেরকে নিয়োজিত ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিদায়ী পুলিশের আইজিপি ড.বেনজির আহমদ অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্যদেরকে নিয়োজিত । পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পদ থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিদায় নিতে যাওয়া ড. বেনজীর আহমেদের নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শফিকুল ইসলামের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের আইজিপি বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ড. বেনজীর আহমেদের অবসর প্রস্তুতিজনিত ছুটিকালীন তার নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে গাড়িসহ ১/৬ ফর্মেশনে সাদা পোশাকে এসকর্ট, অস্ত্রসহ ইউনিফর্মধারী দুজন সার্বক্ষণিক দেহরক্ষী ও ১/৩ ফর্মেশনে হাউসগার্ড সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ’ গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা বেনজীর আহমেদের অবসরের বিষয়টি জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদকে ৩০ সেপ্টেম্বর বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৪৩(১) (ক) অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। একই প্রজ্ঞাপনে এক বছরের জন্য তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হয়।

জাতীয়

আগামীকাল ১লা অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামীকাল ১লা অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা আগামীকাল ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব। দুর্গা শব্দের অর্থ হলো ব্যুহ বা আবদ্ধ স্থান। যা কিছু দুঃখ কষ্ট মানুষকে আবদ্ধ করে, যেমন বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা এসব থেকে তিনি ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকাররা দুর্গার নামের অন্য একটি অর্থ করেছেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। হিন্দু পুরাণ মতে দুর্গাপূজার সঠিক সময় হলো বসন্তকাল কিন্তু বিপাকে পড়ে রামচন্দ্র, রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবীকে অসময়ে জাগ্রত করে পূজা করেন। সেই থেকে অকাল বোধন হওয়া সত্ত্বেও শরত কালে দুর্গাপূজা প্রচলিত হয়ে যায়। জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার গজে (হাতী) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসবেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে। যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে । এদিকে পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মণ্ডপ।

জাতীয়

সিলেটে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে লিভার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি সিলেটে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে লিভার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত। সিলেটে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে ও নারায়ণ হেলথ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় লিভার রোগ বিষয়ক একটি সচেতনামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও নারায়ানা হেলথ্ এর ডায়রেক্টর এন্ড ক্লিনিকাল লিড হেড অভ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ডাঃ সঞ্জয় কে গোজা লিভার রোগ এর বিভিন্ন লক্ষণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেন। অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল বলেন, দেশে লিভার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যখন কারও লিভার আক্রান্ত হয়, তখন এটি তার কার্য সম্পাদন করতে অক্ষম হয় যার ফলে দেহের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। তবে এই রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার আর নিয়ম মাফিক জীবনযাপনের মাধ্যমে এই রোগ পরিহার করা যায়। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা খাতুন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিজিত চৌধুরী, হোটেল স্টার প্যাসিফিক এর চেয়ারম্যান জনাব ফালাউদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা স্বাচিপের যুগ্ম আহবায়ক ডা. রবিন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান, সিলেট উইমেন্স চেম্বার এর সভাপতি মিসেস স্বর্ণলতা রায়, সিলেট মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিসেস মারিয়া চৌধুরী, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি রশিদ আহমদ, সিলেট মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা শিহাব, সিলেট জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা এহসান, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ, দৈনিক ইনফো বাংলা সিলেট ব্যুরো প্রধান উৎফল বড়ুয়া, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আফসার আহমদ, সিলেট উইমেন্স জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি মিসেস সুবর্ণা প্রমুখ।

জাতীয়

পোয়েটসপিডিয়া-বাংলা রাইটার্স ক্লাবের কমিটি গঠন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি পোয়েটসপিডিয়া-বাংলা রাইটার্স ক্লাবের কমিটি গঠন। পোয়েটসপিডিয়া-বাংলা রাইটার্স ক্লাবের চূড়ান্ত কমিটি ঘোষিত হয়েছে। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কবি ও সংগঠক রাহনামা শাব্বীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিমলেন্দু পাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাছুমা টফি একা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পোয়েটসপিডিয়া-বাংলা রাইটার্স ক্লাবের আহ্বায়ক রাহনামা শাব্বীর চৌধুরীর সিলেট নগরীর উপশহরস্থ বাসায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন আশরাফ আহমেদ (যুক্তরাজ্য), শিল্পী স্নাতা (ভারত), আব্দুল হাসিব চৌধুরী, ইছমত হানিফা চৌধুরী, রনক চৌধুরী (যুক্তরাষ্ট্র), আলেয়া রহমান, জান্নাত আরা খান পান্না, সেনুয়ারা আক্তার চিনু, ও ইশরাক জাহান জেলী। সাধারণ সম্পাদক বিমলেন্দু পালের পাশাপাশি সহ-সাধারণ সম্পাদক আরো রয়েছেন দেওয়ান নুর চৌধুরী রওশন আরা বাঁশী, লিপি খান, চৌধুরী, হাবিবা আক্তার, নাঈমা চৌধুরী ও রিপন আহমেদ। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আহমাদ সালেহ ও শাহনাজ জুঁই। কমিটির অন্যান্যরা হলেন দেওয়ান গাজী আব্দুল কুদ্দুস শামসাদ (অর্থ সম্পাদক), সোহেনা আক্তার হেনা (প্রচার সম্পাদক), জুবের আহমদ সার্জন (সহ-প্রচার সম্পাদক), ওমর ফারুক (সহ-প্রচার সম্পাদক), তোফায়েল আহমদ জুমন মুক্তা (দপ্তর সম্পাদক), ফতহুল করিম হাসান (প্রকাশনা সম্পাদক), ইফতেহার আহমদ জাবের (সহ-প্রকাশনা সম্পাদক), মো. নজরুল ইসলাম (প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক), খান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), সাদ্দাম হোসাইন তুহিন ও আল আমিন (সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক)। এছাড়াও কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হলেন মিহির মোহন, শিপারা শিপা, জুঁই ইসলাম, শহীদ আরবী, এমদাদ আলী, এমএমইউ শাকিল, মালিক ফাহাদ, লুৎফর রহমান, একতার হোসাইন, সুমাইয়া জান্নাত শায়লা, রাশেদ আহমদ, সালমান আহমদ, আলী আহমদ, রবিউল ইসলাম। মূল কমিটির পাশাপাশি একইদিনে পোয়েটসপিডিয়া-বাংলার উপদেষ্টা কমিটির প্রারম্ভিক তালিকাও উত্থাপিত হয়, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা কবি কালাম আজাদ, গল্পকার ও সাংবাদিক সেলিম আউয়াল, বাচিকশিল্পী ও লেখক সাফিয়া খন্দকার রেখা, কবি শিউল মঞ্জুর, কবি ও শিক্ষক ইসমত আরা প্রধান, রিজিয়া রহমান (ভারত), কবি ও সংগঠক মোসলেহ উদ্দিন, কণ্ঠশিল্পী গুলে ফেরদৌস লতা, কণ্ঠশিল্পী ইলোরা আজমী, কবি সালমা খানম, কবি আজম আলী মাস্টার, কবি ও সাহিত্য সমালোচক বাছিত ইবনে হাবীব, কবি রোকসানা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এর বিদায়ী কর্মদিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এর বিদায়ী কর্মদিবস। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, দেশে এক-ধরনের নষ্ট রাজনীতির দুষ্টু চর্চা ছিল, এখনো রয়েছে। এ চর্চায় কেউ কেউ অন্যায়ভাবে আমাকে বিপক্ষে আবিষ্কার করেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, আপনারা ভালো থাকবেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আইজিপি বেনজীর আহমেদ দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩৪ বছরের পুলিশের কর্মজীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন। অবসরে যাওয়ার পূর্বে শেষ কর্মদিবসে নিজের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের নানা অর্জনসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিয় করেন তিনি। যারা বিপক্ষে ভেবেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই উল্লেখ করে বিদায়ী আইজিপি বলেন, কারণ আমরা সবাই মিলেই বাংলাদেশ। হাতে হাত রেখে সবাই দায়িত্ব পালন করে আমরা সবাই মিলে এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, আমার ৩৪ বছর ৫ মাস ১৬ দিন কর্মজীবনের মধ্যে ২০১০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১২ বছর পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ডিএমপি কমিশনার, র‌্যাব ডিজি ও সর্বশেষ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনারা সমর্থন জুগিয়েছেন, দেশবাসীও সমর্থন জুগিয়েছেন। তাই সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালনকালে চেষ্টা করেছি মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। চাকরির শেষ দিন মানে আগামীকাল থেকে জীবনের একটি পাতা উল্টিয়ে নতুন পাতা পড়ার চেষ্টা। তার মানে আগামীকাল থেকে দেখা হবে না-কথা হবে না এমনটি নয়। সামাজিক জীব হিসেবে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে, যেখানেই সুযোগ পাবো একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ পুলিশের দুটি বিষয় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কীভাবে আমরা সফলভাবে করোনা ক্রাইসিস অতিক্রম করেছি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্যের বিষয়ে সবাই জানতে চায়। কিছুদিন আগে জাতিসংঘে কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে, আমরা কীভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সফল হয়েছি। পোশাকে এটাই সর্বশেষ প্রেস ব্রিফিং উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, বর্তমান পুলিশ আগের থেকে অনেক বেশি গণমুখী। আমাকে আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, একইভাবে পরবর্তীতে দায়িত্বে যারা আসবেন তাদেরকেও সহযোগিতা করবেন

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন। রোল মডেল বাংলাদেশের কারিগর শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আশাতীত সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। যে দেশের অন্যায়-অত্যাচার-নির্যাতন আর শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশ নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল বিশ্বের বুকে, সময়ের ব্যবধানে সেই পরাজিত পাকিস্তানের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা তত্ত্ব অনুসরণ করার কথা বলেন। যে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন, সেই ব্যক্তি বা তার দেশ যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সঙ্গে যুথবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আগ্রহী। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা ঘুচিয়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের অন্যতম একটি দেশে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে অনন্য কারিগর হিসেবে অতুলনীয় ভূমিকা রাখা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। তিনি আজ বিশ্বের অদম্য সাহসী নেতা। প্রজ্ঞা-মেধা ও দূরদর্শিতায় তিনি নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। নিরলস বাংলাদেশের কল্যাণে নিবেদিত শেখ হাসিনা একের পর এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সাহসের সঙ্গে অকপট সত্য কথা বলে তিনি হয়ে উঠেছেন অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান। আপন আলোয় তিনি ভূখন্ডের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বনেতৃত্বের কাতারে ঠাঁই করে নিয়েছেন। রাষ্ট্র ও সংগঠন পরিচালনায় অনন্য জাদুকরী দক্ষতায় বিচ্ছুরণে তিনি চার মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং একইসঙ্গে চার দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় ৪০ বছরের রাজনৈতিক পথচলায় শেখ হাসিনাকে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কখনো শাসকদের রোষানলে পড়ে কারান্তরীণ, কখনো বা সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন। তবে লক্ষ্যচু্যত হননি। আপন অভীষ্টে এগিয়ে গেছেন সব প্রতিবন্ধকতাকে পায়ে দলে। বারবার মৃতু্যর মুখে দাঁড়িয়ে গেয়েছেন জীবনের জয়গান। সারাক্ষণ ভেবেছেন দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে। শক্তি-মর্যাদায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনেক উঁচুতে। আজকের এই আনন্দমুখর দিনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে। তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদু্যৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। তার বিচক্ষণতা ও দক্ষতার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। অদম্য সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করে বাংলাদেশকে বিশ্বায়নে এক অজেয় প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লা বিদু্যৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ ১০টি মেগা প্রকল্প বাংলাদেশের ললাটে যুক্ত করেছে সক্ষমতার নতুন তিলক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস এবং জঙ্গি দমন ও মোকাবিলায় বাংলাদেশ যেমন বিশ্বের দৃষ্টি কেড়েছে, তেমনি এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের করণীয় সম্পর্কে দেওয়া বক্তব্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত শেখ হাসিনা বিশ্বাঙ্গনে হয়ে উঠেছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতার মা’। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী নেতা শেখ হাসিনার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলসহ তারা পাঁচ ভাই-বোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন। টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায় শিক্ষাজীবন শুরু করা শেখ হাসিনা রাজধানীর টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরের (শেরেবাংলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ) ছাত্রী ছিলেন। ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ডক্টর এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই গৃহবন্দি অবস্থায় শেখ হাসিনা প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যাসন্তান পুতুলের জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপে ছিলেন। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার খবর পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার কোনো পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ওই বছরেরই ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিজয় অর্জন করলে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। শিল্প-সংস্কৃতি ও সাহিত্য অন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা রচিত এবং সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে শেখ মুজিব আমার পিতা, সাদা কালো, ওরা টোকাই কেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা, আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিপন্ন গণতন্ত্র, সহেনা মানবতার অবমাননা, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সবুজ মাঠ পেরিয়ে ইত্যাদি পাঠক সমাদৃত হয়েছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ, কৃষক রক্ষা এবং সন্ত্রাস দমন। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিয়ে দীর্ঘদিন অবিচারের গস্নানি বয়ে বেড়ানো বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কল্যাণে স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে শাস্তি পায় যুদ্ধাপরাধীরা। সেই সঙ্গে এই যুদ্ধাপরাধীদের মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন ও সন্ত্রাসবাদের সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। তার দৃঢ় নেতৃত্বে আজ বিশ্বের বুকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অন্যতম সফল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত স্থায়ী আদালতে ভারতের কাছ থেকে

খেলাধুলা, জাতীয়

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্টে থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে আগামী ১ অক্টোবর থেকে এশিয়া জয়ের মিশনে নামবে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত মিশন শেষে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছেন নারী দলের খেলোয়াড়রা। দেশে ফিরে বিশ্রামের খুব বেশি সুযোগ নেই জ্যোতি-রোমানাদের। ঘরের মাঠে শুরু হচ্ছে নারী এশিয়া কাপের অষ্টম আসর। বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্টে থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে আগামী ১ অক্টোবর থেকে এশিয়া জয়ের মিশনে নামবে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেটের মাঠে। সাত দলের অংশগ্রহণে ২৪ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টে ফাইনাল হবে ১৫ অক্টোবর। এবারের আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশের ছাড়া বাকি ৬টি দল হলো ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া। চোটের কারণে বিশ্বকাপের বাছাই থেকে বাদ পরা তারকা পেসার জাহানারা আলমকেসহ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দলে ফিরেছেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা ও পিঙ্কি। এ ছাড়া দলে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে চার ক্রিকেটারকে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), ফারজানা হক পিংকি, রুমানা আহমেদ, শামীমা সুলতানা, রিতু মনি, লতা মণ্ডল, জাহানারা আলম, সালমা খাতুন, সোবহানা মোস্তারি, নাহিদা আক্তার, মুরশিদা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, সানজিদা আক্তার মেঘলা, সোহালি আক্তার ও ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। স্ট্যান্ডবাই: মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান, শারমিন আক্তার সুপ্তা ও নুজহাত তাসনিয়া।

জাতীয়

বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরীমকে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামী ফাউন্ডেশনে সংবর্ধনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরীমকে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামী ফাউন্ডেশনে সংবর্ধনা। সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশী প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীমকে সংবর্ধনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি তার বাবা-মা ও শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনুল কারীম মানবজাতির হেদায়েতের নির্দেশনা। ইসলামের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬৩টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমি বিভিন্ন সময়ে বিশ্বজয়ী হাফেজ ও কারীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন দেশে ১১৮ জন হাফেজক পাঠিয়েছি। এর মধ্যে ৯৬ জন হাফেজ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তাকরীমের বাবা হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, তাকরীম আমার মেঝো ছেলে। সে বিশ্ব দরবারে বাংলার পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। ওস্তাদদের পরিশ্রম ও ১৭ কোটি মানুষের দোয়ায় আমার ছেলে এই সফলতা অর্জন করেছে। আমি আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই। হাফেজ তাকরীমের শিক্ষক ও তার মাদরাসার মুহতামীম মুরতাজা হাসান ফয়েজী বলেন, এই সংবর্ধনার জন্য আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাকরীমের প্রথম শিক্ষক তার বাবা। তিনি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছেন এই সফলতায়। তিনি সঠিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক নির্বাচন করতে পেরেছিলেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল হাওলাদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীন, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমানসহ অনেকে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম। সেখানে তাকরিমের হাতে ১ লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

Scroll to Top