জাতীয়

জাতীয়

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ এক দফা, একদাবীতে আজ বুধবার মহাসমাবেশ হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ এক দফা, একদাবীতে আজ বুধবার মহাসমাবেশ হয়েছে। সারা দেশে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। আন্দোলনে পতন হবে সরকারের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন।  বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলো গ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি মানুষকে বলেছেন কম খান। কম বিদ্যুৎ জ্বালান। সামনে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তাহলে আপনি আছেন কেন। এখনই ক্ষমতা ছাড়েন। নইলে পালানোর পথ পাবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের হত্যা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশকে ঘিরে নানা বাধা উপেক্ষা করে সকাল থেকে জনতার ঢল নামে চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে। দুপুর নাগাদ নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এদিকে গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের উপর সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা ও বিভিন্ন পয়েন্ট বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, গতরাত থেকে চট্টগাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা কর্মীদের উপর বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন। চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, বিভাগীয় সমাবেশে দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগদান করতে আসার পথে হামলার শিকার হয়েছেন। নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগদান না করে সেজন্য ভয় দেখাতে, আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মঙ্গলবার রাতে তাদের বাসাবাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে যত বাধাই আসুক না কেন বিএনপি নেতাকর্মীদের থামানো যাবে না, বরং চলমান আন্দোলন আরও গতিশীল হবে।  বিএনপির নেতারা জানায়, নোয়াখালীর কবির হাট থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে মিরসরাইয়ের নিজামপুর কলেজ এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কবিরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এভাবে আরও বিভিন্ন এলাকায় বাধাগ্রস্ত হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বিভাগের আওতাধীন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে।

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেলেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেলেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। দেশের ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১২ অক্টোবর) এই পুরস্কার তুলে দেন তিনি। কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় অবদান রাখায় ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দেওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানস্থলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীংয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ১৪২৫ বঙ্গাব্দে পুরস্কার পেলেন ১৫ জন। এরমধ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছেন একজন। তিনি হলেন বগুড়ার শেরপুরের প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান। কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে তিনি এই পদক পেয়েছেন। রৌপ্যপদক পেয়েছেন সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এরা হলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পিরোজপুরের নাজিরপুরের বদরুল হায়দার বেপারী ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হামিদুল হক। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে কৃষিতে নারীর অবদানের ক্ষেত্রে ঝিনাইদহ সদরের শারমিন আক্তার, প্রতিষ্ঠান বা সমবায় বা কৃষক পর্যায়ে উচ্চমানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারি স্থাপনে অবদানের জন্য পাবনার আটঘরিয়ার দুলাল মুখা। বাণিজ্যিকভিত্তিক খামার স্থাপনে সাভারের কোব্বাদ হোসাইন ও রাজশাহীর গোদাগাড়ির মনিরুজ্জামান মনির এবং প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছে প্যারামাউন্ট এগ্রো লিমিটেড। ব্রোঞ্জ পদক পেলেন সাত জন। এরা হলেন, কৃষি গবেষণায় রাজশাহীর তানোরের নুর মোহাম্মদ, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার বারেক হাওলাদার, কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে রংপুরের বুড়িহাটের হর্টিকালচার সেন্টারের মজিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শফিকুল ইসলাম, নওগাঁর পোরশা উপজেলার গৌতম কুমার সাহা, রাজশাহীরর পুঠিয়ার মোছা. পূর্ণিমা বেগম ও ঢাকার নবাবগঞ্জের নিপু ট্রেডার্স। ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ২৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে স্বর্ণপদক পেয়েছেন দুই জন। এরা হলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি/উদ্ভাবন/ব্যবহার ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি চাষে পাবনার ঈশ্বরদীর আমিরুল ইসলাম। রৌপ্যপদক পেয়েছেন ৯ জন। এরা হলেন, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের মুহাম্মদ রকিবুল আহসান রনি, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন, খুলনার খালিশপুরের হালিমা বেগম, যশোরের ঝিকরগাছার নাসরিন সুলতানা, সিলেটের আব্দুল হাই আজাদ বলা, মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম, খুলনার ডুমুরিয়ার আবুল হোসেন সরদার, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর বাবুল হোসেন। ব্রোঞ্জপদক পেয়েছেন ১৮ জন। এরা হলেন, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের সহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মহালছড়িরর হ্লাশিং মং চৌধুরী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের গাজী মামুদ, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মাহবুবুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের রিনা বেগম, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোমরেজ আলী, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী, পাবনার ঈশ্বরদীর শাহীনুজ্জামান, বান্দরবানের তোওয়াব্রোয়াও ম্রো, ফেনীর মজিবুল হক, মুন্সীগঞ্জের সিরাজ খান, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ছানোয়ার হোসেন, রাঙ্গামাটির রাজস্থলির আবদুল আউয়াল, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের শাকিল মিয়া, নড়াইলের তনিমা আফরিন এবং দিনাজপুরের রাখী। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্র, পদক ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদক প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন।

জাতীয়

মালয়েশিয়ার সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মালয়েশিয়ার সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকব দেশটির সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। আগামী দুই মাস অর্থাৎ ৬০ দিনের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সোমবার (১০ অক্টোবর) টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজা সুলতান আবদুল্লাহ আহমদ শাহের সম্মতিতে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সাবাহ, সারাওয়াক, মেলাকা ও জহুর ছাড়া মালয়েশিয়ার অন্য রাজ্য সরকার তাদের নিজ নিজ রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, যাতে একসঙ্গে ১৫তম সাধারণ নির্বাচন করা যায়। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত, খরচ বাঁচানো ও জনগণের যেন কোনো সমস্যা না হয়, এজন্য একই সময়ে সবস্থানে নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত। নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন ও ভোটের তারিখসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব আরও জানান, এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও একটি দৃঢ়, স্থিতিশীল সরকার গঠন নিশ্চিত করার জন্য জনগণের সমর্থন পাওয়াই এখন সবচেয়ে বড় বিষয়। তিনি মনে করেন, জনগণ তাদের ভোট দিয়ে এমন সরকার বেছে নেবে, যারা বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মালয়েশিয়ান পরিবারের ঐক্য ও সম্প্রীতি রক্ষা করবে। আগামী ২০২৩ সালের বাজেট বাস্তবায়ন পুনরায় শুরু করার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

জাতীয়

বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও সঞ্চালন ঝুঁকিতেই রয়েছে।   

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও সঞ্চালন ঝুঁকিতেই রয়েছে।    বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগী হলেও দেশে এখনও দুর্বল সঞ্চালন ব্যবস্থা। এতে দিনকে দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে জাতীয় গ্রিড। স্বল্পসময়ে আধুনিক গ্রিড ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে খোদ বিদ্যুৎ বিভাগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বিত কারিগরি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে আসছে বছর উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্যে থাকা রূপপুরের মতো বৃহৎ প্রকল্পও হোঁচট খেতে পারে। উৎপাদনের উল্লম্ফন গতিতে এক যুগের ব্যবধানে দেশের শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। এটি যেমন প্রতিষ্ঠিত, তেমনি বিতরণ ও সঞ্চালন সীমাবদ্ধতায় মানসম্মত বিদ্যুতের প্রশ্নে এখনও ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। ১৩ বছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন যে হারে বাড়ানো হয়েছে। সেভাবে পথ তৈরি হয়নি এ বিদ্যুৎ সরবরাহ বা বিতরণের। সম্ভাবনাময় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পূর্ণ সক্ষমতায় চালালেও সেই বিদ্যুৎ পরিবহনের লাইন এখনও তৈরি হয়নি পুরোপুরি। উৎপাদন সক্ষমতা যখন ২৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘর ছাড়িয়েছে; তখনো সর্বসাকুল্যে ১৪ হাজার মেগাওয়াটেই ঘুরপাক খায় চাহিদা। অদূর ভবিষ্যতে রামপাল, মাতারবাড়িসহ বিদ্যুতের মেগাপ্রকল্পগুলো উৎপাদনে এলে, বিদ্যমান গ্রিডগুলো ঠিকমতো সঞ্চালনে হোঁচট খেতে পারে। সেই শঙ্কা খোদ সরকারেরই। সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর মতে, বিলম্বে হলেও শুরু হয়েছে গ্রিড আধুনিকায়নের কাজ। নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ভুক্তভোগী, সিস্টেম বড় হচ্ছে, অটোমেশন তো হচ্ছে না পুরোপুরি। এজন্য আমরা ধাক্কা খাচ্ছি। সিস্টেম বড় হয়েছে, তখনকার সিস্টেম আর এখনকার সে সিস্টেম এক নেই। তখন সিস্টেম ছিল সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার, কিন্তু আমরা ধরে নিয়েছি ৬০ হাজার পর্যন্ত করব সিস্টেমটা। আগামী বছরের শেষে রূপপুর থেকে উৎপাদন শুরু হলে, সে বিদ্যুৎ সারা দেশে পৌঁছে দিতে যে কর্মযজ্ঞ প্রয়োজন- তা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সে উদ্বেগও ভাবাচ্ছে নীতিনির্ধারকদের। নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আমাদের অটোমেশনে যেতে হবে, গ্রিডস মার্কেটে যেতে হবে, এটার কোনো বিকল্প নেই। এটা আমরা যদি সামনের বছরে কাজ শেষ করতে না পারি, তাহলে আমাদের পক্ষে ঝুঁকি হয়ে যাবে রূপপুরের বিদ্যুৎ দেওয়া। গত সপ্তাহের গ্রিড বিপর্যয়ে আবারও আলোচনায় সঞ্চালন জটিলতা। তড়িৎ বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোয়নি সঞ্চালন ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের অভাবেই তাই কার্যকর করা যায়নি পরিকল্পিত লোডশেডিংও। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এম শামসুল আলম বলেন, টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেশনের অভাব আছে, এই অবস্থায় সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে এবং মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া বিপর্যয় হচ্ছে এবং বিপর্যয়ের মূল ঝুঁকি হচ্ছে এ কারণে, অর্থাৎ কোঅর্ডিনেশনের অভাব, এটিই মূলত মৌলিক কারণ। বুয়েটের এই শিক্ষক বলেন, সমস্যাটা সামগ্রিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কোথায় কতটুকু ঘাটতি আছে সেটা যে একেবারে অজানা তা নয়, এটা নিয়ে অনেক কাজ করা দরকার। পুরো বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক স্মার্ট পদ্ধতিতে উন্নীত না করতে পারলে, ভবিষ্যতে বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

জাতীয়

মধুমতি সেতু নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মধুমতি সেতু নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহাসড়কে সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হলো – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নড়াইলের ছয় লেনের মধুমতি সেতু ও নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মধুমতি সেতু এশিয়া মহাদেশের হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে, ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ছয় লেনের মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দুটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা দাবি করতে পারি, দেশের সমগ্র এলাকার মাঝেই যেন যোগাযোগ স্থাপিত হয় সে কাজ আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।’ ‘এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার নড়াইলের কালনায় মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা ভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে আমাদের দেশের উন্নয়ন অনেকটা পিছিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে স্বপ্ন দেখে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন তা তিনি পূরণ করে যেতে পারেন নি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করা। গরিব দুঃখীদের পাশে থাকা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এই পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখনই আমরা চিন্তা করেছিলাম, এই পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে তৈরি করব।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’ ‘সমগ্র বাংলাদেশ সফর করে শেখ হাসিনা যে বিষয়টি অনুধাবন করেছেন তা হচ্ছে সর্বাগ্রে প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, যা সাধ্যমত তিনি করে চলেছেন’ বলে উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা ‘যখনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন তখনই জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন’ বলেও উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময়ই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। এটাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। পাশাপাশি দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ।’ ‘আওয়ামী লীগ ‘প্রথমবার সরকারে এসেই যমুনা সেতুর ওপর বহুমুখী সেতু নির্মাণ করে, এছাড়াও আরও অনেকগুলো সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন করে। যার মধ্যে রয়েছে ধরলা সেতু, গাবখান সেতু, শিকারপুর ও দোয়ারিকা সেতু এবং ভৈরব নদীর ওপর সেতু নির্মাণ। সমগ্র বাংলাদেশকে একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আনাই ছিল তার সরকারের প্রচেষ্টা।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিশ্ব ব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আজকের মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রথমে কালনা সেতু হিসেবে বর্তমান মধুমতি সেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেও এটা যেহেতু মধুমতি নদীর ওপরে নির্মিত এবং মধুমতি নামটিও অনেক মিষ্টি তাই এটার নাম মধুমতি সেতু রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ’৭৫ এর জাতির পিতাকে হত্যার প্রতিবাদকারী নাসিম ওসমানের নামে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নামকরণ করেছেন। ইতোপূর্বে তার সরকার নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়নে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর আরও দুটি সেতু এবং মুক্তারপুর সেতু নির্মাণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন। আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান। সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন।

জাতীয়

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমায় সিলেটে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র দান

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- আব্দুল মা‌লেক, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি শুভ প্রবারণা পূর্ণিমায় সিলেটে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র দান ‘বহুজন হিতায়,বহুজন সুখায়’ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে ৯ অক্টোবর (রবিবার) সিলেটের কলাপাড়া ও ঘাসিটুলা এলাকার গরিব অসহায় ৫০ (পঞ্চাশ) পরিবারের মাঝে মনচন্দ্র-শুশীলা, বিমান পটু ফাউন্ডেশন ও রেণুপ্রভা-প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে “খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্রদান” করা হয়। উক্ত বিতরণ কাজে শুভ উদ্বোধন করেন রেণুপ্রভা-প্রিয়রঞ্জন পরিচালক, মানবতার ফেরিওয়ালা, সাংবাদিক উৎফল বড়ুয়া, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চট্টগ্রাম ফেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরীয়া মাসুক, সিলেট চট্টগ্রাম ফেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহবায়ক সালমা আক্তার সুমি, ইঞ্জিনিয়ার রানা বড়ুয়া,  সমাজ কর্মী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী  লিটন বড়ুয়া, দিলু বড়ুয়া, সেবু বড়ুয়া, তমাল কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ। বিতরণ কাজে সবাই বলেন,মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ণ-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ। এক সে আকাশ মায়ের কোলে, যেন রবি শশী দোলে। সম্প্রীতির বাংলাদেশে আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ), বৌদ্ধদের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা, হিন্দুদের লক্ষীপূজা এবং খ্রিস্টানদের সানডে পালিত হচ্ছে এই পবিত্র দিনে পূণ্যভূমি সিলেটে উক্ত মানবিক ফাউন্ডেশন এই মানবিক কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

জাতীয়

আগামী ১৬ অক্টোবর রবিবার লন্ডনে সাহিত্য উত্সব।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী ১৬ অক্টোবর রবিবার লন্ডনে সাহিত্য উত্সব। আগামী ১৬ অক্টোবর রবিবার পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল প্রাইমারি স্কুলে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে লন্ডন বাংলা সাহিত্য উৎসব ২০২২। সাহিত্য উৎসবে থাকবে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা আবৃত্তি, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সাহিত্য আলোচনা এবং শিশুদের ছবি আঁকা।এছাড়াও ‘ব্রিটেনে বাংলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা’ বিষয়ে রয়েছে বিশেষ আলোচনা। সাহিত্য উৎসবে হ্রাসকৃত মূল্যে বই বিক্রির জন্য বাংলাদেশ থেকে আসছে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইউপিএল, সাহিত্য প্রকাশ, বাতিঘর এবং বইপত্র প্রকাশন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পিঠা স্টল সহ থাকবে বিভিন্ন আয়োজন। এবছর সাহিত্য উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে মহান একুশের গানের রচয়িতা সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী, লেখক-সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ইসহাক কাজল এবং সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতা শাহাবুদ্দিন আহমদ বেলালকে। শুধু লন্ডন নয়, পুরো যুক্তরাজ্য থেকেই সাহিত্য প্রেমী ও সাধারণ মানুষ এই মেলায় অংশ গ্রহণ করার জন্য উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে আহবান করা হয়েছে। আমাদের প্রতিদিন অনলাইন পোর্টালের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে লন্ডন বাংলা সাহিত্য উৎসব। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে  আনোয়ার শাহজাহান (07957 981636) এর সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জাতীয়

শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সন্তোষ প্রকাশ।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সন্তোষ প্রকাশ। সকল শংকা ও গুজবকে মিথ্যা প্রমান করে সুন্দর, সুষ্ঠু, আনন্দময় এবং শান্তিপূর্ন পরিবেশে এ’বছর শারদীয় দূর্গোৎসবের সমাপ্তি হয়েছে। এই বছর দেশের কোথাও উৎসবানন্দে বিঘœ ঘটেনি। সারাদেশে পুজা মন্ডপের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১৬৮ টি, যা সর্বাধিক। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সম্প্রীতি বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গাপুজা পালনে সর্ব ধর্মের এবং সর্বস্তরের মানুষকে সক্রিয় ও সবল ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে সরকার, প্রশাসন এবং শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপর দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে, এগিয়ে আসতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশ্রিত এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সচেতন বাঙালিকে। গড়ে তুলতে হবে অসাম্প্রদায়িকতার দৃঢ় ঐক্য। বিনষ্ট করতে হবে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠির সকল ষড়যন্ত্র এবং কুৎসিত আঘাত। আমাদের এই ক্ষুদ্র ভূখন্ডের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির উজ্জল পরম্পরাকে চির জাগরুক রাখতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবান সার্থক হয়েছে। এ’জন্য সর্বধর্ম নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের মানুষের বিশেষ ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ। উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের ০৯ অক্টোবর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও পবিত্র একটি দিন। এই দিনে একই সাথে উদযাপিত হবে ইসলাম ধর্মালম্বিদের ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বৌদ্দ ধর্মালম্বিদের প্রবারণা পূর্ণিমা এবং হিন্দু ধর্মালম্বিদের কোজাগরী লক্ষী পূজা। যথাযথ সম্মান জানিয়ে দিনটি পালনের আহবান জানায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ। “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অসাম্প্রদায়িক ঘোষনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কার্যকরি ভূমিকাকে সম্প্রীতি বাংলাদেশ সাধুবাদ জানায়। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ বিশ্বমাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হিসেবে পরিচিত, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘেœ নিজ নিজ ধর্ম পালন করে। সর্ব ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে জাতির পিতা তাই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ কে অতীব গুরুত্বসহ সন্নিবেশিত করেন। এই বছরের মত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভবাদী মানুষের ঐক্য যেন ভবিষ্যতেও অটুট থাকে এটাও কামনা করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলসহ বিবৃতিদাতাদের ভেতর রয়েছেন, স্বাক্ষর করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ডাকসুর প্রথম মহিলা ভি.পি মাহফুজা খানম, আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামূল হক ভুইয়া, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এস এম আব্রাহাম লিংকন, উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক উপাচার্য ড. রশিদ আশকারী,অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বাবু, মেজর জেনারেল জন গোমেজ (অব.), ড. রতন সিদ্দিকী,রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, উপাচার্য অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, জেষ্ঠ সাংবাদিক শরীফ শাহাবুদ্দিন, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আলি হাবিব,উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া, উপাচার্য ড. মো. নাসিম আখতার, উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন, অধ্যাপক নূজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস (রা.বি), অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ (জা.বি), অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক অসীম সরকার, অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ূয়া, অধ্যাপক আব্দুল খালেক (সাতক্ষীরা), অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক (রা.বি), অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক ছাত্রনেতা মিহির কান্তি ঘোষাল, বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পী জয়শ্রী কর জয়া, অধ্যাপক আ.ব.ম ফারুক, সাবেক যুবনেতা ও আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব জামান, সাবেক যুবনেতা মো. হিলাল উদ্দিন, নিরঞ্জন রায় (কানাডা), বদিউজ্জামান খান নাসিম (যুক্তরাষ্ট্র), মোস্তফা ফরিদ (যুক্তরাষ্ট্র), লোকমান হোসেন (যুক্তরাজ্য), আজিজ আহম্মেদ (যুক্তরাজ্য), দেলোয়ার হোসেন (সুইডেন), নজরুল ইসলাম (অস্ট্রিয়া),বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ (সাতক্ষীরা), অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ মোল্লা (সাতক্ষীরা), মিলন ব্যানার্জী (বাগেরহাট), লিয়াকত হোসেন (বাগেরহাট) এডভোকেট নরেশ মুখার্জী (বগুড়া), আব্দুস সালাম (নাটোর), এম সাইফুল মাবুদ (ঝিনাইদহ), কবি সাজ্জাদ আনসারী (জামালপুর), ডা. হরিপদ রায় (শ্রীমঙ্গল), তপন সেন (রাজশাহী), অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার (নেত্রকোনা) সৈয়দা সায়েরা মহসিন (মৌলভীবাজার), অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার (ময়মনসিংহ), বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ (সাতক্ষীরা), মবিনুল হক মবিন (যশোর), অধ্যাপক এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন (কক্সবাজার) প্রমুখ।

জাতীয়

সম্প্রীতির প্রবারণায় আলোকিত ফানুসের আলোয় আলোকিত হোক পৃথিবী।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- সিলেট প্রতিনিধি, উৎফল বড়ুয়া সম্প্রীতির প্রবারণায় আলোকিত ফানুসের আলোয় আলোকিত হোক পৃথিবী। প্রবারণা: প্রবারণা বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুশাসনের অন্যতম এক ধর্মীয় উৎসব। আত্নন্বেষণ ও আত্ন সমপর্ণ এর তিথি। এটি গৌতম বুদ্ধ তাঁর ভিক্ষু সংঘের জন্য প্রবারণা অনুজ্ঞা প্রদান করেছিলেন-ভিক্ষু তিন মাস বর্ষাবাস ব্রত পালনোত্তর আসে প্রবারণা। বর্ষাবাসব্রত পালন কালে ভিক্ষুসংঘ সদ্ধর্মাচারের গভীর ভাবে অনুধ্যান ও অনুবেদনে ব্যাপৃত থাকেন, তাই প্রতিটি বিহারে ভিক্ষুসংঘ পরস্পরের সাথে বাস করেও বর্ষাবাস কালীন প্রায় একাচারী জীবন যাপন করেন। কারণ এ সময় বর্ষাব্রতের শৃংখলা রক্ষার্থে ভিক্ষুসংঘ পরস্পরের সাথে আলাপচারিতা বর্জন করতেন গৌতম বুদ্ধ এরূপ নিস্পাণ মৌনব্রত অবিধেয় বলেছেন। গৌতম বুদ্ধ শ্রাবস্তীতে অনাথপিন্ড শ্রেষ্ঠীর আরামে অবস্থানকালে কৌশল জনপদে বর্ষাবাস যাপনকৃত ভিক্ষুসংঘের জীবনাচার বিধি অবগত হয়ে বুদ্ধ বর্ষাবাস তিনমাস বর্ষাবাসব্রত পালনোত্তর প্রবারণা পালনের সূচনা হয়। যা আজও যথাযথ শ্রদ্ধা,ধর্মীয় মর্য়াদায় ও আন্তরিক অনুশীলনের মাধ্যমে ভিক্ষুসংঘের ধর্মাচারের ধারায় গুরুত্বের সাথে পালিত হচ্ছে। প্রবারণার অর্থ: প্রবারণার শাব্দিক অর্থ প্রকৃষ্ট রূপে বারণ বা নিষেধকরণ। সেই নিষেধযোগ্য বিষয় সমূহ হলো-আচরণীয় ক্ষেত্রে ত্রুটি নৈতিক স্থলন এবং সর্বোপরি চিত্তের মল(লোভ,বিদ্বেষ ও মোহ)এগুলোর নিরোধমূলক অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকলে এগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়। প্রকৃত অর্থে এগুলোই হলো(লোভ,বিদ্বেষ ও মোহ) মানুষের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে মূল অন্তরায়। এই অন্তরায় হতে দুরে থাকার জন্য চঞ্চল চিত্তের জন্য দরকার পরিশুদ্ধ অবলম্বন। তাই ‘প্রবারণার’ আর একটি অর্থ হলো ‘বরণ’ অর্থাৎ শুভ, শুদ্ধ, সুন্দর ও সু-আচারকে বরণ। বৌদ্ধ পরিভাষায় বলা যায় অকুশলকে বারণ এবং কুশলকে বরণই হলো প্রবারণা। বলাবাহুল্য শুধু কৃতকর্মের জন্যই প্রবারণা নয়। গৌতম বুদ্ধের অনুজ্ঞা মতে চিত্তের অন্তলীন কমনা-বাসনা অথবা অনুমেয় ও আশন্কিত মনোবাসনার জন্যও প্রবারণা আবশ্যক। ত্রিপিটকের মহাবর্গ গন্থে দেখা যায় বুদ্ধ ভিক্ষুদের বলেছেন-“ভিক্ষুগণ দৃষ্টশ্রুত অথবা আশান্কিত ত্রুটি বিষয়ে প্রবারণা করিবে”। প্রবারণার আর একটি বিশেষ গুণ হলো-এর মাধ্যমে সাংঘিক জীবনের পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা, অপরাধ প্রবণতা দূরীকরণ এবং বিনয়আনুবর্তিতা সুদৃর করণে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সে দিক থেকে প্রবারণার সরলীকৃত স্বরূপ হলো “আত্নশুদ্ধি ও উৎসব”। ভিক্ষু সংঘ এই তিথিতে পরস্পরের কাছে স্ব-স্ব দৃষ্টশ্রুত অথবা আশন্কিত অপরাধ প্রসঙ্গে মাজর্না কামনা করেন এবং জ্ঞাতসারে যদি কোন অপরাধ ঘটে যায় তার জন্য বিনয় সন্মত প্রতিবিধান প্রদানের কাজটিও প্রবারণায় হয়। সুতরাং মহান ভিক্ষুসংঘের জীবনে প্রবারণার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রবারণার ফানুস সংস্কৃতিঃ প্রবারণা পূর্ণিমার উৎসবে কখন থেকে কীভাবে যে ফানুস উৎসবের সংযোগ হেছে তা সঠিকভাবে বলা দুস্কর। শাস্ত্রে ফানুসের বৃত্তান্ত বিশেষভাবে দৃষ্টও হয় না। নির্দিষ্ট কোন অনুষ্ঠানে বুদ্ধের সময়ে ফানুস উৎসবের আয়োজন হতো এরকম কোন ইঙ্গিত মেলে না। এ প্রসঙ্গে অনেকের সাথে কথা বলে নানা বিষয় সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। যে তত্ত্ব বা তথ্য সমূহকে এক কথায় বলা যায় এ যুগের ভাবনা। যেমন অনেকের মতে বুদ্ধের সময়ে কাগজের ব্যবহার ছিল কি না ? এরূপ সংশয়ও আছে। কিন্তু জাতকে দেখা যায় সে সময় কাগজের ব্যবহার,চিত্র শিল্পের ব্যবহার ইত্যাদি ছিল। হয়ত আজকাল ফানুষ তৈরিতে যে মসৃন পাতলা কাগজ ব্যবহৃত হয় তা ছিল না। এছাড়া ফানুসের কথা কোথাও সরাসরি উল্লেখ নেই। জাতকে কার্তিকোৎসবের কথা দেখা যায় যা কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত হতো। এ উৎসব দু’তিন দিন স্থায়ী হওয়ার তথ্যও পাওয়া যায়। এ প্রেক্ষিতে এটিই অনুমিত হয় যে, সে সময় যেহেতু কঠিন চীবর দানোৎব(যা প্রবারণার পর হতে শুরু হয়) এত জাঁকজমক করে আয়োজন হতো না। এছাড়া বর্ষাবাস বর্ধিত করায় এবং আষাঢ়ী পূর্ণিমায় বর্ষাবাস ব্রত শুরু করতে না পারলে শ্রাবণী পূর্ণিমায় শুরু করার বিধান রয়েছে । সে হিসাবে বর্ষাবাস সমাপনোত্তর এটি কার্তিক উৎসব বলে ধরা হয়। এখানে বহুমাএিক ধর্মীয় ও আনন্দ উৎসবের আয়োজন হতো। হয়ত তারই ধারাবাহিকতায় আজকের প্রবারণা পূ্ণিমায় বহুবিধ সামাজিক আনন্দ উৎসবের সংযোজন। যার ফানুস উত্তোলন একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় । কিন্তু শাস্এীয় বিশেজ্ঞদের মধ্যে অনেকে এ বিষয়ে আবার অন্যমতও পোষণ করেন। যা বৌদ্ধরা অনাদিকাল হতে শ্রুতি পরস্পরায় নিজেদের অন্তরে জাগরুক করে রেখে ফানুসের প্রজ্জ্বলিত আলোক ধারায় আকাশস্থিত গৌতম বুদ্ধের চুলগুচ্ছকে বন্দনা জ্ঞাপন। এই চৈতন্যের আলোকেই অত্যন্ত শ্রদ্ধাচিত্তে প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উত্তোল সংস্কৃতিতে লালন করে চলেছে। ফানুস বৌদ্ধ সংস্কৃতির একটি অনন্য সংযোজন। এটি আজ শুধু ধমীর্য় বিষয় নয় অন্যতম একটি সামাজিক উৎসব। ফানুস উৎসব উপভোগ করার জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রবারণা পূর্ণিমায় বৌদ্ধ বিহার গুলোতে সমবেত হয়। তাই ঐতিহ্য ও ইতিহাসের অন্যতম বিষয় হিসেবে এই ফানুস উৎসবকে যথাযথ মযার্দায় সজীব রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এই ফানুস উৎসবের জন্য প্রবারণা পূর্ণিমার সামাজিক অধ্যায় বা প্রভাব বহুলাংশে সর্বজনীনতা লাভ করেছে । প্রবারণা উৎসবের দিন সমাপনোত্তর ফানুস(আকাশ প্রদীপ) উড়িয়ে বৌদ্ধরা বিশ্বের সকলের সুখ,শান্তি ও সকল অন্ধকারকে প্রশ্চাতপদ করে আলোকিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিশ্বময় করার আর একটি প্রয়াসও বটে । সম্প্রীতির প্রবারণায় আলোকিত ফানুসের আলোয়  আলোকিত হোক পৃথিবী, দূর হোক পৃথিবীর সমস্ত অন্ধকাার। বিশ্বে শান্তি আসুক, চেতনা হোক প্রজ্ঞায় উদ্ভাসিত। লেখকঃ উৎফল বড়ুয়া, সভাপতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, সিলেট অঞ্চল, সংগঠক ও মানবাধীকার কর্মী।

জাতীয়

মহানবীর আদর্শ অনুসরণেই মানবজাতির জন্য কল্যাণকর – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মহানবীর আদর্শ অনুসরণেই মানবজাতির জন্য কল্যাণকর। – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মানবজাতির অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। আগামীকাল রোববার (৯ অক্টোবর) ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আজ এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম এবং ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মুসলমানদের জন্য বিশেষ দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয়নবীকে (সা.) এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শান্তি, মুক্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য রাহমাতুল্লিল আলামিন তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে। নবী করিম (সা.)-কে বিশ্ববাসীর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তাওহীদের মহান বাণী নিয়ে। সবধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানব ইতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) অনবদ্য ভূমিকার আরেকটি অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এ সন্ধিতে সই করেন। তার অমিত সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি অনাগত মানুষদের জন্যও শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, মহানবীর (সা.) শান্তিপূর্ণ ‘মক্কা বিজয়’ মানব ইতিহাসের এক চমকপ্রদ অধ্যায়। তিনি বিনা যুদ্ধে ও রক্তপাতে মক্কা জয় করেন। শত অত্যাচার-নির্যাতন ও যুদ্ধ করে আজীবন যে জাতি নবী করিম (সা.)-কে সীমাহীন কষ্ট দিয়েছে, সেসব জাতি ও গোত্রকে মক্কা বিজয়ের দিন ক্ষমা করে তাদের সঙ্গে উদার মনোভাব দেখিয়ে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষমা ও মহত্ত্বের দ্বারা মানুষের মন জয় করে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার এমন নজির বিশ্বে দুর্লভ। করোনাভাইরাস মহামারিসহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবীর (সা.) অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে। তাই ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় বলে আমি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধান আরও বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর এই দিনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের মহানবীর(সা.) সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন।

Scroll to Top