জাতীয়

জাতীয়

লন্ডনে গোলাপগঞ্জ উৎসব আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- লন্ডনে গোলাপগঞ্জ উৎসব আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন। ব্রিটেনে গোলাপগঞ্জবাসীদের নিয়ে দ্বিতীয়বারের গোলাপগঞ্জ উৎসব ২০২২ এর আয়োজন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে গোলাপগঞ্জ উৎসব ২০২২ এর আয়োজক গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেন ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত গোলাপগঞ্জ উৎসব আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি, লেখক সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান। এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে আরো বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল, কালচারাল সেক্রেটারি সালেহ আহমদ, বোর্ড মেম্বার সাংবাদিক মিছবা জামাল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাহমুদুর রহমান শানুর। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের উদ্যোগে ব্রিটেনে প্রথমবারের ‘গোলাপগঞ্জ উৎসব’ এর আয়োজন করে সংগঠনটি। আগামী ২৩ অক্টোবর দ্বিতীয় গোলাপগঞ্জ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত গোলাপগঞ্জের অধিবাসীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত সাফল্যকে তুলে ধরা হবে। উৎসবে ব্রিটেনপ্রবাসী গোলাপগঞ্জবাসী ছাড়াও বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত গোলাপগঞ্জের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন। গোলাপগঞ্জ উৎসব সফল এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে গোলাপগঞ্জের কমিউনিটি সংগঠক ও অ্যাক্টিভিস্টদের নিয়ে বেশ কয়েকটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আট সেন্টারে বেলা ১১.৩০ টা থেকে রাত ১১.০০ পর্যন্ত চলবে গোলাপগঞ্জ উৎসব। এতে থাকবে আলোচনা সভা, সেমিনার, প্রকাশনা অনুষ্ঠান, গুণীজনের কথা, গোলাপগঞ্জ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী, সবজিবাগান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ, গোলাপগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, গোলাপগঞ্জ পদক প্রদান সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত এবং জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান গোলাপগঞ্জ উৎসবে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

জাতীয়

সিলেটের চারখাই’য়ে দ্রুত থানা বাস্থবায়নের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে আবেদন।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- সিলেটের চারখাই’য়ে দ্রুত থানা বাস্থবায়নের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে আবেদন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর থেকে দাবীকৃত সিলেটের চারখাই এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ থানা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে আবেদন জানানো হয়েছে। ১২ অক্টোবর বুধবার যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীমের মাধ্যমে চারখাই থানা বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন ট্রাস্ট ইউকেরপক্ষ থেকে এ আবেদন হস্তান্তর করা হয়। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদের পরিচালনায় আবেদন পত্রটি হস্থান্তরের সময় সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন, সৈয়দ মফিক, সুলতান খান, ট্রেজারার আহাদ কবীর, সহ ট্রেজারার হেলাল আহমদ ও নির্বাহী সদস্য কাজী এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্বরাষ্ট্র ও স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আবেদনের অনুলিপি প্রদান করে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ দুটি জেলা ও ৪টি উপজেলার সংযোগস্থল চারখাইয়ে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ঐতিহাসিক জনমত সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু চারখাই হয়ে বিয়ানীবাজারে যাবার কথা জানালে, হাইকমিশনার সাঈদা মুনা একটি রেফারেল বুক থেকে সিলেটে বঙ্গবন্ধু ৬৯, ৭০ এবং ৭২ সালে পরিভ্রমন ও সভা করার বিষয়টিও সকলকে অবহিত করেন। সেসাথে গুরুত্বের দিক দিয়ে চারখাইয়ে পূর্ণাঙ্গ থানা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে, দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে চারখাই’য়ে পূর্ণাঙ্গ থানা বাস্থবায়নের আবেদনটি অতন্ত্য স্বাদরে গ্রহণ, আপ্যায়ন ও আতিথেয়তার মুগ্ধতায় যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদ মুনা তাসনীম ও হাইকমিশনে কর্মরত সকলের প্রতি চারখাই থানা বাস্থবায়ন ও উন্নয়ন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। বার্তা প্রেরকঃ আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ।

জাতীয়

শেখ রাসেল ছোটোদের বইমেলা ও শিশুসাহিত্য উৎসব উদ্বোধন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি শেখ রাসেল ছোটোদের বইমেলা ও শিশুসাহিত্য উৎসব উদ্বোধন। শেখ রাসেল বিশ্ব শিশুর প্রতীক : অনুপম সেন বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী শেখ রাসেল ছোটোদের বইমেলা ও শিশুসাহিত্য উৎসব গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি ভবনে শুরু হয়েছে। বিকেলে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই মেলা উদ্বোধন করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। তিনি বলেন, শেখ রাসেল বিশ্ব শিশুর প্রতীক। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট কালো রাতে শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে লঙ্ঘিত হয়েছে বিশ্বমানবতা। ঘাতকরা কেবল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি একে একে হত্যা করেছে পরিবারের সদস্যদের। তাদের নির্মমতা থেকে রক্ষা পায়নি ছোট্ট রাসেলও। চট্টগ্রামে শেখ রাসেল বইমেলা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন। শিশুসাহিত্যকরা ছড়া-কবিতা, গল্প-উপন্যাসে শেখ রাসেলকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন। শেখ রাসেলের আদর্শ আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক আমীরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু, নগর পরিকল্পনাবিদ লেখক প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমির পরিচালক রাশেদ রউফ। সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু। খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম বলেন, শিশুদের বইমুখী করে তোলা অভিভাবকদের দায়িত্ব। তাদের কেবল পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না সাহিত্য জগতেও বিচরণে সুযোগ করে দিতে হবে। বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবী থেকে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে, হারিয়ে যাবে। কিন্তু বই কখনোই হারিয়ে যাবে না। মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু বলেন, যারা শিশুসাহিত্য চর্চা করেন তারা দেশ কাল এবং শিশুমনন ধারণ করেন। তাদের লেখালেখিতে শিশুরা সঠিক পথের দিক নির্দেশনা পায়। প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া বলেন, শিশুদের মেধার বিকাশে শিশুসাহিত্যের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখন শিশুদের সমৃদ্ধ অতীত নেই, সোনালি শৈশব নেই। তারা বড় হচ্ছে রোবটের মতো। তাদের এই সংকট থেকে উত্তরণে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা জরুরি। সভাপতির বক্তব্যে ড. আনোয়ারা আলম বলেন, শেখ রাসেল শুভবোধ সম্পন্ন শিশুদের প্রতীক। শেখ রাসেলের আদর্শ, শুভবোধ এবং মানবিক গুণের আলোকে আমাদের শিশুদের গড়ে তুলতে হবে। তিনি পাঠ্যপুস্তকে শেখ রাসেলের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। এরপরে অনুষ্ঠিত হয় ‘পথ খুঁজছে শিশুসাহিত্য’ বিষয়ক সেমিনার। কবি ওমর কায়সারের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক আনজীর লিটন। আলোচক ছিলেন কবি আবু মুসা চৌধুরী, ছড়াশিল্পী রোমেন রায়হান, ছড়াকার সিতাংশু কর, শিশুসাহিত্যিক আজিজ রাহমান, শিশুসাহিত্যিক জাকির হোসেন কামাল। শেষে শিশুসাহিত্যিক বিপুল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ছড়া-কবিতা পাঠে অংশ নেন অপু চৌধুরী, অপু বড়ুয়া, অভি ওসমান, অরূপ পালিত, আকাশ আহমেদ, আজিজা রূপা, আ ফ ম. মোদাচ্ছের আলী, আবদুল্লাহ ফারুক রবি, আবিদ শাহরিয়ার খান, আনজানা ডালিয়া, আনোয়ারুল হক নূরী, আমান উদ্দীন আবদুল্লাহ, আরিফ নজরুল, আলম মাহবুব, আলী আকবর বাবুল, আল-হাসনাত মাসুম শিহাব, আরাফাত হোসেন কাউসার, আসিফ ইকবাল, আহসানুল হক, ইকরামুল হক ইলি, ইমরান পরশ, ইসমত আরা নীলিমা, ইসমাইল জসীম, ওবায়দুল সমীর, এমিলি মজুমদার, এয়াকুব সৈয়দ। সঞ্চালক ছিলেন লেখক অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী। বইমেলায় মোট ১২টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এগুলো হলো কথাপ্রকাশ, চন্দ্রাবতী একাডেমি, আদিগন্ত, বাঙালি, শৈলী, শব্দশিল্প, প্রজ্ঞালোক, অক্ষরবৃত্ত, রাদিয়া, শালিক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি। মেলায় ৩০% কমিশনে বই বিক্রি হচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠান : বিকেল সাড়ে ৫ টায় থাকছে ‘দূরে থেকেও কাছের যারা’। এ পর্বে যাঁদের লেখা থেকে পাঠ হবে, তাঁরা হলেন অজয় দাশগুপ্ত, বিশ্বনাথ চৌধুরী বিশু, সনতোষ বড়ুয়া, সুদীপ্ত দেব, খালেদ সরফুদ্দীন, শামস চৌধুরী রুশো, শ্রীধর দত্ত, সুলতানা নুরজাহান রোজী, মির্জা মোহাম্মদ আলী, দিল মোহাম্মদ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় থাকবে ‘বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠান। এবার যাঁরা পদক পাচ্ছেন, তাঁরা হলেন : তপংকর চক্রবর্তী, সনজীব বড়ুয়া, রোকেয়া খাতুন রুবী, হাসনাত আমজাদ ও আশরাফুল আলম পিনটু। এ পর্বে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক এলিজাবেথ আরিফা মুবাশশিরা। প্রধান অতিথি থাকবেন ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক, আলোচক থাকবেন কথাপ্রকাশের প্রকাশক জসিম উদ্দিন।

জাতীয়

সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করানোর অপরাজনীতি রুখে দিন : ইনু

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করানোর অপরাজনীতি রুখে দিন : ইনু সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাসদসভাপতি হাসানুল হক ইনু । বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করানোর অপরাজনীতি রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ সোমবার জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ধর্মের নামে মানুষ ও সমাজের মধ্যে ভাগাভাগি, অসহিষ্ণুতা, সহিংসতা, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, অশান্তি, অসমতা ও বৈষম্যের বিপরীতে সাম্য-সমতা-শান্তি-মানবতার বাণীকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে জাতীয় সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের আহ্বানে দলীয়ভাবে দেশব্যাপী ‘লালন দিবস’ পালন করা হয়। এ উপলক্ষে জাসদের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় লালনগীতি পরিবেশন, আলোচনা সভা, বাউল সমাবেশ, র‍্যালি ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঙালির দেশজ সংস্কৃতির বিপরীতে ধর্মকে দাঁড় করানোর বস্তাপচা অপরাজনীতি রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইনু বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপরীতে ইসলাম ধর্মকে দাঁড় করিয়েছিল তারা এখনো বাঙালির দেশজ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করিয়ে রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, লালন সাঁইজিসহ দেশের বাউল, বৈষ্ণব, সুফি, সাধকরা সব বৈষম্য ও অশান্তির বিরুদ্ধে সাম্য ও মানবতার বাণী প্রচার করেছেন। তারা শান্তির দূত ছিলেন। তিনি বলেন, বাউলিয়ানা বাঙালির সাংস্কৃতিক ভাণ্ডারের অমূল্য সম্পদ। তাই দেশজ বাঙালি সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং বাউলদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি বলেন, কেবল মানবতাবাদের বিকাশ নয়, শোষণমুক্তির সংগ্রামে লালনের দার্শনিক চিন্তা বাঙালি ও বিশ্বমানবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা।

জাতীয়

মিল্টন কিংস বাংলোদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ৭ প্রবাসীর গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ ও প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মিল্টন কিংস বাংলোদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ৭ প্রবাসীর গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ ও প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবী। গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশে ৭ প্রবাসীর গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ ও দেশে প্রবাসীদের জানমালের নিরাপত্তা দাবিতে মিল্টন কিংস বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইউকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে । লন্ডন বাংলার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বলা হয় যে, সম্প্রতি বাংলাদেশে ৭ জন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিনিয়োগকারীকে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাত্রই উদ্বিগ্ন। সাথে সাথে তারা এটাও উল্লেখ করেন যে, দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপর জুলুম নির্যাতন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। অনেক আশ্বাসের পরও কোন কিছুতেই এর প্রতিকার হচ্ছে না। তারা এ সমস্ত বিষয় প্রতিকারের জন্য এবং বিশেষ করে মামলাগুলি তড়িৎ বিচারের জন্য অভিলম্বে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ট্রাইবুন্যাল স্থাপনের কথা উল্লেখ করেন। তারা আরও বলেন, উক্ত ৭ ব্যবসায়ী প্রবাসীকে গ্রেপ্তারের ফলে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের যে সুনাম ছিল তা আজ কতিপয় দুষ্টু মানুষের জন্য নষ্ট হতে চলেছে। তাই তারা এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে যদি বিচার করা না হয় তাহলে প্রবাসীরা দেশে গিয়ে ব্যবসায় অবদান রাখতে পারবেন না এ সংবাদ সম্মেলনে তারা যে সমস্ত দাবী ‍উত্থাপন করেন, সেগুলি হচ্ছে- প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীর মামলা নিঃশ্বতʼ মুক্তি দেয়া। প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার আইডি অতিসত্বর প্রদান করা । পাসপোটʼ সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান করা। দেশে প্রবাসীদের জায়গা সম্পত্তি দখলমুক্ত করা। সিলেটে ব্রিটিশ পাসপোটʼ ধারীদের পোটʼ ভিসা প্রদানের ব্যবস্থা করা। পাওয়ার অব এটর্নি এবং নো ভিসা স্টাম্প আগের মত ব্রিটিশ পাসপোটʼ প্রদশʼন এর মাধ্যমে দেয়া। পাসপোটʼ করার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানী না করা ইত্যাদি। এ সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন- মিল্টন কিংস বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইউকে ও দেশে গ্রেপ্তারকৃত ৭ প্রবাসীর আত্মীয়স্বজন মিল্টন কিন্স বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোঃ ছালিক আহমদ,জিএম জি কার্গোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনির আহমেদ, মিল্টন কিন্স বাংলাদশী এসোসিয়েশনর উপদেষ্টা কাজী মকবুল আলী। উপদেষ্টা আব্দুল মুকিত, আবুল কালাম, মোঃ নুরুল হক, মোঃ সাইদুর রহমান, আব্দুল ওয়াদুদ সাহেল ও আলহাজ্ব তৈমুছ আলী ।

জাতীয়

আমাদের প্রতিদিন এর ১২বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘লন্ডন বাংলা সাহিত্য উৎসব ২০২২’ ও বইমেলা অনুষ্ঠিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আমাদের প্রতিদিন এর ১২বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘লন্ডন বাংলা সাহিত্য উৎসব ২০২২’ ও বইমেলা অনুষ্ঠিত। গত ১৬ অক্টোবর, রবিবার পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল প্রাইমারি স্কুলে অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল ‘আমাদের প্রতিদিন.ডটকম’-এর ব্যবস্থাপনায় ‘লন্ডন বাংলা সাহিত্য উৎসব ২০২২’ ও বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্যের বিপুলসংখ্যক কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকের উপস্থিতিতে মুখরিত, অত্যন্ত ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত চার পবের্র সাহিত্য উৎসব ও বইমেলার প্রথম পর্বে ছিল সাহিত্যালোচনা ও ৫টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।   সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য-এর সভাপতি কবি ময়নূর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কবি, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক সালেহা চৌধুরী, বিশেষ অতিথি কবি হামিদ মোহাম্মদ ও কবি আতাউর রহমান মিলাদ। অনুষ্ঠানে কবিতার ওপর আলোচনা করেন কবি মিলটন রহমান, ছড়ার ওপর ছড়াকার সৈয়দ হিলাল সাইফ ও সাহিত্যের ওপর কথাশিল্পী সাগুফতা শারমিন তানিয়া। অনুষ্ঠানে কবি আসমা মতিন, কবি আহমদ হোসেন হেলাল, কবি আলী রেজা খান ও লেখক মোহাম্মদ নূরুল হকের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কবি এ কে এম আবদুল্লাহ। দ্বিতীয়পর্বে ছিল কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, কবিতা আবৃত্তি ও পুঁথিপাঠ। স্বরচিত কবিতা ও ছড়া পাঠ করেন – কবি ময়নূর রহমান বাবুল, আবু মকসুদ, এ কে এম আবদুল্লাহ, হেনা গেম, লোনা রাহনুমা, জুয়েল রাজ, মিলটন রহমান, মোহাম্মদ ইকবাল, মুস্তফা জামান চৌধুরী নিপুন, আসমা মতিন, ফাহমিদা ইয়াসমিন, নূরহাজান রহমান, সাহারা খাতুন, সৈয়দ হিলাল সাইফ, আলী রেজা খান, আহমদ হোসেন হেলাল, মোহাম্মদ নূরুল হক, আবদুল কাইয়ুম, সারওয়ার-ই-আলম, আনোয়ারুল ইসলাম অভি, ইকবাল বাহার সোহেল প্রমুখ। স্বরচিত পুঁথি পাঠ করেন হাজেরা কোরেশি অপি, সিলেটি চিঠি পাঠ করেন শাহারা খান। আবৃত্তি করেন – সোমা দাস, আরফুমান চৌধুরী, ফয়সল নূর ও শতরূপা চৌধুরী, শিল্পী মনিকা দেব জেনি। তৃতীয়পর্বে ছিল লেখক সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান সম্পাদিত ‘আমাদের প্রতিদিন’-এর ১২ বর্ষপূর্তি উৎসব উপলক্ষে আলোচনানুষ্ঠান। কবি ময়নূর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক এনাম চৌধুরী পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার, বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল তাইসির মাহমুদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও একাত্তর টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি ইকবাল মাহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিলাতের বাংলা অনলাইন মিডিয়ার উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক-গবেষক ফারুক আহমদ। বক্তৃতা করেন – ৫২বাংলা টিভির সিইও আনোয়ারুল ইসলাম অভি, সাংবাদিক আকবর হোসেন, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রহমত আলী, কবি আবু সুফিয়ান চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবদুল মুতলিব ও আমাদের প্রতিদিন সম্পাদক আনোয়ার শাহজাহান। চতুর্থপর্বে ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন -শিল্পী সুমা দাস, শতরূপা চৌধুরী এবং নৃত্য পরিবেশন খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী মোহাম্মদ দ্বীপ। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন – নূরুল ইসলাম ও মিন্টু গোস্বামী। বইমেলায় অংশগ্রহণ করে – দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, সাহিত্য প্রকাশ, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ ও প্রবাস প্রকাশনী। আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নবাব উদ্দিন, কবি আহমদ ময়েজ, কবি ইকবাল হোসেন বুলবুল, বাংলাদেশ সেন্টারের সহ- সভাপতি এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি মুহিবুর রহমান, রেইনবো ফ্লিম সোসাইটির কর্ণধার মোস্তফা কামাল, রাজনীতিবিদ শামীম আহমদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমদ, ইসি মেম্বার আহাদ চৌধুরী, ইসি মেম্বার আব্দুল হান্নান, সাবেক কাউন্সিলর আয়েশা চৌধুরী, কবি ফারুক আহমদ রণি, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম, সাংবাদিক আব্দুল মুনিম ক্যারল, দৈনিক যুগান্তরের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, কবি মুহিবুর রহমান মুহিব, সমাজকর্মী রফিক উদ্দিন, এম আর খান নান্না, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের কালচারাল সেক্রেটারি সালেহ আহমদ, বোর্ড মেম্বার কবির আহমদ বাদশা, হাওয়া টিভির রুমানা এনাম, লুনা ইসলাম, জোছনা পারভীন, রুহেলা বেগম, সমাজকর্মী সরওয়ার আহমদ প্রমুখ।

জাতীয়

হবিগন্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হোসেন ।

বিলাতের আয়না ডেক্স :- হবিগন্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হোসেন । হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার বিকেল ৫ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন হবিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মোঃ শিবলী খায়ের আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭ ভোট। এছাড়াও অপর প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নূরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৩টি। এবারের নির্বাচনে মোট ১১শত ৪টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৮৫টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৮১টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৪টি। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৮৫টি।

জাতীয়

সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট । সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল কবির রুমেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৪ ভোট। বেসরকারি সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৭৯ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ৫৩ ভোট। দোয়ারাবাজার উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৪০ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ৭৯ ভোট। দিরাই উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৪৮ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ৮৪ ভোট। শাল্লা উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ২৫ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ২৮ ভোট। জামালগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৪৪ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ৩৭ ভোট। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৪৩ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ২৫ ভোট। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৫৫ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ৫১ ভোট। মধ্যনগর উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৩৭ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ১৫ ভোট। তাহিরপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৫১ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ৪৩ ভোট। ছাতক উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৬০ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ১২০ ভোট। জগন্নাথপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৮৯ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ২৯ ভোট। ধর্মপাশা উপজেলায় মোটরসাইকেল পেয়েছে ৪১ ভোট এবং ঘোড়া পেয়েছে ৪০ ভোট।

জাতীয়

সুশৃঙ্খল ও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে : সিইসি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সুশৃঙ্খল ও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে : সিইসি জেলা পরিষদ নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, শুরু থেকেই আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে সহিংসতা-গোলযোগ-গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। কেন্দ্রগুলো থেকে যে তথ্য পেয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। সোমবার (১৭ অক্টোবর) জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে নতুন অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আগামীতে এ অভিজ্ঞতা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন। নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে গুরুতর অনিয়ম লক্ষ্য করেছি। কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচনটা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে একটা মেসেজ এসেছে। যেহেতু নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাই অনিয়ম হলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া যাবে। আমাদের মনে হয় এর একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট এই নির্বাচনে পড়েছে। দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয়েছে দুপুর ২টায়। এক হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ মনিটরিংয়ের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এসব প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন রয়েছেন। ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। এছাড়া, নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না।

জাতীয়

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার মাসুম আজিজ আর নেই।

সিলেটের আয়না ডেক্স :- অভিনেতা মাসুম আজিজ আর নেই। একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার মাসুম আজিজ আর নেই। সোমবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মাসুম আজিজ দীর্ঘদিন ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’নেওয়া হয়। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। মাসুম আজিজ একাধারে অভিনয়শিল্পী, চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে তার অভিনয়ের শুরু। ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। ২০০৬ সালে ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।

Scroll to Top