জাতীয়

জাতীয়

প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি কাজে লাগাতে হবে:- পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি কাজে লাগাতে হবে:- পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে ধান এবং সরিষা চাষ, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করলে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।’ শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অনাবাদি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশ ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন পরিবেশমন্ত্রী। বড়লেখা পৌর শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবল সরকার। পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার সব ধরনের ভর্তুকি দিয়েই কৃষি ব্যবস্থাকে সচল রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবহন এবং খাদ্যপ্রাপ্তির যে সমস্যা বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে, এই সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোই বলছে-বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। কাজেই আমাদের বাংলাদেশে যেন কোনোরকম খাদ্যাভাব দেখা না দেয়, তার জন্য এখন থেকেই সকলকে সচেতন হতে হবে। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, জমি আছে, সবাই সেখানে কিছু না কিছু উৎপাদন করেন।’ কৃষক সমাবেশ শেষে পরিবেশমন্ত্রী রবি মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৫০০ কৃষককে বিনামূল্যে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এএসএম রাশেদুজ্জামান বিন হাফিজের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন, কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ, কৃষাণী মনোয়ারা বেগম ও কৃষক আব্দুল খালিক প্রমুখ।

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামী দলকে বিচারের জন্য সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রী পরিষদে – আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামী দলকে বিচারের জন্য সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রী পরিষদে – আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের জন্য দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারে আইন সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, এই জামায়াতের বিচার করার জন্য আইনের পরিবর্তন দরকার হবে, সেটা আমি আগেই বলেছি। সেই আইনের যে পরিবর্তন-সংশোধন, সেটা মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হয়েছে। আমরা কিছু দিনের মধ্যেই এই আইনটা পাস করব, তারপর বিচার কার্যক্রম শুরু করব। জামায়াত ভিন্ন নামে রাজনৈতিক দল গঠন করছে, জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে কি না? এমন এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধী এবং যুদ্ধবিরোধী অপরাধী যারা ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপরাধী, তাদের বিচার করতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই বিচার করে দেখিয়েছে যে, এই বিচার আওয়ামী লীগ সরকার করে এবং আপনারা দেখেছেন অনেক রায় কার্যকর হয়েছে। খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না যে খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে শর্তযুক্তভাবে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে পরিবর্তন আনার কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকার করছে।

জাতীয়

লন্ডনে বড়লেখা-জুড়ী বাসীর ভালোবাসায় সিক্ত এস এম জাকির হোসাইন।

বিলেতের আয়না রিপোট :- লন্ডন থেকে জাহেদ আহমদ রাজ লন্ডনে বড়লেখা-জুড়ী বাসীর ভালোবাসায় সিক্ত এস এম জাকির হোসাইন। গত ২৬ অক্টোবর বুধবার বড়লেখা জুড়ী আওয়ামীলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাএলীগের সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক বড়লেখা জুড়ীর কৃতি সন্তান এস এম জাকির হোসাইন কে লন্ডনে এক সংবর্ধনা দেওয়া হয় উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক আওয়ামিলিগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহমদ হোসেন এবং পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জহিরুল ইসলাম জাবেল।বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন সাবেক চেয়ারমযান আদর উদ্দিন আহমদ ,আওয়ামীলীগ নেতা ফরিজ আলী,এডভোকেট নীল মনি সিংহ,কমিউনিটি নেতা শামিম আহমদ,লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব এর ট্রেজারার সালেহ আহমদ,ওয়েষট লন্ডন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস মিয়া,নর্থ লন্ডন আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক সাহিন আহমেদ চৌধুরী,ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন টিপু,পশ্চিম জুড়ী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কমিমউনিটি নেতা আবদুস সামাদ রাজু , যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান।বক্তব্য রাখেন আকবর হোসেন,আব্দুল মানিক,আলীম উদ্দিন ,যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি তানিম আহমদ , সহসভাপতি জাকির আখতারুজ্জামান, সহসভাপতি মোঃ শাকিল,কামাল উদ্দিন ,কামরুল ইসলাম,বিশিষ্ট কমিউনিটি এক্টিভিস্ট জাহেদ আহমদ রাজ,ফয়ছল আহমদ ,শিববির আহমদ ,লুৎফুর রহমান ,জাহেদ আহমদ ,সফর উদ্দিন ,সিলেট জেলা ছাএলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল আজাদ শেহনাজ,জুরী উপজেলা ছাএলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক লুৎফুর রহমান, প্রভাষক মাহবুবুর রহমান এবং আর অনেকেই উপস্তিত থেকে বক্তব্য রাখেন।সংবর্ধিত অথিতি এস এম জাকির হোসাইন বলেন আমি আপনাদের সন্তান আপনাদের কথা বলতে চাই ।লন্ডনে এসে যে দিকে যাই শুদু সিলেটি ভাষা শুনতে পাই ।আমার মনে হয় আমি লন্ডননে নয় বড়লেখা অথবা জুড়ীতে আছি ।তিনি বলেন আপনাদের সবাইকে এলাকার জন্য কাজ করতে চাই ।প্রধান মন্ত্রী আমাকে অথবা যাকে এই এলাকার দায়ীত্ব দিবেন আমি তার হয়ে কাজ করতে চাই।এলাকার মানুষের ভালবাসায় আমি চিরকৃতজ্ঞ।আমি আপনাদের ভালবাসায় সব সময় থাকতে চাই ।

জাতীয়

জামায়াতে ইসলামীর আমির হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জামায়াতে ইসলামীর আমির হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি ২০২৩-২০২৫ কার্যকাল পর্যন্ত জামায়াতের নেতৃত্ব দিবেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলটির একটি  দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য গত ৫ই অক্টোবর থেকে সারা দেশ থেকে রুকনরা আমির নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদান করেছেন। গত ২৫শে অক্টোবর ভোট গণনা শুরু হয়। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আমির নির্বাচিত হন ডা. শফিকুর রহমান। শপথ গ্রহণের পর আমির দলের নেতাকর্মীর উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।  এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ডা. শফিকুর রহমানকে আমির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল

জাতীয়

রিজার্ভের টাকা জনগণের কাজেই লাগাচ্ছি,কেউ চিবিয়ে খায়নি – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রিজার্ভের টাকা জনগণের কাজেই লাগাচ্ছি,কেউ চিবিয়ে খায়নি – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে, খাদ্য আমদানিতে। অনেকেই জানতে চায়, রিজার্ভের টাকা গেলো কোথায়। তাদের বলতে চাই, এটা কেউ চিবিয়ে খায়নি। রিজার্ভের টাকা গেছে আমদানিতে, মানুষের কাজেই এটা লাগাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পায়রা বন্দরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড এটা দিয়ে পায়রা বন্দরের কাজটা আমরা শুরু করলাম। ভবিষ্যতে আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে এই ফান্ড কাজে লাগাতে পারবো। সরকারপ্রধান বলেন,  জাতির পিতা বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ঠিকই আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই। প্রায় ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল এবং ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা থেকে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একটি ফান্ড করা হয়। এই ফান্ডের নাম বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড। সেখান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে টাকা দেওয়া হয়েছে পায়রা বন্দরের উন্নয়নে।

জাতীয়

লিভারের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি-ড. স্বপ্নীল।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট লিভারের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি-ড. স্বপ্নীল। প্রখ্যাত লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলোজি বিভাগের প্রধান এবং জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) বলেছেন, লিভারের বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকতে সচেতনতা জরুরী। দীর্ঘদিন যাবৎ শরীরে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের উপস্থিতি, অতিরিক্ত মেদ, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ ইত্যাদি লিভার রোগের প্রধান কারণ। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর ) সকাল সাড়ে ১১টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট ও দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র যৌথ উদ্যোগে এবং রোশ ফার্মাসিউটিক্যাল্স বাংলাদেশ লিঃ এর সহযোগিতায় লিভার রোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় তিনি লিভার রোগের বিভিন্ন ধরণ ও তার চিকিৎসা সম্পর্কে বিষদভাবে অবগত করেন। তিনি লিভার রোগ বিষয়ে তার বিভিন্ন গবেষণা ও সহযোগীর সাথে যৌথভাবে উদ্ভাবিত স্টেম সেল থেরাপি সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশের কোন কোন হাসপাতালে এ চিকিৎসা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে অবগত করেন। এছাড়াও তিনি অনুষ্ঠানে লিভার রোগ বিষয়ে উপস্থিত চেম্বারের সদস্যগণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোশ ফার্মাসিউটিক্যাল্স বাংলাদেশ লিমিটেড এর কান্ট্রি ম্যানেজার ডাঃ মোহাম্মদ আফরোজ জলিল। সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ চেম্বারের সদস্যগণকে লিভার রোগ বিষয়ে সচেতন করতে সচেতনতামূলক কর্মশালাটি আয়োজনের জন্য জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট ও রোশ ফার্মাসিউটিক্যাল্স বাংলাদেশ লিঃ কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রোশ ফার্মাসিউটিক্যাল্স বাংলাদেশ লিমিটেড এর কান্ট্রি ম্যানেজার ডাঃ মোহাম্মদ আফরোজ জলিল এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক মোঃ হিজকিল গুলজার, জিয়াউল হক, মুশফিক জায়গীরদার, মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমদ, আলীমুল এহছান চৌধুরী, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ মকন মিয়া ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের উদ্যোগে ও নারায়ণ হেলথ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় লিভার রোগ বিষয়ক আরও একটি সচেতনামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট সিলেটের সিভিল সোসাইটি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে এংগেজ করে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে লিভার রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে যা এরই মধ্যে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার সাথে সহযোগিতাক্রমে ট্রাস্টের উদ্যোগে লিভার ডিজিজ বিষয়ক খুতবা প্রনয়ন ও প্রকাশ করা হয়েছে যা জুম্মার নামাজের সময় সিলেট মহানগরের বিভিন্ন মসজিদে পাঠ করা হয়ে থাকে। এর পূর্বে জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের আয়োজনে সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও সদর উপজেলার ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের উমারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নবারুণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে প্রাঙ্গনে মোট ৪ টি হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ইউরোএশিয়ান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিক্যাল এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভরের সাধারণ সম্পাদক, ফোরাম ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভারের চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হেপাটোলজি এলুমনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি।

জাতীয়

ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান দেশ ও জনগণের কথা ভাবুন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান দেশ ও জনগণের কথা ভাবুন।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে ব্যবসা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপি সরকারের সময় হাওয়া ভবনের দৌরাত্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন লাভের ব্যাপারে চিন্তা করেন। আগে তো একটা বড় অংশ হাওয়া হয়ে যেতো। এখন আর সেই হাওয়া হওয়ার ব্যবস্থাটা নাই। সেখান থেকে সবাইকে মুক্ত রেখেছি। তো সেটাই মাথায় রেখে যদি মনে করেন (ব্যবসা করেন) যে না- দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দেশের ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এখানে কোন হাওয়া ভবন নেই, আর পিএমও-তে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) কোন উন্নয়ন উইংও নেই। যে হাওয়া ভবনে এক ভাগ দিতে হবে, উন্নয়ন ভবনে এক ভাগ দিতে হবে বা অমুক জায়গায় দিতে হবে। এই যন্ত্রণাতো আপনাদের ভুগতে হয় না এখন আর। এটাতো আপনারা নিশ্চয় শিকার করবেন। সেই যন্ত্রণা থেকে তো সবাই মুক্ত।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ এ সরকার গঠনের পর আমাদের ব্যবসায়ীরা সে যে দলেরই হোক আমরা কিন্তু ওখানে দল বাছতে যাইনি। যে দলেরই হোক যাতে তারা ব্যবসাটা ব্যবসায়ী হিসেবে করতে পারে সেই পরিবেশটা সৃষ্টি করে দিয়েছি। টানা তিনবারের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, এই ১৪ বছর একটানা ধারাবাহিক ভাবে আপনারা লাভজনক ব্যবসাটা করে গেছেন, আমরা কিন্তু করোনার সময়ও সেটা মোকাবেলা করলাম। প্রণোদনা দিলাম, বিশেষ প্রণোদনা, আমার কাছে কেউ এসে দাবি করেননি। কেউ বলে নাই। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার একটা টিম খুব ভালো কাজ করছিল- যে কোথায় কি করা যেতে পারে। আমার অর্থনীতির চাকাটাকে চলমান রাখতে হবে। শেখ হাসিনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং স্যাংশনের প্রেক্ষাপটে বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ, তাদের সমস্ত কর্মকা- বন্ধ। আমরা বলেছি আমরা এখানে বন্ধ হতে দেবো না। এখানে চালু করে রাখতে হবে। শ্রমিকদের বেতন, এই যে গার্মেন্টস, তার বেতন তো আমি দিয়ে দিলাম সব। প্রণোদনা প্যাকেজ করলাম, বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।

জাতীয়

সিলেট জেলা জাতীয় পাটির আহবায়ক, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব কুনু মিয়া  ইন্তেকাল করিয়াছেন

★শোক সংবাদ★ বিলেতের আয়না ডেক্স :-সিলেট জেলা জাতীয় পাটির আহবায়ক, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব কুনু মিয়া  ইন্তেকাল করিয়াছেন যুক্তরাজ্য জাসদের সহ সম্পাদক ও গ্রেটার লন্ডন জাসদ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক হোসেন এর বড় ভাই সিলেট জেলা জাতীয় পাটির আহবায়ক, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব কুনু মিয়া গতরাত ৯.৪৫ মিনিটের সময় লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করিয়াছেন।ইন্না-লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বাইপাস সার্জারি পর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। হঠাৎ হার্ট এবং কিডনির কার্যক্ষমতা হারিয়ে গেছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি একজন জনদরদী, সমাজহিতৈষী মানুষ ছিলেন। গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের একজন বন্ধু ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন অত্যন্ত সুপরিচিত। তিনি অত্যন্ত দয়ালু পরহেজগার নামাজী আদর্শ মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। আমরা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত বাসী করেন। আমিন। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ও গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। পরিবার ও পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত ফেরদৌস নসীব করেন। আমিন।

জাতীয়

পদ্মায় “বাংলা লিভার ককাস (বা‌লিকা)” এর প্রথম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট:- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি পদ্মায় “বাংলা লিভার ককাস (বা‌লিকা)” এর প্রথম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। (২২ অক্টোবর) বাংলা ভাষাভাষী লিভার বিশেষজ্ঞ ও লিভার চিকিৎসায় আগ্রহী বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পারস্পরিক ও বৈজ্ঞানিক সহযোগীতা সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে ফোরাম ফর দ্যা স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ এর আয়জেনে “বাংলা লিভার ককাস (বালিকা)”-এর প্রথম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন পদ্মা সেতু সংলগ্ন হক কিচেন এন্ড রেসিডেন্সিতে অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য এটিই পদ্মায় প্রথম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। বালিকার সমন্বয়ক ও ফোরামের চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটেলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক মানুন আল মাহতাবের সভাপতিত্বে সম্মেলনটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের ১০০ জন লিভার বিশেষজ্ঞগণ যোগদান করেন। এ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করেন। তিনি তার বাণীতে বাংলাদেশের লিভার বিশেষজ্ঞদের ভূয়ষী প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশের লিভার বিশেষজ্ঞগণ লিভার রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। আমাদের লিভার বিশেষজ্ঞরা হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ন্যাসভ্যাক নামক নতুন ওষুধের যৌথ উদ্ভাবন করেছেন। দুরারোগ্য হেপাটাইটিস-সি এর ব্যয়বহুল চিকিৎসা সরকারিভাবে বিনামূল্যে করা হচ্ছে। দেশের লিভার বিশেষজ্ঞগণ লিভার রোগীদের চিকিৎসায় স্টেম সেলসহ নতুন নতুন চিকিৎসা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীদের সেবায় অবদান রাখছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নতুন নতুন চিকিৎসা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবো- ইনশাআল্লাহ।” পদ্মায় বালিকার এই সম্মেলনে ভারত থেকে অধ্যাপক বি ডি গোস্বামী, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, গৌহাটি মেডিকেল কলেজ, অধ্যাপক আলকা দেশপান্ডে, ডীন, ইন্ডিয়ান কলেজ অব ফিজিশিয়ান, অধ্যাপক প্রদীপ ভৌমিক, মেডিসিন, আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজ, অধ্যাপক নন্দিনী চ্যাটার্জি, মেডিসিন, আই.পি.জি.এম.ই.আর ও এস.এস.কে.এম হাসপাতাল, কলকাতা, ডা. অমিত কালওয়ার, সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন, শিলচর মেডিকেল কলেজ, ডা. এলিনা পেট্রুখিনা, গৌহাটি৷ এবং মন্তোষ দে, সি.ই.ও, সানাটা হেলথ কেয়ার যোগদান করেন। বাংলাদেশে থেকে অন্যান্য লিভার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যোগদান করেন অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান, প্রেসিডেন্ট, এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ, ডা. কুতুব উদ্দিন মল্লিক, ডীন, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, ডা. এম এ রহিম, সহযোগী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ডা. মোঃ ফজল করিম, সহযোগী অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ডা. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, , ডা. প্রভাত কুমার পোদ্দার, সহযোগী অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ডা. শেখ মোহাম্মদ নুর-ই-আলম ডিউ, সহযোগী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ডা. আশরাফুল আলম, বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ, ডা. শওকত হোসেন রোমেল, সহকারী অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ডা. রোকসানা বেগম, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ডা. আবুল হায়াত মানিক, লিভার বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ হেলাল উদ্দিন, ডিরেক্টর, ফোরাম ফর দ্যা স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ, ডা. কাকন নাগ, সি.ই.ও, গ্লোব বায়োটেক, ডা. নাজনীন সুলতানা, সি.এস.ও, গ্লোব বায়োটেক, ডা. মোঃ মহিউদ্দিন, সিনিয়র ম্যানেজার, গ্লোব বায়োটেক এবং দেবাশীষ সাহা, ডেপুটি সেলস ম্যানেজার, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটিতে লিভার ক্যান্সার এওয়ারন্যাস মানথ উপলক্ষে লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসায় ওরাল কেমোথেরাপি নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক প্রদীপ ভৌমিক, মেডিসিন, আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজ। লিভার ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ইমিউন চেক পয়েন্ট ইনহিবিটর নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), ডিভিশনাল হেড, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ। অনুষ্ঠানটিতে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

জাতীয়

শহীদ শেখ রাসেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পাশাপাশি শিশু অধিকার সনদেরও লঙ্ঘন।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- শ‌হিদুল ইসলাম,সিলেট প্রতি‌নি‌ধি শহীদ শেখ রাসেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পাশাপাশি শিশু অধিকার সনদেরও লঙ্ঘন। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন সোমবার এক স্মারক আলোচনায় ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ পালন করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা উল্লেখ করেন যে শহীদ শেখ রাসেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পাশাপাশি শিশু অধিকার কনভেনশনেরও লঙ্ঘন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত এই স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিলো “শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক”। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “শেখ রাসেলের খুনিরা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২১ আগস্ট গ্র্যানেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকারকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।” প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি সবাইকে, বিশেষ করে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের এ ধরনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “১০ বছর বয়সী শেখ রাসেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ড সমসাময়িক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও শিশু অধিকার কনভেনশনের লঙ্ঘন যা ভবিষ্যতে শিশুদের পূর্বপরিকল্পিত হত্যা প্রতিরোধে একটি ঐতিহাসিক রেফারেন্স হতে পারে।” হাইকমিশনার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন একটি কার্যকর আইনি কাঠামো ও নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা রয়েছে যা শিশুদের বাঁচার অধিকার সুনিশ্চিত করাসহ বর্বরতা, অপব্যবহার ও বৈষম্য থেকে তাদের সুরক্ষা করে।” হাইকমিশনার আরো বলেন, “বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সংস্কৃতি, শিক্ষা, ঐতিহ্য ও খেলাধুলায় ক্রমাগত সংযুক্ত, লালন ও উৎসাহিত করে বাংলাদেশের সাথে তাদের বন্ধন সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে।” বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী নুরজাহান বেগম মুক্তা এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা খলিল কাজী ওবিই এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটি বিশিষ্ট সদস্য সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। বৃটেনের স্কুল পড়ুয়া তিনজন শিশু বক্তা – মিশকাতুল, রুকাইয়া এবং শাহরিয়ার শেখ রাসেলকে তাদের প্রিয় ভাই উল্লেখ করে তাঁকে ‘৭৫ -এর কালরাতে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতা ও শেখ রাসেলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকল সদস্যদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জীবনের উপর আইসিটি বিভাগ নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেখ রাসেলকে উৎসর্গ করে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিশু শিল্পীবৃন্দ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

Scroll to Top