জাতীয়

জাতীয়

ঢাকা দক্ষিণ ক্রীড়া চক্রের ৫০ বছর পূর্তি  উপলক্ষে আলোচনা সভা।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- মাহমুদুর রহমান শানুর ঢাকা দক্ষিণ ক্রীড়া চক্রের ৫০ বছর পূর্তি  উপলক্ষে আলোচনা সভা। ঢাকা দক্ষিণ ক্রীড়া চক্রের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গতকাল ৯ই অক্টোবর লন্ডনে বসবাসরত ক্রীড়া চক্রের সকল সদস্য আজীবন সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে ক্যাফ গ্রীল রেষ্টুরেন্টে ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে এবং আবজল হোসেনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজীবন সদস্য ঢাকা দক্ষিণ স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মতলিব (মছনমিয়া) আজীবন সদস্য শামীম আহমেদ। খালেদ আজিম উদ্দিন জামাল। কাজী মকবুল আলী। আগামী বছর ঢাকা দক্ষিণ ক্রীড়া চক্রের ৫০ বছর পূর্তি হবে। প্রথমেই ঢাকা দক্ষিণ ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আব্দুল মতিজ ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মরহুম শফিক উদ্দিন ও সদস্য ফুটবল খেলোয়াড় মরহুম জসিম উদ্দিন এর রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। সেই উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত এবং বক্তব্য রাখেন রুহুল আমিন সেলিম। আব্দুল বাছির।,মাহমুদুর রহমান শানুর । সেলিম উদ্দিন চাকলাদার। দিলওয়ার হোসেন লেবু। হেলাল আহমেদ। নাজিম রহমান। আব্দুল কাদির। হোসাইন আহমেদ সুজা। আব্দুল রহিম মুক্তা।ছাদেক আহমেদ। রেহান উদ্দিন। নুরুল ইসলাম। খালেদ আহমেদ।দিলদার সারোয়ার শিপন ।কিশোয়ার আনাম লিটন। জোছনা পারভীন ও রুমানা আনাম। শাহরিয়ার নাফি। সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ ক্রীড়াচক্রের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরেন।স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই ক্লাবের যাত্রা। ফুটবল খেলার মাধ্যমে। এই ক্লাব ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আগামী দিনে তাঁর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে নিজস্ব ভূমি ক্রয় করে ক্লাবের স্হায়ী ভবন নির্মাণ করার জন্য সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। একটি স্হায়ী সংবিধান করার প্রস্তাব করা হয়। ৫০বছরের একটি ঐতিহ্যবাহি ক্লাবের অনুষ্ঠান কে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য একটা ফান্ড কালেকশন করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন তাদের অঙ্গিকার করেছে ন এবং ক্রীড়া চক্রের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজীবন সদস্য কামাল উদ্দিন খোকন। খালেদ আজিম উদ্দিন জামাল। আবজল হোসেন। ইকবাল আহমেদ। হেলাল আহমেদ। পরবর্তীতে লন্ডন প্রবাসী ক্রীড়াচক্রের আজীবন সদস্যদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয়

সিলেটে বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপে পাওয়া গেল গ্যাসের সন্ধান

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- সিলেটে বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপে পাওয়া গেল গ্যাসের সন্ধান। সিলেটের বিয়ানীবাজার-১ কূপের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) একটি পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিয়ানীবাজার-১ কূপের পুনঃখনন শেষে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানায় এসজিএফএল। এ কূপ থেকে দৈনিক ৭০-৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস ও ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে বিয়ানীবাজার-১ কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে কূপটি থেকে ৩ হাজার ৪৫০ মিটার গভীর থেকে ৩ হাজার ৫০০ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। ১০ সেপ্টেম্বর কূপটির পুনঃখনন শুরু করে এসজিএফএল। এসজিএফএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, কূপের ৩ হাজার ৪৫৪ মিটার গভীর থেকে পরীক্ষা করে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বর্তমানে ১০ মিলিয়ন গ্যাসপ্রবাহ হচ্ছে এবং গ্যাসের চাপ রয়েছে ৩ হাজার ১০০ পিএইচ। শাহীনুর ইসলাম আরও জানান, কূপটিতে আগামী ৩ দিন পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা শেষে কী পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব তা জানা যাবে। এ সময় আরও ৪টি কূপ পুনঃখননের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের শেষ দিকে এসব কূপ খনন করা শুরু হবে।

জাতীয়

স্বর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ” নামক স্মরণিকার প্রকাশনা উৎসব অনু‌ষ্ঠিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট  প্রতি‌নি‌ধি “স্বর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ” নামক স্মরণিকার প্রকাশনা উৎসব অনু‌ষ্ঠিত। ৮ই নভেম্বর ২০২২ইং,গ গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউ.কে কর্তৃক লন্ডন হতে প্রকাশিত “স্বর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ” নামক স্মরণিকার প্রকাশনা উৎসব অত্র সংগঠ‌নের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এর সভাপ‌তি‌ত্বে “হোটেল পেনিনসুলায়” অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছি‌লেন বাংলাদ‌েশ সরকা‌রের সাবেক মন্ত্রী, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছি‌লেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ, সামশুল হক চৌধুরী এমপি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মাননীয় মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৮ আসনের মাননীয় সাংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান, এ.টি.এম পেয়ারুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

জাতীয়

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত গ্রেপ্তার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত গ্রেপ্তার। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বর্তমান আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত চৌধুরী যোগাযোগ ছিল আরসা, আরএসও’র সঙ্গেও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বর্তমান আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিট। সংস্থাটি বলছে, গ্রেপ্তার ডা. রাফাত চৌধুরী আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক। এছাড়াও ২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পে জিহাদের জন্য রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’ উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত করেন। বান্দরবানের নাই্যংছড়ি সীমান্তে ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ডা. রাফাত। সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২)। তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। তারা গত ৬ নভেম্বর ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে গ্রেফতার তিনজন ডা. রাফাতসহ অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট এলাকা থেকে আজ (বুধবার) ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। যে ভূমিকা ছিল ডা. রাফাতের সিটিটিসি প্রধান বলেন, জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম সিলেট আঞ্চলিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা. রাফাত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ধর্মভীরু তরুণদের জিহাদি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পে জিহাদ করার জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত করেন। বান্দরবানের নাই্যংছড়ি সীমান্তে ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ডা. রাফাত। ২০২১ সালের জুলাই মাসে রাফাতের নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১ জন একসঙ্গে আরাকানে যাওয়ার জন্য হিজরত করেন। সিটিটিসির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট এমসি কলেজে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিশোধ হিসেবে গ্রেফতার রাফাতের নেতৃত্বে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সিলেটের ‘আত তাকওয়া’ নামক মসজিদে ডা. রাফাত নিয়মিত সংগঠনের লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করতেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডা. রাফাত চৌধুরীর বাবা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বর্তমান আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান।

জাতীয়

অনাবাদি জমি খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-অনাবাদি জমি খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনাবাদি জমি খুঁজে বের করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিব যেন ডিসিদের সহায়তা নিয়ে এসব অনাবাদি জমি খুঁজে বের করে আবাদযোগ্য করে গড়ে তোলেন সেই নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখা যাবে না। জমিতে নানা ধরনের চাষাবাদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কেবিনেট সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিসিরা যেন অনাবাদি জমি খুঁজে বের করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প নেওয়া যাবে না। তবে ছোট গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে আপস করা যাবে না। বড় বড় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। বড় প্রকল্প গ্রহণে ফিসিজিবিলিটি স্টাডি গভীরভাবে দেখতে হবে। যে কৌশলে কমিশন এক বছর যাবৎ কাজ করছে এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুনিয়াব্যাপী মন্দা চলছে, অপচয় কমানোর পাশাপাশি মিতব্যয়ী হতে হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেকে চার হাজার কোটি টাকার সাত প্রকল্প অনুমোদন : ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ ও ৪ এর সার্ভিস প্যাসেজসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালের ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ জন্যান্য উন্নয়ন কাজ’ প্রকল্প। সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প পাস হয়েছে। সেগুলো হলো ‘বারৈয়ারহাট হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন (জেড-২০৩১) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প। একই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়াও ব্যয় ঠিক রেখে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি এবং ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (আন্তঃখাত সমন্বয়কৃত)’ প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প। পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভায় অংশ নেন। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েল সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। “

জাতীয়

হেপাটাইটিস বি নির্মূলে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ কর্মসূচির উদ্বোধন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি। হেপাটাইটিস বি নির্মূলে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ কর্মসূচির উদ্বোধন (৮ই নভেম্বর, ২০২২) সিনহা লাউঞ্জ, ঢাকা ক্লাবে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১-এর হেপাটাইটিস বি নির্মূলে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ৩২৮১ এর ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওয়াহাব এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ডিভিশন প্রধান এবং হেপাটাইটিস ও থ্যালাসেমিয়া এওয়ারন্যাস ও প্রিভেনশন কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইলেক্ট রোটারিয়ান আশরাফুজ্জামান নান্নু, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর নোমিনি রোটারিয়ান ইব্রাহীম খলিল আল জায়াদ পিনাক, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারী রোটারিয়ান আরিফ জেবটিক এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের প্রেসিডেন্ট রাশেদ রাব্বি। অনুস্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাগতিক রোটারী ক্লাব অব ঢাকা জেনারেশন নেক্সটের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান পর্না সাহা। অনুস্ঠানটির আয়োজন করে রোটারী ক্লাব অব ঢাকা জেনারেশন নেক্সট। এতে মিডিয়া পার্টনার ছিলো রাজ টিভি আর সাইন্টেফিক পার্টনার ছিলো বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। অনুস্ঠানে অধ্যাপক স্বপ্নীল জানান, পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বাস করেন এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৫.৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে সংক্রমিত যারা প্রত্যেকেই জীবনের কোন একটা পর্যায়ে লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে আছেন। বাংলাদেশেও ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের কারন এই ভাইরাসটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী এদেশে প্রতি বছর ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ লিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। গবেষনায় দেখা গেছে এদেশে ১০ লক্ষ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পেছনেই ব্যয় হয় কম করে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইভাবে হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ৫০ শতাংশ বাংলাদেশের নাগরিকের চিকিৎসার ব্যয় গিয়ে দাড়াবে ৩ বিলিয়ন ডলারে। এমনি বাস্তবতায় পৃথিবীর আর সব দেশের মত বাংলাদেশও ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নির্মূলের সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ৩.৩ অর্জনে অঙ্গিকারবদ্ধ। বিশ্বব্যাপি প্রতি ১২ জনে ১ জন হেপাটাইটিস বি বা সি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও এই আক্রান্ত মানুষগুলোর ১০ শতাংশেরও জানা নেই যে তারা এমন কঠিন রোগে ভুগছেন। কাজেই হেপাটাইটিস বি নির্মূলের এসডিজি গোলটি অর্জন করতে হলে সবার আগে জোর দিতে হবে জনসেচতনতা তৈরীতে আর ব্যাপকভিত্তিক স্ক্রিনিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোগী সনাক্ত করায়। গভর্নর রোটারিয়ান ওয়াহাব কর্মসুচির আনুস্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে রোটারিয়ানরা একদিন যেমন বিশ্বব্যপি পোলিও নির্মুলে নেতৃত্ব দিয়েছে, ঠিক একইভাবে হেপাটাইটিস বি নির্মুলেও তারা একই ভুমিকা রাখবেন। স্ব স্ব বক্তব্যে রোটারী লিডাররা হেপাটাইটিস বি নির্মুলে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। অনুস্ঠানে সচেতনতামুলক বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন পল্লী বাউল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরা। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্ট ফোরামের সহযোগিতা ও এর সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহন অনুস্ঠানটিকে অর্থবহ করে তুলে। রোটারিয়ান পর্না সাহা তার সভাপতির বক্তব্যে এমন একটি সিগনেচার প্রজেক্ট বাস্তবায়নে এগিয়ে আসায় রোটারী ক্লাব অব জেনারেশন নেক্সটের সদস্যদের অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি ক্লাবকে ডিস্ট্রিক্টের এই গুরুত্বপুর্ন প্রজেক্টে পার্টনার করায় রোটারী নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

জাতীয়

গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা। দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি। গ্রাহকসেবার মান না বাড়ানোর অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রথমে অপারেটরটিকে কোনো ধরনের নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে গ্রামীণফোনের অনুরোধে ১৩ লাখ অব্যবহৃত সিম বিক্রির সুযোগ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু আজ সেই সুযোগও রহিত করা হলো। ফলে গ্রামীণফোন নতুন-পুরনো কোনো সিমই বিক্রি করতে পারবে না। রবিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা (চলতি বছরের মে পর্যন্ত) আট কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। এই বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও অপারেটরটির বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ এসেছে, তারা বিটিআরসি থেকে যে স্প্রেকট্রাম বরাদ্দ নিয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও ঘনঘন কল ড্রপ, ফোরজি কভারেজ না বাড়ানো, বিটিআরসির পাওনা নিষ্পত্তি না করাসহ অপারেটটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কমিশন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেও গ্রামীণফোনের সেবার মান ভালো করার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। তারা গ্রাহক বাড়াবে কিন্তু সেবার মান বাড়াবে না- এটা হতে দেয়া যাবে না। যতদিন না তারা সেবার মান ভালো করবে এবং তা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত না হবে ততদিন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

জাতীয়

১০০সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

বিলাতে আয়না ডেক্স :- ১০০সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দেশের বিভিন্ন জেলায় নবনির্মিত ছোট-বড় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানের সেতুগুলো ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। সরকার ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করেছে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করে দিয়েছি। এর জন্য বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে আজ একসাথে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।

জাতীয়

৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় ইনু বলেন  পাকিস্তানপন্থি সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় ইনু বলেন  পাকিস্তানপন্থি সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে। আজও দেশের অসাংবিধানিক শাসন, মোশতাক-জিয়ার চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানপন্থি সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আজ সোমবার ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে জাসদ ঢাকা মহানগর কমিটি শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ইনু বলেন, ৭ নভেম্বরের ঘটনায় কর্নেল তাহের মহানয়ক, জিয়া খলনায়ক। পাকিস্তানপন্থার সরকার আনার অপরাজনীতি রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে অবিচল থাকতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ১৪ দলের অন্যতম এই শরিক নেতা। ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন—দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ফজলুর রহমান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, উম্মে হাসান ঝলমল, নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হকসহ অনেকে। কর্নেল তাহের বা জাসদ ক্ষমতা দখলের জন্য সিপাহিদের বিদ্রোহে যুক্ত হয়নি উল্লেখ করে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, কর্নেল তাহের ও জাসদ চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে যে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র, সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের ধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই ধারার অবসান করা। তাই জাসদ বা কর্নেল তাহের নিজের হাতে ক্ষমতা না নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কর্নেল তাহের ও সিপাহিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিয়াকে মুক্ত করেছিল জানিয়ে ইনু বলেন, জিয়া মুক্ত হয়েই সিপাহিদের দাবি অনুযায়ী জাতীয় সরকার গঠনের পথে না গিয়ে নিজে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিদ্রোহী সিপাহি ও কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। কর্নেল তাহেরসহ শত শত অফিসার, সৈনিককে হত্যা করেন। জাসদের নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করে। তিনি বলেন, জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতায় সিপাহি বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্র-ক্যু-সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সিপাহিদের বিদ্রোহ বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য মহান ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু যেমন খন্দকার মুশতাককে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন, কর্নেল তাহেরও জিয়াকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন। ইনু বলেন, আজ এটা প্রমাণিত হয়েছে ৭ নভেম্বর সিপাহি বিদ্রোহ ছিল সামরিক অফিসারদের উচ্ছৃঙ্খলার বিপরীতে সিপাহিদের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার এক অনন্য ঘটনা। আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের পর থেকে পরাজিত পাকিস্তানি শক্তি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ষড়যন্ত্র করেছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি মাঠে নেমেছে। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী রাজনৈতিক শক্তির একটি শক্তিশালী, কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্যই কেবল ষড়যন্ত্রকারীদের সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে পুনরায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সরকার কায়েম করতে পারে।

জাতীয়

আগামীকাল সোমবার ২৫ জেলায় ১০০ সেতুর উদ্বোধন করবেন – প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামীকাল সোমবার ২৫ জেলায় ১০০ সেতুর উদ্বোধন করবেন – প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেক ধাপ অগ্রগতি হতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল সোমবার খুলে দেওয়া হবে ১০০টি সেতু। সড়ক ও জনপথের নির্মাণ করা এসব সেতু ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া আগামী ২৬ নভেম্বর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দুই টিউববিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ পাশের টিউবের পূর্ত কাজের সমাপনী উদযাপনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।’ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্মিত দেশের ২৫টি জেলায় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নবনির্মিত ১০০টি সেতুর শুভ উদ্বোধন করা হবে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম সড়ক জোনের আওতায় সর্বোচ্চ ৪৫টি, সিলেট জোনে ১৭টি, বরিশাল জোনে ১৪টি, ময়মনসিংহ জোনে ৬টি, ঢাকা জোনে ২টি, কুমিল্লা জোনে ১টি, রাজশাহী, রংপুর এবং গোপালগঞ্জ জোনে ৫টি করে মোট ১০০টি সেতু। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সেতু হলো মানিকগঞ্জের ঘিওর সেতু, শেরপুরের শিমুলতলী ও পোড়াদহ সেতু, খাগড়াছড়ির লোগাং সেতু, সুনামগঞ্জের রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতু, দিনাজপুরের কাহারোল সেতু এবং চট্টগ্রামে কালারপোল ও বরকল সেতু। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেক ধাপ অগ্রগতি হবে।

Scroll to Top