জাতীয়

জাতীয়

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজনীতির ৫০ বছর পূর্তিতে নাগরিক সংবর্ধনা।

হাওয়া টিভি ডেক্স :- সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজনীতির ৫০ বছর পূর্তিতে নাগরিক সংবর্ধনা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীরা নৃত্যে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে ফজলে হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান। শনিবার বিকেল রাজশাহী শিল্পকলা। রাজনৈতিক জীবনের ৫০ বছর পূর্তিতে নাগরিক সংবর্ধনা পেয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী–২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। ৭০ বছর বয়সী ফজলে হোসেনকে সংবর্ধনা জানাতে আজ শনিবার বিকেল রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে করা হয় নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীরা নৃত্যে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে ফজলে হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান। তাঁকে ঘিরে নৃত্যের তালে তালে শিল্পকলার মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে একে একে রাজশাহীর অন্তত ৮০টি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান তাঁকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনী প্রতীক হাতুড়ি তুলে দেন। এরপর রাজশাহীর বিশিষ্টজনেরা বাদশার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক’ অর্থনীতিবিদ সনৎ কুমার সাহা বলেন, ফজলে হোসেন বাদশা তাঁর ছাত্র ছিলেন। নিজের ছাত্র যখন ভবিষ্যতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, দেশের নাম উজ্জ্বল করে; তখন শিক্ষক হিসেবে তা অত্যন্ত গর্বের। তিনি বাদশাকে নিয়ে গর্ব করেন। একই ধারায় টানা ৫০ বছর রাজনীতিতে সক্রিয়তা শক্তিশালী চেতনা ও আদর্শের পরিচয় বহন করে। তাঁর একনিষ্ঠ দেশপ্রেম ও সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মের অনন্য অনুপ্রেরণা। বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে ফজলে হোসেন বাদশাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, রাজশাহীর প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে ফজলে হোসেন বাদশা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শুধু রাজনীতিই নয়, রাজশাহীকে শিক্ষানগরীতে পরিণত করতেও তাঁর অবদান স্মরণীয়। ভাষাসংগ্রামী মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ফজলে হোসেন এখন জাতীয় রাজনীতিক। রাজনীতিতে তাঁর ৫০ বছর শুধু কোনো সংখ্যা নয়, একটি সুদীর্ঘ পরিক্রমা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়নের জন্য ফজলে হোসেন প্রয়োজনে আরও ৫০ বছর রাজনীতি করবেন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আবদুল হাদী বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই ফজলে হোসেন গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাজনীতি করেছেন। কখনো কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ, আবার কখনো আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য লড়াই করেছেন নিরলসভাবে। সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই সেদিন তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিনিময়ে কখনোই কিছু প্রত্যাশা করেননি। চেয়েছেন শুধু একটি সমতাভিত্তিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ, যা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা মনজুর মোরশেদ। সংবর্ধনা উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির বাইরে ফজলে হোসেনের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন আন্দোলনের ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। ফজলে হোসেন ১৯৫২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজশাহী নগরের হড়গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অনার্সসহ অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশ স্বাধীনের পর প্রগতিশীল ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করেন ও ছাত্রদের দাবি আদায়ে বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবন্দী হন। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন। সে বছর ৬ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী নামে নতুন একটি ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। আশির দশকজুড়ে আন্দোলনে থাকা বাদশা ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হন। সর্বশেষ পেয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।

জাতীয়

জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না, মানুষ জেগে উঠেছে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না, মানুষ জেগে উঠেছে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জোর করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তরুণরা জেগে উঠেছে। তাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের লড়াই অস্তিত্বের লড়াই। বেঁচে থাকার লড়াই। ভোটের, ভাতের অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই। এই লড়াইয়ে তরুণদের ইস্পাত কঠিন হয়ে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারেন তরুণরাই। তিনি বলেন, ‘আজকে যে সরকার আছে, তারা নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জোর করে, মানুষকে গুম করে, বন্দুক দিয়ে ক্ষমতায় আছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, মানুষ জেগে ওঠে। মানুষ অধিকার নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’ মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী মানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানেই ছিল। তিনবার নির্বাচন হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তো আওয়ামী লীগই সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছে। সংবিধানকে আওয়ামী লীগই বারবার ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, ‘আজকে চারদিকে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। কমিশন ছাড়া কোনো কাজ হবে না। তারা বলে দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। কারা মধ্যম আয়ের মানুষ হয়েছে? যারা চুরি করেছে, দুর্নীতি করেছে, সরকারের লোক তারা। এর বাইরে সাধারণ মানুষ কিছু পায়নি। তারা বলেছিল বিনা পয়সায় কৃষককে সার দেবে। দিতে পারেনি। এখন টাকার জন্য কৃষক সার কিনতে পারছেন না। কৃষকরা আর কৃষিকাজ করতে চাইছেন না। বাধ্য হয়ে তারা দিনমজুরের কাজ করছেন। কেউ রিকশা-ভ্যান চালাচ্ছেন। শিক্ষিত যুবকরা কাজ পাচ্ছেন না। তারা এখন বাধ্য হয়ে মোটরবাইক চালাচ্ছেন, হকারের কাজ করছেন। আমরা বলছি, ক্ষমতায় গেলে এই তরুণদের ভালো চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে সমাবেশের আগে তিন দিন ধরে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। এই হলো আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। এত ভয় কেন? ভয় হলো, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকে আলেম-ওলামাদের হয়রানি করছে। জেলে ঢুকিয়েছে। গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চার বছর ধরে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে।’ ফখরুল বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগ। ৯৬ সালে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা লগি-বৈঠা নিয়ে মানুষ খুন করেছে। তাদের অবস্থা হলো, আমরা ক্ষমতা ছাড়ব না, তোমরা যে যাই বল আমি সোনার হরিণ চাই। এটা আর হবে না। এটা আর হবে না। মার খেতে খেতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আর পেছনে যেতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছে। আজকে নতুন করে সেই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’ সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য দেন।

জাতীয়

বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়।  

বিলেতের আয়নার ডেক্স :-  বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়।   ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। শনিবার (১২ নভেম্বর) এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। সিআরআইয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত আট বছরে ছয়বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই অ্যাওয়ার্ড। ইয়াং বাংলা জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা। তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, পলিসি ক্যাফেসহ তরুণদের কাছে জনপ্রিয় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে ইয়াং বাংলা। এক লাখের বেশি তরুণকে নিয়ে তৈরি ইয়াং বাংলার নেটওয়ার্ক। ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা করা ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৫০০টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াং বাংলার পথচলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টাই করছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে যেই স্বপ্নের সূচনা করেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পেছনে বড় অবদান রাখেন। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলে, তা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের সময় ডিজিটাল রূপান্তরের সেবা পেয়েছে বাংলাদেশ। টেলিমেডিসিন, ভার্চুয়াল কোর্ট, মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থ সরবরাহসহ ডিজিটাল কার্যক্রমের বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে অর্থনীতি এগিয়ে গেছে।

জাতীয়

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু’র ৭৫তম জন্মদিন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু’র ৭৫তম জন্মদিন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিক হাসানুল হক ইনুর ৭৫তম জন্মদিন । ১২ নভেম্বর মা বেগম হাসনা হেনা ও বাবা এএইচএম কামরুল হকের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে প্রথম সন্তান হাসানুল হক ইনু জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৬ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁয় নিজ নানাবাড়িতে। একটি নীতিনিষ্ঠ শিক্ষিত পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি বেড়ে ওঠেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনার কর্ণফুলি পেপার মিল হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে তিনি ঢাকার নটরডেম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। পরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন প্রকৌশল পড়ার সময় তিনি পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানের একজন অ্যাথলেট ও ঢাকার প্রথম বিভাগের ফুটবল খেলোয়ার হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফাকে স্বাধীনতার এক দফা আন্দোলনে পরিণতি দেয়ার উদ্যোগে যোগদান করেন ছাত্রলীগের একজন সদস্য হিসেবে। ১৯৬৯ সালে গলঅভ্যুত্থান সংঘটনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ও ছাত্রলীগের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। এসময় তিনি পেশা হিসেবে রাজনীতিকে বেছে নেন। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার শহিদ সার্জেন্ট জহুরের স্মরণে ১৯৭০ সালে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের উদ্যোগে ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’র কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে এই ‘ফেব্রয়ারি ১৫ বাহিনী’র নাম পাল্টে ‘জয় বাংলা বাহিনী’ নামকরণ করে; ১৯৭০ সালের ৭ জুন ‘স্বাধীকার দিবস’ পালনকালে তিনি জয় বাংলা বাহিনীর সামরিক কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দিয়ে পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুকে অভিবাদন জানান। ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ঢাকার সাইন্স ল্যাবরেটরি লুটের নেতৃত্ব দেন। স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবসকে নাকচ করে ঘোষিত প্রতিরোধ দিবসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন ও ছাত্রনেতৃবৃন্দকে অভিবাদন জানান। এদিনই প্রথম সারা বাংলাদেশে একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের তান্দুয়ায় বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট বা বিএলএফ বা মুজিব বাহিনীর সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যাম্প ইনচার্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন ও দশ হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দেন । দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে জাতীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি সমাজতান্ত্রিক কৃষি বিপ্লবের কর্মসূচি প্রণয়ন করে কৃষকলীগ সংগঠিত করা ও সারা দেশ ঘুরে মুজিব বাহিনীর সদস্যদের সাথে রাজনৈতিক সাক্ষাত ও যোগাযোগের পর্যায়ে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাসদে যোগদান করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মনোনীত হন। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি ‘বিপ্লবী গণবাহিনী’র উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান, প্রধান হন কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তম। বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে জাসদ-ইউপিপি-জাগমুই-এর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগে যুক্ত হন। কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের সহযোগী হিসেবে তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মহান সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত করেন। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবার পর ২৩ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৬ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জিয়ার প্রহসনমুলক বিচারে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি, হাসানুল হক ইনুকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাজা ভোগ করে ১৯৮০ সালের ১৩ জুন তিনি কারামুক্তি পান। জিয়ার কারাগার থেকে জাসদ নেতাদের মধ্যে সবার শেষে মুক্তি পেয়েই সারাদেশের নেতাকর্মীদের কাছে গিয়ে দেখা করেন ও ইতোমধ্যে জিয়ার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে গঠিত ১০ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে আন্দোলন সংগঠনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখেন১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করলে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন ও আওয়ামী লীগ সহ ১৫ দল গঠনে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৬ সালে জাসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৫ দল ভেঙে গেলে তিনি ৫ দল গঠন করেন। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান সংঘটনে রাজপথের ট্যাকটিক্যাল নির্দেশনা ও ঐক্যের কৌশল প্রণয়নে তিনি অত্যন্ত্য মেধাবী রাজনীতিকের ভূমিকায় আসীন হন। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পরে খালেদা জিয়ার শাসনামলে তিনি বাম গণতান্ত্রিক জোট গটনে নেতৃত্ব দেন। শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধাপরাধ বিচার আন্দোলনে তিনি জাসদকে সক্রিয় ভুমিকায় অবতীর্ণ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ঐক্যবদ্ধ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে জাসদের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ২০০১ সাল থেকে শুরু করে ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলোর জোট ১৪ দল গঠন করতে সক্ষম হন। দেশে ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় তিনি অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে অবস্থান নেন ও জনমত গড়ে তোলেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি কুষ্টিয়া থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ও এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেন। ২০১৩ সালের ৫ মে তিনি বিএনপির সমর্থনপুষ্ট হেফাজতের তাণ্ডবের সমাবেশ আলো-অন্ধকার-শব্দের মাধ্যমে বানচাল করার কৌশল প্রয়োগ করতে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেন। বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির অবসান করতে তিনি ১৪ দলের ঐক্যকে সংহত রাখার পাশাপাশি এবং দলীয়ভাবে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের আন্দোলন এগিয়ে নিতে নিরলস পরিশ্রম করছেন। হাসানুল হক ইনু একজন পরিশীলিত সমাজতান্ত্রিক তাত্ত্বিক হিসেবে, জোট গঠনের কৌশল প্রয়োগে ও রাজপথের আন্দোলনের ট্যাকটিকস প্রণয়নে ও সংসদীয় বিতর্কের একজন মেধাবী রাজনীতিক। তার প্রচুর প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও রাজনিতি বিষয়ক পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশকে ইন্টারনেট অভিগম্যতা সংহত করতে তার রয়েছে ব্যাপকতর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। তার স্ত্রী আফরোজা হক রীনা একজন রাজনীতিক যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার পুত্র একজন প্রকৌশলী। স্ত্রী-পুত্র-নাতি-নাতনি নিয়ে তার এক খানার সংসার।

জাতীয়

আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে নেতাদের হুশিয়ারি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে নেতাদের হুশিয়ারি । সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে । যেসব বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকালে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব সমাবেশে তারা এ হুশিয়ারি বার্তা দেন। তারা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করে, এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে বলে মনে করেন তারা। যুব সমাবেশে বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে। বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বিএনপি যদি আরেকবার ক্ষমতায় আসে সব খাবে। গণতন্ত্র বিলোপ হবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নৌকা আবারও ক্ষমতায় আসবে। মহাসমাবেশে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, যারা সমাবেশে লোকের উপস্থিতি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে গেছেন, মনে করেছেন এতেই ক্ষমতায় চলে আসছেন। তারা আজ দেখেন, আপনাদের বক্তব্য আর দুই-একটা কর্মসূচির ফলে সরকার পড়ে যাবে না। ফুঁ দিলেই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন উড়ে যাবে না। তিনি বলেন, আপনারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করেছেন। অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। শত শত নারীর সম্ভ্রম আপনারা নষ্ট করেছেন। এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই যুবসমাজ ঐক্যবদ্ধ। যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, পাগলে কি না কয়, ছাগলে কি না খায়? ওরা পাগল, ওরা খুনি। তারেক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, খালেদা জিয়াও তো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তারা আবার ভয় দেখায়। বলে, আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না। আওয়ামী লীগ পালানোর দল না। সংগঠনটির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ক্লিন হার্ট অপারেশনের নামে শত শত যুবলীগ নেতাকর্মী হত্যা করেছেন। আজ তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলাদেশে আতঙ্ক ছড়াতে চান। তাদের যথাযথ জবাব দিতে প্রস্তুত এই যুবসমাজ। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘বিএনপি কোনোদিনই সত্যের রাজনীতি করেনি। বিএনপি ১ কোটি ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সবার জন্য উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন সবার জন্য। বিশ্বমন্দা থেকে একমাত্র শেখ হাসিনা মুক্ত করতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে যেভাবে সবাই ভালো ছিলেন সামনের ১৪ মাস সব ভুলে মাঠে থাকতে হবে। নৌকাকে জেতাতে হলে এর বিকল্প নেই।’ এদিকে, শুক্রবার দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার উপস্থিতিতে আনন্দে সেøাগানে সেøাগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থল। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সভামঞ্চে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তারা ক্রেস্ট তুলে দেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ওই সমাবেশ। প্রথমে মঞ্চে ওঠেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ এমপি। তার গানে মাতে পুরো সমাবেশস্থল। গানে গানে আর পতাকা দোলানোর তালে তালে দৃশ্যটি ছিল উপভোগ্য। বিশেষ করে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে ‘তুমি ফিরে এসেছিলে…’ এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে আরেক গান- ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা’ গান বেশ উপভোগ করেছেন যুবরা। এ সময় সবাই মমতাজের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এ সময় উচ্ছ্বসিত দেখা যায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই যুবলীগের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানের ক্রমধারা বর্ণনা ও তার সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠান ছিল অসাধারণ। এশিয়ার বৃহৎ এ যুব সংগঠনের উৎসবমুখর এই আয়োজনে এরই মধ্যে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ যুবক মিলিত হয়েছেন। কেউ লাল-সবুজ এবং কেউ হলুদ রঙের টিশার্ট ও ক্যাপ পরে সেজে এসেছেন। মিছিলে মিছিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে সোওহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হয়েছেন তারা। যুবসমাজের আনন্দঘন এই আয়োজনে আনন্দের অংশীদার হতে যোগ দিয়েছেন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়কদের অন্যতম রিয়াজ ও ফেরদৌস। ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

জাতীয়

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করলেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব, জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী মহাসমাবেশস্থলে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতারা জানান, এ মহাসমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি লোক সমবেত হয়েছেন। অনুষ্ঠান সফল করতে গত এক সপ্তাহ ধরে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আজকের যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তী। সব যুবলীগ নেতাকে আমি অভিনন্দন জানাই। যুবলীগ নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, যেহেতু ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন আর স্যাংশন, আমাদের আমদানি সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে- যুবলীগের নেতারা গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করতে হবে এবং অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবস্থান আছে (অংশ নিয়েছে)। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, অনেকে নাকি আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে দেখবে কী করে? আমরা কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া? সবই তো একই ইতিহাস। হাজার হাজার যুব নেতাদের হত্যা করেছেন। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঞ্চালনা করছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এর আগে, শুক্রবার দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে আসেন। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পেইন্টিং উপহার দেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তারপর যুবলীগের উত্তরীয় পরিয়ে দেন যুবলীগের মহিলা নেত্রীরা। পরে সুবর্ণজয়ন্তী লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়। এদিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।

জাতীয়

যুক্তরাজ‌্য, ক্রয়ডন শহ‌রের কাউন্সিলর ও সা‌বেক মেয়র হুমায়ুন ক‌বি‌রের সা‌থে মতবিনিময় সভা।

বিলেতের আয়না রিপোর্ট :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট  প্রতি‌নি‌ধি যুক্তরাজ‌্য, ক্রয়ডন শহ‌রের কাউন্সিলর ও সা‌বেক মেয়র হুমায়ুন ক‌বি‌রের সা‌থে মতবিনিময় সভা মৌলভীবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ক্রয়ডন শহ‌রের কাউন্সিলর, সা‌বেক মেয়র, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও কমিউনিটি লিডারদের মতবিনিময় হয়েছে। মৌলভীবাজার শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের হলরুমে মতবিনিময় অনু‌ষ্ঠিত হয়। মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার দিন ও দৈনিক মৌলভীবাজার বার্তার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পত্রিকা দু’টির সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক বকশী ইকবাল আহমদ এর সভাপতিত্বে ও মাহমুদুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাজ্যের ক্রয়ডন শহ‌রের কাউন্সিলর ও সাবেক মেয়র হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট সমাজসেবক, ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি লিডার জুবায়ের কবির, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও কমিউনিটি লিডার রাহেনা কবির চৌধুরী, সমাজকর্মী ও কমিউনিটি লিডার হালিমা কবির চৌধুরী, লেখক ও শিক্ষক সাওদা মুমিন। বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ মাহবুব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম উমেদ আলী, সাংবাদিক সৈয়দ মহসীন পারভেজ, নুরুল ইসলাম শেফুল, বকশী মিছবাহ উর রহমান, বিশিষ্ট লেখক ও সমাজসেবক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকবাল, সাংবাদিক তমাল ফেরদৌস দুলাল প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় বক্তারা কমিউনিটি লিডারদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তারা বিদেশেও এদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। দেশের বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্থিক সহযোগিতা করছেন।

জাতীয়

আগামী ২০ নভেম্বর কাতারে পর্দা ওঠবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী ২০ নভেম্বর কাতারে পর্দা ওঠবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে স্টেডিয়াম, হোটেল, রাস্তা-ঘাট সহ বিভিন্ন অবকাঠামো প্রস্তুত করেছে কাতার সরকার। কাতারের রাজধানী দোহার প্রায় ৫৫ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামগুলো। প্রিয় দলকে মাঠে বসে সমর্থন যোগাতে কাতারে আসবে ফুটবলপ্রমীরা। বিশ্বকাপের সময় প্রায় ২০ লাখ মানুষের সমাগম হবে এই শহরে। আর তাই বিশ্বকাপ দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীদের অন্যতম সমস্যা হতে পারে আবাসন। তবে এই সমস্যা মাথায় রেখে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য মালবাহী কন্টেইনারের ছোট ছোট কক্ষ বানিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে কাতার সরকার। এই কন্টেইনারে থাকতে পারবেন বিশ্বকাপ দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীরা। আর এই কন্টেইনারে একদিন থাকতে গুণতে হবে ২০০ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় প্রায় ২১ হাজার টাকা। ৩২ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু হবে ২০ নভেম্বর। স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে পর্দা ওঠবে এবারের বিশ্বকাপের। আর ৮ই ডিসেম্বর লুসাইলের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের বিশ্বকাপের।

জাতীয়

দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছেন ধনীরা – সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছেন ধনীরা – সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আ ফ ম মাহবুবুল হকের স্মরণসভায় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিশিষ্ট লেখক, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দেশ টিকে আছে মেহনতি মানুষের কারণে। অতীতে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিরা এ দেশের ধনসম্পদ লুট করেছে। আর এখন দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছেন ধনীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মাহবুবুল হকের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাসদের আহ্বায়ক কমরেড আ ফ ম মাহবুবুল হকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে ওই স্মরণসভার আয়োজন করেছিল আ ফ ম মাহবুবুল হক স্মৃতি সংসদ। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দেশ টিকে আছে মেহনতি মানুষের কারণে। যেসব শ্রমিক বিদেশের মাটিতে কাজ করেন, যাঁরা গার্মেন্টস শ্রমিক এবং দিনমজুরেরাই এই দেশকে টিকিয়ে রেখেছেন। আর ধনীরা কানাডাসহ উন্নত অনেক দেশে সম্পদ পাচার করে দিচ্ছেন।বেগম পাড়া তৈরী করেছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে অনেক দল, কিন্তু ধারা দুটি। একটি বুর্জোয়া, অন্যটি সমাজতান্ত্রিক। বুর্জোয়ার ধারার রাজনীতির ভুক্তভোগী আমরা। দেশ স্বাধীন হলেও ব্রিটিশ বা পাকিস্তান থেকে ভিন্ন কিছু হয়নি। স্বাধীন হয়েছি ৫০ বছর, কিন্তু উপনিবেশ মানসিকতা থেকে এখনো মুক্তি মেলেনি। এখন আমরা ধনীদের উপনিবেশ। লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সমাজতান্ত্রিকদের কিছু করার আগেই পরাজিত হয়ে যাওয়ার মনোভাব আছে। মাহবুবুলের (কমরেড মাহবুবুল হক) মনে সেটি ছিল না। তাঁর সময়ে তাঁর সামনে সমাজতান্ত্রিকদের দৃষ্টান্ত খুব বেশি ছিল না। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তিনি জয়ী হবেন। বর্তমানে বামপন্থীরা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারে না৷ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। মানুষকে পাশে আনতে পারে না।’ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কমরেড আ ফ ম মাহবুবুল হকের সময়ে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে বেশি মানুষ ছিল না। তখন তিনি একাই আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। অনেক নির্যাতন আর বাধার পরেও মাথা নত করেনি। তবে এত বছরে বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং বাম রাজনীতি যেভাবে যতটুকু অগ্রসর হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। তাঁর কোন দিকে যেতে হবে, সেই পথ স্পষ্ট ছিল। কখনো বিভ্রান্ত হয়নি, বিচ্যুতি হননি। কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম বলেন, এখন অনেক বামের সৃষ্টি হয়েছে। বামপন্থীরা ভাগ হতে হতে প্রান্তিক জায়গায় চলে গেছে। এগুলো আমাদের ভুল। আমরা অনেক ভুল করেছি, তাই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশে অপশাসনের কর্তৃত্ব চলছে। নব্য উদার অর্থনীতির চলছে। দেশের পাঁচ ভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা আর বাকি ৯৫ ভাগের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন দুই রকম। মাহবুবুল হকের স্মৃতিচারণা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তরুণদের, সাধারণ মানুষের সব আবেগ ছিল তাঁকে ঘিরে। ওই আবেগ ছিল বুদ্বুদের মতো। তাঁর পাশে থাকলে কেউ আর আমাকে দেখত না। আজকের বাংলাদেশে যদি তিনি থাকতেন, তাহলে হয়তো অন্য কিছু করতে পারতেন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, মাহবুবুল হক সব সময়ই লড়াইয়ের অগ্রে ছিলেন। কখনো পিছে ছিলেন না। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান । বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার প্রমুখ আলোচনা করেন।

জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করছে সরকার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করছে সরকার। সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের প্রতিষ্ঠানের খরচে বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) অর্থ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি খরচে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল আদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। নতুন এই আদেশের আওতায় যে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হবে তার মধ্যে রয়েছে- সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর কর্পোরেশন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাসমূহ। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সীমিত আকারে বিদেশ ভ্রমণ করা যেতে পারে। এর আগে কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং চলমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। মে মাসে অর্থ মন্ত্রণায় সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার পাশাপাশি সরকারি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

Scroll to Top