জাতীয়

জাতীয়

আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না, এটা নির্ধারিত : আ স ম রব।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না, এটা নির্ধারিত : আ স ম রব। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি (জেএসডি) আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না এটা বক্তৃতা করে বলার দরকার নেই। এটা বাংলাদেশে নির্ধারিত হয়ে গেছে। আমরা এখন আলাপ করছি এর পরের সরকার কী রকমের হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা, হামলা মামলা, দমনপীড়ন, গুলি হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, আজকের ডিসেম্বর হোক বা আগামী ডিসেম্বর হোক। এর চেয়ে বেশি আপনারা আর বাংলাদেশে শাসন করার অবস্থায় নেই। তাই চিন্তা করে কথা বলুন। কাল যখন ক্ষমতায় থাকবেন না তখন কেমন আচরণ আপনি দেখতে চান। আপনি আপনাদের মত নির্বাচন দেখতে চান, আপনাদের মত বিচার ব্যবস্থা দেখতে চান, আওয়ামী লীগের যারা আজকের মত প্রজায় পরিণত হবেন তারা কী এমন বাংলাদেশ দেখতে চান না সুশাসনের বাংলাদেশ চান? সুতরাং ভেবে চিন্তে কথা বলবেন। আব্দুর রব বলেন, আপনারা প্রতিদিন যে পরিমাণ চুরি করেন আরও এক বছর যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে গত পনেরো বছরের চেয়েও বেশি ক্ষতি করবেন। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকার চাই। তবে তারা একটি দলকে বসিয়ে দিবে তারা আবার চালাবে সেটার জন্য আন্দোলন করছি না। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দুটি কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যাবস্থা যেন এরপর থেকে প্রতিটি নির্বাচন যেন নিয়মতান্ত্রিক হয় এবং যে সংবিধানের কারণে আপনারা নিজেদের মন মত দেশ চালান সে সংবিধানের ক্ষমতাকাঠামো বদলাতে হবে। এগুলো করেই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত হবে করবো এ ধরনের বোকা কথার পেছনে ছুটে মানুষ বহু জীবন দিয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রশীদ চৌধুরী, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত।

জাতীয়

আগামীকাল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামীকাল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে এতে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সমাবর্তন উপলক্ষে  গত ১৬ই অক্টোবর থেকেই ক্যাম্পাসের ৭টি পয়েন্টে কালো গাউন আর টুপিসহ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সেগুলো গায়ে জড়িয়ে প্রফুল্ল চিত্তে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্যাম্পাস এলাকা, নিজ নিজ ডিপার্টমেন্ট ঘুরে ঘুরে স্মৃতিচারণ করছেন শিক্ষার্থীরা। অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্য, টিএসসি, ভিসি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে ছবি তুলতেও দেখা যায়। গত দুইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাস সমাবর্তন প্রত্যাশী এসব শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে অংশ নেবেন ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক। এদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া অধিভুক্ত ৭ কলেজের ৭ হাজার ৭৯৬ জন সমাবর্তনে অংশ নেবেন। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের মাঠ থেকে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল। ঢাবি’র শিক্ষার্থী ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমাবর্তনে অংশ নেবেন অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং ঢাবি’র উপাদানকল্পে পরিচালিত অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা এবং দুপুর ১২টায় সমাবর্তন শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর  অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সুন্দর ও সফল সমাবর্তন আয়োজনের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে ভিসি বলেন, সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাবর্তনের আয়োজন এগিয়ে চলছে। এটি খুবই আনন্দের যে এই মুহূর্তে আমরা বেশ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সহকর্মী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষসহ  সবাই এখানে উপস্থিত আছি। অনেক শিক্ষার্থীরাও এখানে রয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো দৃষ্টান্ত। যার মাধ্যমে বুঝতে পারছি আয়োজন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে এবং সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ঘটেছে। এবারের সমাবর্তনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ১৫৩টি স্বর্ণপদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হবে।

জাতীয়

সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকট নাসির উদ্দিন খান

বিলেতের আয়না ডেক্স :-শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকট নাসির উদ্দিন খান সিলেটে কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মী (সাংবাদিক)’দের সাথে মতবিনিময় করলেন সিলেটের নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় সিলেট নগরির একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সিলেটের সকল গণমাধ্যমকর্মী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। এসময় সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান সাংবাদিকদের সাথে কোশল বিনিময় করে সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় তিনি বলেন, জেলা পরিষদের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহনের আগেই আমি আমার প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েই আজকের এই আয়োজন। এসময় তিনি তাঁর ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে এপর্যন্ত তাঁর অগ্রযাত্রায় সিলেটের সাংবাদিকদের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার প্রতি এ অঞ্চলের জনগনের যে প্রত্যাশা রয়েছে তাহা পূরণে আমি কাজ করতে চাই। এসময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর একজন কর্মী হিসেবে আওয়ামীলীগের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে চাই। এক্ষেত্রে তিনি সাংবাদিক সহ সিলেটের সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতাও কামনা করেন। এসময় রাজনৈতি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা বারের পিপি এডভোকেট মোঃ নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক মুকতাবিস উন নুর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ নুর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সামির মাহমুদ, সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ, ইমজা’র সহ-সভাপতি দ্বিগেন সিং ,ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতেন ফয়সল প্রমুখ। পরে সেখানে এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজ আয়োজন করা হয়।

জাতীয়

পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা ও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে স্থলের কাছেই ছাত্রলীগের শোডাউন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা ও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে স্থলের কাছেই ছাত্রলীগের শোডাউন সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশস্থলের পাশে চৌহাট্টা এলাকায় বৃহস্পতিবার মিছিল করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ আর একদিন পরই সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা সিলেটে এসে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণায় কিছুটা অস্বস্তিতে দলটির নেতারা। সড়কে অবৈধ সিএনজি-ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা বন্ধের দাবিতে ১৮ ও ১৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ-সিলেট রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটসহ বিভাগের তিন জেলা- হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার বাস মালিকরা পৃথকভাবে এ ধর্মঘট আহ্বান করেন। ১৯ নভেম্বর সমাবেশকে ঘিরে সিলেটজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নগরজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। পুুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সিলেট নগরী ও আশপাশ এলাকায় যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, মারামারি, সংর্ঘষ, চুরি, ছিনতাই বা জনগণের ক্ষতিসাধন হয় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে নগরজুড়ে রয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা বলয়। কোনোস্থানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা হলেই পুলিশ দ্রুত যাবে অ্যাকশনে। তাছাড়া সিলেট নগরীতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ১৯টি গুরুত্বপূর্ণস্থানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বা তল্লাশি চৌকি। নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ এসব মোড়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা যানবাহনকে সন্দেহ হলেই চালানো হবে তল্লাশি। এমনকি কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট আইনে অথবা মেট্রো আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং পরবর্তীতে অপরাধ অনুযায়ী মামলা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। এদিকে- বিএনপির সমাবেশস্থল সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অনুমতি এখনো দেয়নি পুলিশ। তবে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, মাঠ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের। তাই সিসিক ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টদের লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। তবুও সিলেটের এ গণসমাবেশকে নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সমাবেশকে সামনে রেখে সিলেট বিভাগজুড়ে চলছে মিছিল,সভা-সমাবেশ ও প্রচারপত্র বিলি। ঘাম ঝরানো প্রচেষ্টায় রয়েছেন নেতারা। অঙ্গ-সংগঠনের কোনো নেতাই ঘরে বসে নেই। যে যেভাবে পারছেন গণসমাবেশের প্রচারে অংশ নিয়েছেন। সিলেট বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রচার ভোটের মাঠ থেকেও বেশি। ১৯ নভেম্বর গণসমাবেশের আগেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সমাবেশস্থলে প্রতিদিন ঢুঁমারা, আয়োজনে শরিক হওয়া, রাতে মাঠে অবস্থান করা নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। শনিবার সমাবেশের দিন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। শোডাউন দিয়েছে ছাত্রলীগ। সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের একদিন আগে নগরীতে শোডাউন দিয়েছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির সমাবেশস্থলের পাশে চৌহাট্টা এলাকায় মিছিল করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ। এর আগে খন্ড খন্ড – মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা চৌহাট্টা এলাকায় সমবেত হন। আলিয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়েও কয়েকটি মিছিল যায়। এসময় আলিয়া মাঠে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘাতের আশঙ্কায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এ সময় দলীয় কর্মীদের মাঠের ভেতরে নিয়ে যেতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ৪টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেলযোগে স্লোগান দিতে দিতে চৌহাট্টা থেকে ছাত্রলীগের মিছিল জিন্দাবাজার ঘুরে আবার চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ হয়। এসময় নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে চৌহাট্ট এলাকায় অবস্থান নেন তারা। কাছাকাছি দুইপক্ষের অবস্থানের কারণে চৌহাট্টা এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছু সময় চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থানের পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জিন্দাবাজারের দিকে চলে যেতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজারের দিকে চলে যান।

জাতীয়

শনি ও রবিবার সিলেটে ধর্মঘট।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শনি ও রবিবার সিলেটে ধর্মঘট। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সেখানে প্রায় চার লাখ লোকসমাগমের টার্গেট নিয়েছে দলটি। নেতাকর্মীরাও নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। পাশাপাশি পুরোদমে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। তবে, অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটেও বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন থাকছে পরিবহন ধর্মঘট। শুধু সিলেট জেলাতে নয়, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন এই বিভাগের সব জেলাতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এতে শনিবার সিলেটের চার জেলাতেই চলবে না বাস ও মিনিবাস। সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন-করিমন ও পরীক্ষামূলক (অন-টেস্ট) সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধসহ নানা দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেও হবিগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ভিন্ন একটি কারণে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলোকে যেতে দিচ্ছে না দাবি করে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। এদিকে, সিলেট জেলায় শনিবার ৬টা থেকে পরদিন রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পরিবহন সংগঠনগুলোর দাবি, এই ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা দাবি আদায়ে ধর্মঘট পালন করবে। বিপরীতে বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের গণসমাবেশ বানচাল করতেই সরকারের নির্দেশে এসব ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটের বিষয়ে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বলেন, দাবিগুলো জানিয়ে আমরা কিছু দিন আগে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট পালন করা হবে। ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধর্মঘট ডাকা হয়। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দাবি করেন, বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে পারবে না। যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে। সিলেটের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে। তিনি আরও বলেন, গণসমাবেশগুলোতে আপনারা দেখেছেন মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে, নৌকাযোগে, ছোট ছোট যানবাহনে উপস্থিত হয়েছেন। সর্বত্র মানুষের ঢল নেমেছিল। সব বাধা পেরিয়ে সিলেটেও জনতার ঢল নামবে।  

জাতীয়

বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা নেই – ডব্লিউএফপি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা নেই — ডব্লিউএফপি। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠক করেন ডব্লিউএফপির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি। বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি। তিনি বলেন, তবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশসহ সব দেশকেই আগামী বছর খাদ্য নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের সব দেশকেই গরিব মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে ডমেনিকো স্কালপেল্লির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বৈঠকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই বৈঠকে ডব্লিউএফপির এদেশীয় প্রধান কথাগুলো বলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রীও ডমেনিকো স্কালপেল্লির এ বক্তব্য তুলে ধরেন। আল্লাহর পক্ষ’ থেকে দুর্ভিক্ষ না হওয়ার গ্যারান্টি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী! কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন উৎপাদিত হবে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। সারা দেশ থেকেই আমনের বাম্পার ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমন একটি মূল ফসল। আমরা মনে করেছিলাম, শ্রাবণ মাসে মাত্র এক দিন বৃষ্টি হয়েছে, কৃষকরা হয়তো ধান লাগাতেই পারবেন না। উৎপাদন কমে যাবে। কিন্তু এই প্রতিকূলতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’ মন্ত্রী বলেন, অনেক নিচু এলাকায় অন্য বছর ধান লাগানো যেত না। কারণ, বিল পানিতে ডুবে যায়। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় এই বিলের বা নিচের জমিতেও ধান লাগিয়েছেন অনেকে। সবাই বলছেন যে স্মরণকালে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুমান করছে, পৃথিবীতে একটি খাদ্যসংকট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দূরদর্শী। তিনি আমাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতা করছে। ছয় বছর ধরে রোহিঙ্গাদের জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন, সেটিও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমেই দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন বিএনপি বলছে, শেখ হাসিনা পালানোর রাস্তা পাবেন না। সরকারের কেউ পালাবেন না। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে এবং ইনশাআল্লাহ, জনগণকে নিয়ে রাজনৈতিকভাবেই যত হুমকি আসুক, আমরা সেটা মোকাবিলা করবো।

জাতীয়

সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শক্তিশালী গনতন্ত্র চাই, গনতন্ত্র এক চাকার সাইকেল নয় ।সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি উন্নয়ন, অর্জন এবং বিশ্ব সংস্থাগুলোর প্রশংসাও যেন গণমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে উঠে আসে সে আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা চাই পূর্ণিমার আলোয় যেটা ঝলমল করছে সেটাকে আপনারা আলো হিসেবেই দেখবেন। অমাবস্যার অন্ধকারকে আপনি যদি আলো ভাবেন সেটাতো আলো নয়। আমরা এ কথাটাই বলছি। বুধবার রাতে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটুকু আমাদের প্রাপ্য সেটুকু সম্প্রচার চাই। আমরা বেশি চাই না। আমরা এটা বলি না যে বিরোধী দলের কর্মকাণ্ড সম্প্রচার করবেন না। আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। কারণ গণতন্ত্র তো একচাকার সাইকেল না। বৈশ্বিক সংকটে মানুষকে ভালো রাখতে শেখ হাসিনার সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব সংকটে বাংলাদেশের যে বাস্তবতা, তা মেনে চলছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষ কষ্টে আছে। গরীব মানুষ, অল্পবিত্ত, স্বল্প আয়ের মানুষ সত্যি কষ্টে আছে। এই বিক্ষুদ্ধ মানুষগুলো ধৈর্য্য ধরে আছে। তারা যে কোনো দলের জনসমাগম, ঢল, স্রোত; এসবের সঙ্গে মিশে গেছে তা নয়। ব্রিটেনে কস্ট অব লিভিং এতো বেড়ে গেছে যে ৪০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ব্রিটেনের জনগণ অ্যাকশন চায়, তারা সরকারের পতন চায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে একই অবস্থা।  সেখানে বাইডেনের পদত্যাগ তো কেউ দাবি করে না। একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে আমরা তার মূল্য দিচ্ছি। আমাদের অবস্থান যুদ্ধের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। আমরা এর ভুক্তভোগী। বিএনপির দলেই যেখানে গণতন্ত্র নেই, সেখানে দলটি দেশে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে সে প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমাদের নিয়মিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক, প্রতি মাসে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা হয়। ফখরুল সাহেবের কি মনে আছে তাদের কবে কাউন্সিল হয়েছে? এর মধ্যে আমাদের দুটো হয়ে গেছে। তাকে একটু জিজ্ঞেসা করুন, সম্মেলনটা কবে হয়েছে? কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভা কবে হয়েছে। বিএনপির কোনো আন্দোলনে বাধা দেয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করুক। শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, আমরা কাউন্টার করব না। এখন পর্যন্ত কোনোটার কাউন্টার করি নি। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সম্মেলন করছে। আমরা কাউন্টার প্রোগ্রাম করছি না। আমরা জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আমাদের উপজেলা পর্যন্ত কাউন্সিল করছি। আমাদের ভুল-ত্রুটি ধরতে পারেন, তবে এদেশে আমরাই একমাত্র দল যারা গণতন্ত্রের চর্চা করি। আমাদের ওয়ার্ড থেকে জেলায় নিয়মিত সম্মেলন হচ্ছে। এ সময় সরকারে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি সরকারের শাসনামলে জঙ্গিবাদের উত্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। এ সময় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কৌশলগত কারণে অনেক ধরনের ঐক্য আঁতাত এদেশে হয়। আমাদের বিরুদ্ধে একটা জোট হচ্ছে। আমাদেরও এখানে একটা জোট করতে হবে। এখন আপনি যদি বলেন একেবারে ডিভাইসি হয়ে যাও, পোলারাইজড হয়ে যাও; তাহলে তো চলতে পারবো না। তাহলে ৯৬ তে আমরা জয়ী হতাম না। সভায় স্বাগত বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক চিন্তা করতে সহায়তা করে, গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে পারে। আবার গণমাধ্যম যদি চেষ্টা করে, সমাজে ভুল বার্তাও দিতে পারে। পৃথিবীর কোনো সরকার দাবি করতে পারবে না শতভাগ নির্ভুল কাজ করেছে অথবা করবে। আমাদেরও ভুল ত্রুটি আছে। সেই ভুল ত্রুটিগুলোকে যদি অনেক বড় করে দেখানো হয়, অর্জনগুলোকে যদি ছোট করে দেখানো হয়; তাহলে সমাজে সঠিক চিত্র প্রস্ফুটিত হয় না। আমরা গণমাধ্যমের সহায়তা চাই। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ব। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

গরিবদের থেকে এনজিও কোম্পানি গুলো বেশি সুদ নিচ্ছে

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গরিবদের থেকে এনজিও কোম্পানি গুলো বেশি সুদ নিচ্ছে – বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) দেশের গরিব মানুষদের কাছ থেকে বেশি সুদ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ই-সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এনজিওগুলোর এসব কাজ ‘নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য’ নয় জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘সেবা করার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি। তবে কেন এত উচ্চ চার্জ নেওয়া হচ্ছে? গরিবরা বেশি সুদ দিচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে হবে।’ এনজিওগুলোকে লাভের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দিয়ে গভর্নর বলেন, সুদ হার কমানোর বিকল্প নেই। সারা দেশে বতর্মানে এমআরএ নিবন্ধিত ৮৮১টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৭৪৭টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২২ হাজার শাখার মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এনজিওগুলোর ঋণ আদায়ের হার ৯৮ ভাগের বেশি। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিসেবার আওতায় রয়েছে। পরিবার প্রতি গড়ে চারজন ধরা হলে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ অর্থাৎ দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষুদ্রঋণে সম্পৃক্ত। এনজিওগুলোর জোট ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) তথ্যমতে, গ্রামীণ অর্থায়নের প্রায় ৭৩ শতাংশ জোগান আসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষি এবং ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ হয় ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে। জিডিপিতে ক্ষুদ্রঋণের অবদান ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

জাতীয়

ওসমানী নগরে প্রচারপত্র বিতরণ কালে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদী লীনা গাড়িতে হামলা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ওসমানী নগরে প্রচারপত্র বিতরণ কালে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদী লীনা গাড়িতে হামলা। সিলেটের ওসমানীনগরে প্রচারপত্র বিতরণকালে নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর পত্নী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদী লুনার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ১৯ নভেম্বরের সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রচারপত্র বিতরণকালে তিনি পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় বিএনপির দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, ১৯ নভেম্বরের সিলেট বিভাগী সমাবেশ সফল করার জন্য আজ মঙ্গলবার বিকেলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওসমানীনগরে প্রচারপত্র বিতরণ করতে আসেন ইলিয়াস পত্নী লুনা। এ সময় শেরপুর থেকে দয়ামীর পর্যন্ত পুলিশ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের বাধার মুখে পড়লে কর্মসূচি প্রায় শেষ হয়ে যায়। গোয়ালাবাজার এলাকায় লুনার গাড়িতে হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইলিয়াস পত্নী লুনা। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিছবাহ ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রুপ আব্দুল আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রচারপত্র বিতরণকালে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমদ মিলন, উমরপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নুরুল ইসলামকে আটক করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। এদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে গোয়ালাবাজারে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া। বিএনপির হামলায় যুবলীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। জাবেদ আহমদ আম্বিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী পালন করতে গোয়ালাবাজার এলাকায় কেক কাটছিল যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হামলা করলে আমাদের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়। ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, পূর্ব নির্ধারিত প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি চলাকালে গোয়ালাবাজার এলাকায় পুলিশ এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে আমার ব্যবহৃত গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পুলিশ এখন উল্টো বলছে আমরা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছি। ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দেওয়া হলে মামলা নেওয়া হবে বলে জানান

জাতীয়

বিশ্বে জনসংখ্যা ৮০০ কোটি, অষ্টম বাংলাদেশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বে জনসংখ্যা ৮০০ কোটি, অষ্টম বাংলাদেশ। পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। জনসংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়ায়। পরিসংখ্যাবিষয়ক ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, বিকাল ৩টার দিকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল ৮০০ কোটি ৮ হাজার জন। ১৬ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৯২৩ জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টমে। তালিকায় শীর্ষে চীন। সেখানে মোট জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬০ জন। চীনের পর যথাক্রমে রয়েছে ভারত (১৪১ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ১২০), যুক্তরাষ্ট্র (৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭১), ইন্দোনেশিয়া (২৮ কোটি ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৪৮), পাকিস্তান (২৩ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪০০), নাইজেরিয়া (২১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৭) ও ব্রাজিল (২১ কোটি ৬১ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৪)। এ ছাড়াও নবম ও দশম অবস্থানে রাশিয়া (১৪ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬) ও মেক্সিকো (১৩ কোটি ২২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৪)। বর্তমানে উচ্চ জন্ম ও মৃত্যুহার থেকে নিম্ন জন্ম ও মৃত্যুহারে ধাবিত হচ্ছে বিশ্ব। পরিবার পরিকল্পনা, ধারাবাহিকভাবে আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, পুষ্টি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, ওষুধ, সচেতনতা, শিক্ষার হারসহ নানা ক্ষেত্র এমন পরিস্থিতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যদিও কিছু কিছু দেশে উচ্চ ও একই ধরনের প্রজননহার এখনো বিদ্যমান। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৮০৪ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ১ বিলিয়ন। ১ বিলিয়ন থেকে ২ বিলিয়নে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১২৩ বছর। ১৯৫০ সালে ছিল ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন, যা দ্বিগুণে পৌঁছায় ১৯৮৭ সালে ৫ বিলিয়নে। তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার ছিল। ২০১০ সালের ৭ বিলিয়ন জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নে সময় নিয়েছে মাত্র ১২ বছর। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াদি-সংক্রান্ত জনসংখ্যা বিভাগের ‘বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা ২০২২’ অনুযায়ী, বিশ্ব জনসংখ্যা এখন থেকে ১৫ বছর পর ২০৩৭ সালে হবে ৯ বিলিয়ন, যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাসের প্রবণতা লক্ষ করা যাবে। বাংলাদেশের অবস্থান : বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হলেও ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে দশম, বিশ্বের জনসংখ্যার বিচারে যা প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ। জনসংখ্যার আকার মোটেও কম নয়। দেশের জনঘনত্বের বিচারে বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বাধিক জনঘনত্বের একটি দেশ। বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ১ হাজার ৩১৫ জনেরও বেশি, যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এটি ২০৫০ সালে হবে ১ হাজার ৫৬৬ জন। জনঘনত্বের সঙ্গে গুণগত জীবনের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে যেকোনো পরিকল্পনায় উচ্চ জনঘনত্বের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের মতে, জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক যুগান্তকারী এ সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে নাইরোবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব প্রতিশ্রুতি ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনকালের মধ্যেই তিন শূন্য লক্ষ্যমাত্রা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে। এগুলো হলো : শূন্য মাতৃ মৃত্যুহার, পরিবার-পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অপূর্ণ চাহিদা শূন্যতে আনা এবং যৌন ও জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন দূরীকরণ ও বাল্যবিবাহ শূন্যতে নিয়ে আসা। অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার উন্নয়নে রয়েছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। করোনা মহামারির আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যুহার, মোট প্রজননহার হ্রাস, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বৃদ্ধি ও আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেলেও এসব অগ্রগতির পাশাপাশি মহামারি-উত্তর নতুন ও উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ কিংবা অসম উন্নয়নও লক্ষণীয়। সর্বাধিক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী নিয়ে প্রথম জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনের সুযোগের সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। যুবগোষ্ঠী ও দ্রুত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। এখানে বেকারত্বের হারে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি, বরং বেড়েছে। দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। নগরজীবনে উদ্ভূত হচ্ছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। জলবায়ুর পরিবর্তন বা পরিবেশগত (প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙন, বন্যাসহ) বিভিন্ন কারণে শহরে স্থানান্তরিত হচ্ছে মানুষ।

Scroll to Top