জাতীয়

আন্তর্জাতিক, জাতীয়

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথীর মোহাম্মদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন এবং জামানত বাজেয়াপ্ত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথীর মোহাম্মদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন এবং জামানত বাজেয়াপ্ত। মালয়েশিয়ার বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হেরে গেছেন। এটি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের প্রথম নির্বাচনী পরাজয়। আর এর মাধ্যমে তার সাত দশকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অবসান ঘটতে পারে। তিনি কেবল পরাজিতই হননি, জামানত পর্যন্ত খুইয়েছেন। মাহাথির (৯৭) প্রায় দুই যুগ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এবার তিনি লঙ্কাভি আইল্যান্ডে তার আসনটি রক্ষা করতে সক্ষম হননি। পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনি চতুর্থ হয়েছেন। এই আসনে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিনের পেরিকাতান অ্যালায়েন্সের প্রার্থী মোহাম্মদ সুহাইমি আবদুল্লাহ জয়ী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে মাহাথিরের জোট দুর্নীতিগ্রস্ত বারিসান ন্যাশনাল সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি ও তার জোট সাড়া জাগাতে পারেননি। আলজাজিরার ফ্লোরেন্স লুই কুয়ালামপুর থেকে বলেন, ‘বড় বিস্ময়কর ঘটনা হলো, মাহাথির কেবল হারেননি, তিনি হেরেছেন ভয়াবহ বিপর্যয়রভাবে।’ তিনি বলেন, ‘তিনি কেবল তার আসনে হারেননি, তার জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি কাস্ট হওয়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগও পাননি। তার দলও একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি।’ এবারের নির্বাচনে তিনি হোমল্যান্ড ফাইটার্স পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। অর্ধ শত বছরের মধ্যে এটি ছিল ৯৭ বছর বয়স্ক মাহাথিরের প্রথম নির্বাচনী পরাজয়। তিনি ১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন। ২০১৮ সালে তিনি তার ৯৩তম জন্মদিনের মাত্র দুই মাস আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মতে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী’ হন।

জাতীয়

২ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ২ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার। আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি সদস্যকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহছান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ রবিবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে এসে পুলিশের চোখে স্প্রে করে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজত খানায় নেওয়ার সময় চার আসামির মধ্যে দুজনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবের নাম রয়েছে। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত এবং ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট, জঙ্গিদের খুঁজছে।

জাতীয়

দুই জঙ্গি কোট থেকে পলাতক। ২০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দুই জঙ্গি কোট থেকে পলাতক। ২০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার। ঢাকার নিম্ন আদালতে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। পুলিশ সদর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। আজ রোববার দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন লোক এসে পুলিশের চোখে স্প্রে করে ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি হলেন- মইনুল ও আবু সাইদ। তারা জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। এদিকে ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ২ জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি ওই দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন এবং ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি। তাদের গ্রেপ্তারে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য বিশেষ তহবিল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জন্য বিশেষ তহবিল। যেসব দরিদ্র দেশ বিভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা করার জন্য একটি বিশেষ তহবিল তৈরিতে সম্মত হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। রবিবার (২০ নভেম্বর) সকালে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। এর আগে শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে মিসরের শার্ম-আল-শেখে প্রেসিডেন্ট সামি শৌকরি চুক্তি সইয়ের ঘোষণায় সম্মেলন কক্ষ করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে। খবর বিবিসির। রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতভর আলোচনার পর কপ-২৭ কর্তৃপক্ষ চুক্তির একটি খসড়া প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে তারা এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেরও ঘোষণা দিয়েছে; যেখানে জাতিসংঘ সম্মেলনে আলোচনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে। এই অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে মেটাতে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এই তহবিলের বিষয়ে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আগামী বছর পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়েছে। সেসময় একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি’ দেশগুলোর জন্য কিছু সুপারিশ দেবে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৮ সম্মেলনে আলোচিত হবে। এই সুপারিশগুলোর মধ্যে থাকবে ‘তহবিলের উৎস চিহ্নিত করা ও একে সম্প্রসারণ করা’, যার মাধ্যমে জানা যাবে কোন কোন দেশ এই তহবিল তৈরি করতে মূল ভূমিকা রাখবে। এদিকে, বিবিসি লিখেছে, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ টার্মটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে সহায়তায় একটি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার দিকেই ইঙ্গিত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখায় শতকের পর শতক ক্ষতিপূরণ টানতে হতে পারেÑ এই ভয় থেকেই ধনী দেশগুলো ৩০ বছর ধরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বাধা দিয়ে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা, নাইজেরিয়া ও অন্যত্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়, শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুটি মিসরের সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।  

জাতীয়

সারাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) ৫০টি শিল্প ইউনিট, প্রকল্প ও স্থাপনা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সারাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) ৫০টি শিল্প ইউনিট, প্রকল্প ও স্থাপনা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রোববার সকালে গণভবন থেকে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়ালি ইজেডগুলোতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ৫০টি শিল্প স্থাপনার মধ্যে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) চারটি কারখানা এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন ইজেডে আটটি কারখানা খোলা হয়েছে। এই শিল্প ইউনিটগুলো ইতোমধ্যেই ডলার ৯৬৭.৭৩ মিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং প্রায় ডলার ৩৩১.২৭ মিলিয়নের আরও বিনিয়োগ করবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইজেড-এ ২৯টি শিল্প ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যেগুলো এখন পর্যন্ত ৬১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং আর ১,৯২২.৩৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিএসএমএসএন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট ইজেড এবং সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন করা হয়। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএমএসএন-এ ২০-কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০-কেভিএ গ্রিডলাইন এবং সাবস্টেশন উদ্বোধন করেন এবং প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার (এমএলডি) ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পানি শোধনাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চট্টগ্রামে বিএসএমএসএন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। অনুষ্ঠানে বেজার উন্নয়ন কর্মকা-ের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।  

জাতীয়

৪৭ বছর পর জাসদের চার নেতার কবর আজিমপুর থেকে নেত্রকোনায় স্থানান্তর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৪৭ বছর পর জাসদের চার নেতার কবর আজিমপুর থেকে নেত্রকোনায় স্থানান্তর। নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার কাজলা গ্রামে জাসদের চার নেতার কবর স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার সেখানে চার নেতাকে পুনঃসমাহিত করার পর শ্রদ্ধা জানান জাসদের নেতারা। রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থান থেকে জাসদের চার নেতার কবর নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কাজলা গ্রামে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই চার নেতা হলেন বাহার, বাচ্চু, মাসুদ ও হারুণ। ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তাঁরা নিহত হয়েছিলেন। জাসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, এই চার নেতাকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ তাহেরের কবরের পাশে আজ পুনরায় দাফন করা হয়েছে। পরে জাসদ ও ওই চার নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সেখানে সমবেত জাসদ নেতা-কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় জনতার সামনে বক্তব্য দেন কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের, কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই জাসদ নেতা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লা, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহহিল কাইয়ূম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শফিকুল ইসলাম। এ সময় কর্নেল তাহেরের ছোট বোন জুলিয়া আহমেদ, বড় ভাই সার্জেন্ট আবু ইউসুফের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ, ছোট ভাই আবু সাঈদ আহমেদের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার, নিহত বাচ্চুর বড় ভাই মীর আনোয়ারুল ইসলাম, ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সৈয়দ বাহারুল হাসান, জাসদ ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রতন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

সময় থাকতে আওয়ামী লীগকে শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নেওয়ার আহ্বান- ভিপি নুরের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সময় থাকতে আওয়ামী লীগকে শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নেওয়ার আহ্বান- ভিপি নুরের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সময় থাকতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা করে ক্ষমতা হস্তান্তর ও শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নুরুল হক নুর। অন্যথায় জনগণের রোষানলের মধ্য দিয়ে শ্রীলংকা, মিশরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসকরা যেভাবে বিদায় নিচ্ছে আপনাদের পরিণতিও তাই হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা। তিনি আরও বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনে অন্যায়ভাবে যদি পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে কোন থানায় নিয়ে যায় এলাকাবাসী-গ্রামবাসীকে নিয়ে থানা ঘেরাও করা হবে। শনিবার দুপুরে আয়োজিত গণঅধিকার পরিষদের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। নগরীর আমতলা মোর একটি কনভেনশন হলে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়। তবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় বাইরে একটি ট্রাকের উপরে অস্থায়ী মঞ্চ করে সেখানে বক্তব্য রাখেন নুরুল হক নুর। বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার সমন্বয়কারি বিপ্লব কুমার পোদ্দারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল জায়ের, মাহবুবুর রহমান খান, সহকারি সদস্য সচিব বাইজিদ হোসেন সাহেদসহ অন্যান্যরা। এসময় ভিপি নুর আরো বলেন, প্রশাসন এখন কিছুটা ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা এমনি এমনি যায়নি, ২ মাস আগে কিন্তু এইভাবে সভা-সমাবেশ করা যায়নি। যখন বিদেশি অ্যাম্বাসেডর বলছেন তারা পৃথিবীর কোনো দেশে শোনেনি পুলিশ প্রশাসন ছাত্রলীগ-যুবলীগ সরকারি দল আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখে। এখন আগামীতে তারা একটা অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। এখন সরকার টেনশনে পড়ে গেছে।যে কারণে বিএনপিরকে বিভাগীয় সমাবেশ করতে এমনি এমনি দিচ্ছে না। তারা (আওয়ামী লীগ) খুব চাপে আছে। ১৪ এবং ১৮ সালের মত বিনাভোটের নির্বাচন ডাকাতি, বাটপারি নির্বাচন এই বাংলাদেশ এই সরকার আর করতে পারবে না বলে হুশিয়ারী দেন নুরুল হক নুর।

জাতীয়

সিলেট বিভাগীয় মহা সমাবেশ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট বিভাগীয় মহা সমাবেশ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- দেশের মানুষ এখন আর শান্তিতে নেই। নতুন করে তেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মানুষ খুব কষ্টে আছে। সরকার দেশে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। গত ১৪ বছর ধরে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে শেখ হাসিনার সরকার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এই সরকারের বিচার হবে জনতার আদালতে। মানুষের অধিকার হরণ করার জন্য এই বিচার হবে। এদের ছাড়া হবে না। আজ বিকালে সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপি’র বিভাগীয় গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী। এতে বক্তৃতা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রমুখ। মির্জা ফখরুল বলেন, ইলিয়াস আমাদের মাঝে নেই। সে বেঁচে আছে কিনা, বেঁচে থাকলে কোথায় আছে আমরা জানি না। কিন্তু ইলিয়াস আলীর স্ত্রী দমে থাকেননি। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে লড়াইয়ে আছেন। তিনি বলেন-নতুন করে সরকার মামলা মামলা খেলা করছে। হঠাৎ করে মামলা দিচ্ছে। সরকার আবারো মিথ্যা মামলা করে অনেককেই কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন- ‘সুদের টাকা দেয়ার সামর্থ বর্তমান কোষাগারে নেই। আজ গণতন্ত্র গুম হয়ে গেছে ইলিয়াস আলীর মতো। আমরা গণতন্ত্রের সঙ্গে এম ইলিয়াস আলীকে খুঁজছি। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশী তাকে দেবো- আমরা সেই আন্দোলনই করছি। আজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্য দেশে আছেন। তিনি কী সাধ করে আছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকির কারণে দেশে আসছেন না। তাকে বেআইনীভাবে গ্রেপ্তার করে কোমরের হাড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন- ‘১০ই ডিসেম্বর যাক তারপর খেলায় নামবো আমরা। এই সরকার জনগণের নয়। এ কারণে সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। সাহস থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচন করুন। দেখবেন কী হয়।

জাতীয়

বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আগামীকাল ১৯ নভেম্বর শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।’ সমাবর্তন উপলক্ষ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্নাতক ছাত্র-ছাত্রী, তাদের পিতা-মাতা, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে এ উপমহাদেশে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না- এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত বহু আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, ’৫২ এর জাতির ভাষাভিত্তিক স্বাতন্ত্র্য চেতনা রক্ষার ভাষা আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ’৬৬ এর ছয় দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্বশাসন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। জাতির পিতার আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাঁদের অনেকে শহিদ হয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর হতে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সংশ্লেষ ঘটিয়ে এই মহীরূহ বিদ্যায়তন সমগ্র দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের বিগত প্রায় ১৪ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে শিক্ষাখাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’ তিনি বলেন, সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে বিভিন্ন হল ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ১৭টি নতুন বিভাগ, ৩টি ইনস্টিটিউট ও ২২টি গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যে কোন সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করি, জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করুক। তিনি গৌরবদীপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

জাতীয়

অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের উদ্যোগে সিলেট স্টেশন ক্লাবে লিভার রোগ বিষয়ক সচেতনতামুলক অনুষ্ঠান

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ‌হিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতি‌নি‌ধি অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের উদ্যোগে সিলেট স্টেশন ক্লাবে লিভার রোগ বিষয়ক সচেতনতামুলক অনুষ্ঠান সিলেটে ঐতিহ্যবাহী সিলেট স্টেশন ক্লাবে হেপাটাইটিস বি সংক্রান্ত একটি সচেতনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে সহযোগিতা করেন রোটারী ক্লাব অব ঢাকা জেনারেশন নেক্সট, ই রোটারী ক্লাব ৩২৮২ এবং জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট। অনুষ্ঠানে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন জালালাবাদ লিভার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)। অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল তার বক্তব্যে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার নানা দিক সম্বন্ধে আলোকপাত করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে লিভার চিকিৎসায় সাম্প্রতিক গবেষনা এবং অগ্রগতির বিষয়েও অবহিত করেন। অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল জানান যে তার যৌথভাবে উদ্ভাবিত হেপাটাইটিস বি’র নতুন ওষুধ ন্যাসভ্যাক আগামী বছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বাজারে চলে আসবে। তিনি আরো জানান যে লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় স্টেম সেল থেরাপী এবং লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসায় ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেশন এবং ইমিনিউনথেরাপীর মতন অত্যাধুনিক চিকিৎসাগুলো তার তত্বাবধানে বাংলাদেশে তো বটেই, এমনকি সিলেটেও এখন নিয়মিত করা হচ্ছে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ ও ন্যাসভ্যাকের অন্যতম আবিস্কারক জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবরও অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে রোটারী ক্লাব অব ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১’এর হেপাটাইটিস বি এলিমেনেশন ক্যাম্পেইন সম্ভন্ধে অবিহিত করেন রোটারী ক্লাব অব ঢাকা জেনারেশন নেক্সটের প্রেসিডেন্ট রোটারীয়ান পর্না সাহা। রোটারীয়ান পর্না তার বক্তব্যে এসডিজি গোল ৩.৩ অর্জন অর্থাৎ হেপাটাইটিস বি নির্মূলে রোটারীর এই উদ্যেগে সবার, বিশেষ করে সিলেটের রোটারীয়ানদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন এবং তার রোটারী ড্রিস্টিক্টের পক্ষ থেকে সিলেটের রোটারীয়ানদের শুভেচ্ছা পৌছে দেন। সিলেট স্টেশন ক্লাবের সভাপতি এডভোকেট নুরুদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে সন্মনিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতের মান্যবর সহকারী হাই কমিশনার শ্রী নিরাজ কুমার জাইসওয়াল। সহকারী হাই কমিশনার মহোদয় তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে ভারতের অকৃতিম বন্ধু হিসেবে আখ্যাায়িত করে জানান যে, তার দেশ স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব গিয়ে থাকে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সামনের দিনগুলোতে এই সহযোগিতা অব্যহত থাকবে এবং এই দুই প্রতিবেশি ভাতৃপ্রতিম দেশের সম্পর্ক একটি অন্য উচ্চতায় উন্নিত হবে। উল্লেখ্য অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের প্রতিষ্ঠিত জালালাবাদ লিভার ট্রাস্ট, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে নানাধরনের কল্যানমুখি কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। ট্রাস্টটির উদ্যোগে এরই মধ্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাটিজ, জাতীয় ইমাম সমিতি, ইমাম প্রশিক্ষন একাডেমি, নারায়ন হৃদালয় ভারত ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় সিলেটে নিয়মিতভাবে এ ধরনের সচেতনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। সিভিল সোসাইটি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে ট্রাস্টের এই ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলো এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ডের পরিধি আরো বাড়ানোর লক্ষ্য ট্রাস্টের রয়েছে। সিলেটে সাম্প্রতিক বন্যার সময়ে ট্রাস্টের উদ্যোগে সিলেট মহানগরের বহু জায়গায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়েছিল। এছাড়াও বন্যা পরবর্তী সময় সিলেট মহানগর, ফেঞ্চুগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জে ট্রাস্টের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এসব ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে হাজার হাজার সিলেটবাসী উপকৃত হয়েছিলেন।

Scroll to Top