জাতীয়

জাতীয়

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পাটগ্রামে প্রস্থতি সভা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রশিদুল ইসলাম (প্রতিনিধি) লালমনিরহাট বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পাটগ্রামে প্রস্থতি সভা ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে পাটগ্রাম উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজেলার কর্মচারী কর্মকর্তাদের কে নিয়ে আলোচনা সভা উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, এবং পাটগ্রাম উপজেলা ৬নং সেক্টর মুক্ত দিবস উদযাপন ও পহেলা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন সহ সকল বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়, সকলের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমনের সভাপতিত্বে এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুহুল আমিন বাবুল চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, মোফাজ্জল হোসেন লিপু ভাইস চেয়ারম্যান পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, সাবেক কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইস এম সালাউজ্জামান সাবেক কমান্ডার পাটগ্রাম উপজেলা,,বাবু পূর্ণচন্দ্র রায়, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাটগ্রাম উপজেলা শাখা,ও সাংবাদিক সহ সকল স্তরের কর্মচারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত

জাতীয়

কর্মসৃজন প্রকল্প কাজের উদ্বোধন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রশিদুল ইসলাম পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি কর্মসৃজন প্রকল্প কাজের উদ্বোধন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলাধীন ৮টি ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ১ম পর্যায়ে কাজের উদ্বোধন করা হয়। সোমবার সকালে বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত কর্মসূচির ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করা হয়। পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বাবু পুর্ন চন্দ্র রায়, বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাবিউল হক মিরন। এসময় ওই ইউনিয়নের উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশ।পাশের হার ৮৭.৪৪।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশ।পাশের হার ৮৭.৪৪। চলতি বছরের মাধ্যমিকপ স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে এবার পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছর এসএসসিতে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে প্রধানমন্ত্রী ফল ঘোষণা করেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসএসসিতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৮৮ শতাংশ, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ, কুমিল্লা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯১.২৮ শতাংশ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯০.০৩ শতাংশ, যশোরে ৯৫.১৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯.৬১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮১.১৬ শতাংশ, সিলেট ৭৮.৮২ শতাংশ, কারিগরি ৮৯.৫৫ শতাংশ, মাদ্রাসা ৮২.২২ শতাংশ। এছাড়া এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ শিক্ষার্থী। তবে ৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি।

জাতীয়

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ঘানার দুর্দান্ত জয়।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ঘানার দুর্দান্ত জয়। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত জয়ে মাঠ ছাড়লো ঘানা। এর মাধ্যমে নিজেদের ভালোভাবেই টিকিয়ে রাখলো বিশ্বকাপের মঞ্চে আফ্রিকার এই দেশটি। এর আগে প্রথমার্ধে কোরিয়ার জালে ২ গোল দেয়ার পর মনে হয়েছিল ঘানা ম্যাচটি সহজেই নিজেদের করে নিতে পারবে। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ কোরিয়া তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ জমিয়ে তুলেছিল ম্যাচটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরো এক গোল খেয়ে ঘানার সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেল এশিয়ার দলটি।

জাতীয়

টাংগাইল মধুপুরে খরগোশ পালন করে স্বাবলম্বী নারীর

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জুয়েল রানা, টাঙ্গাইল টাংগাইল মধুপুরে খরগোশ পালন করে স্বাবলম্বী নারীর টাঙ্গাইলের মধুপুরে অর্ধশত হতদরিদ্র নারী সংসারের কাজের পাশাপাশি খরগোশ পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর, মালির বাজার, ভুটিয়া, ভবানীটেকী, গ্রামের অনেক বাড়িতেই নারীরা খরগোশ পালন করছেন। খরগোশ পালনে লাভের মুখ দেখছেন বেশির ভাগ নারী। এতে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন উদ্যমী প্রান্তিক নারীরা। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে ব্যাণিজ্যিকভাবে খরগোশ পালন করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উল্লেখিত গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আনারস, পেঁপে, আদা, হলুদ, কচু, সরিষা, ধান, পাট, আলু, কলা, সবজি এই গ্রামের মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল। এক সময় এই গ্রামের নারীরা হাঁস-মুরগি এবং গরু-ছাগল পালন করতেন। এখন এসবের পাশাপাশি খরগোশ পালনে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। পিরোজপুর গ্রামের প্রায় নারীরাই রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫-২০টি করে খরগোশ।খরগোশ চাষি নারীরা জানান, প্রতিটি মা খরগোশ ৪-৮টি পর্যন্ত বাচ্চা দিয়ে থাকে। বাড়িতে পাইকাররা এসে নগদ দামে কিনে নেন। নারীরা সকালে নিজেদের বাড়ির কাজ শেষে মাঠে গিয়ে ঘাস কেটে এনে খরগোশদের খাবার দেন। খরগোশ পালনের জন্য আলাদা ঘর প্রয়োজন। এ জন্য কাঠের ফালি দিয়ে বাক্স বানিয়ে তিনদিকে কাঠের বেড়া দিতে হয়। সামনের দিকে জালের নেট দিয়ে দরজা বানিয়ে খরগোশ পালন করা হয়। এতে সামনের দিক দিয়ে আলো-বাতাস ঢুকে ও ময়লা পরিষ্কার করতে সহজ হয়। দিনে তিনবার খাবার দিতে হয়। রাতের বেলায় খাবার না দিলেও চলে। এই খরগোশ থাকার ঘর বা টং পরিষ্কার করতে হয় প্রতিদিন। খরগোসের খাবারের মধ্যে ঘাস অন্যতম। ঘাসের পাশাপাশি ভাত ও ধানের কুড়া মিশিয়ে খাবার দিতে হয়। ছোট বাচ্চাগুলোকে আলাদা রাখতে হয়। যাতে বড় খরগোশের চাপে বা আঘাতে না মারা যায়।প্রথমদিকে বাচ্চাদের প্রতিদিন ৪-৫ বার দুধ খাওয়াতে হয়। বাচ্চা দেখতে অনেকটাই ইঁদুরের মতো। ২০-২৫ দিনের মধ্যে বাচ্চা বিক্রি করা যায়। প্রতিটি বাচ্চা পাইকারী ৮০ -১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। শীতকালে দাম কিছুটা কম থাকে।খরগোশ পালনকারী কয়েকজন নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পিরোজপুর গ্রামের আজিরন বেগম বর্তমানে ১৫টি বড় খরগোশ পালন করছেন। প্রতি মাসে তিনি ১৫-২০টি করে বাচ্চা বিক্রি করেন। এতে তার প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। আর এই আয় দিয়ে তিনি তার কাপড়, নাতি-নাতিনদের পড়াশোনার খরচ চালান। এখন তার আর বাড়তি অর্থের জন্য চিন্তা করতে হয় না। মালির বাজারের নুরজাহান বেগমের (৫৫) রয়েছে ১৬টি বড় মা খরগোশ। প্রতি মাসে খরগোশ বিক্রি করে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আসে তার। নিজের খরচ মিটানোর পাশাপাশি সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় না। ফরিদা বেগম (৪০) খরগোশ পালন করে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছেন। বাড়িতে থাকার ঘর দিয়েছেন। স্বামীকে প্রতি মাসে ৩-৪ হাজার টাকা করে সাহায্য করেন। এভাবে শুধু আজিরন, নাজমা, নুরজাহান , ফরিদাই নন, ঐসব গ্রামের অর্ধশত নারী এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে পাইকার কম থাকার কারণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা অথবা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন- এমনটাই জানালেন ঐসকল গ্রামের নারীরা।

জাতীয়

আজ ২৭ নভেম্বর, শহীদ ডা. মিলন দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ২৭ নভেম্বর, শহীদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার-বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয় এবং ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি শহীদ ডা. মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ডা. মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় দলটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চারিত করে। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। অপর দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্যদিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। ১৯৯০ সালে ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডা. মিলনসহ সব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ডা. শামসুল আলম খান মিলন পেশাগত সততা, দক্ষতা ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতায় ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি তৎকালীন বিএমএ’র নির্বাচিত যুগ্ম-সম্পাদক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও কলেজের বায়োকেমিস্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ছিলেন প্রিয়জন ও প্রিয়মুখ।

জাতীয়

সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু। পাঁচ বছর পরিত্যক্ত থাকার পর সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হচ্ছে সোমবার। এদিন সকাল থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। রবিবার সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য কারিগরি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে কাল সকাল থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, এ কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা যাবে। সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে বর্তমানে দৈনিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ হচ্ছে।

জাতীয়

ব্যয় সংকোচের কারণে আপাততঃ পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত স্হগিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ব্যয় সংকোচের কারণে আপাততঃ পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত স্হগিত। ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে নতুন দু’টি বিভাগ পদ্মা ও মেঘনা গঠনের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রবিবার অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিকার সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন যেহেতু আমরা সাশ্রয় করছি, এখন দু’টো বিভাগ করতে গেলে অনেক খরচ হবে, এ কারণে আপাতত এটাকে স্থগিত করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকা বিভাগ থেকে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ীকে আলাদা করে গঠন করার কথা ছিল পদ্মা বিভাগ। আর চট্টগ্রাম বিভাগকে ছেঁটে ফেলে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর নিয়ে গঠন করার কথা ছিল মেঘনা বিভাগ।

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু টানেলে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে: শেখ হাসিনা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইয়ামিন হুসাইন, ঢাকা বঙ্গবন্ধু টানেলে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বলসহ অর্থনীতি গতিশীল হবে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টানেলের একটি টিউবের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সরকার প্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে গ্রহণ করে। অথচ আমাদের আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা এ দেশের উন্নয়ন চায়নি। যার ফলে দেশটা এগোতে পারেনি। গত ১৪ বছরে এ দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজটিই করেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি করেছি। এতে অনেক উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি। কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছি, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা যে পারি তা দেখিয়ে দিয়েছি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করেছি। এটা চট্টগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিন সাহেবেরও দাবি ছিল। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রামের গুরুত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্বে বাড়াবে বাংলাদেশের মর্যাদা। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় নানা পরামর্শ তুলে ধরে দেশের সমুদ্র সম্পদ আরোহণসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার কেন্দ্রীক আরো কিছু মেগা প্রকল্পের ভাবনা তুলে ধরেন।

জাতীয়

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারওয়ার-ই-আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আনোয়ার ইব্রাহিম। ওইদিন বিকেলে রাজধানী কুয়ালালামপুরে আস্তানা নেগারা রাজপ্রাসাদে রাজা আল সুলতান আব্দুল্লাহর কাছে শপথ নেন ৭৫ বছর বয়সী পাকাতান হারাপান জোটের নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম। শপথ নেওয়ার পর প্রথম টুইট বার্তায় আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, দলের ইচ্ছে ও বিবেকের তাগিদে তিনি এই গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার ১৫তম সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পার্লামেন্টের ২২২ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য ১১২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয় বড় দুই জোট পাকাতান হারাপান ও পেরিকাতান ন্যাশনাল। এরপরই অবশ্য মালয়েশিয়ার রাজা আল-সুলতান আব্দুল্লাহ জানিয়েছিলেন, খুব শিগগির নিজের পছন্দসই ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন তিনি। সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় ব্যর্থ হওয়ার পর এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজার হস্তক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেলেন আনোয়ার ইব্রাহিম। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু কোনো জোট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ও সরকার গঠনের বিষয়ে হস্তপেক্ষপ করেন রাজা। যদিও এর আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রধান জোট আনোয়ার ইব্রাহিমের পাকাতান হারাপান কোয়ালিশন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনের পেরিকাতান ন্যাশনাল জোট ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের বারিসান ন্যাশনাল কোয়ালিশন নিজেদের মধ্যে আলোচনা বসেছিল। তবে ক্ষমতাসীন বারিসান ন্যাশনাল কোয়ালিশন সরকার গঠনে অন্য দুই জোটের একটিকেও সমর্থন দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এরপরই রাজা নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। মালয়েশিয়ার সংসদের মোট আসন সংখ্যা ২২২টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করতে হলে বিজয়ী দল বা জোটকে অন্তত ১১২টি আসনে জয়ী হতে হয়। এবারের নির্বাচনে প্রধান তিন জোটের মধ্যে আনোয়ার ইব্রাহিমের পাকাতান হারাপান কোয়ালিশন ৮২টি, মুহিদ্দিন ইয়াসিনের পেরিকাতান ন্যাশনাল জোট ৭৩টি এবং ইসমাইল ইয়াকোবের বারিসান ন্যাশনাল কোয়ালিশন ৩০টি আসনে জয়লাভ করে।

Scroll to Top