জাতীয়

জাতীয়

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। আজ অবধি দাবি গুলো বাস্তবায়ন হয়নি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। আজ অবধি দাবি গুলো বাস্তবায়ন হয়নি । পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৫ বছর আজ, ২ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে। চুক্তিতে সরকার পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা ওরফে সন্তু লার্মা দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে। খুন, অত্যাচার-অবিচার, ভূমি জবরদখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তিচুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এক বিবৃতিতে বলেছে, সব বাধা অপসারণ করে দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রশাসনের একটি শক্তিশালী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ধরনের জনবিরোধী ও চুক্তিবিরোধী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিবৃত্তি বলা হয়, ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির ২৫ বছরের মাথায় এসেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি। চুক্তির কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। চুক্তি বাস্তবায়নে তারা ৮টি দাবি পেশ করেন সরকারের কাছে।

জাতীয়

বিশ্বব্যাংক থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বব্যাংক থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে প্রতি ডলার ১০২ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। আজ শুক্রবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। যা পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। প্রচলিত ঋণের শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। পাশাপাশি নগরায়ণের ফলে দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। দূষণ শুধু যে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে তা নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষমতাও নষ্ট করছে। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই প্রকল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের পরিবেশ সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করবে।’

জাতীয়

আওয়ামী দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। -সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। -সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। দিনক্ষণ দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানো যায় না উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগামীতে কে ক্ষমতায় আসবেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটা নিয়ে আলোচনার সময় এখন নয়। দেশের জনগণ আজ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। তাই যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে সরকার পতনের গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সরকার পতনই এখন মূল লক্ষ্য। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির উদ্যোগে এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই গণসমাবেশ হয়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, এই সরকার দেশ চালাতে পারছে না। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। জনগণ অর্থনীতির একটা স্থিতিশীল অবস্থা চায়। সেজন্য এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। নুর বলেন, হেফাজতের মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে সরকার বিএনপিকে নয়াপল্টনের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো আবদ্ধ জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এটা বিএনপির জন্য ভালো হবে না। সরকারের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, বেহেশতের কথা বলে সরকার দেশকে দোযখে পরিণত করেছে। উন্নয়নের কথা বলে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে এসেছে। লুটপাট করে দেশকে ফাঁকা করে ফেলেছে। তাই দুর্ভিক্ষের আগে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। গণঅধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান ও সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, হাসান আল মামুন, ফারুক হাসান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাবিবুর রহমান, ব্যারিস্টার জিসান মহসিনসহ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

জাতীয়

এস আলম গ্রুপ: এক ইসলামী ব্যাংক থেকেই নিয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা!

বিলেতের আয়না ডেক্স :- এস আলম গ্রুপ: এক ইসলামী ব্যাংক থেকেই নিয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা! নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী ব্যাংক থেকেই ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ তুলে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। যদিও বিধি অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২১৫ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকের পর্ষদে নিজেদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এস আলম বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে এসব ঋণ তুলে নিয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসে এসেছে। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলো থেকে এস আলম গ্রুপ ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো প্রায় এক লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ সরানো হয়েছে ইসলামী ব্যাংক থেকে, যা এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নজিরবিহীন হারে ঋণ তুলে নেওয়া হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে নিয়ন্ত্রকরাই বেআইনি ঋণ প্রদানের পথ করে দিয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে সীমার বাইরে ঋণ বিতরণের বিষয়টি মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ সিঙ্গাপুরে বসবাস করেন। তার মালিকানাধীন গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশের অনেকগুলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। একটি ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষক দল ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় এস আলম গ্রুপের দেনা ৬ হাজার কোটি টাকা শ্রেণিভিক্ত বা ক্লাসিফায়েড ঋণ হিসেবে প্রদর্শনের পরামর্শ দেন। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে ওইসব ঋণকে নন-ক্লাসিফায়েড হিসেবে দেখানো হয়। সরকার ইসলামী ব্যাংক থেকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সরানোর উদ্যোগ নিলে ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। দেশের আরও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে রয়েছে- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো এক অজ্ঞাত কারণে নিজেদের কর্মকর্তাদের এসব ব্যাংকে স্বাধীনভাবে পরিদর্শন কাজ চালানোর সুযোগ দেয়নি। ব্যাংকগুলোতে পরিদর্শনের প্রতিবেদনও অনুমোদন করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে নিজেদের ছয়টি কোম্পানির নামে ১২ হাজার ১২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এর মধ্যে এস আলম রিফাইনড সুগার ৪ হাজার কোটি টাকা, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা, সোনালী ট্রেডিং লিমিটেড ও এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা, এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা ও সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিল ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর বাইরে এস আলম গ্রুপের অপর সাতটি কোম্পানি আরামিট লিমিটেড, ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিং, ইউনিটেক্স এলপিজি, এইচআইপি, সানমুন এন্টারপ্রাইজ ও আদিল এন্টারপ্রাইজকে যথাযথ সিকিউরিটি ও ডকুমেন্টেশন ছাড়াই ২ ৮৯০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেনে বলা হয়, খাতুনগঞ্জ শাখার বাইরে অন্যত্র নেওয়া ঋণের তথ্য গোপন করে সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদ ও পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এসব ঋণসীমা অনুমোদন করেছে। এছাড়া নির্বাহী ও পরিচালনা পর্ষদের আনুষ্ঠানিক ছাড়াই সীমার বাইরে উপরোক্ত সাত কোম্পানির নামে অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, একটি সংঘবদ্ধ টিমের মাধ্যমে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে খাতুনগঞ্জ শাখার প্রধান রয়েছেন। ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি উইং (আইসিটিডব্লিউ) এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, যেসব কোম্পানির নামে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে, তার বেশিরভাগটাই এস আলম গ্রুপ ব্যবহার করেনি। কেননা এত ছোট আকারের কোম্পানিতে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ সিকিউরিটি ও দলিলপত্র ছাড়াই একটিমাত্র পক্ষকে এত বিপুল পরিমাণ ঋণ দিয়ে ইসলামী ব্যাংক নিজেকে এবং দেশের পুরো ব্যাংকিং খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম দেখভালের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি স্বতন্ত্র বিভাগ রয়েছে। অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে অনিয়ত খতিয়ে দেখা হয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

জাতীয়

যুক্তরাজ্যে বাংলা দেশের নারীদের ভিসা ও বৃত্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যে বাংলা দেশের নারীদের ভিসা ও বৃত্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। ব্রিটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমদের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের নারীদের ভিসা ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক বৃত্তি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নবগঠিত সরকারের স্টুডেন্ট ভিসা কমানোর পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর ফলে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মেয়েদের চাকরির অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে যৌথ অনুষ্ঠান আয়োজনের আশা ব্যক্ত করেন। বৈঠকে লর্ড তারিক আহমদ তার বক্তব্যে বাংলাদেশের নারীদের ভিসা ও বৃত্তি  বাড়ানোর আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার লন্ডনে কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতে প্রতিমন্ত্রী রানী এলিজাবেথের মৃত্যুতে আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানান  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানীর রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে যোগদান করেন। প্রতিমন্ত্রী ব্রিটেনের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সুসম্পর্ককে আরো অধিক উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত “প্রিভেন্টিং সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট ইনিশিয়েটিভ কনফারেন্স (পিএসভিআই) ২০২২”- এ যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন।

জাতীয়

টাংগাইল মধুপুরে গাড়ি ভর্তি গরু চোর আটক

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জি এম হানজালা, টাংগাইল টাংগাইল মধুপুরে গাড়ি ভর্তি গরু চোর আটক টাংগাইল মধুপুর জামালপুর থেকে গাড়ি ভর্তি গরু নিয়ে, মধুপুর আউশনারা ইউনিয়ন শালবাইদ বাজারে দোকানপাট দেখাশোনা করে। তখন গাড়ি ভর্তি গরু নিয়ে আসার পথে শালবাইদ ৪:৩০ মিনিটে স্থানীয় লোকেদের হাতে ধরা পড়ে। জানা যায় গরু চোর জয় তেতুল গ্রামে আব্দুল খালেকের ছেলে মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন মকবুলের মেয়ের জামাই বাড়ি গোপালপুর, আর দুই জন বাড়ি সিরাজগঞ্জ, গরু চোরদের সাথে জড়িত থাকার মানুষ বুঝতে পেরে তাদেরকে আটক করে। শাইলবাইদ গ্রামের লোকেরা বলে চোরগুলো বাড়ি জামালপুর। স্থানীয় লোকেরা প্রশাসন কে বলে সঠিকভাবে গরু মালিক কে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এবং মধুপুর থানার পুলিশ তারা হেফাজত রয়েছে। গ্রামের লোকেরা বলে তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়

জাতীয়

Nstallation of 100 Tubewell by One Ummah Charity UK

Bileter aaina Dex :- Shahidul Islam Representative Nstallation of 100 Tubewell by One Ummah Charity UK One Ummah have successfully carried out a project which will provide fresh water to four large areas of sylhet district of Bangladesh. 100 fresh water wells have been built in Golap gonj, South Surma, Zaki Gonj, and renga haji gonj Mogla Bazar. These wells were much needed and will change the lives of the people living in these areas.

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত ৭১ লাখ বাংলাদেশী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত ৭১ লাখ বাংলাদেশী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বছর ৭১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচও এর তথ্যমতে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা এক কোটি ৩৩ লাখে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ই-লার্নিং হাইব্রিড ইভেন্টে এ তথ্য তুলে ধরে ডব্লিউএইচও। ডব্লিউএইচও বলছে, ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের তিনটি বড় জনস্রোত প্রত্যক্ষ করেছে। বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের চিকিৎসা চাহিদা রয়েছে এবং কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে তাদের রাখা হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের এ ইভেন্টে নীতিনির্ধারক, জাতিসংঘের অংশীদার সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজের সদস্য এবং গ্লোবাল স্কুলের স্টেকহোল্ডাররা সক্ষমতা-নির্মাণের মূল উপাদানগুলোকে তুলে ধরার জন্য জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নের মধ্যে একজন অভিবাসী, ২৮ কোটি ১০ লাখ আন্তর্জাতিক অভিবাসী এবং কয়েক মিলিয়ন ব্যক্তি রাষ্ট্রহীন। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন, দ্বন্দ্ব, বাণিজ্য এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করছে। ইভেন্টের আলোচনায় অংশ নিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস বলেন, অভিবাসন, বাস্তুচ্যুতি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীদের এই সমস্যাগুলো অতিক্রম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শরণার্থী ও অভিবাসীদের আরও ভালোভাবে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা তৈরির জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল স্কুল অন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট হেলথ। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের জন্য মানবাধিকার এমন একটি অধিকার যা সর্বত্র সকল মানুষের, বিশেষ করে উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীদের জন্য প্রসারিত। বাংলাদেশ কেবল তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগই দেয়নি বরং সম্প্রতি কোভিড-১৯ টিকা দিয়েছে। তাদের সামাজিক, পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং আইনি দুর্বলতাগুলো মোকাবিলার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টাও চালিয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক ডা. সান্তিনো সেভেরোনি বলেন, সকল দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত গ্লোবাল স্কুলের লক্ষ্য হলো নীতি নির্ধারক, স্বাস্থ্য সেক্টর ম্যানেজার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গবেষক, বেসরকারি সংস্থা, যুব প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরাও অংশগ্রহণ করেন।

জাতীয়

জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আগামী ৩রা জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা নেই। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৪ঠা অক্টোবর জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা এবং দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০শে অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

জাতীয়

২৬ শর্তে বিএনপি কে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে 

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ২৬ শর্তে বিএনপি কে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে  ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ২৬ শর্তে বিএনপিকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারবে দলটি। আজ মঙ্গলবার ডিএমপির উপকমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) আব্দুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক স্বারকে এই তথ্য জানানো হয়। এটি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পাঠানো হয়েছে। ডিএমপির স্মারকে বলা হয়েছে, ‘২০ নভেম্বর আবেদনের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীতে গণ-সমাবেশ করলে যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে বিধায় উক্ত স্থানের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৬ শর্তে যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হলো।’

Scroll to Top