জাতীয়

জাতীয়

ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্থান করে নেন ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী তাহমীদ

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্থান করে নেন ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী তাহমীদ দীর্ঘ ১৭ বছর পর গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগে অভাব পূরণ হয়েছে। অভিভাবকহীন ছাত্রলীগে অভিভাবকের শূন্য স্থান পূরণ হয়েছে। সেই সাথে পূরন হয় গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি। ছাত্রলীগের কমিটিতে তাজুল ইসলাম ’কে সভাপতি ও মান্না আহমদকেসাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্থান করে নেন ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী তাহমীদ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের প্রতি তৎক্ষনাৎ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী তাহমীদ উল্লেখ্য, গত (২৬ নভেম্বর) পৌরসভা সংলগ্ন মাঠে উপজেলা, পৌর ও ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ

জাতীয়

সিলেটে বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ’র উদ্যোগে অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি মেমোরিয়াল ট্রাস্টর পক্ষে শীতবস্ত্র দান

বিলেতের  আয়না ডেক্স :- উৎফল বড়ুয়া, সিলেট সিলেটে বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ’র উদ্যোগে অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি মেমোরিয়াল ট্রাস্টর পক্ষে শীতবস্ত্র দান বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ উদ্যোগে দেশজুড়ে বিস্তৃত ২১ টি জেলায় শীতবস্ত্র দান কর্মসূচি বাস্তবায়নে অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর অর্থায়নে সিলেটে ৩ ডিসেম্বর (শনিবার) মহান বিজয়ের মাসে বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটের শাহপরান থানাধীন শাহীঈদগাহস্থ দলদলি চা বাগান এলাকায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল এর সভাপতি উৎফল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রানা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’র রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, এডভোকেট বুলবুল আহন্মেদ চৌধুরী, দলদলি চা বাগান সভাপতি মিন্টু দাশ সিলেট চট্টগ্রাম ফেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, অংশুপ্রু মারমা, ইঞ্জিনির পলাশ বড়ুয়া, দিলু বড়ুয়া, শেলু বড়ুয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন বরুন বড়ুয়া, অপরাজিত বড়ুয়া অহন, অর্নিতা বড়ুয়া, সীমান্ত বড়ুয়া জয়, সেতু বড়ুয়া সহ পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপস্থিত ছিলেন । লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনালের প্রাক্তন জেলা গভর্নর ও কনফিডেন্স সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়ার একমাত্র পুত্র সন্তান অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনির ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গত ২৪ নভেম্বর। অনুষ্ঠানে লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়ার নিজ গ্রাম মহামুনির পাহাড়তলীতে অসহায় শীতার্তদের জন্য বাবৌযুপ–এর কর্মকর্তাদের কাছে ২৩০ টি কম্বল হস্তান্তর করেন। লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া থেকে প্রাপ্ত কম্বলসমূহ তাঁর পিতা সাবেক পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য (এমএলএ) অ্যাডভোকেট ফণী ভূষণ বড়ুয়া, মাতা তটিনী বড়ুয়া ও অকাল প্রয়াত সন্তান অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি স্মরণে দেশজুড়ে বিস্তৃত বাবৌযুপ এর ২১ টি কর্মসূচি সম্পাদন কেন্দ্রে (অঞ্চল/শাখা) এর ব্যবস্থাপনায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়। অনিরুদ্ধ বড়ুয়া অনি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’র শীতবস্ত্র দান কর্মসূচি অংশ হিসেবে সিলেটের জন্য শীতবস্ত্র গ্রহন করে সিলেটে পাঠান বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদের দেশজুড়ে শীতবস্ত্র দান কর্মসূচি কমিটির সচিব সুমন বড়ুয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা তপন কুমার বড়ুয়া, জাতীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক সরোজ বড়ুয়া, প্রেসিডিয়াম মেম্বার প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি রোটারিয়ান সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, সাধারণ সম্পাদক সুমন বড়ুয়া বাপ্পি, সহ সাধারণ সম্পাদক সাগর বড়ুয়া ববি, অর্থ সম্পাদক তুষার বড়ুয়া প্রমুখ।

জাতীয়

মিরাজ-মোস্তাফিজের দৃঢ়তায় রুদ্ধশ্বাস জয় টাইগারদের

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মিরাজ-মোস্তাফিজের দৃঢ়তায় রুদ্ধশ্বাস জয় টাইগারদের ভারতের দেওয়া সহজ লক্ষ্য মাত্র ১৮৭ রান টপকাতে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয় টাইগারদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একসময় ভীষণ চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজের দৃঢ়তায় ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে রইলো টাইগাররা। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৪১.৫ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে ভারত। জবাবে ৪৬ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ৩৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন মিরাজ ও ১০ রানে মোস্তাফিজ। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। তারকা অলরাউন্ডারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন এবাদত হোসাইন। দু’জনের বোলিং তাণ্ডবে খোলস ছেড়ে বের হতে পারেনি ভারত। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী দলকে ১৮৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি লিটন বাহিনীও। শুরুতেই উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশ ১৩৬ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে হারের আশঙ্কায়। তবে এমন অবস্থাতেও হাল ছাড়লেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। এই টাইগারের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিয়ে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। জয়ের সঙ্গে গড়ে শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জুটি তাদের ।

জাতীয়

জনসভার আড়ালে জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়া হবে ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জনসভার আড়ালে জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়া হবে । একটি জনসভার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে পারবে না : ইনু রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে এত কথাবার্তা বলার কোনো কারণ দেখছেন না জাসদ সভাপতি হাসানুল ইনু। তিনি বলেন, ‘একটি জনসভার মাধ্যমে সরকার উল্টে যায় না।’ আজ রোববার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার মিরপুরের হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে ‘বিজয়ের পঞ্চাশ বছর, বাঙালির অর্জন, ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, এই সময়ে অর্থনৈতিক সংকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সংবিধান রক্ষা, সঠিক সময়ে নির্বাচন ও যে কোনো মূল্যে রাজাকার, জামায়াত-জঙ্গি গোষ্ঠীকে ক্ষমতার বাইরে রাখা। নির্বাচন বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা নয়, তাদের এজেন্ডা হলো সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা আর এর আড়ালে কৌশলে জামায়াত, রাজাকার জঙ্গিদের পুনরুজ্জীবিত করা। এর জন্য তারা সংকট মোকাবিলায় কোনো প্রস্তাব না দিয়ে সংবিধান উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে। এটা বিপদ সংকেত। এ রকম পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তিকে এটার মোকাবিলা করতে হবে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর হালসা আদর্শ কলেজ মিলনায়তনে অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় ইনু ছাড়াও বক্তব্য দেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী প্রমুখ।

জাতীয়

চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে জনসভা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে জনসভা। বিএনপি’র রাজনীতি হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করা,জ্বালাও পোড়া করা। দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসমুদ্রে ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, আপনারা কেমন আছেন, সবাই কি ভালো আছেন, আপনাদের জন্য আমার মন কাঁদে। প্রায় ৪০ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মাটিতে আবার যেন কোনো যুদ্ধপরাধী ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য আপনারা আমার কাছে ওয়াদা করুন। আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করুন। আমরা ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি করি আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশে বোমাবাজি-সন্ত্রাস করে, লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে। বিএনপি-জামায়াত যাতে আবার ক্ষমতায় এসে দেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে তার জন্য আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যারা ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর জন্য গেছেন তাদের কেউ টাকা না নিয়ে ফেরত আসেনি। বিএনপি গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, ওরা মিথ্যা বলে। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুজবে কান দেবেন না, আগে দেখুন বিষয়টা সত্যি কিনা। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিশাল এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. হাসান মাহমুদ, আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ জেলার নেতারা বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বছর পর আপনাদের এখানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ, আক্তারুজজ্জামান বাবু, মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ অনেক গুণী মানুষ আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছেন। তাদের প্রতি রইল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা। ১৯৮৮ সালে এ চট্টগ্রামে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি যখন মিছিল সহকারে লালদীঘি ময়দানে যাচ্ছিলাম তখন আমাকে হত্যা করার জন্য এরশাদ সরকারের খুনি রকিবুল হুদার নির্দেশে গুলি চালানো হয়। হত্যা করা হয় ৩০ জনকে। তখন এখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসে অনেক নিরীহ সেনা, বিমানবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেকে জিয়াউর রহমানের সময় প্রাণ হারিয়েছে। তাদের হাতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কেউ রেহাই পায়নি। জামায়াত-শিবির সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যায় এদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে, মুছে ফেলা হয়েছে জয় বাংলা স্লোগানও। আমরা ক্ষমতায় এসে সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে এনেছি। বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এদেশের যুব সমাজ জানতেন না। ৭১ এর ১০ ডিসেম্বর যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে রাজাকার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিনসহ অনেকে। এ ১০ ডিসেম্বর তাদের অনেক পছন্দ। তাই আগামী ১০ ডিসেম্বরে তারা সমাবেশ ডেকেছে ঢাকায়। পাকিস্তানিদের পদলেহন করে বলে দলটি এই তারিখে আবারও কোনো হত্যা, লুটতরাজের পরিকল্পনা করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বিএনপি দেশে হত্যা, সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে। তাদের সময় ৩ হাজার মানুষ পঙ্গু হয়েছে, ৫০০ মানুষ নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছে। সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি পুড়িয়েছে। বিএনপির দুটি গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন। ৯৬ সালে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ নিয়ে ক্ষমতা নিয়েছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করে দেয়। পরে আমরা রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছি। করোনাকালে পৃথিবীর খারাপ অবস্থার মধ্যে দেশকে খারাপ হতে দেইনি। পৃথিবীর কোনো দেশ বিনা পয়সায় টিকা দেয়নি, আমরা দিয়েছি। কৃষক, ব্যবসায়ীসহ অনেককে প্রণোদনা দিয়েছি। করোনার সময় যেখানে ইউরোপের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে ছিল সে সময় আমাদের দেশের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। এখনো ইউরোপের অনেক দেশের মানুষ একবেলা খাবার খেয়ে চলেছে, সেখানে আমরা অনেক ভালো আছি। তিনি বলেন, আমাদের অনেক কিছু সাশ্রয় করতে হবে। বিদ্যুতের কষ্ট ছিল সামনে আর থাকবে না। জ্বালানি সাশ্রয়ে আমাদের নজর দিতে হবে। দেশের মানুষকে খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে। যেখানে যা কিছুই উৎপাদন হোক তা করতে হবে। দেশের এক ইঞ্চি জায়গায়ও খালি রাখা যাবে না। চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মহাজোট সরকার চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন করেছে, সামনে আরো করবে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে, বে টার্মিনাল হবে। ১৩০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এরই মধ্যে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ গেছে। ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইন হচ্ছে। মাতারবাড়ী, বাঁশখালীতে পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। সমুদ্র সীমানা উদ্ধার করেছি। চট্টগ্রামবাসী উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যত দূরেই থাকি না কেন, আপনারাই আমার আপনজন। আপনারাই আমার পরিবার। আপনারাই আমার আশ্রয়। নৌকায় ভোট দিয়ে আবার আমাকে জয়যুক্ত করুন। জামায়াত-বিএনপি সরকার যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। ভোর হতে পলোগ্রাউন্ড মাঠের উদ্দেশে নেতাকর্মীদের ঢল। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে ভোর হতে নেতাকর্মীরা মাঠের দিকে আসতে শুরু করে। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষের স্লোগানের মুখরিত হয়ে উঠে চট্টগ্রামের সড়ক। হাতে পোস্টার ও ব্যানার, মুখে স্লোগান দিয়ে সবার যাত্রাপথ একটাই পলোগ্রাউন্ড মাঠ। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যরা নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছেন। বাস, ট্রাক, মোটর সাইকেলযোগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন জনসভায় আসা শুরু করে। বেলা ১১টার মধ্যে নগরীর রাস্তাগুলো মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়ে যায়। মাঠে প্রবেশ করতে না পেরে বেশিরভাগই আশপাশের রাস্তাগুলোতে অবস্থান নেয়। সকাল থেকে মহানগরীতে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর প্রায় প্রতিটি রাস্তা হরেকরকম গেঞ্জি ও টুপি পরা নেতাকর্মীদের দখলে চলে যায়। পলোগ্রাউন্ড থেকে চারপাশের প্রায় দুই থেকে তিন মাইল দূর থেকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে লোকজন জড়ো হয়। ৩০০ মাইক ও বড় পর্দায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার। লাখ লাখ মানুষের ঢল মাঠে প্রবেশ করতে না পেরে আশপাশ থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ শুনেছেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ পলোগ্রাউন্ড মাঠের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হয় ৩০০ মাইক। নগরীর টাইগার পাস, দেওয়ানহাট, সিআরবি, কদমতলী, চৌমুহনী, কাজীর দেউরি, ওয়াসা, লালখান বাজার মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মানুষ শুনেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। ১৩টি বড় পর্দায় সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। এক আওয়ামী কর্মীর মৃত্যু : চট্টগ্রামের জনসভায় যাওয়ার পথে চন্দনাইশ আওয়ামী লীগের এক আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যু ঘটে। চন্দনাইশ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে জহিরুল আলম বাচা নামের এ কর্মী পলোগ্রাউন্ডে আসছিলেন। আসার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। নিহত বাচা চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের অধিবাসী বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক, জাতীয়

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে পোলান্ড কে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে ফ্রান্স।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে পোলান্ড কে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে ফ্রান্স। পোল্যান্ডকে বিদায় করে শেষ আটে ফ্রান্স পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। ম্যাচের প্রথমার্ধে অলিভার জিরুদের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আরও দুটি গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে এক গোল করে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে পোল্যান্ড। দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে ৩-১ গোলের এই জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে ফেলল ফ্রান্স।

জাতীয়

শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি,শৃঙ্খলা সমৃদ্ধি প্রয়োজন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মাহমুদুর রহমান শানুর  শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি,শৃঙ্খলা সমৃদ্ধি প্রয়োজন। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি চুক্তির ২৫ বছর। চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছিল।পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ মুল্যায়ন করবে কতটা নিরাপদ। কতটাশান্তি ফিরে এসেছে। সেখানে কি কি সমস্যা রয়েছে। কতটুকু করণীয় রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ রাআ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এসেছিল।গুরুত্বের বিচারে এটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তির ফলে তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা শৃঙ্খলা যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। অনেক রাস্তা ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়,মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির গীর্জাসহ সামাজিক অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল।পর্যটন শিল্পের ও প্রসার লাভ করেছ।এসব কর্মকাণ্ডের ফলে অর্থ নৈতিক ভাবে তিন পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নের অগ্রগতি হয়েছে । অর্থনীতির চাকা ও অগ্রসর ভুমিকা রেখেছে। কিন্তু ২৫ বছরে ও তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসে নাই। কিন্তু এলাকা ভিত্তিক বা আঞ্চলিক সংগঠনের কারণে। তাদের মধ্যে হানাহানি রক্তক্ষয়ী দ্বিধা দ্বন্দ্বের কারণে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে থাকে। অস্হিতিশীল পরিস্থিতি মূল কারণ রাজনৈতিক সংকটের স্হায়ী সমাধান না হওয়া ও ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়া। প্রতিটি মুহূর্ত চাঁদাবাজী,খুন খারাবি, মাদক ব্যবসা, খুন অপহরন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা জন্য সরকার কে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু ২৫ বছরে ও তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আশানুরূপ কোন অগ্রগতি হয়নি। ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আর জনসংহতি সমিতির পক্ষে স্বাক্ষর করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লার্মা।তিন পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা শান্তি শৃঙ্খলা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব নয়। আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ক্ষুধা দারিদ্র্য দূরীকরণ করতে হবে। সুখী সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। শান্তি চুক্তির পূর্বে দীর্ঘ ২১বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ খুন হয়েছে। তা কখনো পুরণ হওয়া সম্ভব নয়। তিন পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ৭২টি ধারা ছিল। তাঁর মধ্যে ৪৮ টি সম্পূর্ণ ভাবে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। ১৫ টি আবার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। ৯ টি ধারা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা গেছে। পাহাড়ের মানুষ অত্যন্ত অমায়িক, শান্তিপ্রিয়, সহজ সরল জীবন যাপন করে থাকে। চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ের সমস্যার সমাধান কঠিনতর হয়ে উঠবে। এই চুক্তির ফলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার ও পেয়েছিলেন।এটা বৃথা দেওয়া যায় না। তিন পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তেক্ষেপ দরকার।

জাতীয়

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে (৫০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই ইউনিয়নের শান্তিপুর স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহত চেয়ারম্যান মানিকের ভাই বারসন মিয়া। বর্তমানে তার লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাতীয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আওয়ামী লীগ পুলিশের বন্ধুক পিস্তল দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ৯টি বিভাগীয় শহরে শান্তিপূণ গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে বিএনপির সমাবেশে স্রোতের মতো আসছে। এতে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ। এখন তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন ভয় পাচ্ছে। এই বুঝি তাদের ক্ষমতা গেল! ১০ই ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয়ের শেষ নেই। কারণ তারা এই দেশে এমন কিছু কাজ করেছে যে নিজেদের (আওয়ামী লীগের) ওপর কোনো আস্থা নেই। শনিবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির গণসমাবেশে এসব কথা বলেন ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে এই বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। আমরা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। কিন্তু তারা তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘুম হারাম করে ফেলেছে। তারা আতঙ্কে ভুগছে। আমরা তো নয়া পল্টনে অসংখ্য সমাবেশ করেছি, যেখানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। এখন তারা জঙ্গি নাটক শুরু করেছে।  নিজেদের প্রয়োজনে জঙ্গি বানায়। নিজেরাই বাস পুড়িয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করে। আর দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ। গত ১৪/১৫ বছরে আওয়ামী লীগ লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। সব সেক্টরে দুর্নীতি করে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। নিজেরা সম্পদ লুট করে পাহাড় বানাচ্ছে আর সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। করোনা মহামারীর এই সময়ে দেশে ১২ হাজার মানুষ কোটিপতি হয়েছেন। অন্যদিকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ গরীব থেকে আরো গরীব হয়েছে। দেশের মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। সব নিজ দল ও বিত্তশালীদের উন্নয়ন হয়েছে।  ইসলামী ব্যাংকের টাকা নামে বেনামে ঋণের নামে লুট করছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। যে দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে, সেই দেশের সরকার প্রতিদিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী খারাপ কাজ করলেও সমালোচনা করা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্র একটাই- যেমন করেই হোক ক্ষমতায় বসে থাকা। মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। যেই সরকার নতুন স্বপ্ন দেখাবে। এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং নিহত সহযোদ্ধাদের রক্তের বদলা নিতে হলে আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

জাতীয়

আওয়ামী ছাত্র লীগের মধ্যে কোন শৃঙ্খলা নাই এই ছাত্র লীগ চাই না – ওবায়দুল কাদের ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী ছাত্র লীগের মধ্যে কোন শৃঙ্খলা নাই এই ছাত্র লীগ চাই না – ওবায়দুল কাদের । ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এটাই কি ছাত্রলীগ! কোনো শৃঙ্খলা নেই! পোস্টার নামাতে বলছি, নামায় না, স্লোগান থামায় না! এই ছাত্রলীগ আমার চাই না।’ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, সব নেতা, তাহলে কর্মী কোথায়! এত নেতা স্টেজে? শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ না? মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে! কাদের বলেন, আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রেসিডিয়াম, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক সময়ের অভাবে বক্তৃতা করতে পারেনি। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না। তিনি আরও বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকের অঙ্গীকার। কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা দিতে পারেননি। আমন্ত্রিত অনেকেই বক্তৃতা দিতে পারেননি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন? একটু একটু করে বলতে পারলো না! আপনারা দুজনে ১ ঘণ্টা শেষ করলেন। মনে নেই, আজ শুক্রবার! লেখকের না হয় মনে নেই, জয়ের কি মনে ছিল না! এটা কোন ছাত্রলীগ, বিস্ময় প্রকাশ করেন।

Scroll to Top